নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা প্রেমী; একটু এলোমেলো; উড়নচণ্ডী; আর বই ভালবাসি। শব্দ নিয়ে খেলা আমার বড্ড প্রিয়। গল্প-কবিতা-মুক্ত গদ্য সব লিখতেই ভালো লাগে। \"কেননা লেখার চেয়ে ভালো ফক্কিকারি কিছু জানা নেই আর।\"

শিখা রহমান

পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....

শিখা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মাসঙ্গী

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০১



বাস থেকে নেমে কয়েক কদম হাটতেই ঝিরঝিরে বৃষ্টিটা ধরে এলো। ভাগ্যিস!! ছাতাটায় একটা ফুটো আছে; বেছে বেছে একেবারে মাথার ওপরে। বেশীক্ষণ বৃষ্টিতে থাকলে ঠিক ঠিক মাথা ভিজে যেতো। মন্দের ভালো যে এই ছাতাটার রং বৃষ্টিতে গলে গলে পড়ে না; একবারতো সস্তায় ছাতা কিনে কালো রঙ্গে পুরোই ভূতুড়ে অবস্থা।

তৌফিক ছাতাটা বন্ধ করলো না; রাস্তায় বৃষ্টির জল জমেছে। এখন জ্যাম; কিন্তু একটু জোরে গাড়ি চললেই কাদাজল জামা রাঙ্গিয়ে দেবে। বহুদিন পথচারীর অভিজ্ঞতায় এখন সে পাকা খেলোয়াড়; কাদাজল ছুটে আসার আগেই বর্মের মতো ছাতাকে রক্ষাকবচ করে ফেলতে পারে। ওর বামদিকে গাড়িরা; ফুটপাতের ডানপাশে সুন্দর সাজানো সব ঝকঝকে দোকান। এলিফ্যান্ট রোডে সবসময়ই বড্ড যানজট থাকে। তৌফিক হাঁটছে এই ব্যস্ত রাস্তার যানবাহনের স্রোতের উল্টোদিকে।

রায়হান কে অফিসে পাওয়া গেলেই হয়; আজ না জানিয়েই ওর অফিসে যাচ্ছে। আগে কয়েকবার বলে যাওয়াতে রায়হানকে পাওয়া যায়নি। মাত্র পাঁচ হাজার টাকা!!! রায়হানের জন্য কিছুই না; আর সেই কবে ধার নিয়েছিলো। ব্যবসার অবস্থা খুব খারাপ না হলে তৌফিক এই সামান্য টাকার জন্য দৌড়াদৌড়ি করতো না কখনো। টাকা ধার চাইতে লজ্জা লাগে জানতো এতোদিন...এখন তৌফিক জানে পাওনা টাকা ফেরত চাইতেও বড় ছোট লাগে নিজেকে। কিন্তু তৌফিক নিরুপায়...প্রায় দিন আনি দিন খাই অবস্থা ওর।

জট খুলেছে একটু; গাড়িরা চলা শুরু করেছে। আপাতত চিন্তা বাদ; সারি সারি চাকার দিকে চোখ রাখলো তৌফিক। একটা শাদা গাড়ী ফুটপাতের পাশ ঘেঁষে জমে থাকা জলে আলোড়ন তুলতেই ও ছাতা বাগিয়ে ফেলল। জলের পিচকারী ঠিক সিনেমার মতো স্লো মোশনে ছাতায় ধাক্কা খেয়ে ওর পায়ের কাছে পড়লো। গাড়িগুলো আবার থমকে গেছে; তৌফিক বিজয়ীর ভঙ্গীতে ছাতা সরালো।

দুটো গাড়ির পরেই একজোড়া চোখ; ভুরুর মাঝে একটু বিরক্তির ভাঁজ তুলেই আয়ত নয়ন। চোখজোড়া খুব চেনা; ওই চোখ এখনও ওর সাথে থাকে ঘুম ভাঙ্গলে, ঘুমাতে যাবার সময়ে। ঘন কালো ধনুক ভুরু; রেগে গেলেই ভুরুজোড়া বেঁকে টঙ্কার তোলে। তৌফিক ছাতা নামিয়ে মুখ ঢাকলো। ভাগ্যিস ফুটোটা আছে!! দেখলো চোখ নামানো; সোনালী রিমের রিডিং গ্লাস। এখনও মানুষটার যানজটে বসে বই পড়ার অভ্যাস আছে। খোলা চুল; একটা সবজে শাদা শাড়ি জড়ানো। আগে এমন হালকা সবুজ পরতো না তো? কিন্তু মানিয়েছে বেশ। ঠিক যেন বর্ষাদিনের সদ্যস্নাত রজনীগন্ধা; বড় স্নিগ্ধ, বড় পবিত্র।

তৌফিক রজনীগন্ধার সুগন্ধ পাচ্ছে। ঠিক এই কথাটাইতো বলেছিলো সেদিন ওকে।
- আপনার কি ভয় লাগছে?
- একটু একটু…
- আগে কখনও রক্ত দেননি বুঝি?
- দিয়েছি বেশ কয়েকবার…কিন্তু আমার সূচবেঁধা দেখতে খুব ভয় করে…সুচ দেখলেই চীৎকার করে উঠতে ইচ্ছে করে!!!
- ওহ…আপনার fear of needles আছে…আপনি সূচ ফোটানোর সময়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকবেন…তাহলে আর ভয় করবে না।

মেয়েটা টকটকে লাল জামা পড়েছিলো; ঠিক রক্তের রং। স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীতে গিয়ে অরনীকে দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলো তৌফিক। খুব সুন্দর নয় অরনী; কিন্তু চেহারাতে বেশ ব্যক্তিত্বের ছাপ আছে। গলায় ঝোলানো চশমা যখন মাঝে মাঝে চোখে উঠছে আরো সুন্দর লাগছিল। মনে হচ্ছিলো অনেকটা সুচিত্রা সেনের মতো; খরস্রোতা নদী কিন্তু কোথাও বাধ দেয়া আছে…জল ছলকে পড়বে না।

- আপনার রক্তের গ্রুপ কি?
- AB+…কেন বলুনতো?
- আমারও একই গ্রুপ। আপনি কি জানেন যে একই ব্লাড গ্রুপ হলে সোলমেট হয়? আত্মাসঙ্গী!!

অরনী হেসে ফেলেছিলো “তাই বুঝি? আপনার এই থিওরীতো চিকিৎসা শাস্ত্রে কখনো পড়িনি? কোথায় পেলেন?”
- এইমাত্র এই “আত্মাসঙ্গী” তত্বের উৎপত্তি হলো। আপনাকে দেখার পরে।
“তাই বুঝি!!!” অরনীর ঠোঁটে চাপা হাসি “আপনার এই তত্ব যে প্রমাণ ছাড়া মানতে পারছি না…”

- আপনাকে যদিও আজ রঙ্গন ফুলের মতো দেখাচ্ছে আমি কিন্তু রজনীগন্ধার সৌরভ পাচ্ছি!!
অরনী অবাক “বুঝিনি ঠিক...কি বলছেন?”
- আমার না রজনীগন্ধা খুব পছন্দের ফুল…
- ওমা তাই…আমারো…
- আমার প্রিয় কবি জীবনানন্দ…তবে সবার ‘বনলতা সেন’কে ভালো লাগলেও আমার কিন্তু ‘সুরঞ্জনা’ই প্রিয়…
- হুউউউ…’আকাশলীনা’ আমার খুব প্রিয় কবিতা। ভাবতেই অস্থির লাগে যে কোন এক যুবক ব্যাকুল হয়ে বলছে ‘ফিরে এসো…নক্ষত্রের রূপালি আগুন ভরা রাতে…কী কথা তাহার সাথে? তার সাথে!”

- আচ্ছা আপনি গ্রিক মাইথোলজি পড়েছেন?
- হ্যা…কি অদ্ভূত সুন্দর সব দেব দেবীরা!!! হেলেন অব ট্রয়…মর্ত্যলোকের সব কিছুতেই অলিম্পাসের দেব দেবীদের হস্তক্ষেপ…হোমার…ইলিয়াড…
- আপনি নিশ্চয়ই একিলিসের চাইতে হেক্টরকেই বেশী ভালোবেসেছেন…
- একিলিস বড্ড নিখুঁত…নিখুঁত কোন মানুষই আমার ভালো লাগে না যে। খুব নিষ্ঠু্র…মৃত হেক্টরকে সে যখন রথের পেছনে দড়ি বেঁধে টেনেছে তখন কিন্তু আমি হেক্টরকেই ভালোবেসেছি।
- শুধু একিলিসের গোড়ালিতে যখন তীর বিঁধেছিলো তখন মায়া হয়েছিলো আপনার...তাই না?
- আশ্চর্য!!! কি ভাবে জানেন?
- ওই যে বলেছিলাম না আমি আপনার সোলমেট…প্রমাণ দিলাম…হা হা হা!!

অরনীর মুখে একটু লাল আভা “এটা মোটেও ঠিক করেননি। না জানিয়ে আমাকে টেস্ট সাবজেক্ট হিসেবে ব্যবহার করেছেন।“
- বাহ…সে তো আমি নিজেকেও টেস্ট সাবজেক্ট হিসেবে ব্যবহার করেছি…কাটাকুটি!!
রক্ত দিতে দিতেই কথা অনেকদূর এগিয়ে গেলো “শুনুন আপনার নম্বরটা দেয়া যাবে? সোলমেট না হলেও একিলিস হিল হতেই পারি…” এখনও অবাক লাগে স্বভাবে মুখচোরা তৌফিক সেদিন কি ভাবে এমন সব কথা বলেছিলো। নাকি প্রেমে পড়লে এমনটাই হবার কথা?

সম্পর্ক এগিয়েছিলো বর্ষাকালের হঠাত নামা ঝুম বৃষ্টির মতো; বোঝার আগেই ভিজে সারা। কিন্তু সেই বৃষ্টিতে ভিজে কারো কারো নেশা হয়; কেউ কেউ জ্বর তপ্ত কপাল, বুকে বাঁধা অসুখের তোয়াক্কা না করে সে বৃষ্টিতে ভালোবাসার হাত ধরে ভেজে। অরনীর বাসার লোকেরা রাজী ছিলো না; চালচুলোহীন ইতিহাসে পড়া একজন ছেলের সাথে তাদের মেধাবী সুন্দরী ডাক্তার মেয়ের বিয়ে!! সারা পৃথিবীর রৌদ্রচক্ষু উপেক্ষা করে ওরা দু’জন বৃষ্টিমানুষ পরষ্পরের হাত ধরেছিলো।

বৃষ্টি কেটে একসময় রোদ ওঠে। সেই যাচ্ছেতাই বিকেলবেলা; অরনীর সুটকেস আর ব্যাগ গোছানো। “খবরদার!!!হাত ধরবে না...থাকব না আর তোমার সঙ্গে, তোমার সঙ্গে থাকা যায় না...” হলুদ কালো মৌমাছি ট্যাক্সি; “আর কক্ষনো খুজবে না আমাকে....একসাথে এক পা চলারও লোক না তুমি...” দড়াম করে দরজা টানা। পেছন পেছন দৌড়ে এসে কালো ধোঁয়ায় মুখ ঢাকা তৌফিক।

“আত্মাসঙ্গী চাইলে তুমি কি ভীষণ কঠিন!! কয়েকশো ফোন কলের জবাব দাওনি, তেত্রিশটা ই-মেল...বাসায় গেলে দেখা করনি...” ডাকে হলুদ বড় খামে ডিভোর্স লেটারে জবাব এলো শেষে; বাসায় গেছে, দরজায় মস্ত তালা ‘আর এখানে কেউ থাকে না।‘ মেঘ সরে ঝলমলে রোদ; অরনী দেখেনি ওকে। গাড়ি চলে গেছে; তৌফিক ছাতা বন্ধ করলো। “এখন কেউ থাকে না...এক পা চলারও লোক না আমি...কেউ থাকে না আমার মতো লোকের সঙ্গে...”

বাসায় ফিরেই অরনী পুতুলের খবর নিলো; আজ মাহীনের হাসপাতালে রাতের ডিউটি। গিজার অন করে তাড়াহুড়ো করে গোসলে ঢুকলো; ফুলঝুরি স্নান; তপ্ত জলের স্ফুলিঙ্গ সব ছড়িয়ে পড়ছে এদিক ওদিক। “আমাদের মেয়েটার নাম দেবো পুতুল...ঠিক তোমার মতো একটা পুতুল!!” ওই লোমশ বুকে মাথা রেখে কত রাতের গভীরে কথার জাল বুনেছে ওরা দুজন। কতোদিন পরে ওকে দেখলো...পাঁচ বছর!!! ঝরনার জলে মিশে যাচ্ছে চোখের নোনাজল; তৌফিক ওকে দেখেনি।

আশ্চর্য!!! দুজন মানুষ শহরের দু’প্রান্তে দাঁড়িয়ে ঠিক একই মুহূর্তে একই কথা ভাবছে। আত্মার সঙ্গীরা কি এমনটাই হয়?

© শিখা রহমান (০৪/০৬/২০১৬) (ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: চমৎকার ভাবের কাহিনী । জীবন টা বড্ড বিচিত্র । কাছে থাকলে দূরে যেতে হয় , আর দূরে গেলে সে এতটাই দূর আর ফিরে পাওয়া যায় না ।
অনেক ভালো লাগলো গল্পটা ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪৯

শিখা রহমান বলেছেন: নূর-ই-হাফসা ধন্যবাদ পড়ার জন্য এবং চমৎকার মন্তব্যের জন্য। "কাছে থাকলে দূরে যেতে হয়, আর দূরে গেলে সে এতটাই দূর আর ফিরে পাওয়া যায় না। " খুব সুন্দর বলেছেন।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: শিখা রহমান ,





ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো লেখা । কাহিনীর ছাতার ছোট্ট ফুটো দিয়ে দেখা হলো, এক রজনীগন্ধার সুবাস মাখা প্রেম ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫২

শিখা রহমান বলেছেন: আহমেদ জী এস আপনার আসলেই কবিমন!! এমন সুন্দর করে কিভাবে বলেন?

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৮

মিথী_মারজান বলেছেন: মুখোমুখি হয়ে গেলে আর কিইবা বলার ছিল! অথবা যা বলার সেগুলো কি সত্যিই বলা যেতো?
না দেখার ভান করে পাশকাটিয়ে যাওয়াই ভাল।
আত্মার সঙ্গীরা দূরে চলে যাওয়া মানে খুব ভেতরেই কোথাও লুকিয়ে থাকা।

দুজনের জন্যই ভীষণ কষ্ট হচ্ছে আপু।
চমৎকার গল্প!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬

শিখা রহমান বলেছেন: মিথী_মারজান মিথী মনি তুমি খুব আবেগী একজন মানুষ!! আমার মতো লেখক যার লেখায় শুধুই কোন আবেগ, শুধুই কোন মুহূর্ত থাকে, তার জন্য তুমি আদর্শ পাঠক। "আত্মার সঙ্গীরা দূরে চলে যাওয়া মানে খুব ভেতরেই কোথাও লুকিয়ে থাকা।" তুমি সবসময়েই বুঝতে পারো আর তাই গল্পের মানুষগুলোর জন্য আমার মতোই কষ্ট পাও।

ভালো থেকো। পড়ার জন্য আর চমৎকার মন্তব্যের জন্য একরাশ ভালোবাসা।

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৮

আনু মোল্লাহ বলেছেন: বর্ষাস্নাত ঝরঝরে গদ্য। আমার বেশ ভাল লেগেছে।
শুভেচ্ছা রইল।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭

শিখা রহমান বলেছেন: আনু মোল্লাহ আন্তরিক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। আপনাকেও শুভকামনা।

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

সুমন কর বলেছেন: বর্ণনা এবং গল্প, দু'টোই ভালো লাগল।
+।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫০

শিখা রহমান বলেছেন: সুমন কর কবিদের যখন বর্ণনা ভালো লাগে তখন আসলেই মন ভালো হয়ে যায়। গল্পটা খুব চেনা গল্প। তারপরেও ভালো লেগেছে জেনে মন ভরে গেলো। শুভকামনা। ভালো থাকবেন কবি।

৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: চরম বাস্তব একটি কথা, ধারের টাকা চাইতেও লজ্জা।।
মোটামুটি চাটনির মতই লাগলো গল্পটা।।
তবে ফিনিসিং টা একটু যেন কেমন।। আর বৃষ্টির পর কিন্তু রোদ থাকবেই।। শুধু রোদ কেন ঝড়ও।। এটাকে মেনে নিতে না পারলে কি আর ভালবাসা থাকে?
গল্পে আবেগ, ভালবাসা সবই আছে কিন্তূ সেই চেনা সুরটি পেলাম না।।
কেমন যেন ...

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭

শিখা রহমান বলেছেন: সচেতনহ্যাপী "চরম বাস্তব একটি কথা, ধারের টাকা চাইতেও লজ্জা।" আপনি খুব খুঁটিয়ে মন দিয়ে পড়েন। ধন্যবাদ।

গল্পে খুব বেশী ডিটেলে যাইনি। কেন ওদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলো সেই ভাবনা পাঠকের কল্পনায় ছেড়ে দিয়েছি (আসলে অলসতা!! :) ) "গল্পে আবেগ, ভালবাসা সবই আছে কিন্তূ সেই চেনা সুরটি পেলাম না।" সেজন্যেই কি গল্প সুরে বসেনি?

আপনাকে পাঠক হিসেবে আমার বেশ ভালো লেগেছে। সবাই কিন্তু সমালোচনা করে না বা ভাল না লাগলে বলে না। কেউ বললে আমার মতো অলস ফাঁকিবাজ আর আনাড়ি লেখকের একটু হুশ ফেরে। :)

অনেক অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য ও সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা আর ভালো থাকবেন।

৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনি কি আঁকেন নাকি | পড়তে পড়তে মনে হলো গল্প পড়ছি না জীবনের একটা ঘটনা নিয়ে আঁকা কোনো পোর্ট্রেট দেখছি | আহা সেই এলিফ্যান্ট রোড ,গানের ডালি, বাটার মোর ! তার চির যানজটের মধ্যে এতো হাজার বার আসা যাওয়া করেও কখনো ভাবিনি এখানে জ্যামে থমকে যাওয়া জীবনটাকে নিয়ে এমন সুন্দর একটা গল্প লেখা যাবে ! এটা ক্রিকেট খেলার শেষ বলে ছয় মেরে জেতাবার মতো সুন্দর, সকারে খেলার শেষ মুহূর্তে মেসির পা থেকে আসা গোলে বার্সিলোনার অসাধারণ জয় দেখার মতো সুন্দর | আমার নিজের থেকে বললে বলতে হবে খুব ভালো লাগলো আপনার গল্প ! হ্যাটস অফ !

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫০

শিখা রহমান বলেছেন: মলাসইলমুইনা আমি হচ্ছি সেই প্রাবাসীদের দলে যাদের দেশের সব কিছুই ভালো লাগে। এলিফ্যান্ট রোড আমার প্রিয় একটা জায়গা। যে জায়গাগুলোতে সশরীরে যেতে পারি না সেখানে লেখার সময়ে মনে মনে চলে যাই। গল্পটা লেখার সময়ে এলিফ্যান্ট রোডে আমিও হেঁটে বেড়াচ্ছিলাম মনে মনে।

"এটা ক্রিকেট খেলার শেষ বলে ছয় মেরে জেতাবার মতো সুন্দর, সকারে খেলার শেষ মুহূর্তে মেসির পা থেকে আসা গোলে বার্সিলোনার অসাধারণ জয় দেখার মতো সুন্দর | " :-B ওয়াও!! অনেক ধন্যবাদ। আমার লেখা পড়ে কারো এমনটা অনুভূতি হয়েছে ভাবতেই অস্থির লাগছে।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:



কি অদ্ভুত !
আমার ব্লাড গ্রুপ এবি প্লাস।

আমিও গ্রিক মাইথোলজি ভালবাসি, একিলেসেস হিল আমারও দুর্বল জায়গা। আমারও হেক্টরের মৃত্যুতে কষ্ট লেগেছে ! /
বনলতা ও সুরঞ্জনা দুইটাই আমার প্রিয় !

রক্ত তো আমিও দিয়েছি কতেকবার !
কিন্তু কই ! কেউ তো আমাকে গল্পের মত আদর করে নি !
কেউ তো না ! কেউ তো না !

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭

শিখা রহমান বলেছেন: জাহিদ অনিক :) চিমটি!! আমার ব্লাড গ্রুপও এবি প্লাস। আমার গল্পে আমার ব্লাডগ্রুপ থাকবে না তা কি করে হয় বলুনতো? B-) আর আশাকরি বুঝতে পারছেন গল্পের নায়ক-নায়িকার পছন্দগুলো আসলে আমারও পছন্দ। আর চিমটি দেব না অবশ্য!! :)

আপনাকে রক্ত দেবার সময়ে কেউ বলেনি। কিন্তু এমনতো হতে পারে যে লেখককে কেউ বলেছে। =p~

আশা ছাড়বেন না। ভবিষ্যতে কেউ বলতেও পারে। রক্ত দিতে থাকুন। :)

পড়ার জন্য আর মজার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

জাহিদ অনিক বলেছেন:

চিমটি দিয়েছেন ভালো কথা, শুনেছি অনেক কিছু মিলে গেলে নাকি চিমটি দেয় !
আপনার হাতের নখ কত বড় সেটা আগে দেখে নিতে হবে চিমটি খাওয়ার আগে।


০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

শিখা রহমান বলেছেন: জাহিদ অনিক :) ভার্চুয়াল চিমটি যখন নিচ্ছেন তখন আর নখের হিসেব করে কি হবে? =p~

১০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

জাহিদ অনিক বলেছেন:

আচ্ছা ঠিক আছে, হিসেব নিকাশ করাব না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.