নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অর্থনীতিবিদ

অর্থনীতিবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যাঃ একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৫১


ইউরোপে মুসলমানরা তুলনামূলক সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়। সেখানে মুসলমানদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় পাঁচ শতাংশ। তবে কিছু দেশে, বিশেষ করে ফ্রান্স এবং সুইডেনে মোট জনসংখ্যার মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা বেশি। ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলিতে মুসলমানদের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আসন্ন দশকগুলিতে ইউরোপের মোট জনসংখ্যার মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে অনুমান করা যাচ্ছে। ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান Pew Research Center এর মতে, আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই ইউরোপে মুসলমানদের সংখ্যা বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
জনসংখ্যার এই পরিবর্তনের ফলে বহু ইউরোপীয় দেশে আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বিপর্যয় ঘটছে, বিশেষ করে লক্ষ লক্ষ আশ্রয় প্রার্থীদের আগমনের ফলে, যাদের মধ্যে অনেকেই মুসলমান। ফ্রান্স এবং জার্মানির সাম্প্রতিক জাতীয় নির্বাচনে অভিবাসন বিশেষ করে মুসলিম অভিবাসন শীর্ষ বিষয় ছিলো। Pew Research Center এর সাম্প্রতিক জনসংখ্যা সম্পর্কিত পরিসংখ্যান ব্যবহার করে নিচে ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যার আকার এবং বিন্যাস নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হলো।

1. ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্স এবং জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মুসলমান বসবাস করে। 2016 সালের মাঝামাঝি সময়ে ফ্রান্সে 5.7 মিলিয়ন মুসলমান (দেশের মোট জনসংখ্যার 8.8%) এবং জার্মানিতে 5 মিলিয়ন মুসলমান (মোট জনসংখ্যার 6.1%) মুসলমান বসবাস করতো। বর্তমানে এই সংখ্যা আরো বেড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাইপ্রাসে মোট জনসংখ্যার বৃহত্তর অংশ হলো মুসলমান; দ্বীপটিতে 300,000 মুসলমান বসবাস করে যা তার মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ (25.4%)। এদের বেশিরভাগই তুর্কি অভিবাসী (সাম্প্রতিক নয়) যাদের শিকড় সাইপ্রাসের অনেক গভীরে প্রোথিত রয়েছে।

2. ইউরোপের মোট জনসংখ্যার মুসলিম অংশ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে, এখনও বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামী কয়েক দশকে এটি আরো বৃদ্ধি পাবে। 2010 সালের মাঝামাঝি সময় থেকে 2016 সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ইউরোপে মুসলমানদের সংখ্যা 3.8% থেকে 4.9% (19.5 মিলিয়ন থেকে 25.8 মিলিয়ন) পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। 2050 সালের মধ্যে, এই জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে, যা 11.2% বা তার বেশি হতে পারে। তবে এটা নির্ভর করে ইউরোপে কত সংখ্যক মুসলমানের অভিবাসন অনুমোদন দেওয়া হয় তার উপর। তবে ভবিষ্যতে ইউরোপে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত হয়ে যাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা থাকলেও, ইউরোপের বর্তমান মুসলিম বাসিন্দাদের তুলনামূলক যুব সংখ্যা এবং উচ্চ প্রজনন হারের কারণে মুসলিম জনসংখ্যা 7.4% পর্যন্ত নিশ্চিতভাবেই বৃদ্ধি পাবে।
3. ইউরোপে বসবাসরত মুসলমানদের মধ্যে তরুনদের সংখ্যাই বেশি এবং তাদের শিশুদের সংখ্যাও অন্যান্য ইউরোপীয়ানদের থেকে বেশি। জনসংখ্যার বয়স কাঠামোতে মুসলমানদের মধ্যবর্তী জনসংখ্যার গড় বয়স 30.4 যেখানে অন্যান্য ইউরোপীয়দের মধ্যবর্তী জনসংখ্যার গড় বয়স 43.8। এটাকে অন্যভাবে বলা যায়, ইউরোপে বসবাসরত মুসলমানদের মধ্যে 50% এরই বয়স 30 বছরের নীচে যেখানে অন্যান্য ইউরোপীয়দের মাত্র 32% এর বয়স 30 বছরের নীচে। অধিকন্তু, গড়ে প্রায় প্রত্যেক মুসলিম মহিলাদের 2.6 টি করে পূর্ণ শিশু আছে যেখানে অন্যান্য ইউরোপীয় নারীদের শিশু সংখ্যা মাত্র 1.6 টি।

4. 2010 সাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে অভিবাসন। আনুমানিক 2.5 মিলিয়ন মুসলমান শুধুমাত্র আশ্রয়ের জন্য নিজ এলাকা ত্যাগ করে ইউরোপে আগমন করে যেখানে কর্মসংস্থান বা শিক্ষা গ্রহণের জন্য আগমন করে তারচেয়ে অনেক কম জনসংখ্যা। এসব অভিবাসী মুসলমানদের মধ্যে প্রায় 1.3 মিলিয়নেরও অধিক মুসলমানকে ইউরোপে শরনার্থী হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে এবং তাদেরকে ইউরোপে থাকার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। ইউরোপে মুসলমানদের বৃদ্ধির দ্বিতীয় চলকটি হলো প্রাকৃতিক বৃদ্ধি। 2010 সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ইউরোপীয় মুসলমানদের মধ্যে মৃত্যুর চেয়ে 2.9 মিলিয়ন বেশি জন্ম হয়েছিলো। ধর্ম পরিবর্তনকেও মুসলিম জনসংখ্যা পরিবর্তনের একটি ছোটো ফ্যাক্টর হিসেবে গণ্য করা হয়। এ সময়ে ইউরোপে অন্যান্য ধর্ম থেকে মানুষ যেমন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে তেমনি অনেক মানুষ বিশ্বাসের পরিবর্তে ইসলাম থেকে দূরেও সরে গেছে।
5. ইউরোপীয় দেশগুলোতে বর্তমানে মুসলমানদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। Pew Research Center কর্তৃক ইউরোপের 10টি দেশের উপর পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, পূর্ব এবং দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলোতে মুসলমানদের সম্পর্কে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রবল। তবে ইংল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন এবং নেদারল্যান্ডের অধিবাসীরা মুসলমানদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। তাদের এই প্রদানকৃত দৃষ্টিভঙ্গি মূলত মুসলমানদের মতাদর্শের সাথে সম্পর্কযুক্ত। অর্থাৎ যারা মুসলমানদের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে তারা মূলত মুসলমানদের মতাদর্শকেই নেতিবাচকভাবে দেখে। জার্মানরা মুসলমানদের মতাদর্শের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করলেও 47% ডানপন্থী জার্মান মুসলমানদের প্রতিকূল রেটিং প্রদান করে যেখানে মাত্র 17% বামপন্থী এই কাজটি করে। বাম ও ডানপন্থীদের এই ব্যবধান ইতালি এবং গ্রীসে প্রায় 30 শতাংশ।
তথ্যসূত্রঃ
১। 5 facts about the Muslim population in Europe BY CONRAD HACKETT (Click This Link)
২। Islam in Europe, From Wikipedia (https://en.wikipedia.org/wiki/Islam_in_Europe)
৩। List of cities in the European Union by Muslim population From Wikipedia (Click This Link)
৪। European Countries With The Largest Muslim Populations (Click This Link)

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ ভোর ৫:৩৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বিশ্লেষন ভাল লেগেছে ।
মুসলমানগন সেই জন্ম থেকেই বিভিন্ন প্রতিকূলতার মাঝেও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে । মুসলমানদের বৃদ্ধির এই ধারা তার আপন গতিতেই চলবে । তবে একে কোন কোন ক্ষেত্রে বিবিধভাবে বিবিধ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে কিংবা ব্যবহৃত হওয়ার সুযোগ তৈরী করে দিয়ে এর প্রতি অমুসলিমদের দৃষ্টিভঙ্গি ঋনাত্বক হারে এগিয়ে যেতে দেয়া হয়েছে । এই ধারাটির গতিপথ পাল্টিয়ে দেয়ার মত পথে ধাবিত না হলে বর্তমানের প্রেডিকশন কতটুকু বাস্তবায়ন হবে তা এখনই বলা যায়না । তবে সকলের মাঝে সঠিক অনুধাবন শুরু হয়েছে এটাই আশার কথা ।
শুভেচ্ছা রইল

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:০১

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: মুসলমানদের সংখ্যা বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি পাচ্ছে। মুসলমানদের শৃঙ্খলাময় জীবন, ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, বিনয়, ভোগ বিলাসের স্রোতে গা ভাসিয়ে না দেওয়ার প্রবণতার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে মানুষ। তাদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। হ্যা, এটাই আশার কথা যে মানুষ আস্তে আস্তে সঠিকটা অনুধাবন করতে পারছে। সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো।

২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ ভোর ৬:১৯

বলেছেন: এককথায় চমৎকার লিখেছেন ++

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:০২

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ল ভাই। আপনার ছোট্ট একটা মন্তব্য আমাকে সবসময়ই উৎসাহিত করে।

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পশ্চিমা দেশগুলোতে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে মুসলিমদের প্রতি ইতিবাচক ধারনা ক্রমশঃ বাড়ছে। কারন, স্থানীয়রা মিডিয়াতে এতোদিন মুসলিমদের ব্যাপারে যে নেতিবাচক খবর পেতো, সেটা এদেরকে সামনা-সামনি দেখে অনেকটাই পরিবর্তিত হচ্ছে। একটা ছোট্ট উদাহরন দেই।
মিশরীয় ফুটবলার মোহাম্মদ সালাহ এর কারনে ম্যানচেস্টারে সাম্প্রতিককালে স্থানীয়দের মধ্যে মুসলিমদের প্রতি ইতিবাচক ধারনা অনেক বেড়েছে।

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:১২

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: পশ্চিমা দেশগুলোতে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তাদের সামনাসামনি দেখে তাদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পরিহার করে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ তো ইসলামেরই বিজয়। মোহাম্মদ সালাহ’র উদাহরণটা জেনে ভালো লাগলো। মিশর ধর্মীয় দিক থেকে উদার মনোভাব পোষণকারী একটি দেশ। সেখানে অধিকাংশ মানুষ যারা খ্রিস্টান হিসেবে বড় হচ্ছে, প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে তারা সেই পরিচয়কে ধরে রাখতে পারছে এবং একই রকম ব্যাপার মুসলমানদের ক্ষেত্রেও হচ্ছে। আপনার মন্তব্যটি পড়ে ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা আপনার জন্য।

৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাংলাদেশ থেকে মুসলিমরা বেশী সংখ্যায় ইউরোপে অভিবাসন পেলে সংখ্যা আরো বেশী বৃদ্ধি পেতে পারতো।

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:১৪

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ
ভালোই বলেছেন সাজ্জাদ ভাই। ইংল্যান্ডে বসবাসরত সিলেটিরা মনে হয় আমাদের জন্য গৌরব।

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:০৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্য বহুল পোস্ট।

জার্মানীর তো গ্রোথরেট নেগেটিভ।

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:১৭

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: জার্মানের প্রকৃত অধিবাসীদের জন্মহার নেগেটিভ। কিন্তু যারা অভিবাসী তাদের জন্মহার আবার উচ্চ হারে পজেটিভ। যার ফলে সেখানে অন্যান্য ধর্মের বিশেষ করে মুসলমানদের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছোট্ট কিন্তু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কবি।

৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: ইউরোপে মুসলিম দেশ কয়ট??

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১১

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র তিনটি। যথা- তুরস্ক, কসোভো এবং আলবেনিয়া।

৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


জার্মানী, ফ্রান্সে মুসলমানের সংখ্যা বাড়াতে বিশ্বের জন্য সুখবর, নাকি খারাপ খবর?

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:২৪

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: মুসলিমদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকলে একদিন জার্মানী, ফ্রান্সসহ ইউরোপের অনেকগুলো দেশ শাসিত হবে মুসলমানদের দ্বারা। মুসলিম শাসন নিয়ে বিতর্ক আছে। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এর ফলে ইউরোপ অন্ধকার যুগে ফিরে যাবে। আর এ ভীতির কারণে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অভিবাসী মুসলমানদের ঠেকাতে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইউরোপে মুসলমনা বাড়লে, উহা আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইরানে পরিণত হবে; বিশ্বে নতুন করে ঘোড়ার গাড়ী ও ঘরু গাড়ী চালু হবে।

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৩০

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ইউরোপ শিল্প, সাহিত্যের সূতিকাগার। অর্থনীতি, প্রযুক্তি ও উন্নয়নে অগ্রগামী। মুসলিম শাসন হলে এগুলো সব ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।

৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:২২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র তিনটি। যথা- তুরস্ক, কসোভো এবং আলবেনিয়া।

ধন্যবাদ। এই দেশ গুলোতে আমি কখনও যাবো না।

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: তাই!!!! কিন্তু কেন?

১০| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: ইউরোপে মুসলিম দেশ কয়ট?? প্রকৃত মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হলো ২টা। আলবেনিয়া, বসনিয়া হার্জেগোভিনা
লেখক বলেছেন: স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র তিনটি। যথা- তুরস্ক, কসোভো তুরস্ক দুই মহাদশের মধ্যে থাকায় বিশুদ্ধ ইউরোপিয়ান দেশ না। রাশিয়ারও একই অবস্থা। আর কসোভো পুরাপুরি স্বাধীন না। জাতীসংঘের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্র পরিচালিত হয় এখনও।

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০১

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: বসনিয়া হার্জেগোভিনার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।

১১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র তিনটি। যথা- তুরস্ক, কসোভো এবং আলবেনিয়া। স্যরি, কপি করতে গিয়ে আপনার বলা আলবেনিয়া বাদ পরে গিয়েছিল। :)

লেখক বলেছেন: স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র তিনটি। যথা- তুরস্ক, কসোভো এবং আলবেনিয়া।
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। এই দেশ গুলোতে আমি কখনও যাবো না।

@ রাজীব নুরঃ এশিয়ার মুসলিম দেশগুলোতে কি যাবেন? যাইহোক, বাকী সবগুলো দেশ ঘোরা হলে আওয়াজ দিয়েন। :P

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০৮

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ইউরোপের মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে তুরস্ক উসমানীয়া সাম্রাজ্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো। আরো অসংখ্য প্রাচীন ঐতিহ্যের সাক্ষী এই দেশটি। কথিত আছে গ্রীস-ট্রয়ের যুদ্ধে বর্ণিত ট্রয় নগরী বর্তমান তুরস্কে অবস্থিত। আমার তো এই দেশটা দেখার প্রবল ইচ্ছা জাগে।

১২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১২

রাকু হাসান বলেছেন:


চমৎকার লিখেছেন শ্রদ্ধেয় ভাই । অনেক দিন পর ব্লগে আসছেন ।পোস্ট করছেন ভালো লাাগা । আশা করছি আপনি এখন অনেকটাই সুস্থ। মুসলমান বৃদ্ধি পাক তবে সেটা যেন উগ্র না হয় । মুসলমানদের উচিত শিক্ষা জ্ঞান,বিজ্ঞানে উন্নতি করা। সুন্দর পোস্ট ধন্যবাদ।

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:১৮

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ প্রিয় রাকু হাসান। অনেক দিন পরে আসার কারণ হলো, ব্লগে ঢোকার কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে অনেক আইপি দিয়ে এই ব্লগটিতে ঢোকা যাচ্ছিল না। আর ভিপিএন দিয়ে ঢোকার ব্যাপারটা আমার জানা ছিলো না। জানা মাত্র প্রিয় ব্লগে ঢুকে আবার আপনাদের সহচার্য উপভোগ করতে পারছি। বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা প্রমান করছে যে মানুষ ইসলামের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পরিহার করে ধীরে ধীরে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। এটা তো আসলে ইসলামেরই গৌরব। তবে মুসলমানরা জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিল্প, সাহিত্য, প্রযুক্তি ইত্যাদিতে ভীষণ পিছিয়ে পড়া একটা জাতি। আপনি ঠিক কথাই বলেছেন যে মুসলমানদের উচিত এখন শিক্ষা, জ্ঞান, বিজ্ঞানে উন্নতি করা। আপনার মন্তব্যটি পড়ে ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

১৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:১৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার তো এই দেশটা দেখার প্রবল ইচ্ছা জাগে। আমি গতবছর গিয়েছিলাম। ৭ পর্বের পোষ্টের প্রথমপর্বের লিঙ্ক দিলাম। চাইলে একটা ঘুরান দিতে পারেন। view this link

আপনি ঘুরে আসার পরে আশাকরি একটা বিস্তারিত এবং চমকপ্রদ বর্ণনা পাবো। :)

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম প্রথম পর্ব। অসাধারণ লাগলো আপনার ভ্রমন বৃত্তান্ত। আপনি যে সুন্দর করে লিখেছেন, এরচেয়ে চমকপ্রদ করে লিখতে পারবো বলে মনে হয় না। লিংক দেওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৪৪

মোগল সম্রাট বলেছেন: মুসলমানদেরকে নেতিবাচক ভাবে দেখার জন্য আপনার এই পোস্টই যথেষ্ট। মুসলমানেরা যতদিন মানুষকে হিন্দু-মুসলিম-খ্রিস্ঠান না ভেবে মানুষ হিসাবে মুল্যায়ন না করতে পারবে ততদিন তাদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব আসবেনা।
"গাহি সাম্যের গান-
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহিয়ান। কাজী নজরুল ইসলামের মানুষ কবিতা একবার পড়বেন।

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৪৭

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: এই পোস্টের উদ্দেশ্য যদিও মুসলমানদের নেতিবাচকভাবে দেখানো নয়, তবে পরিসংখ্যানগত তথ্য উপাত্তের কারণে এমনটা হতে পারে। ইসলাম ধর্ম সংক্রান্ত যে কোনো বিষয় অনেক স্পর্শকাতর তো তাই এগুলো নিয়ে পোস্ট দেওয়ার আগে বা পরে অনেক চিন্তায় থাকি। আপনি বলেছেন, ‘মুসলমানেরা যতদিন মানুষকে হিন্দু-মুসলিম-খ্রিস্টান না ভেবে মানুষ হিসাবে মুল্যায়ন না করতে পারবে ততদিন তাদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব আসবেনা।’ সুন্দর একটা কথা বলেছেন। মুসলমানরা মানুষকে শুধুমাত্র ধর্মের দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করতেই অভ্যস্ত। যার ফলে অমুসলিমরাও মানুষকে মুসলমান এবং মানুষ এ দু’ভাগে ভাগ করে মূল্যায়ন করে। অথচ এটা হওয়া উচিত নয়। কাজী নজরুল ইসলামের মানুষ কবিতাটা যুগান্তকারী একটা কবিতা। “মুর্খরা সব শোনো, মানুষ এনেছে গ্রন্থ, গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো”। এই অসাধারণ লাইন তো এই কবিতা থেকেই নেয়া। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো।

১৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইউরোপে ইমিগ্রেন্ট মুসলিমরা রহিংগাদের মতোই হাইব্রিড।

মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হলেও আলবেনিয়া, বসনিয়া হার্জেগোভিনা ও টার্কি ধর্মনিরপেক্ষ। সমাজও ধর্মনিরপেক্ষ

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩৮

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ এই উচ্চ প্রজনন হার। দ্রুত বর্ধনশীল মুসলমানদের নিয়ে ইউরোপের অনেক দেশই চিন্তিত। আলবেনিয়া, বসনিয়া হার্জেগোভিনা এবং তুরস্ক সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িকতা পরিহার করে ধর্মের প্রতি উদার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে। ইউরোপের অন্যান্য দেশে বসবাসরত মুসলমানদের ক্ষেত্রেও কমবেশি এই কথা বলা যায়। উন্নত জীবন দর্শণ, জীবনযাত্রার উচ্চ মান, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা, শিক্ষা তাদের মন মানসিকতায় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছে। যত সমস্যা এই উপমহাদেশের কতিপয় দেশে। আশা করি আমাদের বাংলাদেশ একদিন প্রচলিত ধর্মীয় সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত হতে পারবে।

১৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ব্লগে ইউরোপে আরবীয় মুসলীম শরনার্থী নিয়ে লিখবো লিখবো করে আর লিখা হয়না। খুবই মানবেতর জীবন, আহারে

১৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:১৯

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: জীবনের মায়া তুচ্ছ করে মরিয়া হয়ে ইউরোপে আরবীয় মুসলিমরা অভিবাসী হচ্ছে। শরনার্থী শিবিরের দুঃখ কষ্ট থাকলেও পরবর্তী উন্নত জীবনের হাতছানি তাদেরকে এ কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করছে। একটা সময় পরে ইউরোপে মুসলমানরা একটা শক্ত অবস্থানে চলে যাবে একথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। অভিবাসী মুসলমানদের নিয়ে ইউরোপের দেশে দেশে রাজনীতির মারপ্যাচের খেলা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। জার্মানীতে গত নির্বাচনে অভিবাসী মুসলমানরা একটা বড় ইস্যু ছিলো। সামনে তারা আরো বড় ইস্যু হয়ে দাড়াবে।

১৭| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫১

আখেনাটেন বলেছেন: ইউরোপে বাংলাদেশীর সংখ্যাও নিতান্তই কম নয়। জীবনের মায়া ত্যাগ করে ভূ-মধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বাদ নিতে হাজারো বাঙালি এখন ইউরোপে। এক ইতালিতেই মনে হয় লাখ দেড়-দুয়েক হবে। পাইপলাইনে আরো শত শত।

তবে ক্যামনে ক্যামনে যেন কাঠমোল্লা ও জঙ্গিভাবাপন্ন একটি গোষ্ঠীও সেখানে গিয়ে হাজির হয়েছে। সারাদিন পশ্চিমাদের বিষাদাগার করলেও প্রথম সুযোগেই সেখানে উপস্থিত। এই গ্রুপটাই অপরাপর শান্তিকামী মুসলিমদের জন্য দুর্ভোগের কারণ হচ্ছে ও হবে।

*তুরস্ক-টুরস্ক এগুলো মুসলিম দেশ হলেও অনেক উদার। আর আলবেনিয়ান মুসলিমরা কিন্তু শুয়োরখেকো মুসলিম (শুকরের মাংসে প্রোটিনের চাহিদা মেটায় অধিকাংশ)। :P

১৭ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:২৬

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: কতিপয় মুসলমান কোনো স্থানে থাকা শুরু করা মাত্রই তাদের মাঝে কিভাবে কিভাবে যেন এই কাঠমোল্লা ও জঙ্গিভাবাপন্ন গোষ্ঠীর প্রাণীরা এসে হাজির হয়। তাদের ধর্মীয় অজ্ঞতা আর মুসলমানদের ভুল পথে পরিচালিত করার প্রচেষ্টার ফলেই বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের প্রতি আজ এমন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। পশ্চিমাদের বিষোদগার হলো লোক দেখানো, পশ্চিমের আরাম আয়েশই তাদের কাছে মুখ্য। ইউরোপের সবগুলো মুসলিম দেশই ধর্মীয় ও সামাজিক দিক থেকে উদার মনোভাব পোষণ করে। সে কারণে দেশগুলোতে ধর্মীয় সহিংসতাও তুলনামূলক কম হয়। যত জ্বালা এই উপমহাদেশের গুটিকয় দেশের। আশা করি বাংলাদেশ একদিন ধর্মীয় সকল সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত হতে পারবে।

১৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৫৯

ইসিয়াক বলেছেন: তথ্য বহুল পোস্ট। ধন্যবাদ

২০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৪

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো।

১৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২২

এম ডি মুসা বলেছেন: অর্থ নৈতিক বিদ কে পাওয়া যাচ্ছে না কেন

২০| ১২ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

রাকু হাসান বলেছেন:


অনেক দিন হলো স্যার আপনার দেখা নেই। মিস করছি ।ভালো আছেন তো । প্রায় এক বছর আগে পোস্ট করেছিলেন। কেমন আছেন দয়া একটু হলেও সাড়া দিন । চিন্তিত খুব। ভালো থাকুন যেখানেই থাকুন।

২১| ১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ইউরোপের বর্নবাদ সমর্থন না করলেও ইসলামোফোব + মুসলিমোফোবকে সমর্থন করি এবং প্রায় প্রতিটা দেশে এর জনপ্রিয়তা লক্ষ্মনীয়। এটা আসলে শুভ লক্ষ্মন কারন ইসলামের অনুসারী মুসলমানরা দুনিয়ার সেই কম্যুনিটি যারা শিশুকামীতা বাল্যবিবাহের ব্রান্ডে ধর্মীয় কর্তব্য হিসেবে পালন করে, এরা নওমুসলিম বা ধিম্মিদের মানুষ মনে করোনা এবং সেসব নারীদের ধর্ষন ও যৌনদাসী বানানো সমর্থন করে। একা এমন একজন দাসব্যাবসায়ীকে অনুসরন করে যে ছিলো একাধারে ডাকাত , মর্ষকামী ও বর্নবাদী। খ্রিস্টান বা অন্যান্য ধর্মালম্বিদের মধ্যে এই প্রথা থাকলেও সেগুলো তারা কয়েকশ বছর আগে ত্যাগ করেছে। এবং তারা সেস্থানে বিজ্ঞানকে বসিয়ে বিজ্ঞান ও মুক্তবুদ্ধির চর্চাকে এগুয়ে নিয়ে গেছে এবং মানবতার মাইলস্টোন সৃস্টি করেছে। সেখানে মুসলমানরা তাদের মধ্য থেকে বেরিয়ে আসা বিজ্ঞানী, দার্শনিকদের নৃশংস অত্যাচার ও রিদ্দার নামে কতল করে এবং এখনো করছে।

সেক্ষেত্রে ফ্রান্স নেদারল্যান্ডের মতো সুইডেন জার্মানীতেও ইসলামোফোবরা পার্লামেন্টে ঢুকে গেছে। স্পেনে ক্রোয়েশিয়াতে কোরান জঙ্গি আয়াতের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে।

তারপরও মুসলমানদের বিভৎস রূপ দেখতে পাওয়া যায় যখন তারা ইউরোপের মাটিতে শরীয়া পুলিশ চালু করে এবং নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও মর্ষকামীতা চালায়।

ইসলামোফোবকে এসব দেশের সংবিধানে যুক্ত করা এখন সময়ের দাবী

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.