নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রনিসালাফি

রনিসালাফি › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা কুরআন কে মাখলুক বলে, তাদের হুকুম কী ? - শায়খ হাকামী (মদিনা)।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০০

অনেক #সহিহ আকিদার ভাইয়েরা এই বিষয়টা সম্পর্কে জানেন না বা জানলেও ভাল ভাবে জানেন না। আবার অনেকে তো এটা কখনো শুনেই নাই। এই বিষয়টা আকিদার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ।

এর কারণে আহ-লুস সুন্নাহের ইমাম আহমদ বিন হাম্বল কে প্রতিদিন ২০০ টা করে চাবুক মারা হত। তাই এই বিষয়টা সম্পর্কে বিস্তারিত টাইপ করলাম যাতে ভাইয়েরা উপকৃত হতে পারে।

#যারা কুরআন কে মাখলুক বলে, তাদের হুকুম কী?

#শায়খ হাফেয আল হাকিমী ( রাহেমাহুল্লাহ ) এর উত্তর দিয়েছেন। নিচে দেয়া হলঃ

#কুরআন প্রকৃত অর্থেই আল্লাহর কালাম বা বাণী। অক্ষর-সমুহ এবং তার অর্থ উভয়ই আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে। এ নয় যে, আল্লাহর কালাম বলতে শুধু কুরআনের শব্দগুলোকে বুযায়। এমনিভাবে শব্দ ছাড়া শুধু অর্থগুলোর নাম আল্লাহর কালাম নয়। আল্লাহ তা’আলা কুরআনের মাধ্যমে কথা বলেছেন এবং তাঁর নবির উপর অহী আকারে তা নাযিল করেছেন। মুমিনগণ তা বিশ্বাস করেছে।

সুতরাং আঙ্গুলের মাধ্যমে কুরআন লিখা, জবানের মাধ্যমে তা তেলাওয়াত করা, অন্তরের মাধ্যমে তা মুখস্ত করা, কান দিয়ে শুনা এবং চোখ দিয়ে দেখলেই তা আল্লাহর কালাম থেকে বের হয়ে যায় না। আঙ্গুল,কালি,কলম এবং কাগজ এগুলোর সবই আল্লাহর সৃষ্টি । কিন্তু এ সব দিয়ে যা লেখা হয়েছে তা সৃষ্টি নয়। ঠিক তেমনি জবান এবং আওয়াজ আল্লাহর সৃষ্টি। কিন্তু জবান দিয়ে তা তেলাওয়াত করা হচ্ছে তা মাখলুক তথা সৃষ্টি নয়। বক্ষসুমহ আল্লাহর সৃষ্টি, কিন্তু তাতে যে কুরআন সংরক্ষিত আছে, তা মাখলুক নয়। কান-সমুহ আল্লাহর সৃষ্টি কিন্তু কান দিয়ে কুরআন আমরা শুনছি, তা মাখলুক নয়।

আল্লাহ তা’আলা বলেন, “ নিশ্চয় এটা সম্মানিত কুরআন, যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে”। ( সুরা অওাকিয়াঃ৭৭-৭৮ )।

আল্লাহ আরও বলেন, ” আপনার প্রতি আপনার পালনকর্তার যে, কিতাব প্রত্যাদিষ্ট করা হয়েছে, তা পাঠ করুন। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নাই। তাঁকে ব্যতীত আপনি কখনই কোন আশ্রয় স্থল পাবেন না। ( সুরা কাহাফ-২৭) “

আর মুশরিকদের কেউ যদি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে তাকে আশ্রয় দেবে, যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনতে পায় ( সুরা তাওবাঃ ০৬) ।

সুতরাং যে বাক্তি বলবে কুরআন বা কুরআনের কোন অংশ মাখলুক, তাহলে সে কাফির। তার কুফুরী এত বড় যে, তাকে সম্পূর্ণ ইসলাম থেকে বের করে দিবে।

কেননা কুরআন হচ্ছে আল্লাহর কালাম। তা আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে। আল্লাহর কাছে তা পুনরায় ফেরত যাবে। আল্লাহর কালাম তাঁর সিফাতের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যে বলবে আল্লাহর কোন সিফাত বা গুণ মাখলুক, সে কাফের ও মুরতাদ। তাকে পুনরায় ইসলামে ফেরত আসতে বলা হবে। ফিরে আসলে তো ভাল, অন্যথায় তাকে কাফের হিসেবে হত্যা করা হবে। মুসলিমদের যে সমস্ত হক ও আহকাম রয়েছে তাতে তার কোন অংশ নাই।

(আ’লামুস সুন্নাহ আল-মানসুরা- ৮৩ নং প্রশ্ন)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২২

আলী খান বলেছেন: আরো বিস্তারিত জানালে ভাল হয়....অপেক্ষায় থাকলাম....

২| ০১ লা মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২০

রিয়াদ হাকিম বলেছেন: ফিরে আসলে তো ভাল, অন্যথায় তাকে কাফের হিসেবে হত্যা করা হবে।

৩| ০১ লা মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২২

রিয়াদ হাকিম বলেছেন: আপ্নি বলেছেন ফিরে আসলে তো ভাল, অন্যথায় তাকে কাফের হিসেবে হত্যা করা হবে। - এই কথার কুরআন বা হাদীসে কোথাও আছে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.