![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকৃতির প্রতি একটা অকৃত্রিম টান নিজের মাঝে। নিজেকে নিয়ে ভাবতে ভালোবাসি, এবং সেটা অবশ্যই প্রকৃতির মাঝে.……..নির্জনে।
বিনোদনপ্রেমীরা দূরে থাকুন শুধু মাথাগরম সিরিয়াস মানুষজনকে জানাই এই পোষ্টে স্বাগতম-
পথের ধার দিয়ে হেঁটে আসছিলাম। পথে দু’টি কুকুর হূলস্থুল লড়াই বাধিয়েছে। আমি পাশ দিয়ে হেঁটে আসার সময় দেখি এক রিকশাওয়ালা খুব মনোযোগ দিয়ে সেই লড়াই দেখছে। এমন সময় তিন নম্বর কুকুরটি দৌড়ে আসত থাকে। তা দেখে রিকশাওয়ালা বলে উঠলো, “অইচ্চা! খালেদা-হাসিনা কামড়াকমড়ি গরের , আরেক মিক্কাত্তুন (দিক থেকে) এরশাইদ্দা আইয়ের ।”
বুঝলি তো তোদের অবস্থান একজন সাধারন নাগরিকের কাছে কোথায়? তরা দ্যাশের লাইগ্যা জাতির লাইগ্যা বহুত কিছু করছস। ইসতেহার দিতে আসলে কছ – এই করবি সেই করবি। ক্ষমতা ছাড়তে গেলে কছ – সব কিছু কইরা আমার দুইন্যাটা উল্টায়ালাইছস। বিরোধী দলে গেলে ত একেকটা মাথামোটা হাফ-প্যান্ট হইয়া থাকস। তেনাদের আবার প্রত্যেক দলের ১৬ কোটি করে সমর্থক, চিন্তা কর! তরা কাম করছ এক হাত আর দাঁড়া দেয় তিন হাত। তোমরা আমগো চুলটা ছিঁড়ছ।
আম্লিগ- বিম্পি মাথায় কইলাম আগুন ধইরবার লাগসে। তগো এইডি থামাবিনি ক। নাইলে কইলাম খবর আসে।
আমরা এখন আর আগের মত অন্যায়ের প্রতিবাদ করিনা। পাবলিক-প্লেইসে আৎকা ককটেল ফুটলে দেই ভোঁ দৌড়। That means now we are just surviving. Now our motto is:
“সত্যো বলছি দ্যাশটাকে আর ভালোবাসিনা/দ্যাশের ক্ষতি হইলে হোক গিয়া...ফিরেও দেখিনা।”(রাগের মাথায় আর ছন্দ আসতেসেনা, বাকিটা বুঝে নেন)
অনেকদিন হইল খবরের হেডলাইন আসেনা- “জনগনের হাতে অমুক নেতা বাইনছ্যাঁচা খাইসে।” We are now surviving. আমাদের সেই সোনালীযুগের সূক্ষ চেতনা গুলো এখন ভোঁতা হয়ে গেছে(এই দুর্বল চেতনা নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে তো কখনোই না ব্যাক্তিগতভাবে ও কিচ্ছু করা যায় না)।......... নাহ, ভোঁতা হয়ে যায়নি ভোঁতা করা হয়েছে। এমন শিক্ষা দেয়া হয়েছে যে একেকজন শিক্ষিত নাগরিকের বদলে হয়ে যাচ্ছি স্যুট –টাই পরা একেকটা কর্পোরেট দাস। ... খাঁচার ভিতরকার পাখিটা হঠাৎ প্রতিবাদ করে ওঠে কিন্তু শিক ভাঙ্গার শক্তি যে তার নেই।
থুক্কু, কি কই না কই, খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কিন্তুক আশা যাওয়া করতে পারে।
I like guys who are always optimistic. আমাদের মনের কোণে কিন্তু সেই পবিত্র চেতনাগুলো সুপ্তাবস্থায় আছে। বহুকাল তারা একসাথে জাগেনি। কখনো তারা বিক্ষিপ্তভাবে জেগে উঠে এদিক-ওদিক তাকায়। যখন দেখে আর সবাই ঘুম তখন তারা আবার অন্যদিকে ফিরে ঘুমিয়ে পড়ে। এভাবেই নিরীহ মানুষ হিসেবে আমরা আতঙ্কের মাঝে বেঁচে আছি......কিছু একটার অভাব। যার পরশে এ জাতির কোটি প্রাণের সুপ্ত আগ্নেয়গিরিগুলো দাউ দাউ করে জ্বলে উঠবে।
মানুষ আশায় আছে কোনো এক ত্রাণকর্তার। কোনো বিদেশীকে এই আসনে বসাতে আমরা পারিনা। কিন্তু এদেশেও আমরা এমন কিছু আশা করতে পারিনা। সে সময় অনেক আগেই পার হয়ে গেছে*। একা কেউই কিছু করতে পারবেনা। সবার এক প্রাণ হতে হবে।The truth is - we need The Favor Of The Lord। তাঁর রহমতই পারে কেবল আমাদের সবার চেতনাকে একসাথে জাগাতে।
[* হয়তো খবরের কাগজে পাইবেন – “আমুক দূর্যোগলীন তমুক নেতা-খ্যাতা ত্রাণকর্তার ভূমিকা পালন করেছেন।” সব ফাকা গুল। এইটা আপনি আমি সবাই জানি। খালি দুইয়ে দুইয়ে চাইর মিলানোর বাকি। খবরের কাগজের কথা যখন এসেই পড়লো তাই কইতে চাই- সম্মানিত হলুদ সাংবাদিকেরা, সময় থাকতে আপনাদের হইলদা রঙ ঘষে সাদা করেন, নাইলে কইলাম আপ্নাগেরও খবরাচ্ছে! ]
এবার আসেন কামের কথায়(এই লেখাটি ১৯ জন দগ্ধের মাঝে অন্যতম ১০ম শ্রেণির ছাত্র নাহিদের মৃত্যু সংবাদ শোনার পরে ভিতরে জন্মানো ক্ষোভ থেকে লেখা।তখন ঠিক এই কথাগুলাই মাথায় ফুটতেছিল ) : বোমা ফাটালে নিজ জান বাঁচান, ঠিকাসে? কিন্তু বোমা ফাটাইন্যারে ছাইড়া দিবেন কেন? তারে ধইরা দেন ধোলাই। বাসে আগুন দেওনের সময় গাড়ি থেকে নাইম্মা তাগোরে গিয়া ধরেন। এই শ্রেণির মানুষগুলা উপ্রে যতই ডাঁট দেখাক ভিত্রে কিন্তুক বেশিরভাগই ভোদাই । ধইরা ডাইরেক অ্যাকশন। একা যাইয়া লাভ নাই, একসাথে ধরেন। মা-বইনদের কথাটা মাথায় আসে। তাদের কথা মনে হইলে ভাষা খুইজা পাইনা। তাগোরে সেভ কইরেন। তয় আজকালকার মা-বইন কিন্তুক এহন জিম করে! (কয়দিন আগে বেগম রোকেয়ার “অর্ধাঙ্গী” পড়সি। অইডার কথা মনে হইলে কেমুন কেমুন লাগে... ।)
কথা এখনও শ্যাষ অয় নাই। এবার কুলাঙ্গারগুলার উদ্দেশ্যে(নেতা-কর্মী) কিছু কথাঃ হেরা নেতৃগো কাছে মাথাটা যেন বেইচ্চা দিসে। যদি খোলামনে জিগাই,
- কিরে ডিব্বা ফাটাইতাছস ক্যান?
-বড় ভাই বলসে।
-বড় ভাইয়ের কতা হুনবি ক্যান?
-ট্যাকা দিবো।
-অই ট্যাকার কি বেশি দরকার?
-হ, সংসার চলেনা।
আরে এম্নে ট্যাকা না নিয়া কষ্ট করে উপার্জন করলে অয় নাহ? নবী যে কইলো- নিজ হাতে উপার্জন করা খাবার থেকে ভাল খাবার তিনি জীবনেও খান নাই; এই কথার কি কথার কি কোনো মূল্য নাই! হুম, সেইগুলা শুনবা কেন, সেগুলা তো back-dated, আমার কাছেনা তগো কাছে। বোমা মাইরা টাকা কামাও আর শার্ট-প্যান্ট পিন্দা স্মার্ট সাজ, শালার উপ্রে দিয়া ফিটফাট ভিতর দিয়া মদুনাঘাট! সাময়িকভাবে খুব এই টাকা খাইতে খুব ভাল্লগে(আমার কাছে না, তর কাছে) কিন্তু একটু আগে বাড়াইয়া দ্যাখ তগোর লাইগ্গা অপমৃত্যু ওয়েট করতাসে। যদিও জনগণের হাতে তগো জান এখন কমই যায় কিন্তু তর দলের ছোডবাই-টাই তরে সরাইবো। এই দেশের ইতিহাসে রাজনীতিবিদ (বেশিরভাগই তো ফকিরানীতি করে) খুব কমই আসে জনগনের সত্যিকার ভালবাসা নিয়া কবরে গেছে। শান্তি তাদের জীবনের জন্য একটি বড় ফ্যাক্টর। এবার বুজ তোমাগো বেলায় কি অইব। Exception cannot be an example. Clear?
ডিস্ক্লেইমারঃ এই লেখায় কেউ যেন কোন “দলীয় কর্মী”র গন্ধ না খোঁজে। কারণ, সব দলের মূলনীতি দেখলে মনে হয় – কি মহান দল, কি মহান তার মূলনীতি! কিন্তু কাম-কাইজ দেখলে মনটা চায় কানের নিচে ঠাটায় দুইটা চড় মারি।
আরো বলি, Appearance টা অনেক উগ্র হয়ে গেল, তাই না? কিন্তু কি করিব দাদু পরান যে মানেনা।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৭
রুবাইয়েত সাদমান বলেছেন: হুম, সেটাই। তবে ভূত তাড়াতে আমাদেরই উদ্যোগী হতে হবে। যারা এক্ষেত্রে এগিয়ে আসবে তারাই ভাবীকালের সোনার বাংলায় সমাদৃত হবেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ....নাহ, ভোঁতা হয়ে যায়নি ভোঁতা করা হয়েছে। এমন শিক্ষা দেয়া হয়েছে যে একেকজন শিক্ষিত নাগরিকের বদলে হয়ে যাচ্ছি স্যুট –টাই পরা একেকটা কর্পোরেট দাস। ..
শতভাগ সহমত।
ভীত করে দেয়া হয়েছে। আপনি বাঁচলে বাপের নাম তত্ত্বকে গিলিয়ে দেয়া হয়েছে! মাঝে মাঝৈ ভয় হয়-১৯৭১এ না হয়ে যুদ্ধ যদি এই সময়ে হতো-সম্ভবত মখা, মুরগী কবিরদের সংক্যাই বাড়তি থাকতো
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৯
রুবাইয়েত সাদমান বলেছেন: জী ভাই, আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।
৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৯
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: হুম
৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৪
HHH বলেছেন: ্কেন? দিনবদলের সনদে তো এইরকম হবে এটা আগের জানা ছিল। এখন আপনি এতো ফ্রাস্ট্রেটেড হচ্ছেন কেন?
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩১
রুবাইয়েত সাদমান বলেছেন: দিন তো এমনি এমনি বদলাবেনা.............. আর এভাবে চলতে থাকলে সেই সনদ রূপকথাই থেকে যাবে।
৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪১
ফিলিংস বলেছেন: আমি মন্তব্য করার আগে আরো ৪ জন এ লেখা নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তার ভিতর ২ জনের লেখা একপেশে। কোন একটা দল কে উদ্দেশ্য করে। এ্ই হল আমাদের অবস্তা। হয়তবা এরা্ই ভবিষ্যত নেতা।
এবার বলেন এদের দ্বারা কি আশা করবেন। বর্তমান নেতারা দেশের ভালোর চাইতে অন্ন্য দলের ক্ষতির কথা বেশি চিন্তা করে।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০০
রুবাইয়েত সাদমান বলেছেন: "একপেশে" মানুষেরা গুটি কয়েক। তাদের ভেতর যে বীজ বপন করা হয়েছে তা সমূলে উৎপাটন হয়ত করা যাবে না। তবে তাদের বাইপাস করে ভালকে গুরুত্ব দেয়াটা আমাদের রপ্ত করতে হবে। আর সবার থেকে ভাল কিছু আশা করা যায় না, তবে সিংহভাগের কাছ থেকে ভাল কিছু পাওয়াই প্রত্যাশা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪১
ফিলিংস বলেছেন: আমি মন্তব্য করার আগে আরো ৪ জন এ লেখা নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তার ভিতর ২ জনের লেখা একপেশে। কোন একটা দল কে উদ্দেশ্য করে। এ্ই হল আমাদের অবস্তা। হয়তবা এরা্ই ভবিষ্যত নেতা।
এবার বলেন এদের দ্বারা কি আশা করবেন। বর্তমান নেতারা দেশের ভালোর চাইতে অন্ন্য দলের ক্ষতির কথা বেশি চিন্তা করে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৪
বেলা শেষে বলেছেন: হুম। সরিষা ক্ষেতেই ভুত। ভুত তাড়াবে কে?