![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইহুদি ধর্মঃ ↓
( হিব্রু: יְהוּדִים ইয়াহুদীম ) অত্যন্ত
প্রাচীন, একেশ্বরবাদী ধর্ম । ধারণাগত মিল
থেকে ধর্মতাত্ত্বিকগণ ধারণা করেন যে, ইহুদি
ধর্মের ধারাবাহিকতায় গড়ে উঠেছে খ্রিস্ট ধর্ম,
ইসলাম ধর্ম ইত্যাদি ইব্রাহিমীয় ধর্ম । এই ধর্মের
মূল ধর্মগ্রন্থ হিসেবে ওল্ড টেস্টামেন্ট -এর
প্রথম পাঁচটি বইকে গণ্য করা হয়: জেনেসিস,
এক্সোডাস, লেভিটিকাস , নাম্বার্স , এবং
ডিউটেরোনমি। এই পাঁচটি বইকে একত্রে
" তোরাহ "ও (Torah) বলা হয়ে থাকে। ইহুদি
ধর্মবিশ্বাসমতে, ঈশ্বর এক, আর তাঁকে
জেহোবা (Jehovah, YHWH ) নামে আখ্যায়িত
করা হয়। মোসেয হলেন ঈশ্বরের একজন
বাণীবাহক। ইসলাম ও খ্রিস্টধর্মের মতোই
ইহুদিগণ পূর্বতন সকল বাণীবাহককে বিশ্বাস
করেন, এবং মনে করেন মোসেযই
সর্বশেষ বাণীবাহক। ইহুদিগণ যিশুকে ঈশ্বরের
বাণীবাহক হিসেবে অস্বীকার করলেও,
খ্রিস্টানগণ ইহুদিদের সবগুলো ধর্মগ্রন্থ (ওল্ড
টেস্টামেন্ট)-কে নিজেদের ধর্মগ্রন্থ
হিসেবে মান্য করে থাকেন। ইহুদি ধর্ম
সেমেটিক ধর্ম হিসেবেও অভিহিত।
ইতিহাসঃ ↓
প্রায় ৪,০০০ বছরের ইতিহাসে ইহুদি জনগণ এবং
ইহুদি ধর্মের সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় দিক ছিল এর
অভিযোজন এবং অবিচ্ছিন্নতা। প্রাচীন মিশর বা
ব্যাবিলনিয়া সাম্রাজ্য থেকে শুরু করে আধুনিক
পশ্চিমা খ্রিস্টান জনগোষ্ঠী এবং আধুনিক
ধর্মনিরপেক্ষ গোষ্ঠীর সাথে মিথস্ক্রিয়ায়
জড়িয়ে পড়তে হয়েছে ইহুদিবাদকে। প্রতিটি
গোষ্ঠী এবং মতাদর্শ থেকে বেশ কিছু জিনিস
ইহুদি সমাজ-ধর্মীয় কাঠামোতে যুক্ত হয়েছে,
কিন্তু তাদের প্রাচীন ঐতিহ্যও কখনও ক্ষূণ্ন হয়
নি। এভাবেই একদিকে অভিযোজিত হয়েছে
এই ধর্মটি এবং অন্যদিকে তার মৌলিক ঐতিহ্যকে
অটুট রেখেছে। এ কারণে যেকোন
সময়ের ইহুদি ঐতিহ্য তার পূর্বের সকল ইহুদি
ঐতিহ্যের সমন্বয় হিসেবে দেখা দিয়েছে।
কোন এক যুগে যত অভিনবত্ব বা বিবর্তনই
আসুক না কেন ঐতিহ্যগত দিক দিয়ে সবসময়ই
প্রাচীনত্ব বজায় রেখেছে ইহুদিরা।
একজন ইহুদি পুরো বিশ্বকে আকড়ে ধরছে।
ইহুদি ধর্মের মূল শিক্ষা প্রায় সবসময়ই
একেশ্বরবাদকে করে আবর্তিত হয়েছে।
ইহুদিদের মধ্যে অনেক শ্রেণী-
উপশ্রেণী থাকলেও এই একটি বিষয়ে কারও
মধ্যে দ্বিমত নেই। সবাই এক বাক্যে কেবল
এক ঈশ্বরকে মেনে নেয়। একেশ্বরবাদ
প্রকৃতপক্ষে সার্বজনীন ধর্মের ধারণা দেয়
যদিও এর সাথে কিছুটা স্বাতন্ত্র্যবাদ
(particularism) যুক্ত রয়েছে। প্রাচীন
ইসরায়েলে এই স্বাতন্ত্র্যবাদ নির্বাচনের রূপ
নিয়েছিল। নির্বাচন বলতে ঈশ্বর কর্তৃক মানুষের
মধ্য থেকে কাউকে নিজের প্রতিনিধি হিসেবে
মনোনীত করাকে বোঝায়। সেই তখন
থেকেই ইহুদিরা মনে করতো, ঈশ্বর ও
মানুষের মধ্যে একটি পূর্বপরিকল্পিত চুক্তিপত্র
( কোভেন্যান্ট ) থাকতে বাধ্য; সবাইকে এই
চুক্তিপত্র মেনে চলতে হবে; না চললে
পরকালে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
ইহুদিদের এই চিন্তাধারার সাথে messianism এর
সুন্দর সমন্বয় ঘটেছিল।
তথ্যসুত্র:বাংলা ''উইকিপিডিয়া"।
০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:০২
রিফাত সিকদার বলেছেন: ধন্যবাদ ঠাকুর মাহমুদ ভাই
২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:৪১
সৌরভ ঘোষ শাওন বলেছেন: প্রয়োজনীয় পোস্ট। প্লাস এবং প্রিয়তে।
০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫
রিফাত সিকদার বলেছেন: ধন্যবাদ সৌরবভ ঘোষ শাওন।
৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সুন্দর পোস্ট!
০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬
রিফাত সিকদার বলেছেন: ধন্যবাদ রূপক বিধৌত সাধু
৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: পুস্তক সমুহের বাংলায় নামকরণ হয়েছিল শতবর্ষ আগেই।
১ আদি পুস্তক
২ যাত্রাপুস্তক।
৩ লেবিও পুস্তক।
৪
৫
বাকি দুটিরও নাম জানতাম ... মনে আসছেনা...
০৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪৮
রিফাত সিকদার বলেছেন: খুশি হবো যদি বাকি দুটোর বাংলা নামও মনে হলে দয়া করে বলেন। এবং মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪০
রাঘব বোয়াল বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো।
০৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪৯
রিফাত সিকদার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৩১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: খুবই প্রয়োজনিয় তথ্য
ধন্যবাদ