নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অর্থনীতিবিদ

অর্থনীতিবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন

২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:১৫

অবশেষে নানা জল্পনা কল্পনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনে স্বাভাবিকভাবেই জয়লাভ করেছে নৌকা প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। নির্বাচন ঘিরে অনেক দিন ধরেই প্রচারণা চলছিল মেয়র প্রার্থী এবং কমিশনারদের। আজকে তার অবসান হলো। সারাদিন ভোট গ্রহণ চললেও আমি অবশ্য একদম সকাল আটটায় ভোট দিতে চলে যাই। ভোটকেন্দ্রের চারদিকে পুলিশ প্রহরা। কেন্দ্রের ভিতরেও পুলিশ। এত পুলিশের ভীড়ে অল্প কিছু ভোটার লাইন দিয়ে দাড়িয়ে আছে। সব মিলিয়ে জনা পঞ্চাশেক হবে। আমিও গিয়ে সেই লাইনে শরীক হলাম। এক পর্যায়ে সেই ভোট কেন্দ্রে আসলেন মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। ধানের শীষ নিয়ে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্কুলের উঠানে টেবিল পেতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিলেন। ক্যামেরা ম্যানরা সারিবদ্ধ হয়ে ভিডিও করছে। এর মধ্যে বিটিভির সাংবাদিক বার বার ক্যামেরার সামনে চলে আসছে। আর ওমনি পিছন থেকে অন্যান্য চ্যানেলের ক্যামেরাম্যানরা চিৎকার করছে, ঐ বিটিভি, সর সামনে থেকে। সাংবাদিকদের হৈ, হট্টগোল, চিৎকার, চেচামেচির মধ্য দিয়ে শেষ হলো হাসান উদ্দিন সরকারের সাক্ষাৎকার পর্ব। উপস্থিত ভোটাররা বিতৃষ্ণ নয়নে সাংবাদিকদের বিশৃঙ্খলা অবস্থা প্রত্যক্ষ করলেন।

এরপর সাংবাদিকরা উপস্থিত ভোটারদের নিকট এগিয়ে এলেন তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য। সবাইকে একই প্রশ্ন, এবার নির্বাচন কেমন হবে বলে মনে করছেন? ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ কেমন? ইত্যাদি ইত্যাদি। আর ভোটারদের উত্তরও গৎবাধা। নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে বলে আশা করছি, ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ ভালো ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার কাছেও আসলো একজন। একই রকম প্রশ্ন, তাই উত্তরও একই রকম দিলাম। তবে একটু বাড়তি যোগ করলাম যে, সকালের পরিবেশ দেখে সারা দিনের কথা বলা যায় না। মূলত এগারো বারোটা থেকেই শুরু হয় যত অনিয়ম। তাই আপনারা সে পর্যন্ত ধৈর্য ধরে থাকুন।

এরপর শুরু হলো ভোট গ্রহণ। ভোট গ্রহণের শুরুতেই গেটের সামনে দাড়ানো এক কর্মকর্তা উচ্চস্বরে ঘোষণা দিলেন, ভোট কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে যাওয়া যাবে না। মোবাইল রেখে তারপর যেতে হবে। এ ঘোষণা শুনে উপস্থিত ভোটাররা অসন্তোষ প্রকাশ করলেন। আমি নিজেও চিন্তায় পড়ে গেলাম। আমার এত দামি ফোটসেটটা কার কাছে রেখে যাবো। ভাবলাম ফোন বন্ধ করে পকেটেই রাখি। পুলিশ জিজ্ঞেস করলে বলবো, নেই। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে সে আশায় গুড়ে বালি। কারণ সে কর্মকর্তা একজন পুলিশকে ভোটারদের শরীর চেক করে কেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করানোর নির্দেশ দিলেন। কী করবো ভাবছি, এমন সময় দেখি, দুইজন লোক টেবিল পেতে ভোটারদের মোবাইল জমা রাখছে। তারা মূলত একজন ওয়ার্ড কমিশনারের কর্মী। তাদের কাছে মোবাইল রেখে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করলাম। ভোট দিলাম। আমি যে বাড়িতে থাকি, সে বাড়ির মালিকের ছোটো ভাই আবার ওয়ার্ড কমিশনার পদে দাড়িয়েছে। মূলত তাকে ভোট দেওয়ার জন্যই যাওয়া। ও হ্যা, মহিলা কমিশনার হিসেবে যাকে দিয়েছি তিনিও অনেক ভালো মানুষ। ইতিপূর্বে কমিশনার থাকাকালে তিনি মানুষকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। আমিও তার নিকট থেকে বিভিন্ন বিষয়ে অনেক সহযোগিতা পেয়েছি।

ভোট দেওয়া শেষে আরো দু’একটা ভোট কেন্দ্র দেখে বাসায় চলে আসলাম। সকালে ভোটের পরিবেশ ঠিকই ছিলো, কিন্তু দশ-এগারোটার পর থেকেই গাজীপুরের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন অনিয়মের খবর আসতে লাগলো। হামলা, কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, জাল ভোট দেওয়া, বিএনপির এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, একাধিক ভোট দেওয়া ইত্যাদি অনিয়মের খবর আসতে লাগলো। হাসান সরকার নির্বাচন বর্জনের ডাক দিলেন। আরো এক মেয়র প্রার্থী রাস্তায় নির্বাচন বর্জনের দাবী জানিয়ে বিক্ষোভ করলেন। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন শেষ হলো এবং প্রত্যাশিত ভাবেই নৌকা জিতলো। আওয়ামী লীগের দাবী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে আর বিএনপির দাবী নির্বাচনে সব রকম অনিয়মই হয়েছে। অবশ্য যে কোনো নির্বাচনেই দুই দলের এমন পাল্টাপাল্টি ঘোষণা আর অভিযোগ থাকে। এ নিয়ে আমাদের সাধারণ জনতার মাথা ঘামিয়ে আসলে কোনো লাভ হয় না। যাই হোক শেষ পর্যন্ত গাজীপুরের নগর পিতা হলেন নৌকা প্রতীক নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম। দেখি তিনি গাজীপুরের কী উন্নতি করতে পারেন।

সর্বশেষ, আমি যে ওয়ার্ড কমিশনারকে ভোট দিয়েছিলাম তিনি নির্বাচিত হতে পারেননি। শোকের ছায়া সারা বাড়িতে। কর্মীরা শুকনো মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সারা বাড়ি থমথম করছে। তবে মহিলা কমিশনার অবশ্য জয় লাভ করেছেন। এভাবেই আনন্দ, বেদনা, হতাশা, প্রত্যাশা আর স্বপ্নভঙ্গ নিয়ে শেষ হলো গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

কাইকর বলেছেন: ভাই আমিও নিজ চোখে দেখেছি আজ এই অবস্থা আমার বাড়ি গাজীপুর পুবাইল এখানকার একটি কেন্দ্রে আম্লীগের কিছু মানুষ ও পুলিশ মিলে জোর করে নৌকায় ভোট নিয়েছে জোর করে দিয়েছে আমি ওই কেন্দ্রের মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলাম অনেকজন মহিলা ভোট কেন্দ্র থেকে বের হয়ে কান্নাকাটি করছে যে তাদেরকে ভিতর অনেক রকম মাছ ধরার মতো কাহিনী করা হয়েছে আরও কতকিছু এটা সকাল দশটা নাগাদ সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না আর আদৌ কখনো হবে কিনা সেটা বলা মুশকিল

২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:০৯

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়াটা কঠিন। খুলনাতে হয়নি। গাজীপুরেও হয়নি। সামনের জাতীয় নির্বাচনেও হওয়ার সম্ভাবনা কম।

২| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

কাইকর বলেছেন: ভাই দাড়ি,কমা দিতে গিয়ে চাপ লেগে মন্তব্য টি হয়ে গেছে। দুঃখিত

২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:০৯

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: সমস্যা নেই। আমি বুঝতে পেরেছি :-)

৩| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: এদেশে নিজের ভোট দেওয়া যেমন গণতন্ত্র; অন্যের ভোট নিজের মনে করে দেওয়াও গণতন্ত্র। ভোটকেন্দ্র দখল করাও গণতন্ত্র।

২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:১১

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কাওসার ভাই। এদেশে এখন সরকারী দলের যে কোনো কর্মকান্ডই গণতন্ত্র হিসেবে বিবেচিত হয়।

৪| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:০৫

পবন সরকার বলেছেন: ভোটের বর্ননা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৪

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। তবে এখন মনে হচ্ছে এত সকালে না গিয়ে আরেকটু পরে ভোট দিতে গেলে ভালো হতো। তাহলে অনিয়মের কিছু চিত্র তুলে ধরতে পারতাম। তবে সকালে যাওয়ার কারণ হলো এর আগের বার একটু দেরী করে যাওয়ায় আমার ভোট কে যেন আগেই দিয়ে দেয়। তাইতো এবার তাড়াতাড়ি চলে যাই :-)

৫| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫১

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: হা...হা...হাহাহাহা....।

২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৫

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: হাস্যকর নির্বাচন। ফলাফল আগে থেকেই ঠিক করে রাখা।

৬| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:৫১

শামচুল হক বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ

২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।

৭| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:১০

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: এতটা অনিয়ম হয়েছে অথচ পত্রিকাতে এর তেমন কিছুই আসেনি।

আচ্ছা, এসব অনিয়মের সাথে কি এবারো পুলিশ বাহিনী এবং প্রশাসন সরাসরি জড়িত? নাকি, সরকার দলীয় ক্যাডাররা নিজেরাই এসব করেছে ?

২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৯

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: পত্রিকাতে সরকারি দলের অনিয়মগুলো কখনই পুরোপুরিভাবে আসে না। পুলিশ বাহিনী, প্রশাসন আর সরকার দলীয় ক্যাডাররা আসলে আলাদা কেউ নয়। তারা একজোট হয়েই অনিয়মগুলো ঘটায়।

৮| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:৩৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এই সরকার ভোট জালিয়াতি করবেই। নির্বাচনের কোন নিয়ম মানবে না।

২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২০

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়াটা কঠিন। সরকার দলীয় ব্যক্তিবর্গ প্রশাসনকে কব্জা করে ভোট জালিয়াতিসহ নানা অপকর্ম ঘটায়। কারণ তারা জানে যে তাদের পিছনে একটা ব্যাপআপ আছে, একটা শক্তি আছে।

৯| ২৭ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৭:১২

সিগন্যাস বলেছেন: আপনি মনে হয় এইসব বিষয়ে দারুণ আগ্রহী। যদি আপনাকে একহাজারবার ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হতো তাহলে কি এক হাজারটা ভোট দিতেন?

২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৩

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: আগ্রহী মানে নিয়মিত খোঁজখবর রাখি। না, আমি এক হাজার বার ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলেও সে সুযোগ নিবো না।

১০| ২৭ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: কারচুপির অভিযোগ বিশ্বাসযোগ্য। তবে এও সত্য যে বিএনপির কর্মীরা ঝিমিয়ে রয়েছে। তারা গা ঝাড়া দিয়ে না উঠলে নির্বাচন যেরকমই হোক না কেন বিএনপির জয়ের কোন আশা নেই।

২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: বিএনপির কর্মীরা ঝিমিয়ে পড়েছে কারণ তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার কেউ নেই। এই নেতৃত্বের সঙ্কট সহসা কাটবে বলে মনে হয় না। সেক্ষেত্রে সামনের নির্বাচনেও তাদের জন্য ভরাডুবি অপেক্ষা করছে।

১১| ২৭ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা ভেরি গুড।

২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার :-)

১২| ২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

রাকু হাসান বলেছেন: ফোন যদি না নিতে পারে তবে কেন কতৃপক্ষ আগে থেকেই নিষিদ্ধ করলো না ! হঠাৎ করে পুলিশ মনগড়া নিষিদ্ধকাম্য নয় । আপনার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ । অথচ দেশীয় চ্যালেনগুলো এ নিয়ে জোরে দম ফেলছে না ।

২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫০

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ফোন নিয়ে না ঢোকানোর পিছনে তাদের যুক্তি ছিলো ভোটারটা ভোট দিবে আর সেলফি তুলবে। তাতে নাকি সময় নষ্ট হবে। কী অদ্ভুত যুক্তি! অথচ আগে থেকেই কিছুই বলেনি। তাই অনেক চিন্তায় পড়ে গেছিলাম যে মোবাইলটা কোথায় রাখবো ভেবে। দেশীয় চ্যানেলগুলো রয়েসয়ে খবর প্রকাশ করে। সরকারকে তোষামোদ করে টিকে থাকার চেষ্টা আরকি। প্রথম আলো মোটামুটি অনিয়মের বেশ খোলামেলা চিত্র তুলে ধরেছে। আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইলো।

১৩| ২৭ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩

হাঙ্গামা বলেছেন: জাতি এখন বিশ্বকাপ নিয়া ব্যস্ত তার উপরে মাত্র কালকেই আর্জেন্টিনা বিশাল কীর্তি ঘটাইছে।
এই সুযোগে নৌকারে ঠেলা দিয়া যায়গামত পাঠায়া দেয়া হইছে।

২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ
ঠিক বলেছেন। বিশ্বকাপের এই ডামাডোলে সরকারি দল পুকুর চুরি করলেও জনগণ তাতে খুব একটা আমল দিবে না। কারণ সারা জাতি এখন বিশ্বকাপ জ্বরে আক্রান্ত। সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।

১৪| ২৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

সিগন্যাস বলেছেন: আমাদের দেশ যে কবে জার্মানি হবে

৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: উন্নত দেশগুলোতে সত্যিকারের গণতন্ত্রের চর্চা করা হয়। আমাদের দেশ আদৌ কোনোদিন সে স্তরে যেতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে।

১৫| ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:২১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: শি‌ক্ষিত, বি‌বেকবান ও সৎ মানুষ না হ‌লে গণতন্ত্র হয় না। প্রয়াত মেয়র আ‌নিসুল হ‌কের কিছুটা ছায়া না‌কি আ‌ছে নতুন মেয়র জাহাঙ্গীর আল‌মের মা‌ঝে?

৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:০২

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: গণতন্ত্রের জন্য আসলেই সৎ, শিক্ষিত ও বিবেকবান মানুষ দরকার। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক অনেক গুণের অধিকারী ছিলেন। তিনি মেয়র থাকা অবস্থায় আমরা সেটা প্রত্যক্ষ করেছি। আনিসুল হকের কিছু ছায়া জাহাঙ্গীর আলমের মধ্যে পাওয়া যায়। জাহাঙ্গীর আলম মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে নিজ অর্থে গাজীপুরে বেশ কিছু কাজ করে মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এখন তিনি ক্ষমতায়। যদি সে ধারাবাহিকতায় মানব সেবার ধর্মকে প্রাধান্য দেন তাহলে তা গাজীপুরবাসীর জন্য সৌভাগ্যের।

১৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আশাকরি, নতুন মেয়র কেমন কাজ করছেন, তা নিয়ে আগামীতেও কিছু লিখবেন।
এদেশে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করাটা সুদূর পরাহত। জনগনের চরিত্র ঠিক হলে অনেক কিছু এমনি এমনিই ঠিক হয়ে যাবে। এ ছাড়া এখন যেভাবে চলছে, আগামীতেও সেভাবেই চলবে- হয়তো একটু উনিশ বিশ হবে।
একটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে পোস্ট লেখার জন্য ধন্যবাদ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৪৩

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: এখন পর্যন্ত নতুন মেয়রের তেমন কোনো কার্যকলাপ চোখে পড়েনি। আসলে বাংলাদেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষমতায় আসাটাই ক্ষমতাবানদের কাছে সবকিছু। কিন্তু ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবার পর তাদের আর কার্যকলাপ থাকে না। তারা বেমালুম ভুলে যায় তাদের প্রতিশ্রুতিগুলো। আগামীতে মেয়রের উল্লেখযোগ্য কোনো কার্যকলাপ পেলে লিখবো। আপনাকেও ধন্যবাদ পোস্টটি পড়া এবং সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.