নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নায়ে বসে আছি, চারপাশে খরস্রোতা ঢেউ আর ঢেউজীবনের তীক্ষ্ণ অভিজ্ঞতা গুলি যেন মিশে যাচ্ছে নদীর বাঁকে,পুনরায় ধরেছি বৈঠা , আসুক না হাজারো ঝড়।

ইয়াসিন খান

আমি নায়ে বসে আছি, চারপাশে খরস্রোতা ঢেউ আর ঢেউ জীবনের তীক্ষ্ণ অভিজ্ঞতা গুলি যেন মিশে যাচ্ছে নদীর বাঁকে, পুনরায় ধরেছি বৈঠা , আসুক না হাজারো ঝড়, যাব এক অচিন গাঁয়ে, বিলিয়ে দেব ভালবাসা অকাতরে , যাবে আমার সাথে? তিমির এখন কাটেনি , তবুও ধরেছি বৈঠা, আজ খেলবো নদীর ঢেউয়ের সাথে, থাকবে আমার পাশে? ঝড় এলে করনা ভয় , আমার কাছে বেঁচে থাকার মন্ত্র আছে। এই দেখ, কত সব কচুরিপানা এসেছে, আমাদের সঙ্গ দেবে বলে। তুমি ভয় করনা , আমার কাছে মন্ত্র আছে...

ইয়াসিন খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুখবর!! সুখবর!! সুখবর!!

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৯

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। বর্তমানে বিদ্যমান বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩২ করার চিন্তা করা হচ্ছে। আর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা করা হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৪। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে তিনটি মন্ত্রণালয় বিষয়টি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে। সূত্রমতে, সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়সসীমা ৬১ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর করার একটি প্রস্তাব আগামী সোমবার মন্ত্রিসভার ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। আর চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩২ এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ থেকে ৩৪ করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, সরকারি চাকরিরত মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করে একটি প্রস্তাব প্রণয়ন করা হচ্ছে। আগামী সোমবার না হলে পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা উত্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত দেওয়ার পরই বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, সরকারি কর্মচারীদের চাকরির বয়সসীমা ৬১ বছর করার আরেকটি প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ থেকে ৩৪ এবং সাধারণদের ৩২ থেকে ৩৪ করার প্রস্তাবটিও সেখানে থাকছে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয় বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে। এ লক্ষ্যে সরকারি চাকরি বিধিমালায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে সূত্র জানায়। সূত্র জানায়, এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা এবং সংসদ, সংসদীয় কমিটি, জেলা প্রশাসকদের বিভিন্ন প্রস্তাব বিবেচনায় নিচ্ছে। সূত্র জানায়, উন্নত দেশগুলো তাদের জনগণকে মানবসম্পদে রূপান্তরের ক্ষেত্রে বয়সের কোনো সীমারেখা নির্দিষ্ট করেনি। পার্শ্ববর্তী দেশসহ ওই সব দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা আমাদের দেশের তুলনায় অনেক বেশি। কোনো কোনো দেশে অবসরের আগের দিন পর্যন্ত চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ রাখা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৪০, বিভিন্ন প্রদেশে বয়সসীমা ৩৮ থেকে ৪০, শ্রীলংকায় ৪৫, ইন্দোনেশিয়ায় ৩৫, ইতালিতে ৩৫ বছর কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৩৮, ফ্রান্সে ৪০, ফিলিপাইন, তুরস্ক ও সুইডেনে যথাক্রমে সর্বনিম্ন ১৮, ১৮ ও ১৬ এবং সর্বোচ্চ অবসরের আগের দিন পর্যন্ত। আফ্রিকায় চাকরি প্রার্থীদের বয়স বাংলাদেশের সরকারি চাকরির মতো সীমাবদ্ধ নেই। অর্থাৎ চাকরি প্রার্থীদের বয়স ২১ হলে এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে যেকোনো বয়সে আবেদন করা যায়। রাশিয়া, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্যে যোগ্যতা থাকলে অবসরের আগের দিনও যে কেউ সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল গভর্নমেন্ট ও স্টেট গভর্নমেন্ট উভয় ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়স কমপক্ষে ২০ বছর এবং সর্বোচ্চ ৫৯ বছর। কানাডার ফেডারেল পাবলিক সার্ভিসের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২০ বছর হতে হবে, তবে ৬৫ বছরের উর্ধে নয় এবং সিভিল সার্ভিসে সর্বনিম্ন ২০ বছর এবং সর্বোচ্চ ৬০ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে আবেদন করা যায়। গত বছর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২১তম বৈঠকে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে নবম জাতীয় সংসদেও শেষ দিকে মহাজোট সরকারের চমক হিসেবে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক নির্দেশনা দেয়া হয়। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব ছিল। ২০১৪ ও ২০১৫ সালের জেলা প্রশাসক সম্মেলনে এ প্রস্তাবের পক্ষে বিভিন্ন জেলা-প্রশাসকরা সমর্থন দিয়েছিলেন। প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২০১১ সালের ২৬ ডিসেম্বর তারিখে ২০১১ অধ্যাদেশ মোতাবেক সরকারি কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হয়েছে। কিন্তু চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বয়সসীমা ৩০ বছর রয়েছে। চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮

মোহাম্মদ শামছুদ্দীন বলেছেন: ভাই এই কথা ৩/৪ মাস অাগে থেকেই শুনতেছি ।

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

প্রামানিক বলেছেন: খুশির খবর

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩

বিপ্লবী নিশান বলেছেন: এ আর নতুন কি ! ৪ মাস যাবত হচ্ছে হবে -মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব উঠিতেছে উঠবে ......এরকমই শুনিতেছি!

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১০

লাবু২২ বলেছেন: খবর টা খুশির, তবে তা আদৌ কার্যকর হবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.