![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডাক্তারী বিদ্যায় অধ্যনয়রত শিক্ষানবিস একজন। ছোট বেলা থেকেই সৃজনশীল কাজ ভাল লাগে। বাবার অনুপ্রেরণায় প্রথম লেখালেখির শুরু। ভাল লাগে ছবি তোলতে। বেশ কয়েকবার ছবি প্রদর্শিত ও হয়। এইতো লেখালেখি,ছবি,পড়াশোনা,মানব সেবার ইচ্ছা। সব মিলিয়েই আমি।
টিউশনি শেষে দাঁড়িয়ে আছি নিউমার্কেটের একটু সামনে। রিকশার জন্য অপেক্ষা...
-ওই মামা,যাইবা??
-কই যাইবেন?
-বকশি বাজার সিঙ্গেল (কোন এক অজ্ঞাত কারণে সিগন্যালকে সব রিকশাওয়ালা মামা সিঙ্গেল বলে। বুঝার সুবিধার্থে আমিও সিঙ্গেল বললাম :p)
-হ,যামু। ৪০ ট্যাকা।
-ধূর মামা। ২৫ টাকার ভাড়া এত চাও ক্যান?
-হে হে। মামা,সামনে হাঁইটা লাভ নাই। একসময় আমার কথা স্মরণ হইবো।
কিছু না বলে চলে আসলাম। হাঁটছি আর জিজ্ঞাস করছি । নাহ,কেউ যাবে না। ওইদিকে আবার বৃষ্টির ছোট ছোট ফোটা শুরু হল । হাঁটতে হাঁটতে নীলক্ষেত মোড়ে চলে আসলাম। বৃষ্টির ফোটা ক্রমে ছোট থেকে বড় হচ্ছে। নীলক্ষেত মোড়ে একটা রিকশা পাইলাম চল্লিশ টাকা বললো আবারো। আমি আবারো অনড়। এতটা হাঁটলাম তাও চল্লিশ? অসম্ভব।
ভিজতে ভিজতে টঙে যেয়ে উঠলাম। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর এক রিকশাওয়ালা মামা আসলো। বললাম আবার। একই উত্তর। ৪০ টাকা। না করে দিলাম। রিকশার অভাব আছে নাকি?? ওই ব্যাটা ক্যালানো শুরু করছে রিকশায় বসে আমার দিকে চেয়ে। এমনিতেই ভিজে অবস্থা খারাপ তার উপরে ব্যাটা কিনা ক্যালাইতেসে !!
১৫ মিনিট অপেক্ষা করলাম। বৃষ্টি থামে একবার,বাড়ে একবার। রিকশাওয়ালা মামারা পার্ট নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।বাট কেউ যায় না। অবশেষে কোন উপায় না পেয়ে ওই ক্যালানো রিকশাওয়ালা কেই বললাম
"মামা,তুমি চল্লিশ বলছিলা না? চল "।
"না মামা,পঞ্চাশ ট্যাকা "
"আরে,তুমি না একটু আগে বললা চল্লিশ ! "
"মামা,বৃষ্টি একটু বাড়ছে। হের লাইগা ভাড়াও বাড়ছে। "
২ মিনিট ওয়েট করে নিজেকে হাজারটা গালি দিয়ে ওই রিকশাতেই উঠলাম।
♦♦♦ফুটনোট- পরিবেশ পরিস্থিতিতে রিকশাওয়ালা মামাদের কথা শুনতে হয়।
©somewhere in net ltd.