![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“শুইনল্যাম দ্যাশ থাইকা নাকি কোঁটাপ্রথা উইঠা যাইব। তাইলে দ্যাশে থাইক্কা কি BCS এর লাইগা হাল্কার উপর ঝাপসা একটা ট্যারাই চালামু? এককালে আমার মায়ের কাছ থাইকা হুনছিলাম আমার বাপে নাকি খোয়াব দেখছে আমারে বিরাট ঘুষখোর পুলিশ অফিসার বানাইব। তাইলে কি এইবার বাপের খোয়াব পূরণ করমু?”
বছরখানেক আগের কথা। কোঠাপ্রথার বিপক্ষে আমার নিজের অতিস্বল্প বিবেচনা আর মূর্খের ন্যায় বিশ্লেষণপূর্বক ফেইসবুকে একটা পোস্ট করেছিলাম। হয়তবা অনেকেই পোস্টটি অতি ধৈর্যের সহিত পাঠ করে থাকবেন। পোস্টটি পাঠ করে অধিক সংখ্যক সুধীজন বাহবা জানাইলেও প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাঁত আমার প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমারি সহপাঠী এক বন্ধু আমার উপর খুব ক্ষেপে গিয়েছিলেন। তিনি অত্যন্ত মেধাবী সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমি তার মেধার অশেষ সম্মান করি। যাইহোক সেই পোস্টে তিনি তার কিছু ভাঁড়াটে বন্ধু দিয়ে (যারা আমার বন্ধু তালিকায় ছিলেন না) আমাকে কোঁটাপ্রথার স্বপক্ষে বহু জ্ঞান প্রদানের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আমি ভাই কোঁটা নামক আবর্জনার বিপক্ষে আর সবসময় এর বিরুদ্ধে বলে এসেছি। আমার সেই বন্ধুটির জন্য আমার দুঃখ আজো আমি উনাদের এই পরমজ্ঞান লব্ধ করতে পারিনি আর পারব না বা পারতেও চাই না।
দেশ থেকে কোঁটাপ্রথা উঠেযাক এই কামনা সুধু আমার না দেশের ১৬ কোটি মানুষের। সরকারি কর্ম কমিশনের মনে এতদিনে যে শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে একথা শুনে অনেকেই খুশি। যদিও একটি মহল এর বিরোধিতা করে কারণ প্রদর্শন করেছে। তবে আমি মনেকরি, কোন একটি মহৎ কাজ সম্পন্ন করতে হলে পাশাপাশি ছোট-খাট ক্ষতি হয় তবে বৃহৎ স্বার্থ চিন্তা করে ক্ষতির কথা না ভেবে সামনে এগিয়ে যাওয়া উচিত। একটি পরিবারের অন্ন প্রদান করতে যদি ৫০ টি পরিবারের অন্ন বিনষ্ট করতে হয় তাহলে সেই কাজের কোন মানেই হয়না বরং তার থেকে অধিক ভালহয় ৫০ টি পরিবারের অন্নের চিন্তা আগে মাথায় নিয়ে আসা।
সরকারি চাকুরিতে সরকার যে নতুন নিতিমালা প্রনয়ন করতে যাচ্ছে তাতে কর্ম কমিশনের কোঁটাপ্রথা বাতিলের যে সিদ্ধান্ত তা যেন বহাল থাকে এই কামনা করি।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:২৮
ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: উপজাতি কোটা থাকা উচিত ৫% হারেই। তবে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের কোটা রাখা দরকার আছে নাকি রাখলেও কতটুকু মাত্রায় রাখতে হবে ভেবে দেখার সময় হয়েছে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৩১
ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: আপনি কোন দৃষ্টিকোণ থেকে বলেন যে উপজাতি কোঁটা থাকা উচিৎ? একটু বিশদভাবে বলে বোঝাবেন। আর আপনার মুক্তিযোদ্ধা কোঁটার বিষয় নিয়ে এখনো ভাবতে হবে কথাটা শুনে সত্যি হাস্যকর মনে হচ্ছে। বেশ ফানি কিন্তু আপনি।
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: অনেক ব্যাপার আছে। যেমন পাহাড়ীরা আমাদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে, ওদের কিহুটা এগিয়ে আনা। আবার সরকারের নানা পদে উপজাতিরা থাকলে বৈচ্চিত্র বাড়ে, নিজেদের বৃহত্তর বাংলার অংশ হিসেবে নিজেদের ভাবতে পারবে বেশি করে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কতটুকু রাখা উচিত। এটা ১০ ভাগও হতে পারে আবার ২ ভাগও হতে পারে।
আবার মুক্তিযোদ্ধার কোটার ব্যাপারে বলবো, ৭১ এ যাদের বয়স ২০ ছিলো, এখন তারা ৬৫ বছরের।। নতুন করে সন্তান হওয়াটা মনে হয় আরো ১০ বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে। আর সার্টিফায়েড মুক্তিযোদ্ধা তো ২-৩ লাখের বেশি হবেনা। যাদের আবার অনেকেই সরকারী চাকরীতে নিজের সন্তানকে পাঠাননি। আমি নিজেই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, কিন্তু সরকারী আকরী কিন্তু আমি কোটায় পাইনি। এমনি হয়েছে। আর ১০ বছর পর হয়তো চাক্রীযোগ্য বয়সের মুক্তিযোদ্ধা সন্তান খুজেই পাওয়া যাবেনা। সেই প্রেক্ষাপটে এই কোটা ধীরে ধীরে হ্রাস এবং একসময়ে বাদ দেয়া যেতে পারে।
এরপরেও আরো প্রশ্ন থাকলে বলবো, ভাই, আপনেরা পারেনও। যোগ্যতা না থাকলে কোটা উঠাক আর নামাক, কোন লাভই হইবোনা।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৫:৪৭
ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: হাহাহাহাহাহা। আপনার শেষ মন্তব্যের উত্তর টা আগে দিয়ে শুরু করি।
"যোগ্যতা না থাকলে কোটা উঠাক আর নামাক, কোন লাভই হইবোনা"- কথাটা ভালো লাগলো। আপনি যদি আমার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে থাকেন তাহলে হলে আগেই বলে রাখি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আমি নিজেও অন্তর্ভুক্ত। এখন আছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তবে এইতুকু পর্যায়ে আসতে জীবনে কোন ক্ষেত্রে কোঠা এপ্লাই করিনি। আর আমি কোন মেরুদণ্ড হীন মানুষ না যে ভবিষ্যতে চাকুরি ক্ষেত্রে ব্যাবহার করব। যেটা করতে পারব নিজ যোগ্যতা দিয়ে ছিনিয়ে নেব।
এবার আসি একটু উপজাতি প্রসঙ্গে।
আমি কিন্তু বলেছি উপজাতি কোঠার প্রসঙ্গে সেটা আপনি পাহাড়ি বলে আখ্যা দিয়েছেন। সব পাহাড়ি উপজাতি না এটা আপনার বোঝা উচিৎ ছিল। পাহাড়ি মানুষের মদ্ধে অনেকেই বাঙ্গালী আছে যারা উপজাতিদের সাথে বসবাস করে। উপজাতিরা যদি কোটা পায় তাহলে ঐসব বাঙ্গালীরা কি দোষ করেছে একটু খুলে বলবেন। ও হ্যাঁ আর একটা কথা। আপনি পাহাড়ি বা উপজাতিদের নিয়ে যে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন তার প্রেক্ষিতে কয়েকটি জনগোস্টির কথা মনে পরে গেল। আপনি কখনো সুন্দরবনে গেছেন? সেখানে জেলে সমাজের জীবন যাপন দেখেছেন? যদি না দেখে থাকেন তাহলে বলব একবার ঘুরেই আসুন দেখবেন সংগ্রাম কাকে বলে। পদ্মার চরে যেসব ভূমিহীন জনগোস্টি বসবাস করে তাঁদের সম্পর্কে জানেন? যদি না জেনে থাকেন একটু কষ্ট করে দেখে আসুন। এমন উদহরন দিলে লিখে শেষ করতে পারব না। তাহলে এসব মানুষ কি কোঠা আশা করতে পারেনা?
আমি ভাই সুন্দরবনের মানুষ। অতি কষ্টে সভ্য সমাজে উঠেছি কষ্ট আর সাধনার মাধ্যমে। আমি কোঠা থাকা সত্যেও তা যদি পায়ে ঠেলে সামনে এগিয়ে আসার স্বপ্ন দেখতে পারি তাহলে অন্যরা কেন নয়? আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে বহুসংখ্যক উপজাতির সাথে ওঠাবসা করি আমি তাই ওদের সম্পর্কে একেবারে যে জ্ঞান নেই এমনটি না।
এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো যে আপনিও কোঁটা থাকা সত্যেও তা উপেক্ষা করেছেন। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য। আর কিছু বলার থাকলে অবশ্যই জানাবেন উত্তর দেওয়ার আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালাবো।
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ভাই, আপনাকে একটা ইয়ো ইয়ো ড্রেস পড়ে দেশের যেকোন জায়গায় নিয়ে যেকোন জেলার লোক বলে চালাইয়া দেয়া যাবে। আপনার এলাকার যে কাউকেই হয়তো। কিন্তু একজন উপজাতিকে চালানো যাবেনা। যে তার চেহারা দিয়েও আলাদা। পোষাক আশাকে সেটা ঢাকেনা।
আবার বলি, উপজাতিরা যে জেলাগুলো থাকে, রাঙ্গামাটী, খাগড়াছড়ি আর বান্দরবান, এগুলায় ৯৫ ভাগের বেশি উপজাতিই ছিলো। জিয়া এবং এরশাদের সময় ব্যাপকভাবে বাঙ্গালীদের ওখানে পাঠানো হয় সংখ্যার পার্থ্যক্য কমাতে। কিন্তু এখনো হয়তো ৩০ ভাগের বেশি হয়নি। এইজন্য অনেক অন্যায়ও করা হয়েছিলো ওদের সাথে, অস্বীকার করলে নিজেদের ছটই করা হবে। সেটার জন্য ওদের ক্ষোভ আছে।
আবার বলি, পদ্মার চরে কিংবা আপনার এলাকায় যতই অভাব থাকুক, দেশ থেকে বেরিয়ে আলাদা অবার মনোভাব কি আছে? মনে হয় নেই। কিন্তু ওই তিন জেলায় কিন্তু আছে। আর এই মনোভাব আপনি কমাতে পারবেননা যদিনা আপনি তাদের মুল জাতিসত্ত্বার সাথে আত্মীকরন না করেন। ওদের মধ্যে যারা শিক্ষিত তাদের নিজেদের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। যত যাই বলেন, শিক্ষার হার আর জীবিকার মান এখনো উপজাতিদের চেয়ে বাঙ্গালীদের সামগ্রিকভাবে অনেক ভালো। অদের অবকাঠামী, শিক্ষা এবং নানা দিক এখনও অনেক পিছিয়ে। অনেক জায়গায় সভ্যতা সেভাবে তার রুপ দেখাতে পারেনি।
আবার কোটার কথায় আসি, ধরলাম ১০-১৫ ভাগ এইসব ওইসব কোটা মিলে শেষ করে দিচ্ছে। তারপরও ৮০ ভাগ তো থাকছে। ১০০ জনে যদি আপনি ৮০ জনে থাকতে না পারেন, তবে বাকী ২০ জনের মধ্যে আপনিই থাকতেন এটা কিভাবে বলেন?
৫ ভাগ উপজাতি কিংবা আদিবাসী কোটায় খুব বেশি কিছু আসে যায়না। কারন ওরা দেশের ৫ ভাগের মতই আর এই কোটা উল্লেখ করেই আবেদন করে। হিসেব করলেও দেখবেন দেশের সরকারী চাকুরীতে এই ৫ ভাগের বেশি উপজাতি কিন্তু নেই, হয়তো বড়জোর ৬ ভাগ থাকতে পারে, এটা কি খুব বেশি কিছু হয়ে গেলো?
কস্ট ভাই আমিও করেছি। জীবনের অনেক রঙ দেখেছি। খুব ছোটোবেলায় বাবা হারালে একটা পরিবারে যা হয় আরকি।
তবে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের কোটা নিয়ে ভাবার সময় হয়েছে। পরিবর্তন দরকার কিংবা ঠিক কবে থেকে উঠিয়ে দেয়া উচিত তা ভেবে দেখা দরকার।
আমি আপনার ধ্যান ধারনা চেঞ্জ করতে পারবোনা। মানুষকে তার অবস্থান থেকে সরানো খুব কঠিন। নিজে যেভাবে দেখি তাই বললাম। ধন্যবাদ।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:২৩
ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: হুম আপনার যুক্তি বুঝলাম। কিন্তু আপনি হয়তো এটা ভেবে দেখেন নি যে, কোটায় কোন মানুষকে নিদিষ্ট জায়গায় বসালে তার পরিনাম কি হতে পারে। ধরুন একজন মানুষকে উপজাতি কোঁটার বলে এএসপি করে দেওয়া হল বা পররাষ্ট্র ক্যাডার বানানো হল। তখন দেশ তার কাছে কতটুকু যথাযোগ্য ফল লাভ করবে সেটা আমার প্রশ্ন। যোগ্যতা দিয়ে একজন যেখানে যেতে পারত সেখানে কোঁটা বলে যদি অযোগ্য কাউকে বসানো হয় তাহলে সেখান থেকে কি আদৌ দেশের স্বার্থ উদ্ধার হবে?
আমি শুধুমাত্র আমার এলাকা (সুন্দরবন) বা পদ্মার চরের মানুষের কথা বলিনি সমগ্র দেশের নিগৃহীত সমাজের কথা উল্লেখ করেছি। উপজাতিরা যদি বিশেষ সুযোগ পায় তাহলে আমি যাদের কথা বলেছি তারা কি দোষ করেছে? সৃষ্টিকর্তা তাঁদের নিম্নশ্রেণী করে পাঠিয়েছে এটা কি তাঁদের দোষ? কোঁটা ১% হোক আর ৮০% হোক কোঁটা তো কোঁটাই।
একটা গল্প বলি। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার খুব কাছের বন্ধু আতিক। যখন ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলাম তখন আতিকের মেরিট পজিশন ছিল ১৪০০ এর কাছাকাছি। অন্যদিকে আমার কয়েকজন উপজাতি বন্ধু আছে (নাম না বলি) ওদের অধিকাংশের পজিশন ছিল কারো ৫০০০ প্লাস আবার কারো ৬০০০ প্লাস। এই ৫০০০/৬০০০ এর অধিক সিরিয়াল নিয়ে তারা কেউ সমাজবিজ্ঞান আবার কেউ রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়ছে অন্যদিকে আমার বন্ধু আতিক ইতিহাস নিয়ে পড়ছে। এখন আপনি আমাকে একটু বোঝান যে আতিক কি বিশেষ কোন দোষ করেছে যে তাকে ইতিহাসের মদ্ধে সীমাবদ্ধ করে রাখতে হবে আর আমার উপজাতি বন্ধুদের সমাজবিজ্ঞানী বা রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বানাতে হবে? ওদের চেয়ে আতিকের বা আতিকের মত যারা আছে তাঁদের কোন যোগ্যতা কম ছিল?
আপনি কি মনে করেন কোঁটা ছাড়া সরকার অন্য কোনভাবে উপজাতিদের সামাজিক করতে পারেনা? যদি তাই মনে করেন তাহলে ভুল। কোঁটা ছাড়া অনেক কিছু করে তাঁদের সমমান করা সম্ভব এবং সরকার করেই চলেছে সেসব। তাহলে কোঁটার দরকার হবে কেন?
যুক্তরাষ্ট্রে ৭০,০০০ এর বেশি মানুষ বেকার এবং তারা রাস্তায় ঘুমায় কই তাঁদের তো সরকার কোঁটা দিয়ে এগিয়ে নিচ্ছে না। সরকার তাঁদের অন্যভাবে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এমনকি বেকার ভাতা পর্যন্ত দিচ্ছেন। আপনি হয়তো বলবেন আমি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের তুলনা করছি বলে আমি বোকা। এই প্রশ্নের উত্তর হল, যুক্তরাষ্ট্র উন্নত দেশ বলে তারা বৃহৎ পরিসরে তারা যেটা করছে বাংলাদেশ ততটা পারবেনা তবে একই পদ্ধতিতে স্বল্প পরিসরে তো কাজ করা যায়। কোঁটা দিয়ে দায়সারা করলে তো হবেনা। সরকার যদি মনে করে কোঁটা আছে বলে উপজাতিরা সমাজে উঠে আসবে। আমার মতে এটা একেবারেই অলিক। আগে ভিত্তি শক্ত করতে হবে মাথা ধরে টানাটানি করে লাভ নাই।
আমার মনেহয় কোন দেশের উন্নয়নের পথে প্রধান যে অন্তরায় তার মদ্ধে কোঁটা অন্যতম। তাই সে উপজাতি কোঁটা হোক আর অন্য কোন কোঁটা হোক। যতদিন বাংলাদেশে কোঁটা থাকবে বাংলাদেশ উন্নতি করতে পারবেনা এটা কিতাবের মত সত্য। আর আমার মনেহয় যারা কোঁটার পক্ষে কথা বলে তাঁদের ভাবনা স্বল্প কিছু মানুষকে নিয়ে। দেশ নিয়ে কোন ভাবনা নেই।
৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩৪
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এর মধ্যেও কিছু কথা থেকেই যায়। একটু পর ফিরে আসছি।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩৮
ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: অপেক্ষায় থাকলাম।
৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০৯
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:
যুক্তি পাল্টাযুক্তি সবই ঠিক আছে। কিন্তু আপনার বন্ধু কি ভর্তি পরীক্ষায় অনেক আগে থেকেও ইতিহাস নিয়ে পড়ে ইতিহাসে একদম প্রথমই হয়েছেন? অথবা যে ৫০০০ এর পরে থেকেও রাস্ট্রবিজ্ঞান পড়লো, সে কি ডিপার্ট্মেন্টের শেষ স্থান দখল করেছিলো? নুন্যতম যোগ্যতার প্রমান দিয়েই এরা এসেছিলো।
আবারো একই কথা বলি, ওদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দলন আছে, আমাদের মধ্যে নেই। আবার এই ৫% এর জন্যেও কিন্তু ওদের মধ্যেই প্রতিযোগিতা হয়। অথবা অন্যভাবে বলা যায়, যার মাতৃভাষা বাংলা নয়, তার রেজাল্টও বাংলাভাষীদের চেয়ে একটু খারাপই হবে। আবার উল্টাটাও যে হবেনা তা নয়।
আর সরকারের কিছু পদে কম যোগ্যতার লোক বসলে যদি সে সিস্টেম কলাপস করার অবস্থা হয়, তাহলে সেটা সিস্টেমের দোষ। প্রথম শ্রেনীর চাকরীতে কোটায় ঢুকলেও তার জন্য নুনতম কিছু যোগ্যতা তো তার থাকেই। উপজাতি কোটার কেউও পররাষ্ট্র ক্যাডার পেতে হলে তাকে তাদের মধ্যেই সবচেয়ে যোগ্য হতে হবে। আর ঈসপি পদের ক্ষেত্রে বলবো, অন্যান্য যোগ্যতার চেয়ে মানবিক দিকগুলো বেশি উন্নত হওয়া দরকার, যেটা এই ক্যাডারের লোকেদের মধ্যে কম দেখা যায়।
দিরিদ্র পরিবারে জম নিলে যে সুবিধা পায়না, সেটাও কিন্তু না।। অনেক ধরনের বৃত্তি সরকার দেয়, দেশের আর্থিক সামর্থ্য অনুসারেই দেয়। আবার বুয়েটের একটা ছেলের পেছনে বার্ষিক ভর্তুকী ১ লাখ টাকা, মেডিকেলে সম্ভবত বার্ষিক ৩-৪ লাখ টাকা। এটা কিন্তু সার্বিকভাবেই ভর্তুকী। সরকারের দ্বায়িত্ব সার্বিক উনতির চেস্টা করা। শেনীভেদ মানব সমাজে সেই আদিকাল থেকেই ছিলো, থাকবেও। এরমধ্যেই যতটা করা যায়।
কিন্তু বৈচিত্র রক্ষার জন্য কিংবা মুলজাতিসত্ত্বার সাথে একীভুত করবার জন্য এই কোটার দরকার আছে, তবে তা তাদের জনসংখ্যার মোট অনুপাতের সাথে সামনযস্যপূর্ণ হতে হবে। সেটা সরকার ভেবে দেখতে পারে
২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৩৮
ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: হাহাহাহাহাহা। প্রথম হওয়া বা সবার নিচে থাকার কথা কোন কথা না। কথা হল যে ছেলেটি ২৫০০/৩০০০ এর মদ্ধে ছিল তার মেধার অবমূল্যায়ন। তারা কিন্তু দোষী ছিলনা। আর এই যে বৃত্তি বা ভাতার কথা বললেন সেটা কিন্তু উপজাতিরাও পেয়ে থাকে। তাহলে কেন বিশেষভাবে কোঁটা রাখতে হবে? তাহলে কি যারা কোঁটাধারী তারা সাধারন মানুষের মেধার সঙ্গে লড়তে ভয় পায়? ভয় যেহেতু পায় তাহলে যুদ্ধে আসার দরকার কি? এখনকার সময় যাদের কোঁটা নেই মেধা প্রমানের যুদ্ধে তারা তো কোঁটাধারীদের ভয়ে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালায়ন করছেনা।
যারা দেশ বা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায় বা দেশের বিরুদ্ধে কথা বলে তারা যে দেশদ্রোহী সে সম্পর্কে হয়তো কারো কোন সন্ধেহ নেই। পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা পাওয়ার পরও অধিক লোভে যারা এই কর্ম সাধন করার প্রয়াস করে তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারী আইন প্রয়োগ করে শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা নেওয়া উচিৎ। অন্যথায় শুধুমাত্র একটি শ্রেণী সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করেও তৃপ্তি না পেয়ে অধিক পাওয়ার বাসনায় যদি বিভাজন চায় এবং তাঁদের আবদার মেটাতে সরকার তাঁদের সকল আবদার মেনে নেয় তাহলে দেখা যাবে সকল নিম্নশ্রেণীর মানুষ একই আবদার করে বসবে। সেক্ষেত্রে সরকারের কি অবস্থা হবে সে সম্পর্কে আমি ওয়াকিবহাল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫৬
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ব্যাপারটা ভয়ের না, একটা সুযোগ থাকলে সেটা নেয়া। আপনি নিজেই বলেছেন আপনিও কোটা সুবিধা নিয়েছেন।
এইভাবে বললে বয়স্কভাতা, ভিজিএফ এর চাল এইসবও বন্ধ করে ্যইটা দিয়ে অবকাঠামোর উন্নতিতে লাগানো যাইতে পারে। কোন সন্তান যদি বৃদ্ধ বাবা মা কে না দেখে তাইলে সেইটা এমনভাবেও নেয়া যাইতে পারে যে সেটা তাদেরই ব্য্ররথতা। ওই ব্য্ররথতার ভার সরকার নিবে কেন? কেউ গরীব ঘরে জন্মাইছে ওই দোষ তো সরকারের না। সরকার টানতে যাবে কেন?
প্রতিবন্ধীরা দুর্বল দেখে অনেক সুবিধাপায়। এটাই বা দেয়া হবে কেন? ওদেরও তো জ্ঞান আমাদের সমান না।
সরকার কেবল নিজেদের সামান্য কিছু পদ ওদের দিচ্ছে, বেসরকারী শতগুন চাকরীতে তো ওদের কোটা নাই। এটা মানতে না পারাও মানসিক সীমাবদ্ধতা। বলতে পারেন যৌক্তিক অনুপাতে নির্ধারিত হোক। বাতিল নয়।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:১৪
ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: আমি কোঁটা সুবিধা নিয়েছি? ভাই আপনি কি খোয়াব দেখেছেন? পূর্বের মন্তব্য বা মূল পোস্ট ভালোভাবে পড়ে এসে বলেন। আমি কোঠা সুবিধার অন্তর্ভুক্ত থাকলেও আমি জীবনে তা ব্যাবহার করিনি এটাই বার বার বলে এসেছি। এর আমি সবসময় এই কোঁটার বিপক্ষে কোঠা বলে এসেছি।
কোঁটার বিপক্ষে কোঠা বললে যে মানুষিক সীমাবদ্ধতা হয় তাহলে আমি স্বীকার করছি আমি মানুষিকভাবে সীমাবদ্ধ কিন্তু কোঁটার পক্ষে কোঠা বলে বা কোঁটা কে এপ্লাই করে আমি মহান মনের মানুষ হতে পারবনা।
আমি যদি আপনাদের মত মহান এর মুক্তমনা হতে পারতাম তাহলে কোঁটার পক্ষে বয়ান দিতাম। কারন কোঁটার সুযোগ আমার ও আছে। তবে আমি কোঁটাকে সারাজীবন ঘৃণা করি এবং করব। আর যতদিন এই কোঁটা না উঠবে আমি কোঠা বলে যাব এর বিপক্ষে। আমি মনেকরি আমার মেরুদণ্ড আছে এবং এই মেরুদণ্ড দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর শক্তিও আমার আছে। কোঁটার বিপক্ষে কোঠা বললে যদি আপনার খারাপ লাগে আমার কিছু করার নাই তবে আপনি যে এতক্ষনে কেন বার বার কোঠা কোঁটা করে আওড়াচ্ছেন এখন বুঝতে বাকি নেই।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে যে আপনি অন্য সকল কোঁটাধারীদের মতই বাক্যালাপ করে চলেছেন। ১০ জন সাধারন মানুষের কাছে গিয়ে বলেন তারাই আপনার এই উদার মানুসিকতার সহজ সমাধান করে দিতে পারবে।
৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:২৬
নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধা কোটা কয় জেনারেশন ব্যবহার করতে পারে? অথবা পুরো ডিটেইলস কেউ বুঝিয়ে বলেন। জানা নাই, তাই জানতে চাই।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৪০
ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: হুহাহাহাহাহাহা। এখন পর্যন্ত যতদূর জানি ৩ প্রজন্ম ব্যাবহার করছে। ভবিষ্যতে যে আরও কত প্রজন্ম ব্যাবহারের নীতি চালু হবে সেটাই দেখার বিষয়।
৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩৯
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আবার সংসদের নারী এমপিদের ৩০ টা আসন বাদ দিক। ওইটাও তো আলাদা সুবিধা। ওই এমপি না পুষে ওই বাজেটে ৩০০ পদ তৈরী হবে। সরকার কি পার্বত্য অঞ্চল থেকে ট্যাক্স পায়না? তাহলে ওইখানেই কেবল ওদের জন্য একটা ভার্সিটি করে দিক। আর আপ্পনাকেও যদি পার্বত্য এলাকায় পোস্টিং দেয়া হয়, তার থেকে আপনার কাছে কিন্তু সুন্দরবনের পোস্টিঙ্গই ভালো মনে হবে। জাতসত্ত্বা আলাদা হলে সংখ্যাগরিষ্ঠদের কিছুটা নমন্যিয় হতেই হয়, সেটা আনুগত্য বাড়ায়। নাহলে ওরা এদেশ থেকে আলাদা হতে চাইলে দোষ কি যদি সেটাই তাদের জন্য ভালো হয়? নিজের ভালো সব জাতিই বোঝে, আর তাই বাংলাদেশ স্বাধীন হতে চেয়েছিলো। আর বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার মত প্রকাশ করলেই দেশদ্রোহী হয়ে যায়না। তাহলে তো বলতে হবে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানীদের দেশদ্রোহী বলা যুক্তিযুক্ত ছিলো। মত প্রকাশ মানুষের মৌলিক অধিকার, ওইটা নৈতিকতার সীমারেখা আর রাস্ট্রের সংবিধান লঙ্ঘন করলে তবেই অপরাধ কিংবা দেশদ্রোহী বলা চলে। নাহলে স্কটল্যান্ডের যে ৪৯% লোক স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দিয়েছে কয়দিন আগে, তারা সবাই জয়ী ৫১% স্কটিশ অথবা ব্রিটিশদের কাছে দেশদ্রোহী।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৩৮
ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: বাংলাদেশ পাকিস্থান থেকে আলাদা হতে চাইছিল কেন সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। আপনি কি মনে করেন এখন পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানের মত সমস্যার মুখোমুখি? যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তারা বিভাজনের দাবি রাখতে পারে। অপরপক্ষে যদি তারা পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা পেয়েও শুধুমাত্র কোঁটা না থাকার কারনে বিভাজন চায় তাহলে অবশ্যই দেশদ্রোহী।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কথা যদি ধরি তাহলে বলব ভারতে কি মিজরাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড এসব অঞ্চলে কোঁটা দিয়ে ঐ অঞ্চলের মানুষকে সরকার কোঁটা দিয়ে সুবিধা দিচ্ছে নাকি অন্য সুযোগ দিয়ে তুলে আনার চেষ্টা করছে?
পোস্টিং নিয়ে যে কথা বললেন সেটা একটু বলি। সরকার যদি মনে করে যে আমাকে পার্বত্য অঞ্চলে পোস্টিং করলে সরকারের লাভ তাহলে আমি অবশ্যই খুশি। আপনি বা আমি যদি মনে করি আপনাকে বা আমাকে পার্বত্য অঞ্চলে পোস্টিং করলে যেতে চাইবেন না বা চাইব না তাহলে সে চাকুরি করার কোন যোগ্যতা আপনার বা আমার কারো নেই। আমাদের শুধু আমাদের বেতনের কথা চিন্তা করলে চলবেনা দেশের স্বার্থ ভাবতে হবে আগে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭
Shahin Shams বলেছেন: সহমত