ছাত্রানং অধ্যয়নং তপ:

১৬ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:১৩

প্রতিটি নতুন সরকার ক্ষমতায় এলেই দেখা যায় ছাত্র রাজনীতির নির্মম চেহারা। দখলদারীর রাজত্ব কায়েম করার উদ্দ্যেশ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশৃংখলা আর হানাহানির নগ্ন প্রদর্শনী। সম্প্রতি রাজশাহীর প্রতিষ্ঠিত মোটামুটি সবগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। প্রশ্ন উঠেছে ছাত্র রাজনীতি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার। কিন্তু এই ছাত্র রাজনীতির মূল হোতা যারা তারা আসলে কারা? সত্যিকারের ছাত্ররা কি আসলেই রাজনীতির মূল ধারায় মিলতে আসে? ছাত্র রাজনীতির নামে যে বিশাল ব্যবসা তার মূলোৎপাটোন কি আদৌ সম্ভব? ছাত্ররা রাজনীতি করবে আন্দোলন করবে তাদের দাবী দাওয়া নিয়ে, সুস্থ শিক্ষাঙ্গন প্রতিষ্ঠার স্বার্থে, দেশের স্বার্থে। কিন্তু এখন ছাত্ররা রাজনীতি করে হলের দখল রাখার জন্য, পড়াশোনা না করে গায়ের জোরে পরীক্ষায় পাশ করে যাওয়ার জন্য, রাজনৈতিক দলগুলোর অসৎ উদ্দেশ্যগুলো প্রতিষ্ঠার জন্য। ফলাফল স্থবির শিক্ষাঙ্গন, অন্ধকার ভবিষ্যৎ। ছাত্র রাজনীতির কুৎসিত রূপ আরও প্রকট হ্য় যখন দেখি অসৎ ধর্ম ব্যবসায়ীরাও যোগ দেয় এই মহোৎসবে, কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও রেহাই পায় না, ভবিষ্যৎ অন্ধকার থেকে অন্ধকারতম গন্তব্যে ধাবিত হতে থাকে।



যে ছাত্রদের জন্য অধ্যয়নই তপস্যা, আমরা কি পারি না সেই ছাত্র শব্দটির পাশ থেকে রাজনীতি নামক কুৎসিত অংশটিকে সরিয়ে দিতে? অন্তত ততদিন যতদিন সমাজকে আমরা একটি সুস্থ্ রাজনীতির ধারা ফিরিয়ে দিতে না পারি।

৫ টি +৪/-০