![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....
দিনের সবচেয়ে রহস্যময় সময় দুপুর। দুপুর এলেই মনে হয় সমস্ত পাড়া দুয়ার এঁটে ঘুমের আয়োজন করছে। কোথাও একটু লুকোচুরি…গোপনীয়তা!! নিরালা দুপুরগুলোর কোথাও নিষিদ্ধ সুবাস থাকে। দুপুরগুলো বড্ড নিজস্ব; নবীন কিশোর তার প্রথম প্রেমকে চিরকুট লেখে; নব্য বিবাহিতার কপোল গতরাত্রির সোহাগের কথা ভেবে গোলাপী হয়। কোন এক দুপুরেই শেখরের চোখে ললিতার সর্বনাশ ছিলো; চারুলতার অমলের সাথে খুনসুটির সময় সেই দুপুরবেলাই। সত্যজিতের চলচ্চিত্রে দুপুরগুলোতেই বিবাহিতার শোবার ঘরে সবার চোখ এড়িয়ে প্রেমিকের আনাগোনা।
ছোটবেলায় দুপুরটা বড় কাঙ্ক্ষিত ছিল; স্কুল শেষ। রোদ ঝমঝম দুপুরগুলোতে রিক্সা চেপে বাড়ি ফেরা; সেন্ট্রাল রোডে আদর্শ কলেজ পেরোতেই দুপাশের দেয়াল চেপে আসতো। ক্রমশ সরু গলি আর এবড়ো খেবড়ো রাস্তায় রিক্সার বাড়তি ঝাঁকুনি। গলির শেষ মাথায় কারুকাজময় মস্ত শাদা গেটের বনেদী বাড়ি; ডান পাশে মোড় নিতেই কিছু দূরে বিষন্ন ছায়া ছায়া অন্ধকার একতলা বাসা। রহস্যময় সেই বাসার পাশে একটু জঙ্গলা জায়গা পেরোতেই আমাদের ভাড়াবাড়ি। খোলামেলা আলো ঝলমলে তিনতলা সাদা দালান; সামনে মাত্র তিন চার ফুটের বাসন্তীরঙ্গা ইটের দেয়াল; বামপাশে হুড়কো দেয়া ছোট্ট লোহার গেট। গেট খুলতেই সবুজ ঘাসের ওপরে লালচে বাদামী ইটের পথ ডেকে নিয়ে যায় সিড়িঘরে। দেয়াল ঘেঁষে রাজকীয় গোলাপ আর শাদা গোলাপী নয়নতারা; মাঝামাঝি একটা মস্ত নারিকেল গাছ অতন্দ্র প্রহরীর মতো গুরুগম্ভীর মুখে দাঁড়িয়ে।
সুযোগ পেলেই দুপাশে হাত মেলে দেয়ালের ওপরে সরলরেখায় পা ফেলে হাওয়ার সাথে বাজি রেখে হাঁটা; আর নীচু দেয়াল টপকে ভেতরের সীমানায়। সহজ এই আসা যাওয়ার পথে সমস্যা হচ্ছে নীচতলার বারন্দায় ইজিচেয়ারে আসীন বাড়িওয়ালা দাদু। শাদা পায়জামা পাঞ্জাবী পড়া সফেদ শ্মশ্রুমন্ডিত মানুষটার ভয়েই আমার ভদ্রভাবে গেট খুলে ঢোকা। গেটের লোহার রডে পা রেখে বেশ এদিক ওদিক দোলও খাওয়া যায়। পাল্লারা অবশ্য ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দে আপত্তি জানাতো একটু; সে আপত্তি কানে না নিলেও দাদুর বকা আমলে নিতেই হতো।
বাসায় আসতে আসতে প্রায় দুটো। স্কুলব্যাগ নামিয়েই গোসল। শোবার ঘরের লাগোয়া বাথরুমের চাইতে বাইরের বারোয়ারী বাথরুমই আমার পছন্দ ছিলো। ওই বাথরুমের জানালা দিয়ে দুপুরের রোদ উঁকি দিতো; বালতির জলে আঙ্গুলের টোকায় অদ্ভুত সুন্দর আলোর কাঁপন। জলের সাথে আলোর এই খেলা চিরন্তন। ভালোবাসলে মানুষ জল হয়ে যায়, জীবন নদীর মতো....আর ভালোবাসা তার ওম ওম রোদে সেই জলে অবিরাম ছবি আঁকে।
কাপড় ধোয়ার জেট পাউডারও বাইরের বাথরুমে থাকতো; নীল রঙের বাক্সে হাসিমুখের সেই বিদেশী রমনী!! মেঘ শাদা তুলতুলে ফেনা নিয়ে খেলা; মাঝে সাঝে নীল সবুজ শাদা টুথপেষ্টের মিশেল। বেশীর ভাগ দিনই বাইরে থেকে আয়া মায়ের হাঁকডাক শুনে তাড়াহুড়া করে খেলা শেষে কাক গোসল; কোন কোন দিন অবশ্য পিঠে মায়ের কিল পড়তো জেট পাউডার নষ্ট করার জন্য।
মা বাবার অফিস সেরে বাসায় আসতে আসতে বেলা গড়িয়ে চারটে বাজতো। নিয়ম ছিলো হয় দুপুরে ঘুমাবো নাহয় পাটিগণিত; কোনটাই আমার পছন্দের না। বিছানায় আয়া মার পাশে শুয়ে ঘুমের ভান; কখনো আয়া মাই ঘুমিয়ে যেতেন বা আমি ঘুমিয়েছি ভেবে উঠে যেতেন। সাথে সাথে বালিশের নীচে রাখা গল্পের বইয়ে চোখ; বইয়ের পাতায় ডুব দিয়ে রোমাঞ্চ, অস্থিরতা, কষ্ট, আনন্দ, আর চোখের জলে মাখামাখির সময়। রুদ্ধশ্বাসে লালকমল নীলকমলের সাথে দীঘির জলে ডুব দিয়ে রাক্ষসের প্রাণভোমরা খোঁজা। সুনশান দুপুরে একাকী দুর্গের জানালায় চুলের বন্যা; কেশবতী কন্যা তার রাজকুমারের অপেক্ষায়। বড় হতে হতে জেনে গেছি রুপকথার মতো বাস্তবের দুয়োরানীদের চোখেও সারাদিনের কাজের ফাঁকে এই দুপুরেই জল নামে।
কোন কোন দিন বই পড়তে ভাল লাগতো না; রেজীর মা বুয়ার কাছে রান্নাঘরে গুটিসুটি হয়ে বসতাম ভুতের গল্প শোনার জন্য। গল্পে শাকচুন্নী ঠিক দুক্কুর বেলা শ্যাওড়া গাছে পা ঝুলিয়ে বসতেই ভয়ে বুয়ার কোলে চেপে বসতাম। কখনো কখনো মস্ত টানা বারন্দায় দাঁড়িয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকতে ভালো লাগতো। রক্তের মতো কালচে মোজাইক করা বারান্দার মেঝে দুপুর রোদেও শীত শীত; কংক্রিটের নিরেট ভারী রেলিঙয়ে দুহাতে মাথা রেখে রোদের দিকে তাকিয়ে মন কেমন করতো। একটু ফাঁকা, একটু হাহাকার; কোথাও কি যেন নেই!!!
বাসার পাশের সরু রাস্তার ওপাশে সাদাটে পুরনো উঁচু দেয়ালে; কাটাঁতারের ওপাশে সায়েন্স ল্যাবোরেটরীর কর্মচারীদের সরকারী কোয়ার্টার। বাসাগুলোতে হোটেলের মতো টানা বারান্দা; একপাশে খোলা সিঁড়ি। দুপুরের বাউল বাতাস সেই বারান্দাতে শুকোতে দেয়া রং বেরঙের কাপড়ের ঢেউ তুলতো; মাঝে মাঝে নির্জনতা ভেঙ্গে উঁচু গলায় ঝগড়া শোনা যেত। চুপচাপ কল্পনার ঘোড়া ছোটাতাম; খুব ইচ্ছে করতো ওই দেয়ালের ওপারে যাই!! কেমন ওই মানুষগুলো? তাদের জীবন? দেয়ালের ওপারের জীবন আজও জানা হলো না; একটাই জীবন...যদি টুকরো টুকরো করে এখানে ওখানে ছড়াতে পারতাম!!!
পরীক্ষা এগিয়ে এলে বা স্কুলের বাড়ীরকাজ থাকলে অবশ্য মায়ের ভয়ে পড়তে বসতেই হতো। এমন উদাসী সুন্দর দুপুরগুলো কঠিন অঙ্কের জালে জড়ানো; পানির ট্যাঙ্কিতে ফুটো হয়ে জল পড়ে যাচ্ছে বা তেলমাখা বাঁশ বেয়ে বাঁদর উঠানামা করছে। বছর আটেকের ফাঁকিবাজ আমি অঙ্ক বাদ দিয়ে ভাবতাম, আজও ভাবি, একই রেললাইন বরাবর দুটো ট্রেন কেন মুখোমুখি যাত্রা শুরু করবে?
পড়ার টেবিলের পাশের দরজা পেরোলেই বারান্দা। মাঝে মাঝেই ফেরিওয়ালার ডাক শোনা যেত; “নিবেএএ...এএএ...ন” শুনলেই দৌড়ে যেতাম; রেলিঙ্গে ঝুঁকে দেখতাম কিসের ফেরীওয়ালা, কেমন ফেরীওয়ালা। মন কেমন করা...ক্লান্ত সুরেলা ওই ডাকের মাঝে কোথাও ঘর পালানোর কথা আছে। গভীর অন্ধকার বা জ্যোৎস্নারাত মোহ তৈরী করে; মানুষ মাতাল হয়ে ঘর ছাড়ে। কিন্তু দুপুর...সে অন্যরকম..ঝকঝকে রোদে মানুষ হঠাৎই তার নিজের মাঝে যে যাযাবর বাউলের বসবাস তার চোখে চোখ রাখে।
বাসায় কাঁচের গ্লাস প্লেট ভাঙ্গলে সবার মুখ অন্ধকার; শুধু দুরন্ত আমার চোখে আনন্দ ঝিলমিল। ভাঙ্গা কাঁচের বদলে ভরদুপুরে একটু পোড়া তিতকুটে মিষ্টি কটকটি। সেই ছোট্টবেলাতেই জেনে গিয়েছিলাম কখনো কখনো ভাঙ্গাচোরাই অমুল্য; নিখুঁত কারো চাইতে একটু ভাঙ্গাচোরা মানুষগুলোই ধোঁয়া ধোঁয়া গন্ধের কালচে মুচমুচে লোভনীয় কটকটি। তবে আশেপাশের সব বাসার গৃহকর্মীদের মাঝে সোরগোল পড়ে যেত যখন লেসফিতা ওয়ালা আসতো। ঝুড়ি নামিয়ে বসতেই রঙ্গীন সব চুলের ফিতা, ক্লিপ, কমদামী স্নো পাউডার লিপষ্টিক, তাঁতের শাড়ী। কোন যাদুমন্ত্রে ঝুড়ি থেকে একের পর এক দারুন সব জিনিষ বেরুতো; ফেরীওয়ালাদের ঝুড়িতে যেন সমস্ত পৃথিবী আঁটা।
আয়া মা কখনো ক্লিপ কিনে দিতেন; তবে রেজীর মা বুয়া প্রায়ই রেজীর জন্য চুলের ফিতা কিনতেন। রেজীর বয়স মধ্যকুড়িতে; কম বয়সে বিয়ে হলেও বাচ্চা হয়নি বলে স্বামী পরিত্যক্ত। ঢাকাতেই অন্য আরেক বাসায় কাজ করতো; মাঝে মাঝে ছুটি নিয়ে মায়ের কাছে দু’তিন দিনের জন্য বেড়াতে আসতো। কেন যেন মনে হতো রেজী ঠিক অন্যদের মতো নয়। সৌন্দর্যের সামাজিক সংজ্ঞা জানতাম; মেয়েদের জানতেই হয়। তিনতলার আপু যেমনটা; খুব সুন্দর; বেশ ফর্সা, ধারালো নাক আর চিবুক, গাঢ় বাদামী চুল, ঘন চোখের পাপড়ি; রুপকথার সব রাজকন্যাতেই আমি আপুকে খুঁজে পেতাম।
রেজী অন্যরকম; একটু বড় কালো গভীর চোখ; চাপা নাক; গাঢ় বাদামী পুরু ঠোঁট; দু’গালে বিন্দু বিন্দু কালো মেচেতার দাগ। দুধ চা রঙের গোলগাল মুখের দু’পাশে লাল ফিতার হৃষ্টপুষ্ট কলাবেনী। খুটিয়ে দেখলে তেমন সুন্দর কিছু নয় কিন্তু হাসলে ওর চোখে বিদ্যুৎ চমকাতো; হাটার সময় লাস্য ছলকে পড়তো। রাজকন্যার থেকে চোখ ফেরাতে পারলেও রেজীর থেকে চোখ ফেরানো কঠিন। ও বেড়াতে আসলেই আশেপাশের বাসার গাড়ীচালক, আর পুরুষ গৃহকর্মীদের মাঝে একটু সাড়া পড়ে যেত। এই সৌন্দর্যকে কোন ছকে ফেলা যায় না বলেই হয়তো রেজী আমাকে মুগ্ধ করেছিলো। ঝাড়বাতি সুন্দর কিন্তু উল্টোপথে হাঁটা আমার মতো কারো কারো যে দাবানলের আলোই পছন্দ।
সত্তুরের শেষে শহরটা এতো যান্ত্রিক হয়ে ওঠেনি; হঠাৎ হঠাৎই রোদেলা দুপুরের ঝকঝকে নীল আকাশে টিয়ার সবুজ ঝাঁক ঝলসে উঠতো। বাবাকে গল্প করতেই একদিন খাঁচায় করে এক সবুজ টিয়া নিয়ে হাজির। এমন সতেজ সুন্দর সবুজ বৃষ্টির পরে পাতারাও নয়; লাল ঠোঁটের টিয়া অবশ্য বেশ রাগী রাগী চোখে তাকালো। দুপুরের দৃশ্যপট একটু বদলালো; এখন আর দুপুরগুলোতে একা নই। বারান্দার শেষ প্রান্তে যেখানে পেয়ারা গাছের ডাল মুখ বাড়িয়েছে সেখানে পাখির খাঁচা ঝুললো।
কয়েকদিনের মধ্যেই আঙ্গুলে ওই টুকটুকে লাল ঠোঁটের কামড়; দুপুরগুলো আবার চুপচাপ। অভিমানী আমি টিয়ার সাথে আবোল তালোল কথা বন্ধ করে দিয়েছি। তপ্ত রেলিঙ্গে গাল রেখে সুনসান দুপুরের বাতাসে অলস রোদের খেলা দেখছিলাম; মনটা যে কোথায় ছিলো...মনটা যে কি বলছিলো? হঠাৎ ডানা ঝাপটানির আওয়াজ; একটু গোঙ্গানির মতো কষ্টের শব্দ; চমকে উঠে খাঁচার দিকে তাকাতেই দেখি পাখিটা অস্থির। আকাশে সবুজ টিয়ার ঝাঁক। খাঁচা খুলে দিয়েছিলাম; এই প্রথম পাখিটা আমার দিকে রাগী চোখে তাকায়নি। একটু অবাক চোখেরা; একটু দ্বিধায় খাঁচার বাইরে মাথা আগানো; তারপরে বাতাসে সবুজ ডানা মেলা। কি অপার্থিব সুন্দর!! বন্ধনহীনতার মতো সুন্দর আর কোন দৃশ্য আছে?
এখনো দুপুর এলে খাঁচার দরজা খুলি; এলোমেলো ভাবনারা পাখা মেলে। নির্জন দুপুর এলেই উড়ি, যাযাবর আমি, বাউল আমি। ফিসফিসিয়ে বলি “দুপুর, তোমার হাতে একফোঁটা কবিতা ফেললাম/ দুপুর, আমার হাত নাও, ধরে বলো তো---গরম?” কাউকে বলিনি, শুধু দুপুরই জানে মনে মনে কার সাথে দুষ্টুমি আমার, মান-অভিমানের নোনা কবিতা। শুধু দুপুরই জানে কে আমার সেই বেওয়ারিশ আবেগের ফেরীওয়ালা যে দূরে কোথাও ঘর পালানোর ডাক দিয়ে যায়।
(০১/২৫/২০১৭)
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:০৬
শিখা রহমান বলেছেন: শায়মা দুপুরবেলাটা আসলেই খুব নিজস্ব সময়। শহর প্রকৃতি মানুষ সবাই মনে হয় একটু ঝিমিয়ে পড়ে, একটু ক্লান্ত। আমি বড় হওয়ার সময়ে ইন্টারনেট, গেম এইসব যান্ত্রিকতা ছিলো না। একা একা দুষ্টামি অথবা বিকেলে খলতে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা। পড়ার জন্য আর সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৬
সুমন কর বলেছেন: শুধু দুপুরই জানে মনে মনে কার সাথে দুষ্টুমি আমার, মান-অভিমানের নোনা কবিতা। শুধু দুপুরই জানে কে আমার সেই বেওয়ারিশ আবেগের ফেরীওয়ালা যে দূরে কোথাও ঘর পালানোর ডাক দিয়ে যায়। -- দুপুরের কথোপকথন ভালো লাগল।
তবে আমার কিন্তু, দুপুরে একটু রেস্ট চাই।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১০
শিখা রহমান বলেছেন: সুমন হুউউউ…বোঝাই যাচ্ছে আপনি আর ছোট্ট নেই…দুপুরের ডাকাডাকি না শুনে রেষ্ট নিচ্ছেন!!! পড়ার জন্য এত্তো ধন্যবাদ।
৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২
অরুনি মায়া অনু বলেছেন: পড়তে পড়তে হারিয়ে গেলাম শৈশবে। কি চমৎকারভাবে লিখে গেলেন আপনি। মন ভরে গেল। আসলেই দুপুরের সৌন্দর্যই অন্যরকম। অনেক ভাল লাগা রেখে গেলাম।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৬
শিখা রহমান বলেছেন: অরুনি মায়া অনু আপনার তিনটা নামই সুন্দর আর আমার অন্যান্য গল্পে ব্যবহার করেছি। তবে সব গল্প অবশ্য এখানে পোষ্ট করা হয়নি। আপনার মন্তব্য পড়ে আমার মনটাও ভালোলাগায় ভরে গেলো। আমার খুব সাধারন আটপৌরে শৈশবের গল্প আপনার মন ছুঁয়েছে। পড়ার জন্য আর সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: শিখা রহমান ,
স্মৃতির ঢেউ জাগানিয়া অদ্ভুত লেখা ।
মনে হলো, দুপুরের ঘন্টা বাজিয়ে কে যেন মনপাড়ানীর না'য়ে পাল তুলে দিয়ে গেলো ।
সে পালে লাগা বিবাগী হাওয়ার গায়ে যেন ঘর পালানোর টান । সেই টানে দুপুর যেন অবারিত শৈশবের দরজা খুলে ডানা মেলে মেলে গেলো দিগ্বিদিক ......................
++
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৫৭
শিখা রহমান বলেছেন: আহমেদ জী এস খুব সুন্দর করে বলেছেন "স্মৃতির ঢেউ জাগানিয়া অদ্ভুত লেখা" আপনার মন্তব্য আমার লেখার চেয়েও সুন্দর!! অনেক অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য আর এমন দারুন মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা থাকলো।
৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০০
জুন বলেছেন: আরেকটি জিনিস বাদ পড়ে গেলো মনে হয় শিখা রহমান। ঢাকনা দেয়া গোল বেতের ঝুড়িতে বেদেনীদের লাল নীল রেশমি চুড়ির হাক ডাক, কখনো বা সাপের খেলা। সবই ছিল সেই ভর দুপুরকে ঘিরে।
সেই ছোটবেলার কত স্মৃতি মনে পড়ে গেলো আপনার লেখায়।
অনেক ভালোলাগা রইলো।
+
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৫৯
শিখা রহমান বলেছেন: জুন আমার লেখা আপনাকে ছোটবেলার স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে ভেবে ভালো লাগছে। ঠিক বলেছেন "লাল নীল রেশমি চুড়ির হাক ডাক" বাদ পড়ে গেছে। ধন্যবাদ পড়ার জন্য আর মন্তব্যের জন্যেও।
৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:০৪
সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: এটা শুধুমাত্রই লিখা না। আস্ত একটা ভিডিও ক্লিপ! যতক্ষণ পড়ছিলাম, যেনো মনের চোখ মেলে কল্পনার জগতে টুকরো টুকরো ছবিগুলো মুগ্ধ হয়ে দেখে যাচ্ছিলাম। অসাধারণ।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:০২
শিখা রহমান বলেছেন: সিলেক্টিভলি সোশ্যাল আপনার মন্তব্যটা দারুন!!! আসলেই লেখার সময়ে আমার সেই ছোট্টবেলার দুপুরগুলো ভিডিও ক্লিপের মতোই সামনে ভাসছিলো। অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য আর শুভকামনা।
৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০৩
শোভন শামস বলেছেন: শুভ কামনা থাকলো
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:০৩
শিখা রহমান বলেছেন: শোভন শামস পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আর আপনাকেও শুভকামনা
৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬
আরাফআহনাফ বলেছেন: " শুধু দুপুরই জানে মনে মনে কার সাথে দুষ্টুমি আমার, মান-অভিমানের নোনা কবিতা" - আহা দুপুর, আহা শৈশব, আহা দুরন্তপনা।
আমার একটা প্রশ্ন : ৮০/৯০ দশকের সবার শৈশব স্মৃতির এতো এতো মিল কেন?
কী নস্টালজিক না হয়ে গেলাম !
ভালো থাকুন - শুভ কামনা নিরন্তর।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৮
শিখা রহমান বলেছেন: আরাফআহনাফ ৮০/৯০ দশকের সবার শৈশব স্মৃতির এতো এতো মিল থাকারই কথা। আমরা বড় হয়েছি ইন্টারনেট, ভিডিও কম্পিউটার গেম, ফেসবুক আর সেল ফোন ছাড়া। জীবনটা অন্যরকম ছিলো। আমার ছোট্টবেলার গল্প আপনাকে স্মৃতিকাতর করতে পেরেছে দেখে ভালো লাগছে। ভাল থাকবেন আর আপনাকেও শুভকামনা।
৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২২
ভাবুক কবি বলেছেন: শুভ কামনা রইল
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯
শিখা রহমান বলেছেন: ভাবুক কবি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আর আপনাকেও শুভকামনা
১০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক সুন্দর গোছানো টুকরো টুকনো স্মৃতিগুলো প্রকাশে একটি নিপুন চিত্র ফুটাতে পেরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২০
শিখা রহমান বলেছেন: মাহমুদুর রহমান সুজন পড়ার জন্য ধন্যবাদ আর সুন্দর মন্তব্যের জন্যেও। শুভকামনা থাকলো।
১১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অদ্ভুত মুগ্ধতায় বেঁধে রাখলেন পুরোটা সময়!!!!
নাকি আমিই হারিয়ে গেছিলাম নিজের শৈশবে!!!
যদিও মাত্রায় খানিকটা ভিন্নতা ! তবু অনুভবের সতেজ সবুজাভা একই!
“দুপুর, তোমার হাতে একফোঁটা কবিতা ফেললাম/ দুপুর, আমার হাত নাও, ধরে বলো তো---গরম?” কাউকে বলিনি, শুধু দুপুরই জানে মনে মনে কার সাথে দুষ্টুমি আমার, মান-অভিমানের নোনা কবিতা। শুধু দুপুরই জানে কে আমার সেই বেওয়ারিশ আবেগের ফেরীওয়ালা যে দূরে কোথাও ঘর পালানোর ডাক দিয়ে যায়। অসাধারন!!
+++++++++++
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩
শিখা রহমান বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বাঁধতে পেরেছি বলছেন? আমার গল্পে হারিয়েছেন নাকি নিজেকে খুঁজে পেলেন? যেটাই হোক আপনি পড়েছেন এবং অদ্ভুত সুন্দর কিছু কথা বলেছেন। এত্তো ধন্যবাদ আর শুভকামনা।
১২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩
রাতু০১ বলেছেন: চৈএ মাসের ঝিঝি পোকা। অসম্ভব সুন্দর।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪
শিখা রহমান বলেছেন: রাতু০১ কি সুন্দর করে বললেন "চৈএ মাসের ঝিঝি পোকা।" !!! অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য আর শুভকামনা রইলো।
১৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০
নীল-দর্পণ বলেছেন: দুপুরে আম্মা ঘুমিয়ে গেলে আমি খুট খুট করে প্লেট, গ্লাস, ছোট্ট বাটি ধুতে বসতাম।
দুপুরে আম্মার ঘুমের পরেই-ত বানিয়েছিলাম ইসুব গুলের ভূষির পিঠা ! পানিতে ভূষি থকথকে করে গুলে তাওয়ার দিয়ে সেকা সেকা করে ভেজেছিলাম (যদিও খাওয়ার জিনিস হয়নি সেটা)
এখনো, এই বুড়ি বেলাতেও ঘরে কেউ না থাকলে বা দুপুরে ঘুমালে নতুন নতুন কোন রেসিপি ট্রাই করি।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮
শিখা রহমান বলেছেন: নীল-দর্পণ আপনার দুপুরের দুষ্টুমির গল্প শুনে মজা লাগলো। আসলে মেয়েরা খুব ছোট্টবেলাতেই সংসার বুঝে যায়। ছোট্টবেলার রান্নাবাটি খেলার রান্না খাওয়ার মতো না হলেও আমি ঠিক জানি আপনি নিশ্চয়ই এখন পাকা রাঁধুনি। ভাল থাকবেন আর শুভকামনা। আপনার দুপুরগুলো সবসময়েই সুন্দর হোক।
১৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২৩
ANIKAT KAMAL বলেছেন:
সব লেখা অসাধারন নয় কিছু লেখা জীবন্ত যেমন অাপনি
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫
শিখা রহমান বলেছেন: ANIKAT KAMAL বাহ!!! খুব সুন্দর একটা কথা বললেন এত্তো ধন্যবাদ পড়ার জন্য। শুভকামনা আর সাথে থাকবেন কিন্তু।
১৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ঝাড়বাতি সুন্দর কিন্তু উল্টোপথে হাঁটা আমার মতো কারো কারো যে দাবানলের আলোই পছন্দ।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০২
শিখা রহমান বলেছেন: মনিরা সুলতানা নীরা আসলেই তাই!! শান্ত সৌম্য সুন্দরের চেয়ে আমার কেন যেন সর্বনাশা সুন্দরই পছন্দ।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।
১৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৬
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমার এখানে এখন অনেক রাট | বাইরে অবিশ্রাম স্নো পড়ছে দুপুর থেকে (সিক্স ইঞ্চি মনে হয় চারিইয়ে গেছে ) তারপরেও ছোটবেলার স্মৃতির দরজাটা খুলে উদাসী দুপুরের ডাকটা আমি ঠিকই শুনতে পেলাম | স্কুল থেকে ফিরে স্তব্ধ কত দুপুরের (আব্বা লাঞ্চ করে তখন আবার অফিসে চলে গিয়েছেন) কত স্মৃতি যে মনে করিয়ে দিলেন শিখা রহমান ! চমৎকার লাগলো | প্রিয় মুনিরা সুলতানা, আমার লেডি উইথ দ্যা ল্যাম্প, আপনার মন্তব্ব্যটা দেখেই আসা লেখায় | জ্বালাও পোড়াও নয় এই শিখা অনেক দয়াময় ! অনেক ভালোলাগার গল্প পড়বার সুযোগ করে দিলো কেমন ! মায়া জড়ানো চমৎকার লেখাটার জন্য শিখা রহমান ধন্যবাদ নিন অনেক অনেক |
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৭
শিখা রহমান বলেছেন: মলাসইলমুইনা আপনার মন্তব্য পড়ে অভিভূত। ছোটবেলাটা খুব সাধারণ হলেও এই পড়ন্ত দুপুরে এসে পিছু ফিরে দেখি সময়গুলো আসাধারণ ছিলো। অথবা কে জানে স্মৃতিরা হয়তো সবসময়েই অসামান্য হয়।
আমার সামান্য লেখা আপনাকে খুব সুন্দর কিছু সময়ের কথা মনে করিয়ে দিতে পেরেছে দেখে লেখাটা সার্থক মনে হচ্ছে। ভালো থাকবেন। বরফের দেশে সাবধানে থাকবেন। শুভকামনা।
১৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩১
অচেনা হৃদি বলেছেন: আপু, সুন্দর একটা লেখার সন্ধান দিয়েছেন আমাকে। যখন পড়ছি তখন দুপুর, ঠিক আপনার পোস্টের দুপুরের মত। পড়তে পড়তে মনে হল যেন আপনার সাথে আমার সবকিছু মিলে যাচ্ছে। আপনার সুখ দুঃখের সাথে আমার সুখ দুঃখগুলো কিভাবে যেন মিলে যাচ্ছে। আপনার সাথে দেখা হলে যেনে নিতাম জীবনে কখন কিভাবে দুঃখ বরণ করেছিলেন। আপনার কাছে জেনে নিয়ে আমি আগেভাগে সতর্ক হয়ে যেতাম, তাহলে আমাকে আর নতুন করে দুঃখ বরণ করতে হত না।
আপনার বাকি জীবনের দুপুরগুলো সুন্দর কাটুক আপু, এই কামনা রইল।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬
শিখা রহমান বলেছেন: হৃদিমনি তুমি দেখি খুব লক্ষী পাঠক!! বলার সাথে সাথে পড়ে ফেলেছো আর কি সুন্দর মন্তব্যো করেছো।
দুঃখ বরণের জন্য কি কেউ প্রস্তুতি নিতে পারে পাগলী? তোমার জীবনের পথে তোমাকেই চলতে হবে। হোঁচট খেতে খেতে, পড়ে গিয়ে আবারো উঠে দাঁড়াতে হবে। আর এই সুখ দুঃখগুলোই যে চলার পথে তোমাকে বারংবার বদলে দেবে।
তোমার জীবনের অহর্নিশি সুন্দর কাটুক। ভালো থেকো ভালোবাসায়।
অনেক ভালবাসা আর শুভকামনা।
১৮| ১৪ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনন্যসাধারণ কথকতা, সবাই যা শুনতে বা পড়তে ভালবাসে, কিন্তু লিখতে পারেনা! কিন্তু আপনি খুব ভাল পারেন।
গল্পের ভাঁজে ভাঁজে কত কত আপন দর্শন ব্যক্ত করে গেছেন, আমার মত আরো অনেক পাঠকের কাছেই যা ভাল লেগেছে! যেমনঃ
সুমন করঃ - শুধু দুপুরই জানে মনে মনে কার সাথে দুষ্টুমি আমার, মান-অভিমানের নোনা কবিতা। শুধু দুপুরই জানে কে আমার সেই বেওয়ারিশ আবেগের ফেরীওয়ালা যে দূরে কোথাও ঘর পালানোর ডাক দিয়ে যায়।
আরাফআহনাফঃ - "শুধু দুপুরই জানে মনে মনে কার সাথে দুষ্টুমি আমার, মান-অভিমানের নোনা কবিতা"।
বিদ্রোহী ভৃগুঃ - “দুপুর, তোমার হাতে একফোঁটা কবিতা ফেললাম/ দুপুর, আমার হাত নাও, ধরে বলো তো---গরম?” কাউকে বলিনি, শুধু দুপুরই জানে মনে মনে কার সাথে দুষ্টুমি আমার, মান-অভিমানের নোনা কবিতা। শুধু দুপুরই জানে কে আমার সেই বেওয়ারিশ আবেগের ফেরীওয়ালা যে দূরে কোথাও ঘর পালানোর ডাক দিয়ে যায়"। (সুমন কর আর আরাফআহনাফ এর চেয়ে উনি একটু বেশী কোট করেছেন উনি, তাই তিনটেই দিলাম)
আর আমিঃ "ফেরীওয়ালাদের ঝুড়িতে যেন সমস্ত পৃথিবী আটা"! .... এবং
"ঝাড়বাতি সুন্দর, কিন্তু উলটো পথে হাঁটা আমার মত কারো কারো যে দাবানলের আলোই পছন্দ"।
পোস্টে প্লাস + +।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩৩
শিখা রহমান বলেছেন: খায়রুল আহসান মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হওয়ায় প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। দেশে বেড়াতে গিয়েছিলাম আর তখন ব্লগে আসা সম্ভব ছিলো না। তারপরে ফিরে এসেই ব্যস্ততা আর হয়তো একটু গড়িমসিও। ভালো আছেন আশা করি। অবশ্য আমি ব্লগে সক্রিয় না থাকাতে আপনি আমার পুরোনো লেখা খুঁজে পড়েছেন। এটা অনেক বড় পাওয়া।
আপনি খুব মনোযোগের সাথে আর খুঁটিয়ে লেখা পড়েন। সেটা সবসময়েই আমাকে মুগ্ধ আর অভিভূত করে। লেখায় সবার মন্তব্য আর প্রতিমন্তব্যও পড়েন। এবারো তার ব্যতিক্রম না।
আপনার মতো মনোযোগী পাঠক পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার, যিনি কিনা কবি-লেখক এবং আমি যার লেখার অনুরাগীও। অনেক অনেক ধন্যবাদ। ব্লগে এসেই আপনার মন্তব্যে মন আলো হয়ে গেলো।
ভালো থাকুন সবসময়। পাশে থেকে অনুপ্রেরণার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা নিরন্তর!!
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৪
শায়মা বলেছেন: দুপুরবেলার জন্য আমিও ছোটবেলায় ওয়েট করতাম। সবাই ঘুমিয়ে গেলেই শুরু হত আমার অভিযান!!!!! হা হা হা অনেক মজা লাগলো আপুনি!!!!!!!!!!!