নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অর্থনীতিবিদ

অর্থনীতিবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সোনালী ব্যাংকে একদিন

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৩৫


কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম অনুসারে বোর্ড থেকে খাতা পেতে হলে সোনালী ব্যাংকে বাধ্যতামূলকভাবে অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। তাই সাগর স্যার একদিন সোনালী ব্যাংক থেকে একগাদা ফরম নিয়ে আসলেন। আমরা শিক্ষকেরা মহা উৎসাহে সেই ফরমগুলো পূরণ করলাম। অতঃপর একদিন সেই ফরম নিয়ে যাত্রা শুরু করলাম সোনালী ব্যাংকের উদ্দেশ্যে। ভাববেন না অল্প সময় হাতে নিয়ে গিয়েছি, আমাদের হাতে পর্যাপ্ত সময়ই ছিল।

অ্যাকাউন্ট খোলার প্রথম ধাপ শুরু হলো আমাদের পূরণকৃত ফরম যাচাই ও আনুষঙ্গিক কাজের মাধ্যমে। যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে তারা বহু সময় নিয়েই এই কাজটা করলো। আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য কতক্ষণ সময় লেগেছে তার একটু নমুনা দিচ্ছি। প্রথম ঘন্টা আমি যথেষ্ট ধৈর্য নিয়ে বসে থাকলাম একটি চেয়ারে। এক ফাঁকে ম্যানেজারের সাথেও কিছুক্ষণ আলাপ করে এলাম। এরপর আরো কিছুক্ষণ বসে থাকার পর শুরু হলো তাদের জোহরের নামায ও দুপুরের খাবারের বিরতি। অন্য সব কাজের মতো এই কাজটাও তারা যথেষ্ট সময় নিয়েই করলো। লাঞ্চ বিরতির পর যখন তারা আবার নিজ নিজ আসনে বসলো, লক্ষ্য করলাম আমার পাশের টেবিলেই একটি অল্প বয়সী তরুনী অফিসার কাজ করে যাচ্ছে। কাজ করে যাচ্ছে মানে মোবাইল ফোনে কার সাথে যেন আলাপ করছে। একটু লক্ষ্য করেই দেখলাম শুধু এই মেয়েটিই না, তামাম অফিসের কর্মীরাই একটু পর পর যথেষ্ট সময় ও আন্তরিকতার সাথে মোবাইল ফোনে এই কথা বলার কাজটি করে যাচ্ছে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজনদের সাথে তাদের এই ঘনিষ্ঠ বন্ধন দেখে আপ্লুত হয়ে গেলাম। ফারুক স্যার বেরসিকের মতো বললেন, এদের কী কোন কাজকর্ম নাই? খালি ঘোরে আর কথা বলে? যাহোক কথা শেষ হলে মেয়েটির নিকট গিয়ে বিনয়ের সাথে জানতে চাইলাম তাদের এই ব্যাংকে কি কি অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। তরুনীটি কিছুক্ষণ আমার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পরে এম ই এস ও এফ ডি আরের রেট জানার জন্য আমাকে আরেক মেয়ে অফিসারের নিকট পাঠাল। সেই মেয়ে অনেক চেষ্টা করে একটি পুরনো ফাইল খুজে বের করলো যার মধ্যে অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য রাখা আছে। যথেষ্ট সাবধানতার সাথে সে বয়সের ভারে হলুদ হয়ে যাওয়া পাতাগুলো উল্টাতে লাগলো যেন সেগুলো ছিড়ে না যায়। অতঃপর সে এম ই এস এবং এফ ডি আর এর মুনাফার রেট আমাকে জানাতে পারলো এবং এই অসাধ্য সাধন করার জন্য তাকে যারপরনাই আনন্দিত মনে হলো। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ততক্ষণে দুপুর দুইটা পার হয়ে গেছে।

এরপরে আবারো আধাঘন্টা বসে বসে ঝিমানোর পরে তাদের ফরম যাচাই ও আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হলো। এরপর সাগর স্যার ডাক দিলেন স্বাক্ষর করা ও টাকা জমা দেওয়ার জন্য। এই কাজগুলো অসীম ধৈর্য নিয়ে সাগর স্যারই করলেন। এরপরে সবশেষে আসলো চূড়ান্ত পর্যায়। এক বৃদ্ধ অফিসার যার অবসরের আর মাত্র বিশ দিন বাকী আছে, তিনি ফরম যাচাই করে, সিল ছাপ্পর পরীক্ষা করে, নিজেও কিছু লিখে ও সিল মেরে ফরমগুলো সম্পূর্ণ করলেন। তার এই কাজ করতে কতটুকু সময় লেগেছে তা বোঝার জন্য একটা উদাহরণ দিচ্ছি। মনে করুন একটি শামুক সিদ্ধান্ত নিল যে, সে মালিবাগ থেকে ফার্মগেট বেড়াতে যাবে। এই দূরত্ব অতিক্রম করতে যে সময় লাগবে তার সাথে ঐ অফিসারের কাজের তুলনা করলেই আপনি সঠিক সময়টি পেয়ে যাবেন। বৃদ্ধ অফিসারটি আবার কানে একটু কম শোনে। তাকে যে কোন কথা আপনি গুণে গুণে তিন চারবার বলার পরে তিনি মনে হয় একটু শুনতে পাবেন। এরপরে তিনি চেকবই বের করলেন।

এই চেকবই দেখে আমারতো ভিরমি খাওয়ার দশা। এই একবিংশ শতাব্দীতে এই রকম মান্ধাতা আমলের চেক বই ব্যবহৃত হয় তা আমি এই সোনালী ব্যাংকে না আসলে জানতেই পারতাম না। চেকবইটি সরু আকৃতির এবং একটি মোটা খাকী কাগজ দিয়ে বাধাই করা। বৃদ্ধ অফিসার এরপর আমার চেকবইটিতে অ্যাকাউন্ট নম্বরটি নম্বর সিল দিয়ে সিল মেরে দিলেন। নম্বরটি প্রায় প্রতিটি চেকেই সঠিক ঘরে না পড়ে এদিক ওদিক পড়লো। তবে এ নিয়ে অফিসারটিকে মোটেও চিন্তিত মনে হলো না। এরপর তিনি চেকবইয়ের উপরে একটি জটিল নকশা আঁকলেন। অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকার পরে বুঝতে পারলাম যে ওটা আমার নাম। সমস্ত কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে তিনি চেকবই ও জমার বই আমার নিকট হস্তান্তর করলেন। এরপর সাগর স্যার তাকে নিচে গিয়ে চা ও পান খাবার জন্য আমন্ত্রণ জানালেন। এই চা ও পান খাবার আমন্ত্রণ তিনি সাথে সাথেই শুনতে পেয়েছেন দেখে একটু বিস্ময় বোধ করলাম। এরপরে অফিসারটি আমাদের সাথে নিচে নেমে আসলেন এবং চা ও পান খেলেন। দুটি পান তিনি কাগজে মুড়ে নিয়েও গেলেন। বয়স্ক মানুষ। প্রথম সাক্ষাতে আমার নিকট তাকে একজন ভাল মানুষ বলেই মনে হয়েছে। সাগর স্যার বললেন, সোনালী ব্যাংকের অফিসারগুলোকে চা ও পান খাওয়ালে তারা খুব খুশী হয়। সাগর স্যার অত্যন্ত করিৎকর্মা মানুষ। তিনি যা বলেছেন তা ভুল হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই।

এরপর আমি, সাগর স্যার ও ফারুক স্যার বাসার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম। ততক্ষণে বিকেল হয়ে গিয়েছে। কী ভাবছেন? অনেকগুলো অ্যাকাউন্ট খুলেছি? না। যথেষ্ট সময় নিয়েই আমরা এসেছিলাম। মাত্র তিনটা অ্যাকাউন্ট খুলে আমরা সন্ধ্যার সময় বাসায় ফিরলাম।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:২৭

বলেছেন: ডিজিটাল যুগে আপনাকে এত সাহায্য করার জন্য শামুক চাচাকে অভিনন্দন- অভিজ্ঞতা বলে কথা।

সবাই যে হারে মোবাইল নিয়ে বিজি তা মনিটরিং করার জন্য একজন অফিসার তদন্ত নিয়োগ করা প্রয়োজন।


বেহাল অবস্থার জন্য আসলে কে দায়ী?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১১

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: সরকারি সব অফিসেই একই অবস্থা। সিস্টেমেই গলদ। তাই মনে হয় অফিসগুলোর এ করুণ দশা।

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:২৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



অনেক দিন পর মন খুলে হাসলাম। মধ্যরাত পাবলিক সব ঘুমিয়ে এজন্য অট্ট হাসিটি চাঁপিয়ে গেলাম। পোস্টের শিরোনাম, " এ জার্নি টু সোনালী ব্যাংক ফর অপেন এ একাউন্ট" হলে আরো মানানসই হতো।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৪

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার ভালো লাগার মধ্যেই এ লেখার সার্থকতা :-)

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এমন আরো প্রতিবেদন দিন।
আমাদের দেশের সব অফিস আদালত এই ভাবেই চলে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৮

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। দেশের সব অফিস আদালেতের একই অবস্থা।

৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: এর নাম সরকারী অফিস। এদের আবার দুইদিন ডে অফ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৯

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: এদের সুযোগ সুবিধার অভাব নেই। কিন্তু কাজের নামে লবডঙ্কা।

৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩৬

সিগন্যাস বলেছেন: কাওসার ভাই খুব সুন্দর নাম প্রস্তাব করেছেন সেটা ভেবে দেখতে পারেন :P
সত্যি কথা হলো আজকেও ব্যাংকাররা আমপাবলিককে গরুছাগল মনে করে।সামান্য কারেন্টের বিল দিতে গেলেও ব্যাপক সময় লাগে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২০

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: বিল দিতে যাওয়া মানে সারাটা দিন এর পিছনে নষ্ট করা। ব্যাংকে লাইন দিয়ে বিল দেওয়ার দিন যে কবে শেষ হবে আল্লাহ মাবুদ জানে।

৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৯

বাংলার মেলা বলেছেন: চেক বইয়ের একটা ছবি দিতে পারেন? সরকারী ব্যাংকসহ সব ব্যাঙ্কেই তো এখন এমআইসিআর চেক দেবার কথা। সেই মান্ধাতা আমলের চেক তো ক্লিয়ারিংয়ে কোন কাজে লাগবেনা। কেবল টাকা তোলা যাবে তা দিয়ে

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৫

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে দেয়। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে আবেদন করতে হয়। তারপর দেয়। মান্ধাতা আমলের চেকবই একটা বিড়ম্বনা ছাড়া কিছুই না। এই চেক দিয়ে একই ব্যাংকের অন্য শাখা দিয়েও টাকা তোলা যায় না। শুধু যে শাখায় অ্যাকাউন্ট খোলা হয়, শুধু সে শাখা দিয়েই টাকা তোলা যায়।

৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। শিরোনামটাও সুন্দর।
যেকোন প্রতিষ্ঠানের কর্মদক্ষতা নির্ভর করে সে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধারদের দক্ষতার উপর। এখন তো মাথায়ই পচন, তাই শরীর আর বাদ যাবে কেন? আগে ব্যাঙ্কগুলোতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদল কর্তৃক বাৎসরিক পরিদর্শনের ব্যবস্থা ছিল, ওরা পরিদর্শনের সময় অফিসের এবং অফিস চত্বরের বাহিরের গেট আপ, ফাইল সংরক্ষণ পদ্ধতি, কর্মচারীদের সময়ানুবর্তিতা, কর্মদক্ষতা এবং গ্রাহকের সাথে ব্যবহার ইত্যাদি পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ে দেখতেন। ফলে, বৎসরে একদিনের জন্য পরিদর্শন হলেও, ব্যাংক ম্যানেজার এবং অন্যান্য স্টাফ এসব বিষয়ে কিছুটা হলেও সচেতন থাকতেন। এখন সেসব রীতি নীতি বিদায় নিয়েছে। ফলে আস্তে আস্তে স্বেছাচারিতা শেকড় ছড়াচ্ছে।
বস ঠিক হলে, বাকীরা ঠিক না হয়ে পারেনা।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৬

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ঠিকই বলেছেন। মাথায়ই পচন, তাই শরীরের এ অবস্থা।

৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার শিরোনামটাই যথার্থ। খায়রুল ভাই যা বললেন, সেটাই মুল কথা।

আমাকেও এখানে একাউন্ট খুলতে প্রচুর ঝামেলা পোহাতে হয়েছে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৩

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: হ্যা, খায়রুল ভাইয়ের কথাই যথার্থ। আমরা তবু একদিনে পেরেছিলাম, অনেকের দু-তিন দিনও লেগে যায়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



এটা কি গল্প পড়লাম? না কি আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা? মনে তো হচ্ছে বাস্তব জীবনেরই অভিজ্ঞতা এটা। লিখেছেনও খুব সুন্দর করে। ধন্যবাদ।

রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের এই যদি হয় হাল হকিকত। মানুষ যাবে কোথায়? আহ, সময়ের কি নির্দয় অপচয়! আপনার বর্ণনা পাঠে সোনালী ব্যাংকের পুরো ব্রাঞ্চটাকে মনে হল, ব্যাংক নয়, এ যেন কোনো একটি পার্কের দৃশ্য!

জাতির এ দুর্দশা কত দিনে কাটবে, আল্লাহ মালুম!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩৩

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই। এটা আমারই বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সেবার মান এরকমই। অথচ আরো ভালো হতে পারতো। সিস্টেমেই সমস্যা। এ দুর্দশা কাটার জন্য ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।

১০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: আরে ভাই, সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট করতে আমার তো তিন দিন ঘুরতে হয়েছিল।
আপনার তো অল্প সময়েই হয়েছে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: আমি হলাম গিয়ে সেই অল্প কয়জন সৌভাগ্যবানদের একজন যারা একদিনে অ্যাকাউন্ট খুলতে পেরেছিলো। মূলত সাগর স্যারের চিকন বুদ্ধির কারণেই এটা সম্ভব হয়েছিলো। তারপরও প্রশ্ন থেকেই যায়। বেসরকারি ব্যাংকে যেখানে একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে আধা ঘন্টা সময়ও লাগে না, সেখানে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে সারাদিন, দুইদিন বা তিনদিন কেন লাগবে? এই অদক্ষতাকে প্রশ্রয় দিয়ে সরকারি খাত আসলে সামনের দিকে না বরং পিছনের দিকেই অগ্রসর হচ্ছে।

১১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বিশ বছর আগের "সোনালী ব্যাংকে অনেক দিন" এর কথা মনে পড়ে গেল। =p~ =p~ =p~

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৮

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: তাই? সম্ভব হলে আমাদের সাথে শেয়ার করুন।

১২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩০

সুমন কর বলেছেন: হাহাহাহা...........মজা করেই লিখেছেন তাই পড়ে মজা পেলাম। যদিও আপনাদের তিত্ত অভিজ্ঞতার কথা শুনে খারাপ লেগেছে। এখনো ওখানে এ্যাকাউন্ট খোলার সৌভাগ্য হয়নি....
+।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৬

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ। বসে থাকতে থাকতে কোমর ব্যাথা হয়ে গেছিলো সেদিন। তারপরও একদিনে অ্যাকাউন্ট খুলতে পেরেছি এটাই সৌভাগ্য। বেসরকারি ব্যাংকের কাজ দেখলে সরকারি ব্যাংকগুলোর জন্য দুঃখ হয়। এরা এখনও অনেক পিছনে পড়ে আছে।

১৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এরপর তিনি চেকবইয়ের উপরে একটি জটিল নকশা আঁকলেন। অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকার পরে বুঝতে পারলাম যে ওটা আমার নাম। =p~ =p~
আপনার রসবোধ ভাল! পড়ে মজা পেলাম।।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৪

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন :-)

১৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০০

আখেনাটেন বলেছেন: সোনালী প্রান্তরে একদিন... কী চমৎকার দেখা গেল!!! :D

আপনার পোস্ট পড়েছি আর মুচকি মুচকি হেসেছি। আশে পাশে কেউ নেই, নইলে পাগল...।


এখনও ডাইনোসরীয় যুগের চেক বইয়ের জন্য সোনালী ব্যাংককে 'গ্লোবাল হিডেন হেরিটেজ' পদকে ভূষিত করা যেতে পারে। :P

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৫

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ডাইনোসরীয় যুগের চেক বইয়ের জন্য গ্লোবাল হিডেন হেরিটেজ পদক! ! ! বাহ, ইউনিক একটা পদকের সুপারিশ করেছেন। তাদের কাজকর্মের জন্য ওয়ার্ল্ড লেজিনেস অ্যাওয়ার্ডও প্রদান করা যায়। পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশী হলাম :-)

১৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৩

মোঃ পলাশ খান বলেছেন: যতদিন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেরে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করবে ততদিন দেশের মানুষ নিজের অধিকার অনুযায়ী সেবা পেতে হয়রানি থেকে রক্ষা পাবে না!

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৩৬

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: খুব সুন্দর কথা বলেছেন। ব্যাপারটা আসলেও তাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.