নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ রুহুল আমীন

মোহাম্মদ রুহুল আমীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হৈমন্তী গল্পের আধুনিক সমাপ্তি .......

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৩৯


শুনিতেছি, মা পাত্রী সন্ধান করিতেছেন ৷ হয়তো হৈমকে বিসর্জন দিতে বলিতে পারেন ৷ তাই আমি পূর্বেই বিকল্প পরিকল্পনা করিয়া রাখিয়াছি ৷ সময় মত তাহা প্রকাশ করিবো ৷

:

এই বিষয়ে আমার সাথে কথা বলিতেই পড়ন্ত বিকালে মা দরজার সামনে আসিয়া টোকা মারিল ৷ ঠিক তখনও আমি হৈমকে জড়াইয়া ধরিয়া চুলের গন্ধ শুকিতেছি ৷ কিছুক্ষণ পূর্বেই জীবন কিংবা মৃত্যু, দুই অবস্থায়ই দুজনে দুজনের পাশে থাকার অঙ্গীকার করিয়াছি, তাহা আপনাদের নিকট গোপনইবা কেন রাখিব? মা ভিতরে আসিয়া কোনো এক ছুঁতোয় হৈমকে বাহিরে যাইতে বলিলেন ৷ মা অযৌক্তিক সকল যুক্তি শুনাইয়া খুবই অনুরোধ করিয়া হৈমকে পরিত্যাগ করতে বলিলেন ৷ এমন একটা প্রস্তাব শুনিতে হইবে তাহা পূর্বেই অনুমান করিয়াছিলাম বলিয়া মাথায় বজ্রপাত হইলো না, পায়ের তলার মাটিও সরিলনা ৷ মাকে মাথা নাড়াইয়া জানাইয়া দিলাম আমি তোমার অনুরোধ রক্ষা করিবো ৷

:

হৈমকে দিয়া মা সেদিন রাত অবধি অনেক কাজই করাইয়া রাখিলেন, চলেই তো যাবে কিছু কাজ করাইয়া রাখিলে ভালো হয় ৷ মার মাথায় হয়তো এমন চিন্তা আসিয়াছিল ৷ হৈম যখন আমার কাছে আসিল, তখন রাত দশটা সাতচল্লিশ ৷ হৈমের দেহে ক্লান্তির ছাঁপ সুস্পষ্ট হইলেও মুচকি হাসিতে তাহা আড়াল করিয়া রাখিয়েছে ৷ তবু সে বিছানায় বসে পড়িল ৷

:

আমি বুঝিতে পারিলাম মার অনুরোধ অগ্রাহ্য করিতে পারিবনা ৷ আমাকেই বাড়ি ছাড়িতে হইবে ৷ তাই হৈমের অনুপস্থিতে প্রয়োজনীয় কাগজ আর জিনিষপত্র দিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে রেখেছিলাম ৷ হৈম কিছুতেই মা-বাবাকে ছাড়িয়া যাইবেনা ৷ অনেক কষ্টে হৈমকে বুঝাইয়া হৈমকে এক প্রকারে টেনে হিঁচড়ে রাতের শেষ প্রহরে পরেশের অটো রিকশাযোগে বাড়ি ত্যাগ করিলাম ৷

:

(পাচঁ বছর পর )

খবর পাইয়াছি, আমার চলিয়া আসাতে মা মনে কষ্ট পাইছেন ৷ অনেক খুঁজিয়াও আমার সন্ধান পান নাই ৷ হৈমকে বিসর্জন না দিতে পারিবার কারনে বাবা আমাকে বিসর্জন দিয়াছেন ৷ তাহাতে আমার কিছু আসে যায় না ৷ কেননা, বিনা দোষে হৈমকে বিসর্জন দিতে আমার মন কখনোই সায় দেয় নাই ৷ সর্বোপরি, হৈমকে আমি প্রচন্ড ভালোবাসিতাম ৷

:

বাড়ি হতে বের হইয়া বন্ধু তাপসের বাসায় আসিয়াছিলাম ৷ তাপস অনুরোধ করিয়া তাহার মামার কোম্পানীতে চাকরির ব্যবস্থা করিয়াছিল ৷ প্রথম দুই বৎসর হৈমও চাকরি করিত, পরে তাহাকে চাকরি করিতে দেই নাই ৷

:

হৈমর কোলে এখন দুই বছরের ছেলে তপু ৷ তপুকে নিয়াই হৈমের দিন কাটে ৷ ভাবিতেছি, হৈম আর তপুকে নিয়া বাড়ি ফিরিয়া যাইবো ৷ তপুকে দেখিলে মা -বাবা খুশি হইবেন, রাগ কমিয়া যাইবে ৷ আমি সেদিন হয়তো মায়ের অনুরোধ রাখিতে পারি নাই, তবে মা আমার অনুরোধ ফেলিতে পারিবেন না ৷

:

আমার শ্বশুর এখনো আগের চাকরিতেই আছেন ৷ আচ্ছা, থাক, আর লিখিয়া কাজ কি ? না হয় আরেক দিন লিখিবো ৷

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.