![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....
আকাশ তার ঘরে লন্ঠন জ্বালাচ্ছে; মেঘ গুলো সব সিঁদুরে রাঙ্গা। মস্ত বড় থালার মতো টকটকে লাল সূর্য তার লজ্জা রাঙ্গা মুখ লুকাচ্ছে পাহাড়ের পেছনে। সন্ধ্যা নামছে ধীর মন্থর পায়ে। অন্ধকারের কালো পর্দা নামলেই আকাশের ঘরে লন্ঠন নিভিয়ে শুরু হবে সূর্যদেবী আর চন্দ্রের বাসর। সারাদিনের কাজ শেষে বাসায় ফিরছি। সন্ধ্যা আমার ভালো লাগে না; আরেকটা দিনের মৃত্যু। সবাই সন্ধ্যায় ঘরে ফেরে; রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে সোনালী ডানার শঙ্খচিলেরাও। এখনতো সবার বনলতা সেনের মুখোমুখি বসার সময়; জীবনের সব লেনদেনের হিসাব মেলানো। আমি হিসাবী নই বলেই হয়তো সন্ধ্যা আমার ভালো লাগে না; উড়নচণ্ডী মনকে ঘরমুখী করতে আমার বেশ কষ্ট হয়।
যখন ছোট্ট ছিলাম তখনতো সন্ধ্যা আরো মন খারাপ করা ছিলো। মাগরিবের আজান পড়ার সাথে সাথে সব খেলা ভেঙ্গে বাসায় ফিরতে হতো। আজান শেষ হলেই পড়ার টেবিলে হাজিরা; পড়া থাকুক কি না থাকুক নিয়ম করে প্রতিদিন পড়ার টেবিলে সন্ধ্যায় বসতেই হতো; বাবা মায়ের কড়া নির্দেশ। ছেলেবেলার সন্ধ্যাগুলো অন্যরকম ছিলো; চুপচাপ শান্ত, তখনতো আর সারাক্ষন টেলিভিশন বা কম্পিউটার চলতো না। সন্ধ্যা হলে পাশের ঘরে বাবা মা সারাদিনের সময় গুলো আদান প্রদান করতেন; আর আমি পড়ার টেবিলে মুখ গুজে বসে। আমার স্কুল আর পড়াশোনা ভালো লাগে না; এখনো না। পরের দিন যদি ইংরেজি পড়া থাকতো তাহলে আমার ইচ্ছে করতো অঙ্ক করতে; আর যেদিন অঙ্ক বাড়ীর কাজ থাকতো সেদিন বসে বসে বাংলা পড়তাম। নিয়ম মানতে যে কি কষ্ট!!! স্রোতের উল্টো দিকেই সাঁতার কাটলাম সারাটা জীবন।
মাঝে মাঝে কিচ্ছুই পড়তে ইচ্ছে করতো না; এমনকি পড়ার বইয়ের নীচে লুকিয়ে গল্পের বইও না। বসে বসে বলাকা ব্লেড দিয়ে কাটতাম পেন্সিল, উদ্দেশ্যহীন, আনমনা। কোন কোন পেন্সিলের পুরো গায়ের ছাল তুলে ফেলতাম ব্লেড দিয়ে। একবার বাবা আমার টেবিল থেকে পেন্সিল নিতে এসে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন; সব পেন্সিলই কাঠরঙ্গা ছাল বাকলা বিহীন নগ্ন। সারাজীবন রঙ ভালোবাসা এই আমি শুধু সন্ধ্যাকে ভালো না বেসে সব পেন্সিল গুলোকে রঙহীন করে ফেলেছিলাম। কখনো লাল সাদা গুল্লি সুতা দিয়ে নিউজ প্রিন্ট বা সাদা দিস্তা খাতা সেলাই করতাম। কাঠের হাতলওয়ালা খাতা সেলাইয়ের লোহার কুরুস কাঠির মাথার বঁড়শীতে লাল সাদা সুতা আটকে দিস্তা কাগজের বুকে মাঝ বরাবর সেলাই। ভালো লাগতো নিউজ প্রিন্ট কাগজ, হালকা খয়েরী ছাই রঙ্গা এই কাগজের বুক এত্তো মোলায়েম যে মনে হোতো আঁকিবুঁকি কাটার সময়ে বলপেনের নিব ডুব দিচ্ছে।
একদিন সেই কুরুস কাঠি নিয়ে আনমনে খেলতে খেলতে বঁড়শী গেঁথে ফেললাম বাম হাতের তর্জনীতে। খুব অবাক হয়ে গেছিলাম, রক্ত পড়ছিলো না, আঙুলে ব্যথাও পাইনি। পাশের ড্রয়িং রুমে বাবা কাজ করছিলেন, মা সেদিন একটু বাইরে গেছেন। বাবার সাথে কাজের কথা শেষে আড্ডা দিচ্ছিলেন স্থপতি অঙ্কন; আমার প্রকৌশলী বাবার সাথে অনেক গুলো প্রজেক্টে কাজ করতেন। বাবার চেয়ে অনেক জুনিয়র, তারপরেও আমার চেয়ে বছর পনেরোর বড় হবেন। আমি তখন ক্লাস নাইনে আর উনি তিরিশ ঘেঁষা ঝকঝকে যুবক। প্রায় সন্ধ্যাতেই উনি আসতেন আমাদের বাসায়, কাজের কথা শেষেও অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দিতেন। ঘাড় ছোঁয়া চুল, সারা মুখে ঘন চাপ দাড়ি, গোল চশমার ভারী কাঁচের আড়ালে বড় বড় শিশুসুলভ চোখ। খুব হাসি খুশী মানুষ, বাসায় আসলেই চুপচাপ সন্ধ্যাবেলা উচ্ছল হয়ে উঠতো; অঙ্কন না হাসলেও তার উজ্বল চোখগুলো সবসময় হাসতো। যেদিনই শুনতাম যে তার আসার কথা আমি মনে মনে অপেক্ষা করতাম; কান পেতে রাখতাম মোটর সাইকেলের আওয়াজের জন্য। শব্দ হলেই উঁকি দিতাম চারতলায় আমার ঘরের জানালা থেকে। মোটর সাইকেলে বসে থাকা ওই দৃপ্ত যুবককে আমার মনে হতো ঘোড়ায় চড়া অশ্বারোহী; বাতাসে চুল উড়ছে মেঘের মতো।
আঙ্গুলে কুরুস কাঠি বেঁধা হতভম্ব আমি বাবার কাছে যেতেই বাবা অস্থির হয়ে পড়লেন। অঙ্কন বাবাকে বললেন ডেটল, তুলা আর ব্যান্ডেজ নিয়ে আসতে। লোহার হুক টেনে বের করার চেষ্টা করতেই এত্তোক্ষনে ব্যাথায় চিৎকার করে উঠলাম। অঙ্কন বললেন “এই মেয়ে!!! হাতের দিকে না, আমার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকো।“ ছায়া ছায়া পল্লবে ঘেরা তার গভীর চোখে ডুব সাঁতার দিয়ে ভেসে উঠতেই হাতের দিকে তাকিয়ে দেখি রক্ত আর রক্ত; কুরুস কাঠি উনার হাতে। বাবা আঙ্গুলে ব্যান্ডেজ করে দেয়ার পরেও সাদা রঙের ব্যান্ডেজ লাল হয়ে যাচ্ছিলো। উনি সোফায় পাশে বসে অনেকক্ষন আমার তর্জনী শক্ত করে চেপে ধরে রেখেছিলেন। বাবা বকছিলেন এত্তো অসাবধান হবার জন্য; আমি কিচ্ছুই শুনিনি। ওনার গা থেকে ভেসে আসা পুরুষালি কোলনের গন্ধ; চেক চেক শার্টের ওপরের বোতাম খোলা; গলার রুপালী চেনের নীচে উঁকি দেয়া বুকের অরন্য। আমি সম্মোহিত হয়ে গিয়েছিলাম; মাত্র নিষিদ্ধ জগত বুঝতে শেখা আমি প্রথমবারের মতো প্রেমের অনুভূতি টের পেয়েছিলাম; ঠিক প্রেমে পড়িনি কিন্তু বুঝতে পেরেছিলাম প্রেমে পড়লে কেমনটা লাগতে পারে। উনি আমাকে বার বার বলছিলেন যে ভয় না পেতে, সব ঠিক হয়েযাবে। আর আমি একদমই চাইনি কিচ্ছু ঠিক হয়ে যাক; ঝরুক আমার সব রক্ত আর সে অনন্তকাল আমার হাত ধরে থাকুক।
ওনাকে ভালো লেগেছিলো; একটু বেশীই; জীবনের প্রথম ভালোবাসা ঘেঁষা ভালোলাগা। কখনো অঙ্কনকে আমার করে চাইনি; আমি জানতাম সেটা বাস্তববাদী নয়; মেয়েরা খুব কম বয়সেই অনেক কিছু বুঝতে শেখে। একসময় শুনলাম উনি বিয়ে করবেন, হবু বউ আর প্রেমিকাকে নিয়ে বেড়াতে আসলেন। সীমা সাংবাদিক; ভীষন তুখোর ববকাট চুলের সুন্দরী তরুনী, চাবুকের মতো শরীর। পুরোটা সময় আমি মুগ্ধ হয়ে সীমাকে দেখেছিলাম; আশ্চর্য হয়েছিলাম ওই যুগলকে পরষ্পরকে তুই সম্বোধন করতে দেখে; দারুন অবাক আর ভালো লেগেছিলো!!! যাবার সময় আবারো চারতলার জানালায় উঁকি; আমার ভালোলাগার অশ্বারোহীর পেছনে কোমর জড়িয়ে ধরে বসা সীমাকে ভীষন মানিয়েছিলো। আমার স্বপ্নের রাজপুত্র তার রাজকন্যা খুঁজে পেয়েছে; খারাপ লাগেনি কিন্তু। কিশোরী আমি সেই প্রথমবারের মতো না চেয়েই ভালোবাসতে শিখলাম; সুন্দরকে শুধু সৌন্দর্য্যের জন্যই ভালবাসলাম।
কিশোরীকালের সেই হঠাৎ ভালোবেসে ফেলার অভ্যাসটা এখোনো আছে; যখন তখন প্রেমে পড়ি; কথার প্রেমে; কারও চোখের প্রেমে; কবিতার প্রেমে; গানের প্রেমে; খুব সুন্দর কিছুর প্রেমে; কাছে যেতে ইচ্ছা করে না; পেতে ইচ্ছা করে না; শুধু ভালোবাসতে ইচ্ছা করে। বাসার সামনে গাড়ী পার্ক করে বসে আছি; পারকিং লটে গাড়ীতে বসে থাকার অভ্যেসটা পুরোনো; বসে বসে শিশিরের শব্দে সন্ধ্যা নামা দেখছি। আমার যে আর কোথাও যাবার নেই; কিন্তু আজকের হিসেব মেলাতেও ইচ্ছা করছে না। মাকে ফোন করলাম; হ্যালো বলা মাত্র মা বললো “পাগলী!! আবারো কি গাড়ীতে বসে আছিস?” অনেক বছর আগে ছোট্টবেলার সেই হারিয়ে যাওয়া আমিকে মা একদিন খুব বকেছিলো সন্ধ্যা নামার পরে দেরীতে বাসায় এসেছিলাম বলে। এখোনো আমার সারাদিনের খেলা শেষে ঘরে ফিরতে ইচ্ছা করে না; মা আমাকে আবারো খুব করে বকে দাওতো!!!!
০৫/২০/২০১৫
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৬
শিখা রহমান বলেছেন: বাবু রাম সাপুড়ে১ অনেকটাই ঠিক বলেছেন তবে 'বেণীমাধবে'র সাথে লুকিয়ে দেখা হয়নি আমার। প্রথম ভালোলাগা অনেক সময়েই ভালোবাসা পর্যন্ত আগায় না। অনেকটা বলতে পারেন এটা কোন কিশোরীর প্রথম ' ক্রাশে'র গল্প। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আর খুব সুন্দর মন্তব্যটার জন্যেও।
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কিশোরীকালের সেই হঠাৎ ভালোবেসে ফেলার অভ্যাসটা এখোনো আছে; যখন তখন প্রেমে পড়ি; কথার প্রেমে; কারও চোখের প্রেমে; কবিতার প্রেমে; গানের প্রেমে; খুব সুন্দর কিছুর প্রেমে; কাছে যেতে ইচ্ছা করে না; পেতে ইচ্ছা করে না; শুধু ভালোবাসতে ইচ্ছা করে। এ যেন মনের কাঁচের মত স্বচ্চ কথা। অনু প্রেরণা দায়ক। “ ভালবাস প্রেমে হও বলি চেওনা তাহারে”, একথার মতো আদর্শ কথা।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৮
শিখা রহমান বলেছেন: ফরিদ আহমদ চৌধুরী খুব সুন্দর করে গুছিয়ে বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য আর শুভকামনা থাকলো।
৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৫
পুলহ বলেছেন: আপনার সেই "ভালোবাসা ঘেঁষা ভালোলাগা" কি আপনার লেখালেখির এই গুণটা সম্পর্কে জানতেন? হয়তো জানলে উনিও প্রেমে পড়তেন আপনার লিখনশৈলীর !!
এর আগের পর্বে দুপুর, এবার সন্ধ্যা। পরের বার নিশ্চই ভোর , কারণ যে শৈশব/ কৈশোরের কথা আপনি লিখছেন, তাতে সাধারণত রাত্রির সৌন্দর্য, জোছনার রহস্যটুকু থাকে না।
যেটাই লিখুন, শুভকামনা থাকবে!
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৭
শিখা রহমান বলেছেন: পুলহ আপনি প্রেমে পড়েছেন আ্মার লিখনশৈলীর? অথবা "ভালোবাসা ঘেঁষা ভালোলাগা"য়? অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। আপনার মন্তব্যগুলো যে আমার লেখার চেয়েও সুন্দর হয় তা জানেন?
ইশশ!!! জানেন আমার না জোছনা রাত্রি নিয়ে একটা লেখা আছে। আমি ভাবছিলাম সেটা দেবো নাকি এইটা। আপনার জন্য পরেরবার সেই লেখাটা দেবো তাহলে। পড়বেন তো? আর পড়ার পরে জানাবেন কিন্তু কেমন হয়েছে।
ভালো থাকবেন আর আপনাকেও শুভকামনা।
৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১
তারেক ফাহিম বলেছেন: যখন তখন প্রেমে পড়ি; কথার প্রেমে; কারও চোখের প্রেমে; কবিতার প্রেমে; গানের প্রেমে; খুব সুন্দর কিছুর প্রেমে; কাছে যেতে ইচ্ছা করে না; পেতে ইচ্ছা করে না; শুধু ভালোবাসতে ইচ্ছা করে। এ জন্যই তো এত লিখনশৈলীর। খুব ভাল লাগল আপনার লিখাটি পড়ে। শুভ কামনা রহিল। আর হ্যাঁ জোৎসনা রাত্রের লেখাটি লিখতে দেরী করবেন না কিন্তু।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩০
শিখা রহমান বলেছেন: তারেক ফাহিম ধন্যবাদ পড়ার জন্য। ভালো লেগেছে জানলে আসলেই লিখতে ইচ্ছে করে। তার ওপরে এতো সুন্দর করে তাগাদা দিলেন। এখনতো আসলেই লেখাটা খুব তাড়াতাড়িই দিতে হবে। শুভকামনা রইলো আর অনুপ্রেরণার জন্য এত্তো ধন্যবাদ।
৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: শিখা রহমান ,
ভালো লিখেছেন এখানে ---- অভ্যাসটা এখোনো আছে; যখন তখন প্রেমে পড়ি; কথার প্রেমে; কারও চোখের প্রেমে; কবিতার প্রেমে; গানের প্রেমে; খুব সুন্দর কিছুর প্রেমে; কাছে যেতে ইচ্ছা করে না; পেতে ইচ্ছা করে না; শুধু ভালোবাসতে ইচ্ছা করে।
আসলেই ভালবাসা এক অধরা কিছু । নিঃসঙ্গী বর্ণমালার মতোই সঙ্গী বিহীন, একাকী ।
ভালোবাসা সম্পর্কিত আমার এই লেখাটি দেখতে পারেন -----নিঃসঙ্গী বর্ণমালা
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬
শিখা রহমান বলেছেন: আহমেদ জী এস "আসলেই ভালবাসা এক অধরা কিছু । নিঃসঙ্গী বর্ণমালার মতোই সঙ্গী বিহীন, একাকী।" কি দারুন!!! আপনার "নিঃসঙ্গী বর্ণমালা" পড়লাম। খুব ভালো লেগেছে। আপনার লেখা আপনার মন্তব্যের মতোই কাব্যিক আর সুন্দর।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ আর শুভকামনা রইলো।
৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৩
শায়মা বলেছেন: একবার বাবা আমার টেবিল থেকে পেন্সিল নিতে এসে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন; সব পেন্সিলই কাঠরঙ্গা ছাল বাকলা বিহীন নগ্ন। সারাজীবন রঙ ভালোবাসা এই আমি শুধু সন্ধ্যাকে ভালো না বেসে সব পেন্সিল গুলোকে রঙহীন করে ফেলেছিলাম।
হা হা আপুনি!!!!!!
অনেক হাসলাম!!!!!!!!!
আমি তো তোমার ফ্যান হয়ে যাচ্ছি আপুনিমনি!!!!!
তুমি আর আফরোজা সোমা আপুনি দেখছি
হঠাৎ হাওয়ায় ভেসে আসা ধন
তাই হঠাৎ পাওয়ায় চমকে ওঠে মন.....
হুট করে হারিয়ে যেওনা আপুনিমনি!!!!!!
থেমে যেও আমাদের সাথে!!!!!!
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৬
শিখা রহমান বলেছেন: শায়মা কি আশ্চর্য!!! এই লাইনগুলোই এই লেখায় আমার সবচেয়ে প্রিয় লাইন যদিও বেশীরভাগ পাঠক শেষের লাইনগুলোই পছন্দ করে। হুউউ কি ধরনের পাংখা? টেবিল ফ্যান নাকি সিলিং?
চেষ্টা করবো সাথে থাকতে। অনেক ধন্যবাদ এত্তো সুন্দর করে আপুনিমনি বলার জন্য
শুভকামনা আর এত্তো ধন্যবাদ পড়ার জন্য মেয়েটা।
৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৩
শায়মা বলেছেন: আমার মনে হচ্ছে এই ছবিটা তুমি এঁকেছো তাই না আপুনি???
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০০
শিখা রহমান বলেছেন: শায়মা এত্তো গুণী নইরে মেয়ে!!! খুঁজে বের করলাম ইন্টারনেট থেকে। প্রথমে অন্য একটা ছবি ছিলো। এটা ভালো লাগলো দেখে বদলে দিলাম।
৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩২
জুন বলেছেন: আশা করি আপনিও এখানে এখনই অন্ধ হয়ে বন্ধ করবেন না পাখা শিখা রহমান।
অসম্ভব এক ভালোলাগায় আচ্ছন্ন হই আপনার সময়ের উপর লেখাগুলোতে। নিকষ কালো রাতের আবেদনের সাথে প্রভাত মহিমাকেও খুজে পাবো আপনার লেখায়। সাথে আছি
+
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৩৫
শিখা রহমান বলেছেন: জুন অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য। পাখা বন্ধ করতে আসলেই ইচ্ছে করে না কিন্তু বড্ড ব্যস্ত হয়ে যাই যে মাঝে মাঝে। খুব খুব চেষ্টা করবো নিয়মিত লেখা দিতে। শুভকামনা আর সাথে থাকবেন।
৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮
ANIKAT KAMAL বলেছেন: স্বপ্নের যাদুতে অপরুপ লেখনী
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৩৬
শিখা রহমান বলেছেন: ANIKAT KAMAL পড়ার জন্য আর এমন যাদুমাখা মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আকাশ তার ঘরে লন্ঠন জ্বালাচ্ছে; মেঘ গুলো সব সিঁদুরে রাঙ্গা - গল্পের শুরুটা চমৎকার হয়েছে।
উড়নচণ্ডী মনকে ঘরমুখী করতে আমার বেশ কষ্ট হয়। ... স্রোতের উল্টো দিকেই সাঁতার কাটলাম সারাটা জীবন -
অঙ্কন না হাসলেও তার উজ্বল চোখগুলো সবসময় হাসতো -- এই একটি বাক্যে আপনার পুরো গল্পটা ঝলমলে হাসিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠলো যেন!!!
আর আমি একদমই চাইনি কিচ্ছু ঠিক হয়ে যাক; ঝরুক আমার সব রক্ত আর সে অনন্তকাল আমার হাত ধরে থাকুক। - বেশ! এ রকমের কত ইচ্ছের কথা জীবনে অব্যক্ত থেকে যায়!
যখন তখন প্রেমে পড়ি; কথার প্রেমে; কারও চোখের প্রেমে; কবিতার প্রেমে; গানের প্রেমে; খুব সুন্দর কিছুর প্রেমে; কাছে যেতে ইচ্ছা করে না; পেতে ইচ্ছা করে না; শুধু ভালোবাসতে ইচ্ছা করে - সবই ঠিক আছে, কিন্তু ভালবাসা পেতেও ইচ্ছে করেই করে!
চমৎকার লিখেছেন। আপনার কোন লেখা এই প্রথম পড়লাম, মুগ্ধ হ'লাম!
লেখায় ভাল লাগা রেখে গেলাম। + +
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৩৮
শিখা রহমান বলেছেন: খায়রুল আহসান আপনি এতো মনো্যোগ দিয়ে পড়েন যে অভিভূত হলাম। আপনার মতো পাঠক পাওয়া আসলেই সৌভাগ্য। অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা। আশা করছি পরে লেখা দিলেও আপনার সুন্দর মন্তব্য পাবো।
১১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪
পেপার রাইম বলেছেন: আমার বিকেলটা আপনার গল্পের সন্ধ্যার মত করে খারাপ যাচ্ছিল,পড়ে ভালো লেগেছে।চমৎকার লিখেছেন তবে আরেকটু বড় যদি হত!হয়তো ঠিকেই আছে,ভালো লাগার কারনে দ্রুত পড়ে ফেলেছি
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৪১
শিখা রহমান বলেছেন: পেপার রাইম আমার এই সামান্য গল্প আপনার মন খারাপের সময়ে ভালোলাগা দিয়েছে ভাবতেও ভালো লাগছে। অনেক ধন্যবাদ এমন মন ভালো করা মন্তব্যের জন্যে। শুভকামনা রইলো। আর শুনুন মন খারাপ করে থাকবেন না।
১২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রিয় দের ছায়া হয়ে থাকাতেই বেশ লাগে
ছত্রে ছত্রে আমার হয়ে লেখা সব ।
ভালোবাসা ভালোবাসা
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪
শিখা রহমান বলেছেন: মনিরা সুলতানা নীরা শুনে ভালো লাগলো যে আমার কথাগুলোতে আপনি নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন।
আপনাকেও ভালোবাসা অফুরন্ত। ভালো থাকবেন।
১৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৪
জাহিদ অনিক বলেছেন:
ওফ ! কি দুর্দান্ত !!
তবু বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর উপরের পুলহের মন্তব্য দেখলাম। আমার প্রিয় একজন ব্লগার পুলহ। এখন দেখি না তেমন একটা। উনি যথাযথই বলেছেন, আপনার লিখনশৈলীর সম্মোহনী ক্ষমতা প্রখর। প্রেমে পড়তে না চাইলেও জোর করে ফেলে দেয়।
সন্ধ্যা আমার কাছে একটা পবিত্র সময়। সকালের সময়টাও ভালো- তবে সন্ধ্যার মত নয়।
সন্ধ্যা এমন একটা ঘোর লাগা আবহ থাকে- যা আপনার লেখায় পরিস্ফুটিত। কিশোরীর সেই তোলপাড় করা অব্যক্ত প্রেমের মত। আক্ষরিক অর্থেও তো আপনার গল্পে তাই ছিল।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭
শিখা রহমান বলেছেন: জাহিদ তোমার দুর্দান্ত লেগেছে শুনে আসলেই ভালোলাগায় আচ্ছন্ন হলাম। "সন্ধ্যা এমন একটা ঘোর লাগা আবহ থাকে- যা আপনার লেখায় পরিস্ফুটিত।" অনেক অনেক ধন্যবাদ।
তুমি ঠিকই বলেছ যে পুলহকে আজকাল ব্লগে দেখি না। একসময়ে উনি আমার লেখায় নিয়মিত সুন্দর আর গঠনমূলক মন্তব্য করে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। উনি নিজেও খুবই ভালো লেখেন।
ভালো থেকো প্রিয় কবি। সন্ধ্যা নামুক, শব্দেরা মাতাল হোক, আর কবিতারা ধরা দিক কবির কাছে।
১৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮
উম্মে সায়মা বলেছেন: এই লেখাটা অনেক বেশি আবেগময় আপু৷ আপনার চিন্তাগুলো অনেক বেশি গভীর৷আমি কখনো এতোটা ভাবতেই পারিনা। পারবোওনা মনে হয়। এমন নস্টালজিক লেখা সবসময় ভালো লাগে। +++
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৩
শিখা রহমান বলেছেন: সায়মা মনি এই গল্পটা লেখার সময়ে আমি আসলেই কিশোরী হয়ে গিয়েছিলাম। সেই ভুলে যাওয়া কোন কিশোরীবেলার আবেগ তুলে এনেছি বলেই হয়তো লেখাটা অনেক বেশী আবেগে মাখা।
কবি-লেখিকা হিসেবে তোমার চিন্তার গভীরতা আমাকে সবসময়েই মুগ্ধ করে সায়মা মনি।
আর হুউউউ... নস্টালজিক লেখা আমারও খুব প্রিয়, সে আমার লেখা হোক বা অন্য কারোর।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালোবাসা অফুরন্ত।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫
বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: বেশ ভাল।
এটা কি মেয়ে -বেলার বেণীমাধব কাহিনী ?
"কুঞ্জে অলি গুঞ্জে তবু, ফুটেছে মঞ্জরী
সন্ধ্যেবেলা পড়তে বসে অঙ্কে ভুল করি
আমি তখন নবম শ্রেণী, আমি তখন ষোলো
ব্রীজের ধারে, বেণীমাধব, লুকিয়ে দেখা হলো"
ঠিক এরকমই কি?