নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উড়তে ভালো লাগে,মেঘের সাথে লুকোচুরি ভাল লাগে। ভাল লাগে এক আকাশ তারা কে সাক্ষী রেখে নাবিকের মত পথ খুঁজে নিতে। চোখ বন্ধ করে একটা নীল সমুদ্র আকঁতে ভাল লাগে। আর ভাল লাগে \"তুমি\" তে হারিয়ে যেতে ।

রঙ্গীন ঘুড়ি

ডাক্তারী বিদ্যায় অধ্যনয়রত শিক্ষানবিস একজন। ছোট বেলা থেকেই সৃজনশীল কাজ ভাল লাগে। বাবার অনুপ্রেরণায় প্রথম লেখালেখির শুরু। ভাল লাগে ছবি তোলতে। বেশ কয়েকবার ছবি প্রদর্শিত ও হয়। এইতো লেখালেখি,ছবি,পড়াশোনা,মানব সেবার ইচ্ছা। সব মিলিয়েই আমি।

রঙ্গীন ঘুড়ি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প- "আমাদের সেই দিনগুলো"

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৫৩





১.
যদি আর একবার জীবন পাও কি করবে??"
"অন্য জীবনে পাখি হব আমি। ঘুরে বেড়াবো আকাশে। সেখানে কোন ট্রাফিক জ্যাম নাই। একগাদা গরম নাই। শুধু নীল আর নীল।"
"তুমি যে কি সব ভাবো ? এই শোন না, আমাদের বাসাটা কেমন হবে?"
"একটা কাঠ বাড়ি বানাবো। বুঝলেন কিছু?? তারপর সেই বাড়ি বরাবর কিছু মেঘ কে ডেকে আনবো। যখন ইচ্ছা করবে মেঘকে বলে দিবো। মেঘ বৃষ্টি হয়ে ঝরবে "
"তুমি পারো ও। একটা সিরিয়াস কথা বললাম আর সেখানেও কিনা তোমার সাহিত্য প্রতিভা জাহির করা শুরু করলে। "

কপট মুখ ভার করে অন্যদিকে তাকিয়ে ছিল মাধবী। আমি এসব ব্যাপারে উদাসীন খুব। কেন জানি আকাশের তুলোতুলো মেঘগুলো খুব আপন লাগছিল আমার। একমনে তাকিয়ে ছিলাম। মাধবীও চুপ আমিও চুপ। কতক্ষণ আমরা এভাবে ছিলাম মনে নেই।

মাধবী মেয়েটা অনেক ভাল। এই যে আমার এই পাগল পাগল ভাব,উদাসীনতাগুলো কত সহজেই মেনে নেয়। আমার মনে হয় ও ব্যাপারগুলো উপভোগ করে। মেয়েটা খুব পরিপাটি। আমি আড়চোখে ওর কপালের 'লাল' টিপটা দেখে নেই। বাঁকা চুল গুলো এলো হাওয়ায় আমার মুখে এসে পড়ে। আমি ইচ্ছা করেই মাথাটা এলিয়ে দেই ঘাড়ে। মাধবী ঠিকই বুঝতে পারে। ওর স্নিগ্ধতা আমাকে মুগ্ধ করে। কে বলবে মেয়েটা প্রায় প্রতিদিন ২/৩ টা প্রাইভেট পড়িয়ে আমার কাছে আসে।

এই ক্ষেত্রে আমি খুব আলসে। সারাদিন শুয়ে বসে থাকি। বেকার গ্র‍্যাজুয়েট। চাকরি বাকরি আমাকে দিয়ে হবে না তা খুব ভাল করেই জানি। নীল রঙের জিন্সটা কবে মলিন হয়ে গেছে মনে নেই। মুটে ৩ টাই প্যান্ট আমার। এমন না যে আমার হাতে টাকা পয়সার অভাব। বাসা থেকে নিয়ম করে বেহায়ার মত টাকা চেয়ে নেই। কিন্তু ওই যে ! কেউ ধার চাইতে আসলো দিয়ে দিলাম। তার আর ফেরত দেয়ার নাম নেই। কেউ বিপদে পড়েছে নিজের পকেটের টাকা খরচ করলাম।

সবাই আমাকে এটা সেটা বলে। বলে কেন আমি এতটা উদাসীন সব ব্যাপারে। শুধু একজন ছাড়া। মাধবী আমাকে কোনদিন কিচ্ছু বলে না। কতদিন এমনও হয়েছে সারাদিন কিছু না খেয়ে মাধবীর সাথে দেখা করতে গেছি। সে ঠিক আমার মায়ের মত অদ্ভুত কাজটা করে ফেলে। কিভাবে যেন আমাকে দেখেই বুঝে ফেললো আমি অভুক্ত বান্দা।
"এই,কই হারিয়ে গেলে? তুমি কি আমার রাগটাও বুঝবে না? "
"মেয়েরা মায়াবতী জাতি। ওরা সবাইকে মায়ায় বেঁধে নেয় খুব সহজে। এই যে তুমি কত মায়া নিয়ে আমাকে বললে কথাগুলো ! আমি ঠিকই বুঝতে পেরেছি। ঠিক বলিনি বল?"

মাধবী ফিক করে হেসে দিলো। আমি বরাবরের মত মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কিছুকিছু হাসিতে শুধু ঠোঁট হাসে। কিন্তু কিছু কিছু হাসিতে মনে হয় পুরো মুখটাই হেসে উঠে। মাধবীর হাসিটা সেই রকমই। আমি প্রতিবার খুব তৃপ্তি নিয়ে দেখি।
মাধবীর সাথে আমার পাগলামির দিনগুলো খুব ভালই চলছিল। বিক্ষোভ মিছিলের লাঠিসোঁটার মত আমি হুড়মুড় করে প্রেমে পড়ছিলাম প্রতিদিনই।

সেবার ছিল 'বাসন্তী উৎসব' । ও বায়না ধরেছে আমাকে হলুদ পাঞ্জাবী কিনে দিবেই দিবে। আমার এসবে খুব আপত্তি। আমি বরাবরের মতই এড়িয়ে যাই। এবারও এড়িয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলাম না। এই নাছোড়বান্দা মেয়ে আমাকে হলুদ পাঞ্জাবী পড়িয়েই ছাড়বে। অগত্যা কি আর করা।

বিকাল থেকে বসে আছি টিএসসি চত্ত্বরে। মাধবী বলেছিল সাড়ে তিনটার মধ্যেই চলে আসবে। যদিও মেয়েদের কথাই বিশ্বাস করা উচিত না। কিন্তু ও একটু অন্যরকম। এই তিন বছরের প্রণয়ে ও কোনদিনও সময় এদিক ওদিক করে নি। বরং আমিই ছিলাম ব্যতিক্রম। এমনও দিন গেছে ওকে আসতে বলে নিজেই ভুলে গেছি। মেয়েটা পাক্কা ২ ঘন্টা অপেক্ষা করেছিল আমার ফোন বন্ধ পেয়ে । কিন্তু ৪ টা বেজে গেল। মেয়েটা আজ এখনো আসে নি কেন?? সাজগোজ এ ব্যস্ত বেশি নাকি কোন ....... ?



২.
বিকাল ৪ টা গড়িয়ে ৫টার পথে ঘড়ির কাটাটা। আমি বোকার মত এখনো বসে আছি টিএসসিতে। এই মূহুর্তে কি করা উচিত আমার? আমি কি মাধবীর বাসায় যাব? যেয়ে কি বলব? কি পরিচয় দিবো?? অথবা আমাকে হঠাৎ দেখে মাধবী কি করবে??
এসব আজগুবি জিনিসপত্র ভাবছিলাম। সেই মূহুর্তে একজন কাঁধে হাত রাখলো আমার। আমি তার দ্রুত নি:শ্বাস এর শব্দ পাচ্ছিলাম তখনো !

"একি,মাধবী ! এভাবে হাঁপাচ্ছো কেন? "
"সব বলবো। আগে আমাকে একটু বসতে দাও। তোমার জন্য সবটা পথ যে কিভাবে আসলাম।
"আচ্ছা,আচ্ছা। তুমি সময় নাও।"
কিছুক্ষণ নীরবতা ভেঙে মাধবী আমার হাত ধরলো। এমনিতে বাসন্তী উৎসব । এত এত মানুষের ভীড়ে মেয়েটা লজ্জাশরম ভুলে এই কাজটা করে ফেললো। আমি বরাবর এর মতই খুব লাজুক ছিলাম। পাশাপাশি হাঁটতে গেলেও এদিক ওদিক তাকাতাম শুধু। এসব দেখে মাধবী শুধু মুচকি হাসতো। আমি ওর দিকে না তাকিয়েও বুঝতাম সবকিছু।
"আমি কিন্তু ঠিক সময়েই বের হয়েছিলাম।"
"তারপর ম্যাডাম? কি এমন হলো যে এই বান্দা কে এতক্ষণ বসিয়ে রাখলেন?
"আসার পথে দেখলাম একটু ছোট বাবু এক্সিডেন্ট করেছে। অনেক রক্ত ঝরেছে। কোথাও রক্ত পাচ্ছে না বাবা মা। "
"তারপর আপনি সেই মহৎ কাজটি করতে গেলেন? আচ্ছা তুমি না সেদিন রক্ত দিলে? আজ আবার?"
"সেদিন কই? তিন মাস পাড় হয়ে গেছে তো । তাছাড়া.... "
আমি থামিয়ে দিলাম ওকে। একটা নিশ্চয়তার হাসি দিলাম। ও বুঝে নিল ঠিক ঠিক।

মেয়েটাকে যেন প্রতিটা দিন অন্যরকম লাগে। এক একদিন এক এক রকম ! বিধাতার কি অপূর্ব সৃষ্টি ! আজ ওকে খুব সুন্দর লাগছে। ওর কপালের লাল টিপে আমি পথ হারাই। আমার ছোটগল্প গুলো খেই হারায় অজানায়। প্রচন্ড উদাস আমার মনে হয় এই মুখটার জন্য হয়ত আমি সব করতে পারবো ।

বৃষ্টির ওই দিনটার কথা তো বলাই হয় নি। ভার্সিটির পাঠ চুকালেও প্রায়ই ভার্সিটি আসা হয়। আশ্বিন এর কোন একদিন আমরা ফুলার রোড ধরে ফিরছিলাম। কথা নেই বার্তা নেই হঠাৎ কিছু মাতাল হাওয়ার আনাগোণা । আমাদের সারাদিনের ক্লান্তি নিমিষেই উড়ে গেল। বেখেয়ালী বৃষ্টি আমাদের একদম কাক ভেজা করে দিলো। রাস্তা একদম জনপ্রাণী বিহীন । শুধু আমি, মাধবী সাথে একরাশ উদাসী মাতাল হাওয়া আর টুপটাপ বৃষ্টি। বিশ্বাস করুন একদম স্বর্গ মনে হচ্ছিল আমার কাছে সবকিছু। মনে হচ্ছিল আজকের দিনটাকে কি চিরদিনের মত বাঁধাই করে রাখা যাবে ! কিংবা টাইম মিশিনে চড়ে প্রিয়দিনগুলো ঘুরে আসা যেত তবে আমি নি:সন্দেহে ওই দিনটায় বারবার ফিরে যেতাম।


"এই রাকিন,উঠ বাবা। বেলা তো অনেক হল। "
আম্মার হঠাৎ ডাকে ঘুমটা ভেঙে গেল আমার। পাল্লা দিয়ে আফসোসের মাত্রা বাড়ছিল। আর একটু দীর্ঘ হলে ভাল হতো স্বপ্নটা.........

আম্মা টেবিলে নাস্তা দিয়ে রেখেছেন। নাস্তা খেতে খেতে আফনানের কথা জিজ্ঞাস করলাম। আফনান আমার ছেলে। ও ক্লাস টু তে পড়ে। অনেক বড় হয়ে গেছে বাবাটা আমার। রাত করে ঘরে ফিরে ছেলেটাকে আর আদর করা হয় না। ঘুমের মাঝে ওর কপালে চুমু দিয়ে যাই প্রতি রাতে। ও কি বুঝতে পারে তার বাবাই তাকে কত্তটা মিস করে??

সকালে আমি উঠার আগেই দাদুর সাথে স্কুলে চলে যায়। ছুটির দিনগুলো ছাড়া ছেলেটার সাথে কথাই হয় না। কেমন জানি যাত্রিক হয়ে যাচ্ছে দিনগুলো। আগামী পড়শু আফনানের জন্মদিন। বস কে বলে যেভাবেই হোক ছুটি টা নিতেই হবে আমার। বছরে একটা মাত্র দিন। গত প্যারেন্টস মিটিং এ যেতে পারি নি দেখে সে কি মন খারাপ ওর।



৩ .
কাল আফনানের জন্মদিন। সকাল থেকে সে আম্মুর কাছে যাবে বলে বায়না ধরেছে। কিভাবে বুঝাবো আমি ওর আম্মুর দেশে ফিরতে আরো কয়েকদিন লাগবে !!

বিকেলের সোনালী আলো পর্দার ফাঁক গলে আমার গালে এসে পড়ছে। ছুটির দিনটায় আমি সারাদিন বাসায় শুয়ে বসেই কাটাই। ছেলেকে সময় দেই। ওর আম্মু যখন ছিলো তখন এতটা ফিল করতে পারতাম না। এখন বুঝতে পারি সবকিছু। একজন মা এর অভাব একজন বাবা সম্পূর্ণ পূর্ণ করতে পারে না। কিন্তু একজন বাবার অভাব একজন মা পূর্ণ করে দিতে পারে।
মনে পড়ে গেল ১০ বছর আগের স্মৃতি গুলো। এখনো রঙ্গীন সবকিছু আমার মানসপটে। কোথাও বিন্দুমাত্র মরিচা পড়ে নি।

মাধবীর সাথে আমার প্রেম তখন চার বছর থেকে পাঁচ বছরে পা দিয়েছে। আমার উদাসীনতা তখনও লাগামছাড়া । এই অশান্ত,খাপ ছাড়া আমাকে নিয়ে মাধবীর কোন সমস্যা ছিল না কোন কালেই। মাধবী একদিন কাঁদো কাঁদো সুরে বলেছিল

"আমি চাই না তুমি তোমার স্বকীয়তা হারাও। এই তোমাকে আমি ভালবেসেছি। ভালবাসা মানে দুইটা মনের মিল। কিন্তু বাস্তবতা বলে একটা কথা আছে। তোমাকে সেভাবেই উপস্থাপন করতে হবে রাকিন। আমি চাই না কেউ তোমাকে নিয়ে বিন্দুমাত্র কথা বলার সুযোগ পাক। তুমি হবে আমার গর্ব, তুমি হবে আমার আশ্রয়।"

আমি জানি না ঠিক কি হয়েছিল সেদিন আমার। তবে বুঝে গিয়েছিলাম এই হাসিমুখটার জন্য আমি যেকোন কিছু কর‍তে রাজি।
সব অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে দুই পরিবারের সম্মতিতে আমাদের বিয়ে হয়। এর মধ্যে আমি একটা ছোট খাট ব্যবসা জুড়ে দিয়েছি। অন্তত আমি মাধবীকে নিয়ে যেন চলতে পারি। দেড় বছর পর আমাদের ঘর আলো করে এল আমাদের স্বর্গ, আমাদের আফনান।

আমি সবসময় স্বাধীন চেতনায় বিশ্বাসী। নিজের পায়ে দাঁড়ানোতে বিশ্বাস করি। আর এই বিশ্বাসের বীজ বুনে দিয়েছিল মাধবী। হুম,আমার সেই মাধবী। আমি কোনদিন না করি নি ওর ছোট ছোট ইচ্ছাগুলোকে। বরং আরো উৎসাহ দিয়ে গেছি। আমি আজ যেখানে আছি কিংবা ভবিষ্যতে যেখানে থাকবো তার পিছনে এই মানুষটার অবদান নি:সন্দেহে অতুলনীয়। এখন আমি একটা অনেক নামকরা ফার্মের সিনিয়র অফিসার । আমরা সেইসব দিনগুলো দেখেছি একসাথে যখন আমাদের কিছুই ছিলো না। মাধবী আমার হাত ধরে আমাকে সাহস দিতো। আমাকে অনুপ্রেরণা দিতো। হয়ত সে আমাকে শারীরিকভাবে সাহায্য করতে পারে নি কিন্তু মানসিকভাবে যতটা সাপোর্ট দিয়েছে তা ভাষায় হয়ত বর্ণনা সম্ভব না।

এখন আমাদের সুখের দিন বলা যায়। আজ নিয়ে মোট ১৬ দিন হলো মাধবী সিংগাপুরে গেছে। ওর নিজের খুব ইচ্ছা ছিল বাসায় ছোটখাট কিছু কুটির শিল্পের মত কিছু করা। আমি বাঁধা দেই নি।আস্তে আস্তে অনেক বড় হয়ে গেছে ওর সেই ছোট্ট উদোগ্যটা। সেখানকার সরকার তাকে সম্মাননা দিয়েছে। আমার ব্যস্থতার জন্য আর যাওয়া হয় নি সাথে। আফনানের বার্ষিক পরীক্ষা তাই ওকেও রেখে যেতে হল মাধবীর।


দুই একদিনের মধ্যে ফ্লাইটে দেশে ফেরার কথা। কিন্তু আমাকে এখনো জানায় নি। কতদিন হয়ে গেল আমার মাধবীকে দেখি না। বিয়ের এত বছর পরেও ওর প্রতি আমার আবেগ,ভালবাসা বিন্দুমাত্র কমে নি বরং অনেক বেড়ে গেছে। সাথে আর একটা জিনিস বেড়েছে তা হলো ওর প্রতি শ্রদ্ধা ! যতদিন যাচ্ছে ততবেশি মুগ্ধ হচ্ছি মানুষটার প্রতিটা কাজে। একহাতে কিভাবে সব কিছু পরিপাটি রাখছে !!

কলিং বেলের ঢং ঢং আওয়াজে ভাবনায় ছেদ পড়লো। বেশ কয়েকবার বাজার পরও কেউ দরজা খুলছে না দেখে আমিই এগিয়ে গেলাম হাই তুলতে তুলতে।

"সারপ্রাইজ !! "
"তুমি ! মাধবী। আমার যে কেমন লাগছে ! আমাকে তুমি জানাওনি কবে আসবে। "
"জনাব,আমি ক্লান্ত। ভিতরে আসতে দিবেন না? আমাদের আব্বু কোথায়?? আফনান বাবু?"
"আফনান এই মাত্র আম্মার সাথে কোচিং এ গেল। তুমি কেমন আছো?"


মাধবী আমাকে জড়িয়ে ধরে থাকলো অনেকক্ষণ। উষ্ণ জলের টপটপ ফোটায় আমার শার্টের কাধ ভিজে যাচ্ছিল। আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম একজনের বুকের ধুকপুকানির শব্দ। চোখের কোণটা ঝাপসা হয়ে এল আমার। বুঝতে পারছিলাম যেকোন সময় আমার চোখের জলরাশি লাগামহীন পাগলা ঘোড়ার মত ছুটে যেতে পারে।


আমাকে ভালবাসতে শিখিয়েছে মানুষটা। এই মানুষটার জন্যই আমি আজ সফল একজন পুরুষ। একজন পুরুষ হয়ত শারিরীক জোরে যুদ্ধ জয় করতে পারে কিন্তু একজন নারী শুধুমাত্র ভালবাসা দিয়ে পুরো বিশ্ব জয় করতে পারে। ভালবাসি, ভালবাসা....

"ভালবাসা ভালবাসে শুধুই তারে,
ভালবেসে ভালবাসায় ধরে যে রাখে। "

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.