নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই মুহূর্তে পৃথিবীর সব চেয়ে সাহসী মানুষ আমি । হাতে অস্র থাকলে"' যেমন নিজেকে সব চেয়ে সাহসী মনে হয় ? আমার সাথেও একটা অস্র আছে "
"সুন্দরি অস্র" এমন একটা অস্র পাশে থাকলে বিশ্ব জয় করাও অসম্ভব কিছু নয়।
আমরা দু'ই জন সিকসায় করে কাজী অফিস এর উদ্দ্যেশে রওয়ানা হলাম ।
আমার পাশে বসা মেয়েটির বোরকা পরা , কালো একটা বোরকা" সাথে হিজাব ।
হিজাব পরলে মেয়েদের পিচ্ছি পিচ্ছি দেখায় , হিজাব মেয়েদের মুখের সুন্দয আরও বহু গুণ বাড়িয়ে দেয় ।
হুট করে মেয়েটা আমার হাত চেপে ধরে " আমি চোরের মত এদেক সেদিক তাকাচ্ছি ! কেউ দেখছে না তো ? মেয়েটা কাঁদো কাঁদো গলায় বলছেঃ
ভাইয়া আমাকে মেরে'ই ফেলবে , ভাইয়া যে রাগ !
তোমাকে ছাড়া সত্যি আমি বাঁচবো না !
চলো আমরা অনেক দূর পালিয়ে যাই ?
অনেক অনেক দূরে... আমাদের স্বপ্নের মত কোন এক জায়গায়।
পালিয়ে যাবো কেন ?
তুমি শুধু আমার পাশে থেকো !
তুমি পাশে থাকলে আমি পৃথিবীও জয় করতে পারি... !
এই বলে মেয়েটির হাত একটু শক্ত করে চেপে ধরি ।
মেয়েটির মুখে একটু ভরসার হাসি ফুটে উঠেছে !
মেয়েদের এই হাসি সব সময় ধরা দেয় না... বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে ধরা দেয় ।
আমি এক দৃষ্টিতে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছি । মেয়েটার চোখ ,মু্খ, নাক ,ঠোট,
টগবগ করে হাসছে । অদ্ভুত সুন্দর এক বিশ্বাসের হাসি । খুব যত্ন করে আমি মেয়েটাকে দেখছি। একটু সময়ের জন্য হারিয়ে গিয়েছিলাম কল্পনার জগতে । হুট করে মেয়েটা আমার হাত ঝাকি দিয়ে বলেঃ
এই... এমন করে কি দেখ ?
তোমাকে ! তুমি অদ্ভুত সুন্দর । তোমার দিকে তাকিয়ে থাকলে বুক টা ভরে যায়
সত্যি তোমাকে ভালোবাসি !তোমাকে ছাড়া আমিও যে বাঁচবো না ।
হঠাৎ নজরে পরে "রিকসা ওয়ালা চাচু মিট মিট করে হাসছে !
মনে হয় আমাদের কথা শুনেছেন উনি ! আমরা নিজের গুটিয়ে নিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলাম ।
আমাদের রিকসা কাজী অফিস এর সামনে এসে পোঁছায়।
কথা থেকে দু চার টা ছেলে এসে রিক্সায় সামনে দাঁড়ায়,
কিছু বলার আগেই আমাকে টেনে হেঁচড়ে নামিয়ে... উত্তম মধ্যম দেয়... তার পর মনে নেই... চোখ খুলে দেখি আমি হাসপাতালের বিচানায় শুয়ে । আমার পাশে মা বসে বসে কাঁদছে ।পৃথিবী এইে একজন মানুষের কান্না সহ্য করা যায়না... খুব কষ্ট হচ্ছে মায়ের কান্না দেখে ।মায়ের হাতে হাত রেখে বলি " মা" আমি ভালো আছি ! তুমি কান্না করো না ।দুই দিন হাসপাতালে থাকার পর আমি বাসায় যাই । বাসায় যাওয়ার পর এক এক করে সব ঘটনার চোখের সামনে ভাসতে থাকে ।
একটু আগে যে মেয়েটির কথা বলেছি । আমার কাজিন " লোপা " কালকে ই তার বিয়ে । দীর্ঘ ৭ বছর ধরে লোপা কে ভালোবাসি । কিন্তু গত ছয় মাস আগে লোপা কে ভালোবাসার কথা বলি । প্রথমত যদিও লোপা
"এ হয়না ভাইয়া " বলে ফিরিয়ে দিয়েছে ...কিছুদিন পর ঠিক 'ই লোপার মনের কোন এক বিশেষ জায়গা আমি দখল করে নেই । দিন রাত কথা বলতে বলতে ভালোবাসার অথৈ সাগরে তলিয়ে যাই । এভাবেই এক সময় দুজন দুজন কে খুব গভীর ভাবে ভালবেসে ফেলি । এক জন কে ছাড়া অন্য জনের এক মুহূর্তও চলে না । যে মানুষটাকে নিয়ে ... দিনের পর দিন স্বপ্ন দেখেছি , সেই মানুষ আজকে আমার চোখের সামনে দিয়ে অন্য এক জনের হাত ধরে চলে যাচ্ছে কিন্তু আমি কিছু ই করতে পারছি না । কেউ এক জন যেন আমার হাত পা বেঁধে রেখেছে । আমি চিৎকার করে কাঁদছি কিন্তু কেউ আমার মনের সেই আর্তনাদ শুনে না । চোখের সামনে দিয়ে প্রিয় মানুষের চলে যাওয়া দেখার চেয়ে মরে যাওয়া ও ভালো । এমন একটা অনুভূতি আমার মনে বার বার এসে আমাকে তীব্র কষ্ট দিচ্ছে । এক এক করে লোপার সাথে কাটানো সময় গুলো বার বার মনে পড়ছে আর বুকে চিন চিন করে ব্যেথা অনুভুব হচ্ছে । শ্বাসরুদ্ধ কর সেই সময়ের কথা মনে পড়লে এখনো গায়ে শিহরণ জেগে উঠে । ঐ দিন গুলো ই ছিল আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ কষ্টের দিন ।
এখনো লোপার কথা মনে পড়লেই মন সেই দিন গুলোতে চলে যায় । একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে " ফিরে আসি বাস্তবে ।
জীবনে প্রথম ভালোবাসা হয়ে যে লোপা রা আসে । সেই লোপা রা কখনো'ই জীবন থেকে হারায় না" ভালোবাসার শত ঢেউ এসেও লোপার জায়গা ভরাট করতে পারে না । মনের বিশেষ জায়গায় ভালোবাসার আঁচড় দিয়ে " i love you" নামের ৩ টি দাগ রয়ে যায় । পাহাড় সমান ভালোবাসার আস্তর দিয়েও সেই দাগ মুচেফেলা যায় না । এক দম যায় না ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৩৭
রওনুক হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া । এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য । যদিও আমি এই মন্তব্যের যোগ্য নই ।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪
হাসান মাহমুদ ১২৩৪ বলেছেন: অসাধারণ লেগেছে
বিশেষ করে শেষ লাইন গুলো .।.। "সেই লোপা রা কখনো'ই জীবন থেকে হারায় না" ভালোবাসার শত ঢেউ এসেও লোপার জায়গা ভরাট করতে পারে না । মনের বিশেষ জায়গায় ভালোবাসার আঁচড় দিয়ে " i love you" নামের ৩ টি দাগ রয়ে যায় । পাহাড় সমান ভালোবাসার আস্তর দিয়েও সেই দাগ মুচেফেলা যায় না । এক দম যায় না ।" এক কথায় দুর্দান্ত