নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করার পর ই বুঝতে পারি আসলে তেমন একটা অগ্রসর হতেই পারি নি ।\nচলার পথ টা অমসৃণ কিন্তু স্বপ্ন গুলা দারুন । \nদেখি দারুন একটা সময়ের ।\nআমি নিজেকে জানি না কিন্তু জানার চেষ্ঠা করে যাই ।\n

রনিখান রন

প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করার পর ই বুঝতে পারি আসলে তেমন একটা অগ্রসর হতেই পারি নি । চলার পথ টা অমসৃণ কিন্তু স্বপ্ন গুলা দারুন । দেখি দারুন একটা সময়ের । আমি নিজেকে জানি না কিন্তু জানার চেষ্ঠা করে যাই ।

রনিখান রন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বায়োলজিক্যালি ওয়েপেন

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৬

এমন এক অস্ত্র যা দেখা যায় না অথচ এর ধব্বংস ক্ষমতা ভয়াবহ । জীবাণু অস্ত্র হলো একটি বিশেষ ধরনের অণুজীব বা আর্থ্রোপোডা শ্রেণীভুক্ত পোকা যা জীবাণুর অনুঘটককে প্রকল্পিত ও ছত্রভঙ্গ করে থাকে এবং তাদের তত্ত্ব প্রচার করে।’ যুদ্ধ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। জীবাণুগুলো বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করে।

অন্য যেকোন অস্ত্র থেকে এই জীবানু অস্ত্র তৈরিতে অনেক কম খরচ হয় । এক বর্গ কিলোমিটার এরিয়া জুড়ে প্রচলিত যুদ্ধে খরচ হয় $2000 , পারমাবিক অস্ত্রে খরচ $800, রাসায়নিক গ্যাসে খরচ $600 এবং বায়োলজিক্যালি অস্ত্রে খরচ পড়ে মাত্র $1 ডলার এর মতন । তাই এই বায়োলজিক্যালি অস্ত্রেকে বলা হয় গরিবদের পারমানবিক অস্ত্র ।



মাত্র ১ গ্রাম বিষে প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষ মারার ক্ষমতা রাখে এই অস্ত্র । botulinum বিষ ৩ মিলিয়ন গুন বেশি ক্ষমতাশালি সারিন গ্যাস থেকে । এই বায়োলজিক্যালি অস্ত্র বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব । যেমন পানির লাইনে মাধ্যমে , কোন মাধ্যম ব্যবহার করে বাতাসে ছড়িয়ে দেওয়াতে , গ্রেনেড বা ক্ষেপনাস্ত্র তে এই বায়োলজিক্যাল অস্ত্রের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা যায় ।

বিভিন্ন ধরনের জীবানু অস্ত্র রয়েছে যা দিন দিন আরো উন্নত থেকে উন্নততর করা হচ্ছে । আনথ্রাক্স বা প্লেগ বা গুটি বসন্ত এগুলো হচ্ছে আমাদের জানা জীবনু অস্ত্র । আনথ্রাক্স ৯৬ ঘন্টা পর্যন্ত বংশ বিস্তার করতে পারে যা মাহামারির জন্য উপযুক্ত ।



বিভিন্ন সময় এই বায়োলজিক্যাল অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে ।
=> ১৩৪৭-১৩৫১ সালের দিকে বায়োলজিক্যাল অস্ত্র ব্যবহার এর ফলে ২৫ মিলিয়ন মানুষ মারা যায় ।
=> রাশিয়া ১৭১০ সালে সুইডিস দের সাথে যুদ্ধে বায়োলজিক্যাল অস্ত্র ব্যবহার করে ।
=> ১৭৬৭ সালের দিকে ভারত-ফারাসি যুদ্ধে ব্রিটিশরা জীবানু যুক্ত কম্বল বিতরন করে ।
=> ১৯৩৭ সালে জাপান জীবানু অস্ত্রে পরীক্ষা শুরে করে ইউনিট ৭৩১ এ , যাতে ১০০০০ বন্দি মারা যায় ।
=> এছাড়া জাপানীরা ২য় বিশ্বযুদ্ধে চীনের উপর জীবানু অস্ত্র প্রয়োগ করে ।
১৯৮৫ -১৯৯১ সাল পর্যন্ত ইরাক botulinum , আনথ্রাক্সসহ আরো বেশি কিছু জীবানু অস্ত্র বিকাশ ঘটায় । ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর বিভিন্ন দেশ জীবনু অস্ত্রের ব্যাপক মজুদ করে । যা এখন জেনেটিক্যালি অনেক গুন শক্তিশালি করে তৈরা করা ।



১৯২৫ সালের দিকে জেনেভা প্রটোকলে জীবনু অস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয় । ১৯৬০ দিকে ব্রিটেন এবং ১৯৬৯ দিকে যুক্তরাষ্ট জীবনু অস্ত্র নিষিদ্ধ ঘোষনা করলেও বিভিন্ন দেশ এখনো এই অস্ত্রের দিকেই যুকে আছে । জীবানু অস্ত্র প্রয়োগ যেকোন শত্রু শিবিরে মনোবল ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ।।
নিম্নরূপ কিছু বায়োলজিক্যালি এজেন্ট সমূহ :
* Abstract
* Anthrax
* Plague
* Brucellosis
* Glanders
* Melioidosis
* Botulism
* Variola Virus
এছাড়া আরো অনেক - - - - - - - - - - - - - - - - -

copyright only @ ronykhan ron

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.