নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অর্থনীতিবিদ

অর্থনীতিবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গাদের ঢল: আরো কয়েকটি বিহারী ক্যাম্প অথবা একটি তামিল বিদ্রোহ

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০২


ঈদ-উল-আযহার পূর্বে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যার্ত জেলাগুলোতে ত্রান সহায়তার জন্য ছাত্র-শিক্ষকরা সবাই মিলে চাঁদা দিলাম। সেই চাঁদা দিয়ে ত্রান সহায়তা করা হলো দুঃস্থ ও অসহায়দের। নিঃসন্দেহে খুবই ভালো উদ্যোগ। বিপদে আপদে মানুষের পাশে থাকাই তো মানব ধর্ম। প্রাকৃতিক নিয়মে বন্যা হয়। পানির ঢলে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। তবে এই পানি তো আর চোখের পানি নয় যে আজীবন ধরেই প্রবাহিত হবে। সময়ের সাথে সাথে বন্যার প্রকোপ কমে যায়। মানুষ আবার তার ঘরবাড়িতে ফেরে। জমি থেকে পানি নেমে গেলে আবার চাষবাস করে। আস্তে আস্তে জীবনযাত্রা আবার স্বাভাবিক গতিতে ফিরে আসে।

ঈদের পরে আবারো চাঁদা দিলাম। একজন শিক্ষক এসে চাঁদা তুলে নিয়ে গেলেন। তবে এবার আর পানির ঢল নয়। এবার চাঁদা দিলাম সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের যে ঢল এসেছে, এবং যে মানবিক বিপর্যয় ঘটছে তার উত্তরণে। আপনারা সবাই জানেন যে, মায়ানমারের সেনাবাহিনীর অত্যাচারে বর্তমানে সে দেশে অবস্থানরত সকল রোহিঙ্গা নাগরিক পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসছে। রোহিঙ্গারা মুসলমান। আর মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই। ভাই বিপদে পড়েছে। অতএব তাকে তো আশ্রয় দিতেই হবে। ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক আমরা আশ্রয় দিচ্ছি। তাদের জন্য শরনার্থী শিবির তৈরি হচ্ছে। ত্রান পাঠানো হচ্ছে। ত্রান নিয়ে নানান তেলেসমাতি কারবারও হচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের এই ঢল তো বন্যার মতো প্রাকৃতিক নিয়মে হচ্ছে না যে একসময় আবার তা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। রোহিঙ্গারা আসতেই থাকবে। কেননা মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের তাদের নাগরিক বলে স্বীকার করে না। তাই শেষ রোহিঙ্গাটিকে তাদের নিজ ভূমি থেকে বিতাড়িত করা না পর্যন্ত তারা সেনা অভিযান অব্যাহত রাখবে। রোহিঙ্গাদের সংখ্যা আনুমানিক 1 মিলিয়ন বা 10 লাখ। তারমানে বাংলাদেশকে শেষ পর্যন্ত 10 লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে হবে। এবং স্থায়ীভাবেই দিতে হবে। কারণ মিয়ানমার সরকার এই রোহিঙ্গাদের কস্মিনকালেও আর রাখাইনে ফিরতে দিবে না।

বিশ্বনেতারা কিছুদিন এই ঘটনা নিয়ে বক্তব্য বিবৃতি দিবে, উদ্বেগ প্রকাশ করবে আর শেষমেষ কয়েক ট্রাক ত্রান পাঠিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ করবে। পশ্চিমা বিশ্ব কখনই এই ঘটনাকে খুব বেশি গুরুত্ব দিবে না। কারণ তাদের চোখে মুসলমানরা হলো সন্ত্রাসী। আর সন্ত্রাসীরা বাঁচুক কি মরুক বা নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত হোক তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। অতএব বাংলাদেশকেই এই দশ লাখ রোহিঙ্গাদের দায় নিতে হবে এবং স্থায়ী ভাবে আশ্রয় দিতে হবে।

শরনার্থী আগমনের এই ধারা অবশ্য বাংলাদেশে নতুন নয়। 1947 সালে দেশ বিভাগের কারণে বর্তমান পূর্ব ভারতের বিহার প্রদেশে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় এবং 30,000 এর বেশি বিহারী মুসলমানকে হত্যা করা হয়। অনুমান করা হয় যে অবশিষ্ট বিহারীদের মধ্যে দশ লক্ষের বেশী পূর্ব পাকিস্তানে চলে যায়। অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশে তারা আগমন করে। বিহারীরাও মুসলমান রোহিঙ্গারাও মুসলমান। কী অদ্ভুত মিল! সংখ্যায় মিল, ধর্মেও মিল।

কিন্তু ধর্মের মিল থাকলেও বিহারিরা আলাদা একটা জাতি। তাদের ভাষা আলাদা। যে কারণে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশী জাতির সাথে কখনই একাত্ম হতে পারেনি। 1971 সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তারা ভুলে যায় যে এই বাংলাদেশীরাই তাদেরকে বিপদের সময় আশ্রয় দিয়েছিল। 71 সালে তারা পাকিস্তানপন্থী মনোভাব পোষণ করে, পাকিস্তানী সশস্ত্র বাহিনীকে সমর্থন করে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করে। যুদ্ধের সময় তারা উন্মত্ত আক্রোশে নিরীহ, আশ্রয়দাতা বাংলাদেশীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং বাংলাদেশীদের হত্যার হোলিখেলায় মেতে উঠে। বিহারী, পাকিস্তানী, রোহিঙ্গা তারা সবাই কিন্তু মুসলমান। আমি বলছি না যে রোহিঙ্গারাও বিহারীদের মতো একই কাজ করবে। তবে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ মীর জাফররা সব যুগে, সব জাতির মধ্যেই বিদ্যমান থাকে।

যাইহোক, স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে পাকিস্তানীরা বিহারীদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে অস্বীকার করে। জাতিসংঘ, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারসহ বিশ্বব্যাপি বেসরকারি অনেক মানবাধিকার সংগঠন থেকে ক্রমাগত চাপ দিয়েও পাকিস্তানকে দিয়ে এই কাজটি করানো সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইন মোতাবেক বাংলাদেশ সরকার এদেরকে রেশন দিতে বাধ্য হয়। বাংলাদেশে তেরোটা ভিন্ন-ভিন্ন অঞ্চলের ৬৬টা ক্যাম্পে এখনও আড়াই লাখ থেকে তিন লাখের মতো আটকে পড়া বিহারি আছে। ক্যাম্পগুলো বস্তিতে পরিণত হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টি জেনেভা ক্যাম্প নামে পরিচিত, যাতে ২৫,০০০ এর বেশি লোক বসবাস করে। ২০০৩ সালে হাইকোর্টের এক রায় অণুযায়ী ১৯৭১ সালের পরে জন্ম নেয়া বাংলাদেশের বিহারিরা বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হয়।

এখন রোহিঙ্গাদের যেহেতু আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, তাই তাদেরকে ক্যাম্প তৈরি করে দেওয়া হবে, রেশন দেওয়া হবে, ত্রান দেওয়া হবে এবং একটা সময় পরে যদি হাইকোর্ট থেকে এমন ঘোষণা আসে যে, 2021 সালের পর জন্ম নেওয়া রোহিঙ্গারা বাংলাদেশী নাগরিক বলে বিবেচিত হবে তবে অবাক হওয়ার কিছু নেই। অতএব ধরে নিন যে, বাংলাদেশে বিহারিদের মতো রোহিঙ্গাদের জন্যও ক্যাম্প খোলা হবে। রোহিঙ্গারা যেহেতু সংখ্যায় বেশি, তাই বিহারিদের মতো 66 টা ক্যাম্পে হবে না। কমপক্ষে শ’খানেক ক্যাম্প লাগবে।

বাংলাদেশ আয়তনের দিক থেকে এমনতেই ছোট্ট একটা দেশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী বর্তমান জনসংখ্যা 16 কোটি 17 লাখ 50 হাজার (মে, 2017)। এরপরে যদি আবার 10 লাখ রোহিঙ্গা যুক্ত হয় তবে কয়েক বছরের মধ্যেই একটা ভয়াবহ জনবিস্ফোরণ ঘটবে। কারণ অস্তিত্ত রক্ষার নিমিত্তে রোহিঙ্গারা উন্মত্তের মতো প্রজনন ক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করবে এবং পঙ্গপালের মতো বংশ বিস্তার করবে। বিষয়টা বাংলাদেশের জন্যে নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। কারণ একটা সময় পরে আপনি কক্সবাজারে গিয়ে দেখবেন আপনার চারপাশে শুধু কিলবিল করছে রোহিঙ্গারা। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটবে। কারণ নিশ্চিতভাবেই এতো রোহিঙ্গাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে না। তখন তারা জীবিকার তাগিদে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চোরাচালানী, মাদক ব্যবসা ইত্যাদির মতো পেশাগুলোকেই বেছে নিবে।

ইতিহাস সাক্ষী যে দুইটি ভিন্ন জাতি একই দেশে খুব কম ক্ষেত্রেই শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে পারে। সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতি দ্বারা নিষ্পেষিত ও বঞ্চিত হয়ে সংখ্যালঘিষ্ঠ জাতি সুযোগ পেলে এক সময় না এক সময় বিদ্রোহ করবেই। বিদ্রোহ করে তারা নিজেদের জন্য আলাদা একটি রাষ্ট্র গঠন করার প্রচেষ্টা চালায়। উদাহরণ খোঁজার জন্য খুব বেশি দূরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। শ্রীলঙ্কার তামিল টাইগারদের কথা ভুলে যাননি আশা করি।

তামিল জাতি ভারতীয় রাজ্য তামিলনাড়ু ও শ্রীলঙ্কার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বসবাসকারী একটি জনগোষ্ঠী। ভারতীয় তামিলদের নিয়ে ভারতকে কোনো সমস্যার মোকাবেলা করতে না হলেও গোল বাধে শ্রীলঙ্কার তামিলদের নিয়ে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলিজদের কাছে বিভিন্ন ভাবে উপেক্ষিত ও বঞ্চিত হওয়ার পরে তামিলরা আলাদা তামিল রাষ্ট্র গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়। 1976 সালে ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণের হাত ধরে লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলম প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এই গেরিলা সংগঠনটি বীর বিক্রমে সিংহলিজদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ বছর ধরে যুদ্ধ পরিচালনা করে। তারা শ্রীলঙ্কার উত্তরাঞ্চলে অবস্থান করে উত্তর ও পূর্বাংশ নিয়ে পৃথক ও স্বাধীন তামিল রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে শ্রীলঙ্কান সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। 2009 সালে শ্রীলঙ্কান সেনাবাহিনীর হাতে ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ নিহত হওয়ার পরে তামিল রাষ্ট্র গঠনের এই প্রচেষ্টা ভেস্তে যায়। তবে তার আগে বিনষ্ট হয় অসংখ্য অমূল্য মানব জীবন।

রোহিঙ্গারা বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থান করছে। একটা সময় পরে তারা যদি তামিলদের ন্যায় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দরবন, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ইত্যাদি জেলা নিয়ে স্বাধীন রোহিঙ্গা রাষ্ট্র ঘোষণা করে তবে অবাক হওয়ার কিছু নেই। সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশী জাতির নিকট থেকে অধিকার আদায়ে তারা যে কোনো এক সময় ঐকবদ্ধ হবে না তার নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। আর কক্সবাজার জেলা বাংলাদেশের একটি প্রান্তে অবস্থিত। শ্রীলঙ্কার জাফনার মতো এটিও সমুদ্রের পাড়ে অবস্থিত আর রয়েছে বনভূমি ও পাহাড়ি এলাকা যা গেরিলা অপারেশনের জন্য আদর্শ। শান্তি বাহিনী কিন্তু এই পাহাড় আর জঙ্গলের সুবিধা নিয়েই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপারেশন পরিচালনা করতো। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনই শান্তি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধে তেমন কোনো সুবিধা করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্তু লারমার সাথে শান্তি চুক্তি করে পাহাড়ি বাঙালি বিরোধের অবসান ঘটান। সুতরাং রোহিঙ্গাদেরও সুযোগ আছে এলটিটিই এর মতো কোনো গেরিলা সংগঠন তৈরি করে আলাদা রোহিঙ্গা রাষ্ট্রের দাবীতে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার।

এই আশঙ্কার কারণ হলো, বাংলাদেশের বান্দরবন-কক্সবাজার সীমান্তে অন্তত চার দশক ধরে সক্রিয় আছে জঙ্গি সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)। তাদের একটাই মিশন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে একটি 'স্বাধীন ইসলামী রাষ্ট্র' প্রতিষ্ঠা করা। এ দুটি দেশ ছাড়াও ফিলিপাইন, পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে রয়েছে এর নেটওয়ার্ক। তাদের আছে অস্ত্র আর যুদ্ধ করার অভিজ্ঞতা। অতএব রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে আমরা বোধ হয় আরএসও এর আকারে আরেকটি এলটিটিই-এর মতো দানব তৈরি করছি।

এগুলো সবই থিওরি। বাস্তবে যে এগুলো ঘটবেই তা বলা যায় না। তবে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে যে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হবে তা সহজেই অনুমেয়। (24/09/2017)

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মোটামুটি সব বিষয় নিয়েই আলোচনার অবকাশ আছে। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের উদ্ধার করতে পারে ডিজিটাল পদ্ধতি। আর তার সাথে সৎ সরকারী কর্মকর্তারা। রোহিঙ্গাদের অবশ্যই ডাটাবেসের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। বর্তমানে এটা একটা সাধারণ কাজ। যারা রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট ও এন আই ডি করে দিবে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তবে অনুমতি নিয়ে বিহারীদের মত রোহিঙ্গারাও মূলধারায় বিয়ে ও কর্মসূত্রে জড়িয়ে পড়তে পারে, আর তা স্বাভাবিকও। আমাদের শুধু খেয়াল রাখতে হবে এরা যেন মাথাচাড়া না দিয়ে উঠতে পারে। এদের অন্তত ২৫ বছর নাগরিকত্ব দেয়া উচিত হবে না...

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করে রোহিঙ্গাদের ডাটাবেসের মধ্যে নিয়ে আসলে ভালো হয়। আর যেহেতু তারা আমাদের দেশে মোটামুটি স্থায়ী হয়ে গেছে, তাই তাদেরকে ধীরে ধীরে মূলধারায় আসতে দিতে হবে যেন তারা বঞ্চিত ও শোষিত হয়ে বিদ্রোহ না করে বসে।

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আরেকটু আশাবাদী হতে অনুরোধ করছি | এটা কঠিন কাজ হবে হয়তো কিন্তু অসম্ভব কোনো কাজ নয় | আজ আমাদের সরকারের বাইরে গ্রহণযোগ্যতা কম | আমাদের ডিপ্লোম্যাটিক উইংয়ের চরম ব্যর্থতা প্রায় সব জায়গায় | এগুলো ঠিক করতে হবে | পুরো ব্যাপারটার সাফল্য নির্ভর করবে ইফিশিয়েন্ট ডিপ্লোমেসির উপর | সেটা যদি আমাদের থাকে তবে এব্যাপারে একটা সাফল্য না পাবার কোনো কারণতো আমি দেখিনা |

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৭

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ডিপ্লোম্যাসি আসলেই একটা বড় ফ্যাক্টর এখানে।

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


রোহিংগাদের ফেরার সম্ভাবনা কম, তাদের নামে যে পরিমাণ দীর্ঘমেয়াদী রিলিফ আসবে, সেটা দিয়ে তাদেরকে সমাজে প্রতিস্ঠা করা সম্ভব।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: হ্যা, এটা সম্ভব হতে পারে। তবে রিলিফটা সততার সাথে বন্টন করা হবে কিনা সেটা একটা চিন্তার বিষয়। সম্প্রতি সেনাবাহিনী ত্রান বন্টনের দায়িত্ব নিয়েছে দেখলাম। এটা একটা ভালো দিক। আমরা সবাই রোহিঙ্গাদের বিষয়ে একটা সুন্দর সমাধান আশা করছি। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

কাউয়ার জাত বলেছেন: মলাসইলমুইনা আপনি অনুগ্রহপূর্বক বাক্যের শেষে দাড়ি ব্যবহার করুন।

৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

মলাসইলমুইনা বলেছেন: @কাউয়ার জাত :স্যরি। আমি যে সফটওয়ারটা লেখার জন্য ইউজ করি তাতে একটু সমস্যা হয় দাড়ি চিহ্নটা দিতে।খেয়াল রাখার চেষ্টা করবো ভবিষ্যতে।

৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:১৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সমাজে গুণীজনরা বলছেন রোহিঙ্গা আমাদের জন্য বিষফোড়া! আসলে রোহিঙ্গা আমাদের জন্য বিষফোড়া নয়। এটি ক্যান্সার যার শেষ হবে মৃত্যু দিয়ে। রোহিঙ্গা HIV AIDS & HBSAg+ এর তাজা বারুদ নিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশে। এর পরিনাম সতিই ভয়ংকর হবে। ইতিমধ্য শত সহস্র রোহিঙ্গা আশ্রয় ক্যাম্প থেকে পালিয়ে গেছে বসত করেছে বাংলাদেশের ভেতরে কোথাও। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা’র পক্ষে কঠিন তাদের হদিস খোঁজে বের করা - কারণ তারা দেখতে শুনতে অবিকল বাংলাদেশী।

১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:২৬

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: আশ্রয়দাতা বাংলাদেশীদের উপর রোহিঙ্গাদের বিন্দুমাত্র কৃতজ্ঞতা নেই। বাংলাদেশী স্থানীয় অধিবাসীদের সাথে তারা জঘন্য আচরণ করে। রোহিঙ্গারা এখন শক্তি সঞ্চয় করছে। ইয়াবা খাইয়ে যুব সমাজকে ধ্বংস করছে। HIV AIDS & HBSAg+ ছড়াচ্ছে। উপযুক্ত মুহূর্ত আসলে এরপর তারা সশরীরে ঝাপিয়ে পড়বে আশ্রয়দাতা বাংলাদেশের নিরীহ অধিবাসীদের উপর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.