নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উড়তে ভালো লাগে,মেঘের সাথে লুকোচুরি ভাল লাগে। ভাল লাগে এক আকাশ তারা কে সাক্ষী রেখে নাবিকের মত পথ খুঁজে নিতে। চোখ বন্ধ করে একটা নীল সমুদ্র আকঁতে ভাল লাগে। আর ভাল লাগে \"তুমি\" তে হারিয়ে যেতে ।

রঙ্গীন ঘুড়ি

ডাক্তারী বিদ্যায় অধ্যনয়রত শিক্ষানবিস একজন। ছোট বেলা থেকেই সৃজনশীল কাজ ভাল লাগে। বাবার অনুপ্রেরণায় প্রথম লেখালেখির শুরু। ভাল লাগে ছবি তোলতে। বেশ কয়েকবার ছবি প্রদর্শিত ও হয়। এইতো লেখালেখি,ছবি,পড়াশোনা,মানব সেবার ইচ্ছা। সব মিলিয়েই আমি।

রঙ্গীন ঘুড়ি › বিস্তারিত পোস্টঃ

"প্রিয় আকাশী"

০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১৪



প্রিয় আকাশী,
তুমি জানতে চেয়েছিলে আমার বিষন্ন একেকটা বিকেলের কথা,
কিভাবে একের পর এক কষ্ট পুড়িয়ে বেঁচে আছি আমি।
চিঠিটা তোমার গতকালই পেলাম -
হতচ্ছাড়া ডাকপিয়নটা তোমার চিঠিটা
গত সপ্তাহে আনতে ভুলে গিয়েছিল।

জানতে পারলাম আজকাল নাকি
তুমি আর বারান্দায় যাও না,
একজোড়া কাঠগোলাপ নাকি আর ছুঁয়ে দেখো না,
সকালের সূর্যটা নাকি আলো ছড়াতে ভুলে যায় তোমার শহরে।
আজকাল নাকি বড্ড একা একা লাগে তোমার।
তোমার ওই আত্মাটা নাকি মরে গেছে অনেককাল আগেই।

প্রিয় আকাশী,
আমি প্রতিটা শব্দ, প্রতিটা অক্ষর ছুঁয়ে দেখিছি তোমার চিঠির..
এককালের দূর্দান্ত প্রেমিক আমি হারিয়ে গেছি অনেক আগেই-
শরৎ এর বিষন্ন বিকেলগুলোতে এই আমি যে কতবার
তোমার চিন্তায় দীর্ঘশ্বাস ফেলেছি আনমনে !!

তুমি যেদিন চলে গিয়েছিলে আমায় ছেড়ে-
আমি সেদিনটাও বোকার মত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বসেছিলাম।
আজকাল না খুব বেশি আফসোস লাগে আমার,
আফসোস লাগে তোমার চলে যাওয়ার পথে
একবার যদি তোমাকে পিছন থেকে ডাক দিতাম !

বছর বিশেক আগে শীতের বই মেলায় তোমায় দেখেছিলাম,
পরনে ছিল সেই নীল শাড়ি আর চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা।
কোলে ছিল ফুটফুটে এক দেবশিশু !
আমি সেদিন ভীষণ লজ্জা পেয়েছিলাম তোমায় দেখে,
ভালই হলো বেকার আমি তোমায় কি এত সুখে রাখতে পারতাম?
ভীষণ ইচ্ছা করছিল সেদিন তোমার কাছে ছুটে যেয়ে
শুধু একটাবার বলি "কেমন আছ, প্রিয় আকাশী?"

প্রিয় আকাশী,
এই প্রবাস জীবনে বিষন্ন জানালার ধারে বসে ভাবছি তোমাকে,
এত এত অচেনা মুখের ভীড়ে তোমার মত কাউকে দেখলে
আজো থমকে দাঁড়াই আমি,
আজো আমার বুকের ভিতরটা মোচড় দিয়ে উঠে।
সামলাতে পারি না,ধরতে পারি না তোমায় নিয়ে গড়া স্বপ্নগুলো।
তোমার চিঠিটা আমি আমার বুক পকেটে রেখে দেই,
আমার প্রবাস জীবনের সবটুকু আবেগ জমে থাকে
সেই বুক পকেটের ছোট্ট চার কোণা ভাজ করা কাগজে!

আসছে বসন্তে দেশে আসতে পারি অনেকদিন পর-
কেমন হয়েছে তোমার সংসার,
কেমন হয়েছ তুমি,
কেমন হয়েছে তোমার কোলের ওই দেবদূতটা দেখতে!
তুমি জানিয়ে ছিলে দেশে আসলে যেন তোমার ওইখানেই উঠি
কিভাবে উঠবো আমি তুমিই বল !
যেই অহংকারে চাপা পড়েছিল বিশ বছর আগের ভালবাসাটা,
সেই অহংকারটা যে আজও রয়ে গেছে আমার মাঝে !!

প্রিয় আকাশী,
আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিও...
আমি বুঝতে পারি নি তোমার ভালবাসা সেদিন,
আমি বুঝতে পারি নি সেইদিনের তোমার নীরব চোখের ভাষা!
আমি বুঝতে পারি নি তোমাকে হারিয়ে ফেলবো এভাবে।

ক্ষমা করে দিও আকাশী, ক্ষমা করে দিও প্রিয়.....

ইতি,

তোমার বিশ বছর আগের আমি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

অয়ন নাজমুল বলেছেন: সাদামাটা।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:২৮

রঙ্গীন ঘুড়ি বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। :) শুভকামনা রইলো।

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:১৯

কানিজ রিনা বলেছেন: ফ্যকাসে চশমা

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:২৯

রঙ্গীন ঘুড়ি বলেছেন: হয়ত নোনা পানির কিছু বাষ্পও জমেছে চশমার মোটা গ্লাসে ! ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। শুভ কামনা রইলো।

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:২৩

আনিসা নাসরীন বলেছেন: আকাশীর প্রতি ভালবাসা না বলা সে কথার মতোন। ভাল লেগেছে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৩১

রঙ্গীন ঘুড়ি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল লাগায় যোগ করার জন্য। যুগ যুগ ধরে আকাশীরা বেঁচে থাকে বুক পকেটের চারকোণা খামে । ভাল থাকবেন। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.