![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....
দরজা খুলে বের হয়েই মনে হল ভুল করেছি। এখন রাত দশটা; ছুটির দিন, আজ রবিবার। সারাদিন সংসারের কাজ করেছি, বের হইনি। আমার মানুষটাকে বললাম যে একটু বাইরে এলোমেলো গাড়ি চালিয়ে আসি, দমবন্ধ লাগছে। এই ইউনিভার্সিটি টাউন বেশ নিরাপদ; সপ্তাহের দিন গুলোতে ক্লাসই তো হয় রাত দশটা পর্যন্ত। আজ পূর্ণিমা বা পূর্ণিমার আগের দিন। এই ব্যস্ত জীবনে সূর্যের দিন গুনে চলা; চাঁদের হিসাব আর রাখা হলো কই!!!
বাইরে তরল পারদ থই থই করছে। পাহাড়ের চূড়াগুলো চাঁদের আলোয় নীলাভ রুপালী। বড় শহরে চাঁদ বিজলী বাতির আড়ালে ঢাকা পড়ে; মিটিমিটি তারাদের চেয়ে নিয়ন বাতির ধিকিধিকিই চোখে পড়ে বেশী। পাহাড়ী এই ছোট্ট শহরে চাঁদ ওঠে রাজার মতো। লক্ষ কোটি তারা খচিত নিকষ কালো আকাশ। রাতের সৌন্দর্য্যের কাছে মানুষকে এখানে প্রজার মতো নতজানু হতেই হয়। পূর্ণ চন্দ্র; প্রকান্ড থালার মতো চাঁদ; আকাশের তারা খচিত চাঁদোয়া আজ নীচে নেমে এসেছে। চারিদিকে সব রুপালী; আকাশ থেকে চুইয়ে পড়ছে তরল জোছনা। বাতাসে ঘর ছাড়ার গন্ধ; জোছনা সংসার ত্যাগী করে, মাতাল করে। এমন রাতে আমার মতো উড়নচন্ডী মানুষের ঘর ছেড়ে বের না হওয়াই ভালো। কিন্তু এখনতো আর ফেরার উপায় নেই, আটকে গেছি জোছনাজালে।
ডাউন টাউনের দিকে গাড়ি ছুটালাম। প্রায় জনহীন রাস্তা; বেশীর ভাগ দোকানই বন্ধ হয়ে গেছে। ফাস্ট ফুডের দোকান গুলোও বন্ধ হবে হবে করছে। কয়েকটার সামনে দু এক জন ভাসমান মানুষ তাদের ট্রলী নিয়ে দাঁড়িয়ে; ট্রলীতেই তাদের পুরো সংসার, ইহকালের যাবতীয় সম্পত্তি। কাল সপ্তাহের প্রথম দিন; উইকএন্ডের সব পাগলামি, রাত জাগা, শেষ করে শহর আবারো নিয়মের বেড়াজালে বন্দী। পারকিং লটগুলোকে দুঃখী দেখাচ্ছে; একদম খালি, শুধু হঠাৎ দু’একটা গাড়ি। জোছনা ভেজা এই নির্জন শহর যেন চাঁদের আলোয় নিরাভরন এক রমনী; অপেক্ষায় আছে উইকেন্ডের যখন সে অপরুপা সাজবে তার ভালোবাসার জন্য।
আমাদের শহরটা খুবই ছোট, পাঁচ মাইলের পরিধি। পনের/ বিশ মিনিট অলিগলিতে ঘুরোঘুরি করে ভাবলাম ফিরে যাই। গাড়ির কাঁচ নামানো; রাতের শীতার্ত বাতাস ছুঁয়ে যাচ্ছে আমার চিবুক, কাঁপছে চোখের পাপড়ি; বাতাসে খোলা চুল লুকোচুরি খেলছে কপোলের সাথে। বাতাসের সাথে আজ এই জোছনাময়ী রাতে আমার খেলা; কানের পেছনে দেয়া চুল বার বার গালে আর গলায় এনে দিচ্ছে। ভালো লাগছিল; বাসা পেরিয়ে Highway 1 ধরে একটু উত্তরে চলে গেলাম; সামনে কিছু দূর গিয়েই ঘুরে আসব। Highway 1 বেশ অন্ধকার; স্ট্রীটলাইট নেই। চাঁদের আলোয় দুরের হালকা রুপালী পাহাড়ের সারি। রাস্তার পাশের হালকা জঙ্গল জোছনার ছোঁয়ায় রহস্যময়ী হয়ে উঠেছে। সুনসান রাস্তায় মাঝে মাঝে গাড়ি। চাঁদ পাল্লা দিয়ে দৌড়ুচ্ছে আমার পাশাপাশি, জোছনার কোমল আলোয় অপার্থিব রাত। চাঁদটা এত্ত নীচে নেমে এসেছে; নিজেকে মনে হচ্ছে ঘোড়ায় সওয়ার দুরন্ত কাউগার্ল; ইচ্ছে হচ্ছে ল্যাসো ছুড়ে চাঁদটাকে বেঁধে নিয়ে পোষ মানাই। একটু ধীর গতিতে যাচ্ছি চাঁদটার সাথে থাকে; বাতাসের সাথে খেলতে খেলতে। উল্টো দিকের গাড়িরা বেশ জোরে হুশহাশ শব্দ তুলে রাতের নীরবতা ভেঙ্গে দিচ্ছে। অন্যদের এত্তো আমার মতো চন্দ্রাহত হবার সময় নেই।
হঠাৎ পঁচিশ বছর আগের এক এমনি রাতের কথা মনে পড়ে গেল। ছাদে না উঠলে কি আর ঢাকায় জোছনা মাখা যায়!! ছাদ ভেসে যাচ্ছিল পারদ জ্যোৎস্নায়; ছাদের মেঝেতে পানির পাইপ; পানির ট্যাঙ্কি; আরো এক তলা হবার প্রস্তুতিতে যেখানে সেখানে ছাদ ফুড়ে বের হওয়া রডের বান্ডিল। রডে এলোমেলো বাঁধা কাপড় শুকানোর দড়িগুলো বাতাসে দুলছিলো, আর উড়ছিলো আমার কোমর ছোঁয়া চুল। বাতাসতো চুলের সাথে একটা খেলাই জানে; ঠিক আজকের মতোই হাওয়ার দুষ্টূমি। আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম ছাদের এককোনে, ডুবে গেছিলাম জোছনা দেখাতে। পিছনে একটা অস্ফুট আওয়াজ শুনে চমকে তাকালাম “কে?” “আমি রুদ্র। সরি, হঠাৎ দেখে চমকে গিয়েছিলাম।“ রুদ্র আমাদের পাশের ফ্ল্যাটে থাকে; আমার মতোই ইন্টারমেডিয়েট সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে। আমিও এত্তো চমকে গিয়েছিলাম যে বোকার মতো বললাম “ওহহ...আমি শিখা।“ ও একটু চুপ করে থেকে বললো “না, তুমি রুপালী মানবী।“ রুদ্র দেখতে বেশ সুদর্শন, খাড়া নাক, পাতলা ঠোঁট; গভীর কালো চোখ গুলো খুব বড়ো না, কিন্তু কেমন জানি একটা উড়ু উড়ু ভাব আছে। সে মনে করিয়ে দেয় মাইকেল অ্যাঞ্জেলোর শ্যামলা ডেভিডকে। ওর উড়ন্ত চোখের আকাশ হতে যে মাঝে মাঝে ইচ্ছা করেনি তা নয়, কিন্তু আমিতো হাত পেতে কারো কাছে কিছু চাই না। ও দাড়ায়নি, চলে গিয়েছিলো। সে রাতটা এই রুপালী মানবীর একটুও ঘুম হয়নি; আমি চন্দ্রাহত হয়েছিলাম।
এরপরে আমার সাথে রুদ্রর দেখা হয়েছে, সিড়িতে, রাস্তায়, বা কোন অনুষ্ঠানে। ও আর কিছু বলেনি, আমিও। আমাদের মধ্যে জ্যোৎস্নার যে অদৃশ্য সেতু রহস্যময়ী চাঁদ তৈরী করে দেয়েছিল, তা আমরা কখোনোই অতিক্রম করিনি। ইন্টারমেডিয়েটর পরে আমি বুয়েটে, আর ও ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে। সেকেন্ড ইয়ারে উঠতেই শুনলাম রুদ্র বিয়ে করেছে। মেয়েটা ইন্টারমেডিয়েট পড়ে, পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে। বাসায় আনার পরে একদিন দেখলাম, নাম সুমনা, কি যে মিষ্টি দেখতে! ওদের দুজনকে খুব মানিয়েছে। এরও বছর চারেক পরে আমার বিয়ে, বুয়েটে পড়ার পর্ব শেষ; চাকরি করছি। পানচিনির আগের দিন বাসার কাজের ছেলেটা এসে একটা চিরকুট দিয়ে গেল। আমি খুব অবাক হয়ে খুললাম। “তুমি আসলেই রুপালী মানবী। তোমাকে ধরতে চেষ্টা করিনি। জোছনা কি ধরা যায়?” একই সাথে তীব্র ভালোলাগা আর কষ্ট আমাকে ঘিরে ধরল; না পাওয়ার কষ্ট আর ভালোলাগা, আর এই জেনে যে ওর কোথাও আমার জন্য জায়গা আছে।
এর তিন মাস পরে আমার বিয়ে হয়ে গেল। আশ্চর্য যে বিয়ের রাতেও থালার মতো বিশাল চাঁদ উঠেছিল। বাসর রাতে দোতালার যে ঘরে থাকার ব্যবস্থা হয়েছিলো, সে ঘরের জানালা দিয়ে পেছনের পুকুর দেখা যায়। জানালার পাশেই বিছানা। চাঁদের ছায়া পুকুরের টলটলে জলে, মনে হচ্ছে চাঁদটা পুকুরে ডুব দিয়েছে। আমার মানুষটা ঘুমিয়ে গেছিলো, একাই জেগে ছিলাম। জানালা দিয়ে সেই অপার্থিব জ্যোৎস্নার দিকে তাকিয়ে তীব্র মন খারাপ হলো; ছেড়ে আসা পুরোনো জীবন; সামনের অজানা অনিশ্চিত যাত্রা । চারপাশে গোলাপের পাপড়ি, ফুলের সুবাস; নতুন চাদরের আর মানুষটার গন্ধ মাখা আমি; একা একা জেগে থাকা আমি সেই মোহময় জোছনার দিকে তাকিয়ে কাদঁলাম। হঠাৎ করেই আমার মানুষটা জেগে গেল; উঠে বসে বললো “মন খারাপ লাগছে?” তারপরেই কন্ঠে মুগ্ধতা ঝরে পড়ল “ইশশ্…চাদের আলোয়তো তোমাকে রাজকন্যার মতো লাগছে!!!”
আমার মানুষটা তেমন কবিতা পড়ে না।আমাকে সে রুপালী মানবী বলবে না কখনোই। কিন্ত আমাকে সে যখনই পড়েছে নিজেকে আমার মনে হয়েছে একটা সম্পূর্ণ কবিতার মতো, যার প্রতেকটা পংক্তি ভালোবাসায় লেখা। আমি গাড়ি ঘুরালাম। এই জোছনাময়ী রাতে আমাকে ঘরে ফিরতেই হবে। ঘরছাড়ানো চাঁদকে পেছনে ফেলে আমি ঘরে ফিরছি। আজ রাতে থই থই চাঁদের আলোয় আমার মানুষটাকে যে আমার বলতেই হবে “এই শোনো… আজ আমি রুপালী মানবী, শুধু তোমার রুপালী মানবী।
(০৫/০৪/২০১৫) ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৫৮
শিখা রহমান বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু এত্তো সুন্দর করে বললেন যে আমার মনটাও ভালোলাগায় ভরে গেলো। অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। শুভকামনা আর এত্তো এত্তো ভালো থাকবেন।
২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭
নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: বেশ ভাল লাগলো
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৫৯
শিখা রহমান বলেছেন: নুরুন নাহার লিলিয়া ধন্যবাদ পড়ার জন্য। সাথে থাকার জন্য শুভকামনা। ভালো থাকবেন।
৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০০
ধ্রুবক আলো বলেছেন: খুব মনযোগ সহকারে দ'বার পড়লাম, বেশ ভালো লিখেছেন, সাজানো গোছানো লেখা ++
রুদ্রর যদি ভালোই লাগতো সে জানাতে পারতো, নাকি অন্যকোন সমস্যা ছিলো কে জানতো?! খুব আশ্চর্য বোধক!!
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৬
শিখা রহমান বলেছেন: ধ্রুবক আলো মনো্যোগ দিয়ে দুইবার পড়ার জন্য এক্সট্রা ধন্যবাদ। আসলে যে সময়কার গল্প, সেই নব্বইয়ের দশকের প্রথমে, ইন্টারনেট বা সেলফোনের আধিপত্য ছিলো না। আর মনে হয় ভালোবাসার কথা কেউ তখন এখনকার মতো খুব সহজে বলতো না। তবে তারপরেও আপনি ঠিক বলেছেন। বলতেই পারতো। ভালোবাসার কথা না বলার চাইতে বেপরোয়া আর বিপদজনক আর কিই বা হতে পারে?
অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা।
৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা। রুপালী মানবী'র গল্প ভালো লাগল।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৮
শিখা রহমান বলেছেন: সুমন কর অনেক ধন্যবাদ। এখনকার পূর্ণিমা রাতগুলো আসলেই বড্ড পাগল করা। শুভকামনা আর ভালো থাকবেন।
৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩২
পুলহ বলেছেন: তীব্র অনুভবের গল্প। শিখার ঐ 'মানুষটা' ভাগ্যবান, কারণ তার রূপালি মানবী তার হৃদয়ের ভাষা পড়তে পেরেছিলো। মুখের ভাষা সে শিখার কাছে হতে পেরেছিলো গৌণ..
"গাড়ির কাঁচ নামানো; রাতের শীতার্ত বাতাস ছুঁয়ে যাচ্ছে আমার চিবুক, কাঁপছে চোখের পাপড়ি; বাতাসে খোলা চুল লুকোচুরি খেলছে কপোলের সাথে..."- আমার অবশ্য অনুভূতি হয়- চোখের পাপড়ি নয়, কাপে আসলে রোদ কিংবা জোছনা !
"ওর উড়ন্ত চোখের আকাশ হতে যে মাঝে মাঝে ইচ্ছা করেনি তা নয়, কিন্তু আমিতো হাত পেতে কারো কাছে কিছু চাই না।"-- শেষমেষ তো অবশ্য মনে হলো, রুদ্রের চোখের আকাশ হয়েই রইলো বুঝি শিখা! কারণ চোখ কখনো আকাশকে পায় না, দূর থেকে শুধু দেখেই তার শান্তি।
রুদ্রও যেমন পায় নি শিখাকে!
...এটাই কি সে জোছনা নিয়ে লেখা গল্পটি যার কথা বলেছিলেন? একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে গল্পের আবেগ, অনুভূতি, চিত্রকল্প নির্মাণ - সবই যথেষ্ট ভালো লেগেছে। তবে মনে হয়- কাহিনীটা আরেকটু গোছানো এবং সুসঙ্গত হতে পারতো হয়তো।
আফটার অল- দ্য রাইটার ইজ শিখা রহমান!
শুভকামনা !
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩৫
শিখা রহমান বলেছেন: পুলহ আপনি এতো মন দিয়ে পড়েন আর এতো সুন্দর করে মন্তব্য করেন যে মন ভরে যায়। আমি লেখা দিলেই ইদানিং আপনার মন্তব্যের অপেক্ষা করি। অভ্যাস খারাপ করে দিচ্ছেন কিন্তু।
হুউউউ.......এই সেই জোছনা রাতের গল্প যার কথা বলেছিলাম। আর ঠিক বলেছেন "কাহিনীটা আরেকটু গোছানো এবং সুসঙ্গত হতে পারতো হয়তো।" আসলে নীচের তারিখ দেখলে বুঝবেন লেখাটা বেশ আগের, আমার প্রথম দিকের লেখা। তখন আমার বেশীর ভাগ তখন ফার্স্ট পারসনে ছিলো। এখন পড়ে আমারো মনে হয়েছে লেখাটা একটু দুর্বল কোথাও কোথাও। তারপরেও এখানে দিলাম আপনাকে বলেছিলাম তাই।
শুভকামনা আর ভালো থাকবেন। সাথে থাকবেন, বিশেষ করে ভুলগুলো ধরিয়ে দেবেন কিন্তু।
৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪০
মানবী বলেছেন: অসাধারন!
গল্প মনে হয়নি মোটেও, পুরোটাই বাস্তব!
পড়তে গিয়ে চমকে যেতে হয়েছে, কয়েক বার স্ক্রল করে নাম নিশ্চিত করার মতো অবস্থা!
চমৎকার পোস্টের জন্য জোছনা পাগল উড়নচন্ডী সুলেখিকা শিখা রহমানকে ধন্যবাদ।
প্রিয় পোস্ট!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৫২
শিখা রহমান বলেছেন: মানবী অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও শুধু পড়ার জন্য নয়, এত্তো সুন্দর মন্তব্য!! শুভকামনা আর সাথে থাকবেন, ভালো থাকবেন।
৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাইরে তরল পারদ থই থই করছে -- চমৎকার!
রাতের সৌন্দর্য্যের কাছে মানুষকে এখানে প্রজার মতো নতজানু হতেই হয় - আপনার শব্দশৈলীর কাছে যেমন হয় বিমুগ্ধ পাঠকের বিস্ময়!
বাতাসতো চুলের সাথে একটা খেলাই জানে; --
তোমাকে ধরতে চেষ্টা করিনি। জোছনা কি ধরা যায়? - রুদ্র'র মত অনেক বিমুগ্ধ হৃদয় এভাবেই জোছনাকে শুধু দূর থেকে বা কাছে থেকে দেখেই যায়, কখনো ধরার চেষ্টা করে না। আসলেই তো, জোছনা কি ধরা যায়?
আমার মানুষটা তেমন কবিতা পড়ে না।আমাকে সে রুপালী মানবী বলবে না কখনোই। কিন্ত আমাকে সে যখনই পড়েছে নিজেকে আমার মনে হয়েছে একটা সম্পূর্ণ কবিতার মতো, যার প্রতেকটা পংক্তি ভালোবাসায় লেখা। আমি গাড়ি ঘুরালাম। - এ ক'টা লাইন পড়ে যে কী অনুভূতি হলো, তা কেমনে বুঝাই?
শিখা'র আলোর শিখা সেই ভাল মানুষটির কবিতার মত অন্তর প্রজ্জ্বলিত করে তাকে কবিতাপ্রেমী করে তুলুক, এই কামনায়...
অসম্ভব ভাল লাগা এ পোস্টে পঞ্চম প্লাস + + রেখে গেলাম।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫৮
শিখা রহমান বলেছেন: খায়রুল আহসান আপনি এত্তো মন দিয়ে পড়েন আর এতো সুন্দর গুছিয়ে মন্তব্য করেন যে আমি বরাবরের মতোই অভিভূত। আপনার শুভকামনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন আর সাথে থাকবেন।
৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬
আনু মোল্লাহ বলেছেন: আপনার বর্ণনার ছন্দ আমাকে শেষ পর্যন্ত পড়তে বাধ্য করেছে। কিছু কিছু উপমা আর শব্দের গাঁথুনি এত চমৎকার লেগেছে যে মনে গেঁথে গেল। আপনাকে অভিনন্দন জানাই। ভাল থাকুন সর্বদা।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৮
শিখা রহমান বলেছেন: আনু মোল্লাহ আপনার মন্তব্য মন ভালো করে দিলো অনেক অনেক। এমন মন্তব্য পড়লে আসলেই লিখতে ইচ্ছে করে। পড়ার জন্য এত্তো ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকবেন আর সাথে থাকবেন।
৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শুধু ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম।। একটি রূপালী সন্ধ্যার আবেগঘন বর্ননা।।এবং তেমনই পগল করা সময়ে নিজের একটু ভাল লগার কথাও।। কেন যেন নজরুলের গানটি মনে পড়ে গেল, তুমিকি এখন দেখিছো স্বপন.....।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০৩
শিখা রহমান বলেছেন: সচেতনহ্যাপী আমি ব্লগে নিয়মিত নই। আপনি আমার পুরোনো লেখা পড়ে এমন সুন্দর সব মন্তব্য করছেন ইদানীং যে আবার লেখা দিতে ইচ্ছে করছে। এই লেখাটা আমার প্রিয়, হয়তো বা আমার নিজের কথা বলেই!! আপনার ভালোলাগা বড় পাওয়া। শুভকামনা আর ভালো থাকবেন।
১০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮
মিথী_মারজান বলেছেন: অসাধারণ আপু!
প্রতিটি বর্ণনায় আপনি যে ইমেজারি তৈরী করেন সেটা সত্যিই অসাধারণ!
মনে হচ্ছিল ঐ মানুষটা আমি, ঐ জায়গা গুলোতে আমিই তো ছিলাম।
এত সুন্দর আপনার লেখাটা।
রুদ্র ভাইয়া ঠিক কথাই বলেছিলেন।
আপনি আসলেই রুপালি মানবী।
রুদ্র ভাইয়া কিভাবে পালিয়ে বিয়ে করতে পারল!
কেন জানিনা, আমারও মন খারাপ লেগেছে সেখানটায়।
তবে সবচেয়ে ভাললেগেছে যখন আপনি গাড়ি ঘুরিয়ে বাসায় ব্যাক করলেন।
শেষ প্যারাটা পড়ে আমি গর্দভের মত কান্না করে দিয়েছি আপু।
ভাললাগা সীমাহীন.... (হার্ট ইমো হবে আপু)
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৭
শিখা রহমান বলেছেন: মিথী_মারজান মিথী মনি তুমি না আসলেই আদুরে আর মায়াবী একটা মেয়ে!! লেখার বর্ণনার কথা বাদ দাও। আমার লেখা পড়ে তুমি কেঁদেছ!! আমার লেখা, আমার খুব নিজস্ব কিছু কথা কাউকে এমন অভিভূত করেছে ভাবতেই কেমন যেন আশ্চর্য ভালো লাগে। তুমি যে দারুন রোমান্টিক একজন মানুষ সে তোমার চন্দ্রপ্রীতি দেখেই বোঝা যায়।
তুমিও একটা কবিতার মতোই মেয়ে!! ভালোবাসায় লেখা হোক তোমার কবিতার প্রতিটা পংক্তি। ভালো থেকো।
১১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ঠিক মিথীর মত আমিও আবেশিত আপু ....
বৃষ্টি আর জোছনা এই দুই লেখা পড়ে আমি ঠিক করেছি একদিন হলেও করুনা আপু, রুপালী মানবী, অপ্সরা ,মিথী , উম্মে সায়মা , মনিরা ,নূর ,ওমেরা সব বাউন্ডুলে মিলে একরাতের ভোর দেখবো !!!
জানি না জানি না কিচ্ছু জানি না কিভাবে ....
হয়ত এ আক্ষেপ নিয়েই পৃথিবী থেকে বিদায় নেব ...
চুপচাপ শুধু বসে থাকবো এমন এক মায়াভরা কোজাগরে ; এতটা সৌন্দর্য দেখে কাঁদব ,পরস্পরে আলিঙ্গনে বাঁধা পরব । কেবল মুখে কেউ কিচ্ছু বলবো না ।
আমি জানি আমরা ক’জন আজন্ম বিবাগী !!!!
১২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১০
মিথী_মারজান বলেছেন: @মনিরা সুলতানা আপু,
ওহ্ আপু!
কি কথা বললেন!
আমি এক কথায় রাজি।
আরেকটা জিনিসও সবাই মিলে দেখা যেতে পারে।
সেটা হল উল্কা বৃষ্টি বা উল্কাপাত।
কখনো রাত জেগে দেখেছেন কি?
আমি নিশ্চিত করে বললাম, ঐ রাতটার প্রেমে পড়ে যাবেন।
আর ভালকথা, আমার মেয়েও কিন্তু থাকবে সাথে।
আজন্ম বিবাগী সবার জন্য এত্ত এত্ত ভালবাসা.....
১৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি উল্কা বৃষ্টি দেখি নাই তো !!!!!!
আচ্ছা দেখি কখনো যদি দেখা পাই দেখবো অবশ্যই ।
হুম আজন্ম বিবাগী সবার জন্য ভালোবাসা ।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬
শিখা রহমান বলেছেন: নীরা আমিও উল্কা বৃষ্টি বা উল্কাপাত দেখিনি। মিথী মনি আর তার গুল্লু পুটুশ মেয়েটার সাথে দেখতে হবে।
১৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫
শিখা রহমান বলেছেন: @মনিরা সুলতানা আর @মিথী_মারজান
কি দারুন প্ল্যান!! মিথী মনির মতো আমিও রাজি। "চুপচাপ শুধু বসে থাকবো এমন এক মায়াভরা কোজাগরে ; এতটা সৌন্দর্য দেখে কাঁদব ,পরস্পরে আলিঙ্গনে বাঁধা পরব। কেবল মুখে কেউ কিচ্ছু বলবো না। "
তাই হোক তবে "সে কথা শুনিবেনা কেহ আর, নিভৃত-নির্জন চারিধার,
দু'জনে মুখোমুখি, গভীর দুঃখে দুঃখী, আকাশে জল ঝরে অনিবার,
জগতে কেহ যেন নাহি আর!"
সব ক’জন আজন্ম বিবাগীদের জন্য এত্তো ভালোবাসা!
১৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:১৩
মলাসইলমুইনা বলেছেন: প্রিয় শিক্ষা রহমান : আপনার লিখায় কিন্তু উস্কে দিচ্ছেন আমার মতো আনাড়িকেও জ্যোৎস্না নিয়ে একটা লেখা লিখবার | কিন্তু এটা একবারও ভাবলেন না -আপনার এই লেখার পর জ্যোৎস্না নিয়ে আমি লিখলে সবাই কতবার ইয়াক বলবে আমার লেখাটা পরে | মানসন্মান ব্লগে যা ছিল সেটুকুতো যাবেই | সবাই সারাজীবন ছিঃ ছিঃ করবে | পরের লেখাগুলো আমাদের মতো আনাড়িদের কথা মনে করে একটু খারাপ করে লিখতে পারেন না ?
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭
শিখা রহমান বলেছেন: মলাসইলমুইনা মনে হচ্ছে ভালো উস্কাতে পারিনি আপনার লেখা কই?
আপনি আনাড়ি লেখক!!! আপনার ব্লগে একটু উঁকি দিলাম। আপনিতো দারুন লেখেন। এমনওতো হতে পারে যে আপনার লেখা পড়ার পরে আমার লেখাটকেই সবাই ইয়াক বলবে
অনুরোধ থাকলো জ্যোৎস্না নিয়ে একটা লেখা লিখবার। আর লিখলে একটু জানাবেন। ব্লগে খুব সময় দিতে পারি না। অনেক ভালো লেখাই মিস হয়ে যায়।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা। আর লেখার অপেক্ষায় থাকলাম কিন্তু।
১৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪
মিথী_মারজান বলেছেন: @ শিখা রহমান আপু আর @ মনিরা সুলতানা আপু, মলাসইলমুইনা ভাইয়াকে জেঁকে ধরে বাধ্য করুন প্লিজ জোছনা নিয়ে কিছু লিখতে।
আমার বিশ্বাস, আমাদের মায়াভরা কোজাগর উদযাপনের সময় ভাইয়ার লেখাটি আমাদের আরো বেশি আবেগি করে তুলবে।
আর @প্রিয় মলাসইলমুইনা ভাইয়া, আমার আপন নদীতো আত্মীয়, সত্যি সত্যি অপেক্ষায় থাকবো আপনার জোছনা বিলাস গল্পের।
যদি ভুলেও আমরা কেউ ইয়াক বলি, সেটা হবে নিজেদের ব্যর্থতাকে বলা, আপনার মত গুছিয়ে লিখতে বা ভাবতে না পারার জন্য ইয়াক।
প্লিজ, প্লিজ, প্লিজ.....
১৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৩
মলাসইলমুইনা বলেছেন: শিখা রহমান (আগের মন্তব্যে শিখা- শিক্ষা হয়ে গেছে | আশাকরি কিছু মনে করেন নি | আমাকে লেখার তাবৎ লেসন আপনি দিতেই পারেন কে কোনো সময় |দ্যাটস ওকে |) আপনাদের ওখানে স্নো পড়ছে নিশ্চই ? আমরা অলরেডি ফাইভ ইঞ্চিতে ঢেকে আছি | দিন শেষ হবার আগেই আরো ঢাকবো | যেটা জানতে এলাম - কখন আপনার ঠান্ডা লাগবে এবারের শীতে ? মানে ঠান্ডায় কোন সময় খুক খুক করে কাশিটা আসবে ? তখন সাহস করে লেখাটা যদি দেওয়া যায় তবে ধারণা করি কাশির জ্বালায় 'ইয়াক' বলার সুযোগ থাকবে না |আপনাদের মায়াভরা কোজাগর উদযাপনের সব সদস্যের থেকে তাদের ঠান্ডা লাগার কৌষ্ঠিটা যদি জানাতেন আরেকটু নির্ভয় হতে পারতাম লেখা পোস্টার ব্যাপারে ! মিথি, নদীতো আত্মীয়কে চরম ঝামেলা পাকাবার জন্য মুর্দাবাদ বলা যায় না, নইলে কিন্তু ...
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৫
শিখা রহমান বলেছেন: মলাসইলমুইনা শিক্ষক বলে ভাববেন না যেন আমি শিক্ষা দেই সবসময়। আর শিক্ষা দিলেও সেটা যে সবসময় সুশিক্ষা তাও নয়। :
আমার কলিগরা দুষ্টুমি করে মাঝে সাঝেই Miss Flame বলে ডাকে। শিক্ষার চাইতে জ্বালা পোড়াতেই আমার দক্ষতা বেশী বলে জন্সাধারণের রায়।
আপনি কথায় থাকেন বলুনতো? আমি থাকি ক্যালিফোর্নিয়াতে। এখানে এখন আগুন জ্বলছে, বৃষ্টির অপেক্ষা। শীতে আমাদের শহরে কখনোই বরফ পড়ে না। তাই আর দেরী না করে লেখাটা এখনই দিয়ে দিন। আর লেখা দিলে ট্যাগ করে জানাতে ভুলবেন না যেন।
১৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬
উম্মে সায়মা বলেছেন: এ গল্পটা আগেই পড়েছিলাম শিখা আপু। কিন্তু কেন যেন মন্তব্য করা হয়নি। এত সুন্দর আর কষ্টের৷ কেমন রহস্যময়। মনে হয় কেন রুদ্র বলল না! কেন এমন হল! কেন এমন হয়! আবার হয়তো এমনটাই হবার দরকার ছিল। এমনটাই হবার কথা ছিল!
ওয়াও! মনিরা আপুর ইচ্ছেটা শুনেই এত ভালো লাগছে! ইশ যদি সত্যি এমন হত! বৃষ্টিভেজা চাঁদের আলোয় আমরা ক'জন
০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪
শিখা রহমান বলেছেন: উম্মে সায়মা আমাদের না পাওয়াগুলো আছে বলেই হয়তো বা গল্প আছে, কবিতা আছে। জোছনায় রুদ্রের মতো কারো না বলা কথার হাহাকার আছে বলেই হয়তো চাঁদের আলো এমন উন্মনা করে।
পড়ার জন্য ও এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ভালোবাসা সায়মা মনি। কোন একদিন হয়তো দেখা হয়েই যাবে চাঁদের আলোয়। ভালো থেকো আর ভালোবেসো।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৪০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ

সক্কাল সক্কাল দারুন গল্পে মনটা ভরে গেল
++++