নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ.....

রিপি

চন্দ্রালোকেরপথিক

রিপি › বিস্তারিত পোস্টঃ

"তরী আর চন্দ্রালোকের নীল ডায়েরী"

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০০

:



'জানালা দিয়ে বিকেলের লালচে আকাশটাকে দেখে, কেমন জানি ভয়ঙ্কর অচেনা মনে হচ্ছে তরীর। তবুও তরীর অস্হির ভেজা দৃষ্টি বার বার সেখানেই আটকে যাচ্ছে। একটু পরেই সন্ধ্যে নামবে। কোলাহল এই শহরটা ধীরে ধীরে নিস্তবদ্ধতার চাদরে ডুবে যাবে। শহরটা নিস্তবদ্ধ হবার অপেক্ষায় থাকলেও তরীর বুকে বয়ে চলেছে কালবৈশাখীর মাতম। কোলাহল যত দুরেই মিলিয়ে যাচ্ছে মাতমের গতি যেন ঠিক তত্ই বেড়ে যাচ্ছে তরীর মনে। সেই ঝড়ের মাতমের সাথে কেমন জানি একটা অদ্ভুত ব্যথা মিশে আছে যা তরীর কাছে এখন শ্বাসরুদ্ধকর মৃত্যু যন্তনার চেয়েও কষ্টকর মনে হচ্ছে।

তরী কি যেন একটা খুঁজে বেরাচ্ছে সেই লালচে অদ্ভুত আকাশটায়। ঠিক কি খুঁজে বেরাচ্ছে সেটা সে নিজেও বুঝতে পারছেনা । আচ্ছা কষ্টটা আসলে কার জন্য হচ্ছে তরীর? নিজের জন্য নাকি মায়ের জন্য?

মায়ের মুখটা বার বার ভেসে আসছে তরীর সামনে। মাকে ভীষন জড়িয়ে ধরে বলতে ইচ্ছে করছে, মা তোমার সব নীলকষ্ট গুলি আমাকে দাওতো। আচ্ছা তরী কি তাহলে এতক্ষন আকাশের সেই লালচে আভা্য় মায়ের সেই নীলকষ্ট গুলোকে্ই খুঁজে বেরাচ্ছিল?

এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে সন্ধ্যে নেমে এল তরী সেটা খেয়ালি করেনি। হঠাৎ ফোনের শব্দে ঘোর কেটে যায়। তরীর বাবা ফোন করেছিল। বাবা আর ভাইয়া আজ সকালে ছোট ফুপির বাসায় গিয়েছে। ছোট ফুপির শরীরটা হঠাৎ করে নাকি খারাপ করছিলো। তরীর পরীক্ষার কারনে আজ সে যেতে পারেনি বাবাদের সাথে ফুপিকে দেখতে। বাবাদের আসতে দেরি হবে জানিয়ে, তরী কে খেয়ে ঘুমিয়ে পরতে বলে বাবা ফোনটা রেখে দেয়।

তরী,তরীর বড় ভা্ই রিসাত আর বাবা কে নিয়ে তরীদের এই ছোট্ট সংসার। তরী একটা বেসরকারি ই্উনিভারসিটিতে ফার্মেসীতে অর্নাস সেকেন্ড ইয়ারে পড়ছে। রিসাত মেডিকেলের শেষ বর্ষের ছাএ। বাবা রাশিদ ইসলাম একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। মা চন্দ্রা ইসলাম পুরো নাম চন্দ্রালোক ইসলাম। দুবছর হল মারা গিয়েছেন। মাকে তরী সবসময় হাসি খুশী দেখেছে। সারাক্ষন এঘর ও ঘর একাজ সেকাজ নিয়ে তার ব্যস্ততার যেন শেষ ছিল না। মাকে তরী বাবার সাথে কখনোই রাগ করে কথা বলতে দেখেনি। মা বাবার চেয়ে বয়েসে অনেক ছোট দেখে বাবা আদর করে মাকে রাঙা বউ বলে ডাকতো। তবে মাঝে মাঝেই মা কেমন জানি চুপ হয়ে যেত। তখন মাকে কেমন জানি অনেক অচেনা মনে হত তরীর। মা তখন কারও সাথে কথা বলতো না , অদ্ভুত একটা বিষন্নতা নিয়ে তরীদের দিকে তাকিয়ে থাকতো যেন তরীদের কা্উকেই সে চিনে না। আবার দুদিন পড়ে এমনিতেই ঠিক হয়ে যেত। বাবার কাছ থেকে তরী জানতে পেরেছিল মায়ের এই অসুখটা তরীর জন্ম হবার পর থেকেই শুরু হয়েছে। অনেক ডাক্তার দেখানো হয়েছে কিন্তু কেউ ঠিক বলতে পারেনি কেন মা এমন হয়ে যেত। তরী এ নিয়ে মাঝে মাঝে মন খারাপ করত অনেক। ওর মনে হত ও না জন্মালে হয়তো মায়ের এ অসুখটা হত না।

তরীর মা মারা যাবার আগে এই অসুখটা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। বেশ অদ্ভুত রকমের কাজ করতেন উনি। একদিন হঠাৎ মধ্যরাতে মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তরীরা তো ভয়ে অস্থির। কি হল কোথায় গেল। সারাবাড়ি তন্ন তন্ন করে খূঁজে শেষে মাকে পাওয়া গেল বাড়ির ছাদে। তরীর এখন ও পরিস্কার মনে আছে সেই রাতের কথা। আকাশে সেদিন যেন পূর্নীমার মেলা বসেছিল। মা ছাঁদের এক কোনা্য় বসে আকাশের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে আর বাচ্চাদের মত করে কাঁদছে। বাবা কাছে যেতেই মা বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলে 'ও আজও আসেনি। আমাকে কথা দিয়েছিল ও আমার সাথেই জোছনা্য ভিজবে। ও কথা রাখেনি। ও আসেনি। বাবা কিছু
বলেনি মাকে, শুধু মাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিল অনেকক্ষন। তরী সেদিন কিছু্ই বুঝতে পারছিলনা। শুধু দাড়িঁয়ে থেকে অবাক দৃষ্টি নিয়ে মায়ের নীলকষ্ট মাখা মুখখানির দিকে অনেকক্ষন ধরে তাকিয়ে ছিল।

তরীর আজ কষ্টের প্রধান কারন হচ্ছে ওর মায়ের রেখে যাওয়া নীল ডায়রীটা। কাজের ফাঁকে ওর মা সময় পেলেই ডায়রীটা নিয়ে বসে যেতেন আর আপন মনে কি জানি লিখেই যেতেন। একদিন তাই দেখে তরী হেসে বলেছিল 'কি লিখো মা এত মনযোগ দিয়ে। মা হেসে উওর দিয়েছিল 'আমার আমিকে লিখে রাখছি মা। আমি না থাকলে ডায়রীটার নীলপাতা গুলো ছুঁয়ে দেখিস, তাহলে সেখানে আমার ছা্যাই খুঁজে পাবি। আর তরী নামটা...।..। বলেই কেমন জানি মা উদাস হয়ে গিয়েছিল।


মা মারা যাবার পর তরী ডায়রীটা অনেক যত্ম করেই নিজের কাছে রেখে দিয়েছিল। কিন্তু পড়ে দেখার কখনও সাহস পেতনা। ডায়রীটা হাতে নিলেই কেমন জানি দম আটকে আসতো ওর। শুধু যখন ওর মাকে ভীষন মনে পড়তো তখন ডায়রীটা বুকে ধরে শক্ত করে জড়িয়ে থাকত। নীল ডায়রীর নীলপাতায় মায়ের ঘ্রাণ নেবার জন্য নাক বাড়িয়ে দিত। কিন্তু আজ দুপুরে যখন হঠাৎ ঘুম ভেঁঙে মায়ের নীল ডাইরিটা চোখে পড়ল, নিজের অজান্তেই হাত বাড়ি্যে নীলডা্য়রীর নীল পাতায় মায়ের লেখা গুলি পড়ে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিল তরী। পুরোটা পড়তে পারেনি তরী। তার আগেই ওর যেন দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল।

আকাশে আজ ভরা জোৎস্না। জোৎস্নার আলো জানালার গ্রীল বেয়ে গলে গলে তরীর ঘরে এসে ঠিকরে পড়ছে। সেই আলোয় ভিজে যাচ্ছে তরীর হাতে রাখা মায়ের নীলডায়রীটা। তরীর চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে আবার। তরী সেই ঝাপসা চোখে আবার আকাশের দিকে তাকায়।জোস্নানীলে মায়ের জমে রাখা নীলকষ্ট গুলো আবার খুঁজতে চেষ্টা করে। আচ্ছা মা ও কি আজ জোছনা দেখছে? মা কি আজও সেই আগের মত জোস্নানীলে মুখ লুকিয়ে কাঁদে আর অপেক্ষা করে সেই প্রিয়মানুষটির জন্য, যার সাথে চন্দ্রজলে গা ভাসিয়েে একদিন স্বপ্ন দেখেছিলো ভালবাসার নীলকাব্য লেখার, স্বপ্ন দেখেছিলো একটা ছোট্ট সুখের সংসার আর তরী নামের একটা ফুটফুটে রাজকন্যার!
:
:

(শেষ পর্ব এখানে)

বিঃদ্রঃ

গল্পটা পুরোটা্ই কাল্পনিক। তবুও লিখতে লিখতে কেন জানি মনে হচ্ছিল চন্দ্রালোকের নীল ডায়েরীটা অনেক জীবন্ত....... অনেক পরিচিত.....।
:

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১৯

বিজন রয় বলেছেন: কল্পনার দারুন মিশেল!!
++++

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৪

রিপি বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন বিজন র‌য়। :)

২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১০

সুমন কর বলেছেন: তরী আর তার মায়ের কাহিনী মুগ্ধ করলো।


* টাইপে সচেতন হতে হবে।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৫

রিপি বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন। টাইপে সচেতন হতে চেষ্টা করবো। পাশেই থাকুন। :)

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩১

চন্দ্ররথা রাজশ্রী বলেছেন: আপনার কোন নীল ডায়েরী আছে?
আকাশের মত?
কষ্টের মত?

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৮

রিপি বলেছেন: অনেক অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ গল্পটা সময় করে পড়ার জন্য। :)
হুম আমার ও একটা নীল ডায়েরী আছে। তবে সেটা কারো জন্য রেখে যাবো না।
আকাশ কে দিয়ে যাবো। এতে সুবিধা আছে অনেক। যেমন: আমার কষ্টে আকাশ ও কষ্টে নীল হয়ে যাবে। তবুও আকাশের কোন পাপ হবে না। আকাশ আমাকে ছেড়েও যাবেনা কোথাও । :)

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪০

রাইসুল ইসলাম রাণা বলেছেন: চমৎকার বয়ান। ভালো লাগা জানবেন

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩২

রিপি বলেছেন: আপনার কমেন্ট পড়ে আমিও আনন্দিত হলাম। :)
ধন্যবাদ সময় করে পড়ার জন্য। :)

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯

কল্লোল পথিক বলেছেন:





গল্পটা ভাল লেগেছে।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩০

রিপি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ সময় করে পড়ার জন্য। :)

৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: গল্প ভালো লাগলো

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩২

রিপি বলেছেন:
ধন্যবাদ সময় করে পড়ার জন্য। :)

৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: বাহ!সুন্দর লেখা
+++

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৩

রিপি বলেছেন:
ধন্যবাদ জানবেন । :)

৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

ঘনায়মান মেঘ বলেছেন: ভালোই লাগলো।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৩

রিপি বলেছেন:
ধন্যবাদ । :)

৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্পে ভাল লাগা রইল।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

রিপি বলেছেন: আপনার কমেন্ট পড়ে আমিও আনন্দিত হলাম। :)
ধন্যবাদ । :)

১০| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০২

সায়ান তানভি বলেছেন: ভালো লিখেছেন

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

রিপি বলেছেন: আপনার লেখাও আমার চমৎকার লেগেছে। :)
সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ । :)

১১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:


গল্পের প্লট ভালো লাগে নি। তবে লেখনী পুষিয়ে দিয়েছে অনেকটা।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

রিপি বলেছেন: হুম বেপারটা মাথায় থাকলো। :)
কমেন্ট পড়ে আমিও আনন্দিত হলাম। ধন্যবাদ । :)

১২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২

সাগর নীল বলেছেন: ভাল লিখেছেন

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

রিপি বলেছেন: ধন্যবাদ । :)

১৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: রিপি ,



ভালো লাগলো ।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৮

রিপি বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস । :)

১৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সুন্দর আর সাবলীল লেখা, মুগ্ধ হলাম

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪০

রিপি বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন। আপনার লেখা আমার চমৎকার লাগে।
সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। :)

১৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১২

উল্টা দূরবীন বলেছেন: লেখা বেশ সাবলীল। তবে গল্পের প্লটের বেলায় রাজপুত ভাইয়ের সাথে একমত।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৬

রিপি বলেছেন: হুম বেপারটা মাথায় থাকলো ভাইয়া। :)
কমেন্ট পড়ে আমি আনন্দিত হলাম। ধন্যবাদ। :)

১৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৫৭

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: আমি কোন ঘাটে লাগাইবো তরী------------।।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪০

রিপি বলেছেন: :(

১৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭

শায়মা বলেছেন: রিপির সব লেখাই আমার অনেক ভালো লাগছে। :)

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৪

রিপি বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন।কমেন্ট টা পড়ে আমি অনেক আনন্দিত। আপনার লেখা আমার চমৎকার লাগে।
সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। :)

১৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৭

লা পাতা বলেছেন: সুন্দর লিখা :)

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪১

রিপি বলেছেন: সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। :)

১৯| ১০ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১৬

দুঃখ বিলাস বলেছেন: ভাল B:-/

১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪২

রিপি বলেছেন:
সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। /:) B:-)

২০| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:০২

চন্দ্ররথা রাজশ্রী বলেছেন: বলেছেন,
"হুম আমার ও একটা নীল ডায়েরী আছে। তবে সেটা কারো জন্য রেখে যাবো না।
আকাশ কে দিয়ে যাবো। এতে সুবিধা আছে অনেক। যেমন: আমার কষ্টে আকাশ ও কষ্টে নীল হয়ে যাবে। তবুও আকাশের কোন পাপ হবে না। আকাশ আমাকে ছেড়েও যাবেনা কোথাও । "

খুব সুন্দর করে বলেছেন।
নীল ডায়েরীগুলো তাদের জন্য রেখে যাওয়া ঠিক না যারা ধুলো মুছতে ভুলে যায়। তার চেয়ে আকাশের কাছে রেখে যাওয়াই ভাল।

আপনার নীল ডায়েরী ধীরে ধীরে অন্যান্য রঙে রঙিন হোক।
কষ্টরা ছুটি নিয়ে ফিরতে ভুলে যাক।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১১

রিপি বলেছেন:

নীল ডায়েরীগুলো তাদের জন্য রেখে যাওয়া ঠিক না যারা ধুলো মুছতে ভুলে যায়। তার চেয়ে আকাশের কাছে রেখে যাওয়াই ভাল।

আপনার লেখা যেমন ভাল লাগে ... কমেন্ট ও পড়তে তেমন ভাল লাগে। অনেক শুভেচ্ছা আর ভালবাসা রইলো। পাশেই থাকুন। :)

২১| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৩৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ভাল লিখেছেন। ধন্যবাদ

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৭

রিপি বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। :)

২২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:২৬

রাফা বলেছেন: আরো একটু লিখলে ভালো হইতো। মা'কে নিয়ে লিখলেতো জিবন্ত ও পরিচিতই লাগবে।আপনার লেখার হাত বেশ ভালোই মনে হোচ্ছে।
ধন্যবাদ,রিপি।

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:০৪

রিপি বলেছেন: হুম আসলেই অনেক জীবন্ত....... অনেক পরিচিত..... :(
ধন্যবাদ ভাইয়া। :)

২৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

সুরাইয়া বীথি বলেছেন: বাহ্ আপুনি দারুণ লিখেছেন ! পড়ে ভাল লাগল ! নীল রং আমার অনেক পছন্দের একটি রং.. আর নীল কষ্ট? সে তো নীলিমা দিয়ে ঘেরা !!

২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

রিপি বলেছেন:
নীল রং আমার অনেক পছন্দের একটি রং.. আর নীল কষ্ট? সে তো নীলিমা দিয়ে ঘেরা !!

নীল রং টা আসলেই একটা অদ্ভুত টাইপের রং। তাই হয়তো সবার কাছে ভালোবাসা আর কষ্ট দুটোর রং এই নীল হয়। অনেক ধন্যবাদ আপু। অনেক শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

২৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

সুরাইয়া বীথি বলেছেন: বাহ্ আপুনি দারুণ লিখেছেন ! পড়ে ভাল লাগল ! নীল রং আমার অনেক পছন্দের একটি রং.. আর নীল কষ্ট? সে তো নীলিমা দিয়ে ঘেরা !!

২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯

রিপি বলেছেন: :)

২৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

কালীদাস বলেছেন: প্লটটা পুরান আর লেখাটা বেশ ছোট। কোনদিকে আরেকটা ঘটনা যোগ করে কিছুটা বড় করতে পারলে নতুন কিছু আসত।
ব্যাপার না, চালিয়ে যান :)

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৬

রিপি বলেছেন:
বাহ চমৎকার আইডিয়া দিলেন। মাথায় থাকলো। আপনার কমেন্ট দেখে ভয় পেয়েছিলাম.. । ধন্যবাদ। :)

২৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১২

ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: শেষাংশ টা পড়ে আবেগের জোয়ারে গা ভাসিয়ে দিয়েছি। একটানা কয়েকবার পড়লাম। সব মিলিয়ে অসাধারণ লেগেছে।

আর একটা কথা বার বার মনে হয়েছে যে, গল্পের চরিত্র তরীর মায়ের ভূমিকায় আমাদের রিপি আপা নিজের প্রতিফলন দেখানোর প্রচেষ্টারত ছিলেন। জানিনা আমার আন্দাজ ঠিক কি না তবে গল্প পড়ে ভালোলাগা নিয়ে গেলাম।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪৩

রিপি বলেছেন:
আমি তরীনা তরীর মা ও না। /:)
এরা দুজনেই আমার গল্পের চরিএ মাএ। সামনে তরীর নানিমাকে নিয়েও লেখার ইচ্ছে আছে। B-)
আবার ও ধন্যবাদ।

২৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪৬

রাজসোহান বলেছেন: বেশ কিছু বানান ভুল আছে, ঠিক করে নিয়েন।

অনেস্টলি স্পিকিং, গল্পের প্রথম লাইন পড়ে মনে হচ্ছিলো জাফর ইকবালের কোন পরিত্যাক্ত গ্রহের বর্ণনা B-))

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫৫

রিপি বলেছেন: B-))
জাফর ইকবালের কোন পরিত্যাক্ত গ্রহের বর্ণনা হাসতে হাসতে শেষ আমি।
হুম ভাইয়া বানান আমার দুনিয়ার ভুল হয়। ধন্যবাদ বিষয়টা খেয়াল করার জন্য। :)

২৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪৭

ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: তাহলে তরী ও তরীর মা কেবল রিপি আপুনির সন্তান!!!!!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫২

রিপি বলেছেন:
আমার নানী হতে অনেক দেরী আছে। :P

২৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫৫

ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: কি যে বলেন!!!!! একজন লেখকের সৃষ্ট প্রতিটা চরিত্রই সেই লেখকের সন্তান! আপনি অলরেডি নানী হয়েই গেছেন। :)

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫৯

রিপি বলেছেন:
হু লেখকরাই নানী হয় আর পাঠকরা কি হয়? B-)
হুম কথাটা কিন্তু ঠিক। লেখকের সব সৃষ্টি তার কাছে সন্তানে মত। কমেন্ট এ কিন্তু প্লাস। :D

৩০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:০৪

ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: পাঠকগণ হয় নানা। B-) :D
উলললল! থুক্কু! :P
আংকেল হয়। =p~
আরে না তা হবে কেন! :-*
পাঠক তো ভক্ত হয়! :)

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:০৭

রিপি বলেছেন: =p~

সবাই নানা, আংকেল ভক্ত হলেও হতে পারে কিন্তু আপনি মনে হয় বাউলেই থাকবেন। :D

৩১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:০৫

রাজসোহান বলেছেন: পাঠক নানা, আর লেখক নানী। :-*

এনাফ ইন্টারনেট টুডে :|

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:১১

রিপি বলেছেন:
/:)
ভাইয়া আপনার জন্য। :)


৩২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:১১

ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: রাজসোহান বলেছেন: পাঠক নানা, আর লেখক নানী। :-*

এনাফ ইন্টারনেট টুডে

মাইরালচে রে!!!!!!!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:২৩

রিপি বলেছেন: .... /:)

৩৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪১

রাজসোহান বলেছেন: কতোক্ষণ ওয়েট করলাম, আপনাকে অনলাইনে পাইলামনা। চলে যাওয়া লাগতেছে, কাজ আছে আরকি। :(

আবার ঘুমও আসতেছে। |-)

আপনার ফ্যামিলি গেটটুগেদার কেমন হইলো, জানায়েন। :D

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২০

রিপি বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.