নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রনিসালাফি

রনিসালাফি › বিস্তারিত পোস্টঃ

শায়খ উবাইদ আল জাবারী এর জীবনীঃ

০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:০৩

শায়খ উবাইদ আল জাবারী এর জীবনীঃ



শায়খ উবাইদ আল জাবারী হিজরি ১৩৫৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মদিনার ফাকীর নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন।

শায়খ এর পূর্ণ নাম হলঃ উবাইদ বিন আব্দুল্লাহ বিন সুলাইমান আল হামদানী আল জাবারী।

হিজরি ১৩৮১ সালে তিনি মদিনার দারুল হাদিস এ পড়াশোনা করেন। তিনি এখান থেকে ১৩৯২ সালে সর্বচ্চ নাম্বার নিয়ে পাশ করেন।

শায়খ উবাইদ আল জাবারী (হাফিযাহুল্লাহ) এর শিক্ষকবৃন্দঃ



১। শায়খ সফিউর রহমান বিন আহমেদ।

২। শায়খ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আযিয আল খুদায়রী।

৩। শায়খ মহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ আল-আজলান।( বর্তমানে মক্কায় শিক্ষা দানে রত)।

৪। আল-আল্লামা মুহাদ্দিস হাম্মাদ আল আন-সারী

৫। আল-আল্লামা মুহাদ্দিস আব্দুল মুহসিন আল আব্বাদ।

৬। শায়খ আবু বাকর আল জাযাইরী।

এবং আরও অনেক স্বনামধন্য শায়খদের নিকট থেকে এলেম নিয়েছেন।

শায়খ উবাইদের কাজসমূহঃ

* শায়খ উবাইদ ১৩৮৭হি থেকে ১৩৯২হি পর্যন্ত মদিনার সাবক মসজিদের ইমাম ছিলেন।

শায়খ এর কিতাবসমূহঃ

১। তায়সীরুল-ইলাহ বিশারহ আদিলাতিশ-শুরুত লা ইলাহা ইল্লালাহ।

২। ইমদাদ আল কারী বি শারাহ কিতাব-আত-তাওহীদ মিন সাহীহ আল বুখারী। ( ৪ খণ্ড)

৩। শারাহ মুন্তাকা বিন জারুদ।

৪। ফাথ আল আলিয়িল-আলা বি শারাহ আল কাওাআইদ আল মুথলা।

৫।ইতিহাফুল উকুল বিসারাহ সালাসাতুল উসুল।

৬। কাওাআইদ আল ফিকাহিয়াহ অফ আব্দুর রহমান আস-সাদী।

এছাড়াও আরও অনেক কিতাব প্রকাশের পথে রয়েছে।

শায়খ উবাইদ আল জাবারি মদিনার নাফা বিন আমির মসজিদে ১৪২৫ হিজরি সাল থেকে দরস দিয়ে আসছেন।

তিনি যে সব বিষয়ের উপর দরস দিয়েছেন তার একটি তালিকা নিচে দেয়া হলঃ

# শাবান ১৪২৫ হিজরিঃ সহিহ সুনানে আবু দায়ুদ- কিতাবুস সুন্নাহ। মীমিয়াহ অফ আল হাফিয আল হাকামী।

# রমযান ১৪২৫ হিজরিঃ বুলুঘ আল মারাম। মাজালীস রমজান ( শায়খ অসায়মীন)।

# শাওয়াল ১৪২৫ হিজরিঃ কিতাবুত হজ, বাহজাত কুলব আল-আব্রার( আস-সাদী)।

#সফর১৪২৬হিঃ কিতাবুত তাহারাহ, সহিহ সুনানে ইবনে মাযাহ।

#সফর১৪২৬হিঃ কাওাইদ আল-আরবা।

#রবিউল-আওাল১৪২৬হিঃ উসুল আস-সালাসা।

শায়খ উবাইদ আল জাবারী (হাফিযাহুল্লাহ) এর আচার-ব্যাবহার এবং আহ্লুস সুন্নাহ দের প্রতি তাঁর ভালবাসাঃ



শায়খ উবাইদ (হাফিযাহুল্লাহ) তাঁর ছাত্রদের এলেম অর্জনের জন্য অনেক সময় দেন। তাঁর ছাত্ররা বিভিন্ন দেশ থেকে আসে এবং তাঁর নিকট থেকে উপকৃত হয়।

সে তাঁর অধিকাংশ সময় শিক্ষাদান করে কাটান । তিনি তাঁর স্থানীয় মসজিদে, তাঁর বাড়িতে, এমনকি টেলিফোনের মাধ্যমে দাওয়াতি কাজ করেন।

গত বছর, শায়খ উবাইদ (হাফিযাহুল্লাহ) প্রতি সপ্তাহে ১৫ টি করে ক্লাস নিয়েছেন।

তিনি কখনই দাওয়াতি কাজে অবহেলা করেন না। কাওকে হতাশ করেন না। তিনি সুন্নাহের অনুসারীদের খুব ভালবাসেন। তিনি প্রায়ই দাওয়াতি কাজে দেশের ভিতরে এবং বাইরে সফর করেন। এবং তাঁকে লেকচার এর জন্য বলা হলে তিনি কখনো ফিরিয়ে দেন না। শায়খ উবাইদ(হাফিযাহুল্লাহ) বিদআতিদের জন্য আতঙ্ক।



শায়খ উবাইদ (হাফিযাহুল্লাহ) সালাফি আলেমদের মধ্যে অন্যতম। সালাফি আলেম হিসেবে তিনি অনেক বিখ্যাত। আলেমদের নিকট তাঁর মর্যাদা অনেক। শায়খ সবসময় আলেমদের সাথে সম্পর্ক রাখেন। সালাফি আলেমদের সাথে আলোচনায় বসেন। তিনি সালাফি দাওয়াহ প্রচারে অন্যতম ভুমিকা রেখে যাচ্ছেন । আল্লাহ তাঁকে অসাধারণ মেধা, এলেম দান করেছেন।

শায়খ সবসময় হাসিমুখে কথা বলেন। কারো সাথে মুখ কালো করে কথা বলেন না। তিনি আহ্লুস সুন্নাহদের খুব মুহাব্বত করেন।

শায়খ উবাইদ (হাফিযাহুল্লাহ) তাঁর পরিবারকে যথেষ্ট সময় দেন। সে তাঁর সন্তানদের ও সময় দেন।



শায়খ(হাফিযাহুল্লাহ) সবসময় সালাফি আলেমদের খোঁজ- খবর নেন। গত বছর তিনি মক্কায় হজের সময় আল-আল্লামা শায়খ আব্দুল ওয়াহাব আল বান্নার সাথে দেখা করেন। শায়খ বান্নার প্রতি শায়খ উবাইদ (হাফিযাহুল্লাহ) এর ভালবাসা দেখে শায়খ বান্না কেঁদে ফেলেন। শায়খ বান্না তাঁকে তাঁর দেশে যাওয়ার জন্য দাওয়াত দেন।

শায়খ উবাইদ সম্পর্কে অন্যান্য আলেমগনের কিছু মন্তব্য নিচে দেয়া হলঃ

#আল-আল্লামা শায়খ ডঃ সালেহ আল ফাওযান ইবনে ফাওযান(হাফিযাহুল্লাহ) কে শায়খ উবাইদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। তিনি শায়খ উবাইদ(হাফিযাহুল্লাহ) এর প্রশংসা করেছেন এবং তাঁর কাছ থেকে এলেম নিতে বলেছেন।

#শায়খ ডঃ সালিহ আস-সুহাইমীও(হাফিযাহুল্লাহ) শায়খ উবাইদ (হাফিযাহুল্লাহ) এর প্রশংসা করেছেন এবং তাঁর কাছ থেকে এলেম নিতে বলেছেন।

#আল-আল্লামা শায়খ ডঃ রাবী বিন হাদী আল মাদখালী ও প্রশংসা করেছেন এবং তাঁর কাছ থেকে এলেম নিতে বলেছেন।

শায়খ রাবী আরও বলেন যে, আলেমরা এখনও আছে, তাই তাঁদের কাছ থেকে এলেম হাসিল করো।

শায়খ উবাইদ আল জাবারী (হাফিযাহুল্লাহ) অনেক বড় মাপের আলেম। তিনি এখনও জীবিত আছেন। তাই জাদের পক্ষে সম্ভব তারা শায়খ থেকে এলেম হাসিল করুন। আর জাদের পক্ষে টা সম্ভব নয়, তারা শায়খ বই ও লেকচার শুনুন । আল্লাহ শায়খ কে হেফাজত করুক। আমীন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.