নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেকানিক্যাল ব্লগ

আমি একজন মেকানিক্যাল ইন্জ্ঞিনিয়ার

রিপন মন্ডল

বাংলাদেশকে আমি ভালোবাসি

রিপন মন্ডল › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর মতো গ্রহ গ্লিজ ৫৮১।

২১ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:৪৯

বিজ্ঞানীরা আমাদের সৌরজগতের বাইরে পৃথিবীর অনুরূপ নতুন এক গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন। নতুন এই গ্রহ একটি নক্ষত্রের চারপাশে ঘুরছে এবং এই গ্রহে জীবন বিকাশের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।







নতুন এ গ্রহ পৃথিবী থেকে ২০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত গি্লজ ৫৮১ নামের বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে। এখানে মনে রাখতে হবে, আমাদের সূর্যও একটি বামন নক্ষত্র ও তার চারপাশে পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহ আবর্তিত হচ্ছে। মহাশূন্যে 'গ্লোল্ডিলকস অঞ্চল' নামে পরিচিত একটি এলাকা আছে। এই এলাকার তাপমাত্রা খুব গরম বা খুব শীতল নয়। এখানে তরল পানি সৃষ্টির উপযোগী পরিবেশ বিরাজ করছে। এই গ্রহের অবস্থান সে অঞ্চলের কাছাকাছি।



যুক্তরাষ্ট্রের সান্তা ক্রজে অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ স্টিভেন ভোগট বলেন, 'এই গ্রহ আবিষ্কারের মাধ্যমে প্রাণের উপযোগী গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে। এত কাছাকাছি ও এতো দ্রুত এ গ্রহের সন্ধান পাওয়ার কারণে তাতে মনে হচ্ছে, এ ধরনের গ্রহ আরও থাকতে পারে।'



এ গ্রহ আবিষ্কারের বিষয়টি সত্য বলে নিশ্চিত হওয়া গেলে, ধরে নিতে হবে, এই প্রথম মহাশূন্যের ভিন্ন কোনো সৌর জগতে প্রায় পৃথিবীর অনুরূপ গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেলো। এছাড়া নব আবিষ্কৃত এ গ্রহে জীবনের অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। সৌরজগতের বাইরে এ পর্যন্ত ৪ শতাধিক গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিদরা। তবে এসব গ্রহের বেশির ভাগই আকারে বৃহস্পতির চেয়ে বড় ও তপ্ত গ্যাসে নির্মিত। তাই সেখানে জীবন বিকাশের অনুকূল পরিবেশ থাকার প্রশ্নই ওঠে না। জ্যোতির্বিদরা হাওয়াই দ্বীপে অবস্থিত কিক দূরবীণের মাধ্যমে 'গি্লজ ৫৮১' নক্ষত্রকে বিশদভাবে অবলোকন ও পর্যবেক্ষণ করেছেন। 'গি্লজ ৫৮১'-এর কক্ষে ঘিরে যে বেশ কয়েকটি গ্রহ ঘুরপাক খাচ্ছে তা এসব পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বের হয়ে এসেছে। এস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালে এ পর্যবেক্ষক দলের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে তারা গি্লজ ৫৮১-এর কক্ষপথে আরও নতুন দুটি গ্রহ প্রদক্ষিণ করছে বলে জানিয়েছেন এবং এ নিয়ে গি্লজ ৫৮১-কে প্রদক্ষিণকারী গ্রহের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬টিতে। এসব গ্রহের মধ্যে একটির নাম গি্লজ ৫৮১জি ও এটির ভর পৃথিবীর চেয়ে তিন থেকে চারগুণ বেশি। নিজ কক্ষপথে ঘুরে আসতে এই গ্রহের ৩৭ দিন লাগে। জ্যোতির্বিদরা মনে করছেন, পাথুরে এ গ্রহের মহাকর্ষ শক্তি আছে এবং সে কারণে সেখানে আবহাওয়া মণ্ডলকে ধরে রাখা যাবে। আমাদের উপগ্রহ চাঁদের একটি অংশ সব সময় সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে। একইভাবে এ গ্রহেরও একটি অংশ সব সময় সেখানকার সূর্য 'গি্লজ ৫৮১'-এর দিকে মুখ করে থাকে। এ গ্রহের অন্য একটি অংশ সব সময় অন্ধকারে আচ্ছন্ন থাকে। এই গ্রহের আলো ও আঁধারির মধ্যবর্তী এলাকায় জীবনের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:০১

তানভীর চৌধুরী পিয়েল বলেছেন: পৃথিবীতে আর ভাল্লাগে না, গ্লিজ ৫৮১ তে চলে যাব...

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:০৮

আব্দুল্লাহ (রাইয়ান) বলেছেন: গ্লিজ ৫৮১ তে তো যেতেই হয়।

৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:২৬

জাহিদুল হাসান বলেছেন: আজকে রওনা দিলে গ্লিজ ৫৮১ এ যাইতে কয়াদিন লাগবো কইতে পারেন ভাই? আমার ব্যাগ গুছানোই আছে, খালি ভিসা, পাসপোর্ট ও টিকেটটা কনফার্ম করলেই খোদা হাফেজ এই নষ্ট ধরণী।

৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৩৬

সত্যচারী বলেছেন: "গ্লিজ ৫৮১ এ প্লট বরাদ্দ নিয়ে ছাত্রলীগের দু-গ্রুপে তুমুল সংঘর্ষ"

পত্রিকার হেডিং হতে আর বাকী নেই।

৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৪২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার তথ্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:১৭

আহাদিল বলেছেন: ধন্যবাদ তথ্যবহুল পোস্টের জন্যে।

৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:০০

শোভন এক্স বলেছেন: ঐ গ্রহটা আমি নিয়ে নিলাম। ব্লগে আমার আগে কেউ এই দাবি করেনি। এজন্য এটা আমার।

৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১১

অলিন্দ বলেছেন: "এখানে তরল পানি সৃষ্টির উপযোগী পরিবেশ বিরাজ করছে।" মানে কি? তরল পানি সৃষ্টির উপযোগী পরিবেশ বলতে কি বুঝাচ্ছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.