নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উড়তে ভালো লাগে,মেঘের সাথে লুকোচুরি ভাল লাগে। ভাল লাগে এক আকাশ তারা কে সাক্ষী রেখে নাবিকের মত পথ খুঁজে নিতে। চোখ বন্ধ করে একটা নীল সমুদ্র আকঁতে ভাল লাগে। আর ভাল লাগে \"তুমি\" তে হারিয়ে যেতে ।

রঙ্গীন ঘুড়ি

ডাক্তারী বিদ্যায় অধ্যনয়রত শিক্ষানবিস একজন। ছোট বেলা থেকেই সৃজনশীল কাজ ভাল লাগে। বাবার অনুপ্রেরণায় প্রথম লেখালেখির শুরু। ভাল লাগে ছবি তোলতে। বেশ কয়েকবার ছবি প্রদর্শিত ও হয়। এইতো লেখালেখি,ছবি,পড়াশোনা,মানব সেবার ইচ্ছা। সব মিলিয়েই আমি।

রঙ্গীন ঘুড়ি › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বয়:সন্ধি,আত্মহত্যার জিজ্ঞাসা এবং একটি উত্তর "

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:২৩



আপনার মোটামুটি সবটুকু জানলাম যতটা আপনি বললেন। আপনি সেই ছোট বেলা থেকে খুব বড় ধরণের একটা শকের মধ্যে ছিলেন। একটা ছোট বাচ্চা কিভাবে বড় হয় জানেন? বাবা-মা এর সমান সমান,কখনো বাবার বেশি আদর কখনো মায়ের বেশি আদরে। এটা একটা শিশুর সুস্থ বিকাশ দেয়। আপনি সেই পরিবেশটা পান নি। আপনার ভাই সেটা মানিয়ে নিতে পেরেছে। কিন্তু আপনি পারছেন না।

এবার একটু অন্যদিকে আসি। আপনি যে বয়স টা পার করছেন সে বয়স টা পুরো জীবনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং একটা সময়। এই সময়ে মানুষের মনের ব্যাপক চ্যাঞ্জ ঘটে । নাটকীয় পরিবর্তন যাকে বলে। আস্তে আস্তে পৃথিবীটা অনেক বেশি সুন্দর,একটু ঘুরে বেড়ানো, নিজের স্বাধীনতা, একটু খানি ফ্যান্টাসি কারো কথা ভেবে,অনেক বেশি ইমোশনাল। এটা শুধু আপনি না আপনার বয়স পাড় করা প্রতিটা ছেলে মেয়ের জন্য প্রযোজ্য। কিছু ভাল লাগে না মনে হয়।

আচ্ছা, মানুষ কেন আত্মহত্যা করে? নিশ্চয় খুব বেশি মানসিক কষ্ট কিংবা খুব বেশি ইমোশনাল হয়ে গেলে। তাই না?? আত্মহত্যা কতটা যুক্তিযুক্ত?? আপনি পৃথিবীতে এসেছেন একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। এই সময়ের পর আপনি চাইলেও নিজেকে ধরে রাখতে পারবেন না। দুনিয়ার জীবনটা অনেক বেশি উপভোগ্য। অনেক বেশি সুন্দর। এই একটা জীবন চলে গেলে আর আসবে না। আপনি চলে গেলে কি হবে?? আপনার জন্য মানুষ ২ দিন কাঁদবে। আপনার মা,বাবা, ভাই মাসের পর মাস আপনার শত স্মৃতি মনে করে লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদবে। কিন্তু তারপর?? সময় সব ক্ষত শুকিয়ে দেয়। একসময় সবাই ভুলে যাবে তারিন নামে কেউ একজন ছিল। আর আপনি বাঁচলে কি হবে?? কারো কোন লাভ হবে না। লাভ টা হবে আপনার ই। আপনি আরো কিছুদিন স্বপ্ন দেখতে পারবেন। আরো কিছুদিন নিজের মত নিজের তৈরি একটা পৃথিবীতে ঘুরতে পারবেন। হয়ত কেউ একজন আপনার হাতটা একবার ধরবে বলেই আছে। কেন তাকে নিরাশ করবেন?? কোন দু:খই চিরস্থায়ী না। বিশ্বাস করেন কোন দু:খই চিরস্থায়ী হয় না। চোখ বন্ধ করে একটা অন্ধকার তারা ভরা আকাশ কল্পনা করুন। কল্পনা করুন আপনি পাহাড়ের ঠিক চূড়ায় শোয়ে শোয়ে একটা পূর্ণিমার চাঁদ আর এক আকাশ তারা দেখছেন। পাশে আপনার প্রিয় মানুষ। যে মানুষ শুধুই আপনাকে পেয়ে খুশী। তার আর কিছুই পাওয়ার নেই। দেখুন তো জীবনটা কত বেশি সুন্দর। তবে কেন মরে যাবেন?? একটুও কি ইচ্ছা করে না বিকাল বেলা এক চিলতে আলো আপনার জানালার কাঁচ গলে গালে এসে পড়ুক?? জীবনটা সিনেমা না। নাটক না। যেখানে সবটা জুড়ে সুখ আর সুখ। জীবনটা উপন্যাসের মত। যেখানে সুখের পর দু:খ তারপর আবার সুখ।

সুখ লুকিয়ে থাকে খুব ছোট খাট কোন কাজে। খুঁজে বের করে বুকের ভিতর রাখতে হয়। আমি আমার কথাই বলি। আমার কোনদিনই কোন ধরণের এক্সট্রা চাহিদা ছিলো না। যতটুকু সুখ তা যদি খুব অল্প হয় তাতেই আমি খুশি। :) সিম্পল জীবন। সাদামাটা সবকিছুই।


জীবনকে জটিল করলে শুধু জটিলই হবে। সহজ সরল করে দিন জীবনকে। কারো চোখের তারায়,কারো ঠোটের হাসির মাঝে হারিয়ে যান। নিজেকে খুঁজে পাবেন। যে মানুষ আপনার গুরুত্ব বুঝবে তাকে মনে প্রাণে ধরে রাখুন। যেতে দিবেন না। এতবেশি ভালবাসা দিবেন যেন সে আর যেতেই না পারে এই মায়া ছেড়ে !

আপনার জীবনের অনেক বেশি মূল্য। অনেক বেশি। আমি বলবো আপনি এমন কিছু করুন যা আপনার ভাল লাগে। এই যেমন আমি ফেসবুকে টুকটাক লিখি,ছবি তুলি এগুলো আমার ভাল লাগে। আমার সময় কেটে যায়। সৃজনশীল কাজে নিজেকে মেলে ধরুন সবার সামনে। একটা লাইন আছে এমন, "মেয়ে, তুমি অনন্যা,অদ্বিতীয়া " মাথায় রাখবেন।

আর একটা কথা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন। দেখবেন কতটা শান্তি লাগে। আমি যখন খুব হতাশায় পড়ে যায় তখন আল্লাহকে ডাকি এক মনে। খুব বেশি শান্তি পাই তখন। বিপদ যায় না তবে বিপদ কাটানো র মত মানসিক শক্তি পাই।

দিনশেষে এক একটা দিন বেঁচে থাকা আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। আল্লাহ স্পষ্ট বলে দিয়েছেন "আত্মহত্যাকারী" কোনদিনই জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তাদের জন্য রয়েছে নরকের সর্বনিম্নতম জায়গা।

আশা করি আমার সবগুলো কথা বুঝতে পেরেছেন এবং খুব ভাল করে মেনে চলবেন। জীবনটা আপনার, তাকে সুন্দর করার দায়িত্ব ও আপনার। কষ্ট সব ঠিক হয়ে যাবে। ধৈর্য্য ধরুন, আস্থা রাখুন সৃষ্টিকর্তার উপর। ধন্যবাদ

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪২

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: পজিটিভ ভাবনা।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫৫

রঙ্গীন ঘুড়ি বলেছেন: চারদিকে এতবেশি নেগিটিভিটি যে নিজেকেই ঠিক রাখতে কষ্ট হয়। :( ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:




কিছু একটা লিখতে হয়, লিখেছেন; ভালো

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:২৪

রঙ্গীন ঘুড়ি বলেছেন: ধন্যবাদ গাজী ভাই। ;) সালাম নিবেন। :) শুভকামনা রইল। :)

৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০৫

গাজী বুরহান বলেছেন: আর একটা কথা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন। দেখবেন কতটা শান্তি লাগে। আমি যখন খুব হতাশায় পড়ে যায় তখন আল্লাহকে ডাকি এক মনে। খুব বেশি শান্তি পাই তখন। বিপদ যায় না তবে বিপদ কাটানো র মত মানসিক শক্তি পাই।

ভালো লিখেছেন

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:২৫

রঙ্গীন ঘুড়ি বলেছেন: ধন্যবাদ বুরহান ভাই। শুভকামনা রইলো। :)

৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:৩৮

কালনী নদী বলেছেন: মনস্তাত্বিক! মানসিক প্রশান্তিদায়ক।

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

রঙ্গীন ঘুড়ি বলেছেন: চারপাশে এত এত নেগিটিভিটি আর খারাপ চিন্তা মানুষের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে যে এগুলো দেখে খুব খারাপ লাগে। লেখালেখির দরুণ কিছু ফ্যান হয়েছে চেষ্টা করি অন্তত তাদের যেন আলোর পথ দেখাতে পারি। ধন্যবাদ কালনী নদী ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.