নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অর্থনীতিবিদ

অর্থনীতিবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামাত শিবিরের 48 ঘন্টার হরতাল ও ঘর ফেরৎ মানুষদের ভোগান্তি

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০৮


1 আগস্ট জামাতকে নিশ্চিহৃ করার ষড়যন্ত্র, দলের নেতাদের হত্যার চক্রান্ত ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য সরকার পরিকল্পনা করছে এমন দাবী তুলে জামাত 48 ঘন্টার হরতালের ডাক দেয় যা শেষ হবে বৃহস্পতিবার ভোর 6 টায়। হরতালকে সফল করার জন্য জামাত তার ছাত্র সংগঠন শিবিরকে নিয়ে বিভিন্ন ভাবে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে এবং ক্ষেত্র বিশেষে তাদের এই প্রচেষ্টা সফলও হয়েছে। তারা রাজধানীতে ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে, গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে, রিকশা, সি এন জি বা অটোতে চলমান যাত্রীদের নামিয়ে, মারধোর করে দুই দিন সমগ্র দেশকে একটি নিরাপত্তার অভাব অনুভব করিয়েছে।

ঈদের ঠিক পরপরই যখন মানুষ গ্রামের বাড়ি ছেড়ে রাজধানীতে কর্মে যোগদান করতে আসবে ঠিক তখনই এরূপ হরতাল দিয়ে, সাধারণ মানুষদের হয়রানি করে, অশেষ ভোগান্তির সম্মুখীন করে জামাত শিবির কী অর্জন করেছে বা যে দাবী তুলে হরতালের ডাক দিয়েছিল তা কতটা আদায় করতে পেরেছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে তারা যে বিপুল সংখ্যক মানুষদের অভিশাপ কুড়িয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। বস্তুত এই হরতালটা তারা যদি আরো কয়েকদিন পরে দিত তাহলে জনগণের এতটা কষ্ট হতো না। রেল, বাস ও লঞ্চ স্টেশনে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের যে দুর্দশার শিকার হতে হচ্ছে তা অবর্ণনীয়। পায়ে হেটে মানুষ বাসায় ফিরবে তাও সর্বক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। কারণ প্রত্যেকের সাথেই যথেষ্ট পরিমানে ব্যাগ ব্যাগেজ রয়েছে। যাদের কম রয়েছে বা একাই গ্রাম থেকে ফিরেছে তারা সৌভাগ্যবান এবং এদের অনেককেই পায়ে হেটে বাসায় ফিরতে দেখা গেছে।

ঈদের ঠিক পরপরই মানুষকে অপরিসীম ভোগান্তি দিয়ে যে হরতাল জামাত শিবির পালন করলো তাতে একটি জিনিস অন্তত আরো অসংখ্যবারের মতো পরিষ্কার হলো যে জামাত শিবিরের রাজনীতি সাধারণ মানুষদের জন্য নয়। তাদের রাজনীতি শুধুই নিজেদের জন্য। নিজ দলের স্বার্থে এরূপ হরতাল দেওয়ার নজির অবশ্য বাংলাদেশের অপর দুটি বৃহৎ দলের ক্ষেত্রেও আছে। হরতাল মানুষের জন্য, অর্থনীতির জন্য, দেশের জন্য যে কতটা ক্ষতিকর তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কোন ভ্রক্ষেপ নেই। নিজ দলীয় স্বার্থ হাসিল করতে তারা পেশী শক্তি ও অস্ত্রের জোরে দেশের কোটি কোটি মানুষের ইচ্ছা অনিচ্ছাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিব্যি হরতাল দিচ্ছে এবং জনমতে আতঙ্ক সৃষ্টি করে সেই হরতাল পালনও করছে। যে দল যত বেশি আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে, গাড়ি পোড়াতে পারে, গাড়ি ভাংচুর করতে পারে, পুলিশ পিটাতে পারে সেই দলের হরতাল তত বেশি সফল হয়। হাসিমুখে দলের মুখপাত্র হরতাল শেষে সাংবাদিকদের বলেন, জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করেছে এবং হরতাল সফল হয়েছে। এই ভন্ডামি আর মিথ্যাচারের শেষ কোথায়? কিছু হলেই হরতাল দিয়ে দেশকে অচল করে দেওয়ার অধিকার এরা কোথা থেকে পেল? এভাবে দলগুলোতো হরতালকে সফল করছে না বরং নৈরাজ্য আর অস্থিতিশীলতাকে সফল করছে।

জামাতও রাজনৈতিক দল হিসেবে ব্যতিক্রম কিছু নয়। হরতালের বেলা তারাও বৃহৎ দুটি রাজনৈতিক দলের অনুকরণে অনুরূপ নৈরাজ্য, আতঙ্ক, মৃত্যু আর ধ্বংসের লীলাখেলায় দিন দিন উন্মত্ত হয়ে উঠছে। তাদের বিবেক, বিবেচনাবোধ দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তারা একবারও চিন্তা করলো না ঈদের পরে এভাবে হরতাল দেওয়াটা কতটা যুক্তিসঙ্গত হচ্ছে? তারা চিন্তা করলো না যে এভাবে হরতাল দিয়ে তারা যা পাবে তা হলো ঘরফেরৎ সাধারণ মানুষদের একরাশ ঘৃনা। আরো দুঃখজনক হলো তারা হরতাল দেওয়ার আগের দিনই মাঠে নেমে পড়ে এবং সেদিন থেকেই নৈরাজ্য সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালায়। এভাবে নৈরাজ্য আর আতঙ্ক সৃষ্টি করে, বিপুল সংখ্যক মানুষদের ঘৃনা নিয়ে একটি দল কখনো টিকে থাকতে পারে না। বিকল্প ও ভালো কিছু জাগ্রত হলে তারা নিশ্চিতভাবেই একদিন লুপ্ত হয়ে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৪৫

আমি বোকা মানুষ বলেছেন: শালা গো ধইরা জবাই কইরা দিতে পারতাম তাইলে একটু শান্তি পেতাম।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩০

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। নষ্ট রাজনীতিবিদদের আসলে এটাই প্রাপ্য।

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: কে জানত এরা অমানুষ

২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০২

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: যারা হরতাল দিয়ে সাধারণ মানুষদের ভোগান্তি সৃষ্টি করে তারা সবাই অমানুষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.