নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা প্রেমী; একটু এলোমেলো; উড়নচণ্ডী; আর বই ভালবাসি। শব্দ নিয়ে খেলা আমার বড্ড প্রিয়। গল্প-কবিতা-মুক্ত গদ্য সব লিখতেই ভালো লাগে। \"কেননা লেখার চেয়ে ভালো ফক্কিকারি কিছু জানা নেই আর।\"

শিখা রহমান

পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....

শিখা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমনীয় তকমা

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭



“ডঃ রহমান কোথায়?” নক শুনে অফিসের দরজা খুলতেই প্রশ্ন। “আমিই ডঃ রহমান!!” সামনে যে ছেলেটা দাঁড়িয়ে আছে সে আমার কোন ক্লাসে নেই বা আগেও ছিলো না। হাতে একটা ফর্ম দেখেই বুঝলাম “Academic probation…Please come in!!” পুরকৌশলের ছাত্রছাত্রীদের সাথে ক্লাসে আমার দেখা হয় দ্বিতীয় বা তৃতীয় বর্ষে। তার আগে Engineering Advising Center তাদের ক্লাস এবং অন্যান্য একাডেমিক সমস্যা সামলায়। ক্লাস নেবার আগে এরা তখনি দেখা করতে আসে যখন জিপিএ দুইয়ের নীচে নেমে যায়। কোন কোয়ার্টারে বা সামগ্রিক ভাবে জিপিএ দুইয়ের নীচে নেমে গেলে এদের একাডেমিক প্রবেশন চুক্তি সাক্ষর করতে হয় আর সেখানে Departmental Faculty Advisorএর সাথে দেখা করে সাক্ষর নিতে হয়। যে কোয়ার্টারে একাডেমিক প্রবেশন সে কোয়ার্টার শেষে জিপিএ আবারো দুইয়ের নীচে থাকলে চুক্তি অনুযায়ী সে ছাত্র বা ছাত্রীকে ইউনিভারসিটি বহিষ্কার করে।

এই ছেলেটার কান্ড দেখে অবশ্য মজা লাগলো। সে দরজায় দাঁড়িয়ে আমার কাঁধের ওপর দিয়ে ঘরের মধ্যে উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে যেন আমি ডঃ রহমান হতেই পারি না; আসল ডঃ রহমান ঘরের কোথাও লুকিয়ে আছে। এমনটা বছরে দু’একবার হয়। অন্যদেশের নাম হওয়াতে আমেরিকানরা বুঝতে পারে না ডঃ রহমান ছেলে নাকি মেয়ে। ডিপার্টমেন্টে দুটো প্রোগ্রাম, Civil Engineering আর Environmental Engineering। পুরকৌশল (Civil Engineering) প্রোগ্রামে আমিই একমাত্র মেয়ে ফ্যাকাল্টি; আমার অবশ্য নিজেকে রমণীয় ফ্যাকাল্টি ভাবতেই ভালো লাগে। আরো দু’জন রমণীয় ফ্যাকাল্টি আছেন, তারা পরিবেশ কৌশল(Environmental Engineering) প্রোগ্রামে। প্রায় ত্রিশ জন ফ্যাকাল্টি নিয়ে পুরকৌশল বিভাগ; তার মাঝে মাত্র শতকরা দশভাগ রমনীয়।

বাকী দুজন মেয়ে ককেশিয়ান হলেও আমরা তিনজন সবসময়েই বলাবলি করি যে “It is hard to get into the White Boys Club!!” and It truly is! খুব ভালো করেই জানি ছাত্রছাত্রীদের সাথে যখন প্রথনবারের মতো ক্লাসে দেখা হবে আমাদেরকে বার বার প্রমান করতে হবে যে আমরা আসলেই এই পদের যোগ্য। এই তিনজনের মধ্যেও স্বভাবতই আমি অন্যরকম; তার ওপরে আবার যেমন ইচ্ছে তেমন সাজগোজ আর বেশভূষা। বাকী দুজন যেখানে জিন্সের প্যান্ট বা ড্রেস প্যান্ট দিয়ে কাজ চালিয়ে নিচ্ছে সেখানে আমি Arabiran pants, MC Hammer pants, Bell Bottom, Hippi pants, or tights ছাড়াও স্কারট পরি, তাও আবার রঙ বেরঙের। সেদিন ক্যাথি আমার স্কারটের প্রশংসা করছিলো; জিজ্ঞাসা করলাম কেন ও কখনো স্কারট পরে না। “আমি অনেক আগেই ঠিক করেছি যে স্কারট পরবো না। স্কারট পড়লে লোকজন আমাকে অফিস এসিস্টেণ্ট বা সেক্রেটারী ভাববে!!” একটু মনখারাপ হয়েছিলো কথাটা শুনে; কথাটায় লিঙ্গবৈষম্য আছে। “ক্যাথি!! সবাই এমন ভাবে বলেই কি আমাদের স্কারট বা যা ইচ্ছা তাই পড়া উচিত না?”

প্রথম চাকরী আর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা যুক্ত্ররাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে; পুরো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আমিই একমাত্র নারী ফ্যাকাল্টি। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বিল্ডিঙয়ে ঢোকার দুটো দরজা ছিলো; সামনের দরজা দিয়ে ঢুকলেই রিসেপসন ডেস্ক; আর অন্য দরজা দিয়ে এলে করিডোরে সার দিয়ে ফ্যাকাল্টিদের অফিস। তিনজন ফ্যাকাল্টির পরে আমার অফিস; অথচ তারপরেও যখনই কেউ ভুলে করে অন্য দরজা দিয়ে এসেছে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছে কোথায় ডিন বা হেড বা অন্যদের অফিস কোথায়। ভিজিটররা ধরেই নিয়েছে যে আমি রিসেপসনিস্ট বা কোন ধরনের অফিস এসিস্টেণ্ট। কারণটা অবশ্যই রমনীয়!!

সেই প্রথম চাকরীতে যখনই ডিনের নিজস্ব এসিস্টেণ্ট ছুটিতে থাকতো বা চলে যেত উনি আমাকে বলতেন উনাকে টাইপে সাহায্য করতে। এমন না যে আমি খুব ভালো টাইপিংয়ে; এক হাতে টাইপিং করি। কিন্তু ওই যে কারণটা বড্ড রমণীয়!! আমি কখনোই মানা করিনি; সাহায্য করেছি সুবিধামতো। প্রথম চাকরী, তারওপরে গ্রীণকার্ড প্রসেস করছি এবং সন্তান সম্ভবা; আপোষ করেছিলাম। একটু সুবিধা অবশ্য ছিলো; সবার আগেই অনেক কনফিডেন্সিয়াল কথা টাইপ করার সুবাদে জেনে যাচ্ছিলাম; ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন অনুষদের রাজনীতির মারপ্যাচ আর সুবিধা আদায়ের খেলা। ডিন যখন আগামী পাঁচ বছরের স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান করছিলেন উনি হয়তো বুঝতেই পারেননি যে আমি কথায় কথায় উনার চিন্তা কতোখানি বদলে দিয়েছিলাম। যখন ওখানকার চাকরী ছেড়ে দিলাম রেজিগনেশন লেটার দেবার সময়ে বলেছিলাম “Getting another temp assistant with doctoral degree is not gonna be easy!!” উনি হেসেছিলেন, আমিও!! ততোদিনে আমি আমার রমনীয় অবস্থান থেকেই পাওনা আদায় করা শিখে গেছি।

আমার জীবন তেমন সংগ্রামমুখর নয়। মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধারণ ভাবে মানুষ হওয়া একজন; বেশ সচ্ছল না হলেও তেমন আর্থিক কষ্টে পড়িনি; খুব উচ্চাকাংখী নই আর তাই কর্মক্ষেত্রে নিজের অবস্থান নিয়ে তেমন আক্ষেপ নেই। কিন্তু তারপরেও কোথাও সেই অদৃশ্য রমনীয় লেবেলতো সারাজীবন রয়েই গেলো। যারা এমন সব খুব সাধারন দৈনন্দিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি তাদের বোঝানো কঠিন ব্যাপারটা কেমন।

যখন কোন ছেলে সহকর্মী বলে “তোমাকে ঠিক ইঞ্জিনীয়ারিং ফ্যাকাল্টির মতো দেখায় না!!” হাসিমুখে বললেও কথাটা গায়ে লাগে। ব্রেকরুমে যখন দুই কলিগ নিজেদের মধ্যে ফাজলামি করে বলে “আমরাতো মেয়ে ফ্যাকাল্টি সব বাচ্চাকাচ্চা সহ বয়স্ক দেখে নিয়োগ দিয়েছি…নাহলে ম্যাটারনিটি লিভ দিতে দিতে ডিপার্টমেন্টের বারোটা বেজে যেত!!” অথবা যখন কোন মেয়ে ফ্যাকাল্টিকে জোক করে বলা হয় “তুমি বরং কনসিভ করে ফেলো…প্রেগন্যান্ট অবস্থায় ষ্টুডেন্ট এভালুয়েশন খুব ভালো আসে!!” তখন কিন্তু ওই রমনীয় তকমাটা টের পাওয়া যায়।

সেদিন এক সহকর্মী হাসিমুখে বলছিলো “শিখা...কলেজ অফ ইঞ্জিনীয়ারিংয়ের ফ্যাশন এ্যাওয়ার্ড থাকলে ঠিক ঠিক তুমি পেতে!!” কথাটায় খোঁচা ছিলো; তার হাসি হাসি চোখে ব্যঙ্গ ছিলো। তাই বলতেই হলো “হুউউউ...দুঃখজনক!!! টিচিং এ্যাওয়ার্ড পেয়েছি দু’বার, ফ্যাশন এ্যাওয়ার্ডও পাবো...কিন্তু তুমি যে ফ্যাশন এ্যাওয়ার্ড কখনোই পাবে না!”

শুধু একজন মানুষ, কোনরকম লেবেল ছাড়া একজন মানুষ, হওয়ার জন্য অনেক বছর অপেক্ষা করে আছি। মাঝে মাঝে খুব রাগ হয়, নিজের ওপরে, সমস্ত পৃথিবীর ওপরে…মনে মনে বলি

“আমি খুব গাঢ় ধ্বংসের ক্ষতচিহ্ন নিয়ে বুকের মাটিতে
পৃথিবীর মতো সুঠাম দাঁড়িয়ে থাকা অবিচল তনু
আমাকে এতটা অসহায়, এতো ম্রিয়মান ভাবো কেন?”
আমি নই, আসলেই অসহায় নই!!

© শিখা (২৮শে মার্চ, ২০১৭)

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: এই জিনিসটা আপনি চাইলেই এত সহজে ভেঙে দিতে পারবেন না। লেখা ভাল হয়েছে। অনেকদিন পর লিখলেন। ভাল আছেন আশা করি।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

শিখা রহমান বলেছেন: সম্রাট ইজ বেস্ট ভাঙ্গার চেষ্টা করতেতো আর বাঁধা নেই। একসময়তো চেষ্টাতেও বারণ ছিলো।

অনেকদিন পরে এখানে লেখা দিলাম। লেখালেখি করা হয় কিন্তু কাজ আর লেখা সামলে ব্লগে সময় দিতে পারি না। আবারো ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। ডিসেম্বরে ছুটি ছিলো বলে একটু ব্লগে সময় দিতে পেরেছিলাম।

ভালো আছি। আপনিও নিশ্চয়ই ভালো আছেন কবি।

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

সামিয়া বলেছেন: টিজিং তো সব দেশেই হয় তবে অনেকে যে বলে বিদেশে এসব চলে না যে যার মত কথাটা পুরোপুরি ঠিক নয় আপনার লেখায় একদম স্পষ্ট। আর আপনি আমাদের গর্ব বেশ এগিয়ে গিয়েছেন আপু।।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮

শিখা রহমান বলেছেন: সামিয়া বিদেশে টিজিং বা লিঙ্গবৈষম্য নেই কথাটা ঠিক নয়। তবে প্রাতিষ্টানিক আইন কানুন কড়া আর অভি্যোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হয়। কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গীর ব্যাপারটা এখনো অনেকক্ষেত্রেই পীড়া দেয়।

সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বইমেলায় আপনার দুটো বই বেরিয়েছে দেখলাম। অনেক অনেক শুভকামনা। কখনো মন্তব্য করা হয়নি কিন্তু আপনি কিন্তু ভালো লেখেন।

৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একজন পূর্ন মানুষ হবার প্রয়োজন, চেষ্টা আর অনুভবের সূক্ষতাগুলো দারুন সাবলীল বর্ণনায় ফুটে উঠেছে।

মানসিকতার এ বদল সত্যি কঠিন। জ্ঞান এবং বোধের সুস্থ, সুন্দর বিকাশহীন মানুষদের মাঝে এর বড্ড অভাব!
তা দেশে হোক বা বিদেশে, নাস্তিক হোক বা ধার্মিক। সুশীল বা আমজনতা! প্রেক্ষপট একই।
ব্যাপক সাংস্কৃতিক উপস্থাপনায় কিছুটা আশা করাই যায়। কিন্তু তাতেও উদৌক্তা যে তেমনি ঘরানার একজন!!!

লেখনিতে +++++

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:১৬

শিখা রহমান বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু সুন্দর ও সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।

৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: এমন টা সবক্ষেত্রেই আছে । নারী বলে সব কিছু তেই অন‍্যের কথা বলতেই হবে ।
আগের চেয়ে অবশ্য চিন্তা ভাবনার ত্রুটি কমেছে ।
ভালো লিখেছেন আপু ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:১৭

শিখা রহমান বলেছেন: নূর-ই-হাফসা ঠিক বলেছেন যে সচেতনতা বাড়ছে আর তাই "আগের চেয়ে অবশ্য চিন্তা ভাবনার ত্রুটি কমেছে।" ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা।

৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমরা ঘটা করে বিভিন্ন নারী দিবস পালন করি। এটা নারীর কতটুকু কাজে আসছে জানিনা, আমার ধারণা এসব আচার গুলিই নারীকে মানুষ হতে দিচ্ছে না।
আন্তর্জাতিক বা জাতীয় পর্যায়ে নারীদের বিভিন্ন দিবস পালন লিঙ্গবৈষম্য জিইয়ে রাখারই নামান্তর।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:২১

শিখা রহমান বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন যখন বৈষম্য থাকে তখন কিছু বিশেষ দিবস বা আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন থাকে সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য, অন্তত আমার ব্যক্তিগত মতামত তাই। আমি এই লেখায় তুলে ধরতে চেয়েছি যে নিজের অজান্তেই আমাদের সামাজিক বা গোষ্ঠীগত দৃষ্টিভঙ্গী আচরণে উঠে আসে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।

৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শিখা রহমান ,




দুঃখময় ( হতাশাময় ও কি ! ) রমনীয় এক লেখা । এ দুঃখ যাবার নয় । সৃষ্টির শুরু থেকেই যে নিয়ম বেঁধে দেয়া হয়েছে তা থেকে পরিত্রানের কোনও পথ পুরুষ শাষিত সমাজের থেকে মিলবেনা । ঐটুকুই হয়তো পুরুষদের রমনীয় পৌরুষ ।

আসছে বসন্তের শুভেচ্ছা ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:২৪

শিখা রহমান বলেছেন: আহমেদ জী এস আপনার মন্তব্য পড়ে মন ভালো হয়ে গেলো। পড়ে মনে হলো আপনি কোনভাবে দেশ কাল পাত্রভেদে সমাজে একজন নারীর অবস্থানগত সীমাবদ্ধতা একটু হলেও বুঝতে পেরেছেন।

আপনাকেও বাসন্তী শুভেচ্ছে। ভালো থাকবেন।

৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এ রমণীয়তা থেকে মুক্তি আছে কি !!!
শুধু একজন মানুষ !!!
হ্যা শুধু একজন মানুষ ই হতে চেয়েছি ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:২৬

শিখা রহমান বলেছেন: মনিরা সুলতানা নীরা একদম মনের কথাটা বলেছেন "শুধু একজন মানুষ !!!
হ্যা শুধু একজন মানুষ ই হতে চেয়েছি।"

অফুরন্ত শুভকামনা আর ভালোবাসা প্রিয় লেখিকা।

৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:৩০

কালীদাস বলেছেন: ইহা গণপ্রজাতন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য, নারীর বড় পদে যেতে পারা হজম না হওয়ার আচরণটা আরকি :P হিলারী নমিনেশন পেয়েছিল কিভাবে সেটাই ভাবি মাঝে মাঝে, এদের দেশে নারী প্রেসিডেন্ট পেতে আরও অনেক বছর লাগবে। এদিক থেকে পশ্চিম ইউরোপিয়ান দেশগুলোর মেন্টালিটি অনেক বেটার। এমনকি পূর্ব ইউরোপেও, কম্যুনিস্ট আমল থেকেই নারীর কর্মসংস্হান এবং ক্ষমতায়নের প্রোফাইল অন্যরকম ছিল রুশ ব্লকের অনেক দেশেই।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:২৯

শিখা রহমান বলেছেন: কালীদাস :) নিজের অজান্তেই আমাদের সামাজিক বা গোষ্ঠীগত দৃষ্টিভঙ্গী অসচেতনভাবেই আচরণে উঠে আসে। হতে পারে পৃথিবীর কোন কোন দেশে হয়তোবা নারীর কর্মসংস্হান এবং ক্ষমতায়নের প্রোফাইল অন্যরকম। তবে দেশ কাল পাত্রভেদে সমাজে একজন নারীর অবস্থানগত সীমাবদ্ধতাতো আজও রয়েই গেছে।

ধন্যবাদ আর শুভকামনা।

৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১৯

সুমন কর বলেছেন: লেখায় রমনীয় শব্দটা বার বার আসাটা ভালো লাগেনি। লেখাটাও মোটামুটি লাগল !

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:৩২

শিখা রহমান বলেছেন: সুমন কর অনেক ধন্যবাদ আপনার সমালোচনার জন্য। লেখাটা আসলেই মোটামুটি। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে লিখেছি। আর "রমনীয়" শব্দটা ভালোলাগার জন্য এই লেখায় আসেনি, ব্যঙ্গার্থে এসেছে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ আর শুভকামনা।

১০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০৩

জাহিদ অনিক বলেছেন:

রমণী শব্দটা বাংলায় বেশ মধুর অর্থে ব্যবহার করা হলে উৎপত্তিগত দিক দিয়ে দেখলে এটি নারীকে হেয় করার জন্যই, কিছুটা নীচু অর্থেই ব্যবহার করা হত।

রমনীয় তকমা- লেখাটি ভালো লাগলো।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

শিখা রহমান বলেছেন: জাহিদ অনিক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। "রমণী শব্দটা বাংলায় বেশ মধুর অর্থে ব্যবহার করা হলে উৎপত্তিগত দিক দিয়ে দেখলে এটি নারীকে হেয় করার জন্যই, কিছুটা নীচু অর্থেই ব্যবহার করা হত।" ঠিক বলেছেন। সুন্দর মন্তব্য বরাবরের মতোই।

ব্যস্ততার জন্য ব্লগে সময় কম দেয়া হচ্ছে। ভালো আছেন আশাকরি। নিশ্চয়ই দারুন সব লেখা লিখে ফেলেছেন এর মধ্যেই। সময় করে পড়তে হবে। :)

১১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২

মিথী_মারজান বলেছেন: আপু!!!
কবে পোস্ট দিলেন, খেয়ালই করিনি!:|

খুব তাড়াতাড়ি একটা পরিবর্তন আসবে আপু, দেখে নিয়েন।
আমি নিজেই অনেকবার অনেক উচ্চপদস্হ কর্মকর্তাদের বলতে শুনেছি যে, মেয়েরা কাজের ক্ষেত্রে যতটা সিরিয়াস, ছেলেরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমন নয়।
এভাবেই একদিন দৃষ্টিভঙ্গি চেইঞ্জ হবে আপু।

আর ফ্যাশন এ্যাওয়ার্ড পেতে পারেন এ জায়গাটা পড়ে খুব হাসলাম।
(বুঝলেন আপু, সব হিংসা আর হীনমন্যতা। হা হা হা)
আমি কখনোই লেবেল ছাড়া মানুষ হতে চাইনা আপু।
আমি মানুষ, তা তো অবশ্যই।
হ্যাঁ, সেইসাথে অবশ্যই মেয়ে মানুষ এবং এটাই আমার নিজস্বতা।
আমি মেয়ে, আমি রমনী, আমি মা।এসব পরিচয়েও আমার সমস্যা নেই।
সৌন্দর্য, উৎকর্ষ আর সম্মানের দিক থেকে প্রতিটা পরিচয়েই আমি অনন্যা।
শুধু চাই যারা এই সত্যটুকু মেনে নিতে পারেনা বা অবমূল্যায়ণ করে, তাদের মেন্টালিটির পরিবর্তন হোক।


অনেক অনেক ভালোবাসা আপু। সাথে একটা বিগ হাগ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.