![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....
“By any chance তুমি কি বাংলাদেশের?” প্রশ্নটা শুনে ঘাড়ের ওপর দিয়ে কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে ঝুঁকে থাকা দুজনকে এড়িয়ে ছেলেটার দিকে তাকালাম।
কোনরকম রেফারেন্স ছাড়াই পোলাপান হাওয়ায় প্রশ্ন ছোড়ে; প্রশ্ন বোঝার জন্য আর উত্তর বোঝাবার জন্য কোর্সসাইটে পোষ্ট করা লেকচার নোটস কম্পিউটারে ওপেন করতে হয় আর পোলাপান সব ঘাড়ের ওপরে চলে আসে। কাল পরশু মিডটারম পরীক্ষা উপলক্ষ্যে আজ অতিরিক্ত বা বিশেষ অফিস আওয়ার। নিজে কোন এককালে ছাত্র ছিলাম বলেই জানি পরীক্ষার আগের দিনই সব পড়াশোনা এবং প্রশ্ন। অফিসরুমে ছয়জন পালাক্রমে প্রশ্ন করছে আর বাইরে করিডোরেও বেশ কিছু অপেক্ষমান ছাত্রছাত্রী।
প্রশ্নটা পরীক্ষা সম্পর্কিত না বলে একটু অবাক “কেন বলতো?” “না দেয়ালে ঝোলানো ঘড়িটা বাংলাদেশের মানচিত্র দেখে বললাম...” হেসে বললাম “ঘড়িটা নষ্ট হয়ে গেছে। চলে না...শুধু মানচিত্রটা ভালোবাসি বলেই ঝুলিয়ে রেখেছি!!”
বাংলাদেশের মানচিত্র কেউ চেনে বলে এমন ব্যস্ততার মাঝেও মন ভালোর সুর বেজে উঠলো। পশ্চিম উপকূলের মানুষগুলোকে বাংলাদেশ চেনাতে হয় না; নাম বললেই চিনতে পারে। অনেক ছাত্র ছাত্রীতো আগ বাড়িয়ে বলে “তোমরা আগে পূর্ব পাকিস্তান ছিলে তাই না?” “হুউউ...এখানে keyword কিন্তু was…ছিলাম কারণ থাকা সম্ভব ছিলো না!!”
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিনে যখন ছিলাম বাংলাদেশ কোথায় চেনাতে গলদঘর্ম অবস্থা; ভুগোল, ইতিহাস এদের দিয়ে নৈবচ নৈবচ!! মাঝে মাঝে ক্লান্ত হয়ে পালটা জিজ্ঞাসা করতাম “কি মনে হয় তোমার? বাংলাদেশ কোথায় অবস্থিত?” বেশীরভাগ মানুষই আন্দাজে ঢিল ছুড়তো “তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে ইন্ডিয়ার ধারে কাছে!!” একজনকে একবার ধাঁধায় ফেলার জন্য দুষ্টুমি করে বলেছিলাম “আমাকে দেখতে ইন্ডিয়ানদের মতো মনে হচ্ছে? আশ্চর্য!!” সে সাথে সাথে উত্তর পালটে বললো “ভুল হয়েছে…বাংলাদেশ মনে হয় দক্ষিন আমেরিকায় তাই না? You look exotic like a Brazilian!!” দ্বৈত অনুভূতি....একইসাথে বাংলাদেশকে না চেনার দুঃখ আর আমাকে ব্রাজিলিয়ানদের মতো চমকপ্রদ সুন্দর বলার আনন্দ!!
প্রায় একযুগ ক্যালিফোর্নিয়ায়। এই ইউনিভার্সিটিতে প্রথম বা দ্বিতীয় বছরে ক্লাসে একবার পানি ব্যবহারের হিসেবের উদাহরণ দিচ্ছিলাম; অনেক শহরের বা কাউন্টির নিজস্ব কিছু সূত্র থাকে উপাত্তের ওপরে ভিত্তি করে। বড় বড় শহর, যেমন নিউইয়র্ক, লাস ভেগাস বা লস এঞ্জেলেসের পাশপাশি কয়েকটা ছোট শহরের গড় পড়তা পানি ব্যবহারের উদাহরন দেখাচ্ছিলাম।
ইচ্ছে করেই একটা ছোট শহরের উদাহরণ দিয়েছিলাম, যেখানে বিয়ার তৈরীর বিশাল কারখানা আছে। এই উদাহরণের পরে ইচ্ছে করেই বলেছি “বুঝতে পারছি না গ্রাম্য এলাকার এই ছোট্ট শহরে এত্তো বেশী পানি কিসে খরচ হয়?” পড়ানো আসলে অনেকটাই মঞ্চে অভিনয় করার মতো। এই যে চিন্তিত ভাব, না জানার ভাব করা, এটা হচ্ছে ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাসে আলোচনায় অংশগ্রহনে বাধ্য করার একটা কায়দা।
ক্লাসে বেশ কিছু ছেলেমেয়ের মুখ হাসি হাসি হয়ে গেলো। একটু অবাক ভাব করে বললাম “কি ব্যাপার? জানো নাকি কেন?” অতি আগ্রহী ছাত্র ছাত্রীরা বলে উঠলো “শিখা…তুমি জানো না যে ওই শহরে বিয়ার তৈরী করা হয়?” “তাই নাকি? জানতাম না…আসলে যে দেশ থেকে এসেছি সেখানে ড্রিঙ্ক করাটা সামাজিক রীতি নয়তো…তাই খবর রাখা হয় না!!”
এক ছেলে খুব গম্ভীর ভাবে বললো “কথাটা ঠিক না। আমার এক ভারতীয় বন্ধুর বিয়েতে গিয়েছিলাম…ওখানে সবাই খুব ড্রিঙ্ক করেছে!!” “কিন্তু আমিতো ইন্ডিয়ান নই…আমি বাংলাদেশী!!” “ওই একই কথা!!” “মোটেও এক কথা নয়। দুটো আলাদা দেশ আর সংস্কৃতিও অনেক আলাদা। তোমাকে কানাডিয়ান বললে নিশ্চয়ই ভালো লাগবে না।“
প্রথম দিকে অনেকেই ভাবতো বোধহয় আমি ভারতীয়; ভুল ধারনা সংশোধন করতে করতে এতোদিনে কাজের জায়গায় মোটামুটি সবাই জেনে গেছে যে আমি বাংলাদেশের। যে কোন কোর্সে প্রথম ক্লাসেই নিজের কথা বলার সময়ে বলে দেই আমি বাংলাদেশের। দুই দশক হয়ে গেলো অথচ এখনো “আমি বাংলাদেশের!!” বলার সময়ে কিযে অদ্ভুত ভালো লাগে!!
কোন কোন দিন অফিস ফাঁকা থাকলে ছাত্র বা ছাত্রী কাজের কথা শেষে বলে “তোমার গল্প বলো শুনি…কিভাবে এখানে এলে?” কখনোবা বাঁধা সময়ের একটু আগে পড়ানো শেষ হয়ে গেলে ক্লাসে ছেলেমেয়েগুলো বলে “তোমার গল্প বলো শিখা!! তোমার দেশের গল্প…“ মন ভালো হয়ে যায়। সহকর্মী বা ছাত্রছাত্রী কখনো বলে “এর আগে বাংলাদেশের কাউকে চিনতাম না। তোমাকে চেনার পরে, তোমার কাছে গল্প শুনে বাংলাদেশে বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছে হয়…কোন একদিন বেড়াতে চলে যাবো।“ মন ভালো হয়ে যায়।
ক্লাসে ব্রীজ ডিজাইন পড়ানোর ফাঁকে বাঁশের কঞ্চির সাঁকোর ছবি দেখাচ্ছিলাম। সেই ছোট্টবেলায় একটা বা কয়েকটা বাঁশের কঞ্চির সাঁকোর ওপরে ভর করে ছোটখাট খাল বা ধানের ক্ষেতে পানির ওপরে দিয়ে পার হতাম সেই গল্প। পাখির ডানার মতো দুপাশে হাত মেলে টালমাটাল পা ফেলতে হয়; একটু হিসেবে ভুল হলেই বা পা ফসকালেই ঝপাত!! Engineers without Borders (EWB)এর সুবাদে কখনো দু’একজন ইন্ডিয়া বা থাইল্যান্ডে এমন বাঁশের সাঁকো পার হয়েছে বা দেখেছে; ক্লাসে এই সুযোগে তাদের গল্পগুলো শুনি।
সেইদিন ক্লাস শেষে এক ছাত্র এসে বললো “তুমি যে বাংলাদেশের তা জানতাম না!! বছর দুয়েক আগে বাংলাদেশে বেড়াতে গিয়েছিলাম জানো?” বিস্ময় আর ভালোলাগা তখন আকাশ ছুঁয়েছে “তাই নাকি? কোথায় কোথায় বেড়ালে?”
- বেড়াতে গিয়েছিলাম বান্দরবন আর কক্সবাজার। কি আশ্চর্য সুন্দর দেশ তোমার!! কি দারুন সব খাবার!!
- ঢাকায় বড় হয়েছি। তোমার কথা শুনে দেশে যেতে ইচ্ছে করছে।
- ঢাকায় ছিলাম আসা যাওয়ার পথে। এয়ারপোর্টতো ঢাকায়। মুগ্ধ হয়েছি তোমাদের সুন্দরবন দেখে…অপূর্ব ম্যানগ্রোভ জঙ্গল!! তবে…
“তবে কি?” একটু চিন্তিত হয়ে তাকালাম…কোন বাজে অভিজ্ঞতা হয়নিতো!! একটু থেমে সে হাসিমুখে তাকালো “তোমার দেশের মানুষগুলোর মতো এমন সুন্দর মানুষ আমি কোথাও দেখিনি…ইন্ডিয়াতেও নয়। এতো সরল, এতো ভালো, এতো অতিথিপরায়ন!!” ভালোলাগার বাতাসে ভাসলাম আবারো।
দেশকে ভালোবাসি জোর দিয়ে বলা হয় না। স্বার্থপরের মতো যাকে ফেলে এসেছি তাকে ভালোবাসার দাবী করতে পারি কিনা তাও জানি না। শুধু জানি “বাংলাদেশ” শুনলেই বুকের মধ্যে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে, অলৌকিক বায়োস্কোপে সাদাকালো আবছায়া ফ্ল্যাশব্যাক শুরু হয়...শুধু জানি অস্তিত্বে, রক্তস্রোতে কোথাও দেশ রয়ে গেছে, দেশ রয়েই যায়!!
© শিখা (২০শে ফেব্রুয়ারী, ২০১৮)
২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪২
শিখা রহমান বলেছেন: সম্রাট ইজ বেস্ট আসলেই তাই!! বিদেশে এসে না থাকলে বুঝতেই পারতাম না দেশ কিভাবে অস্তিত্বের অংশ হয়ে থাকে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।
২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৯
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: শিখা আপার আগমন,
শুভেচ্ছা স্বাগতম।
আপনার ঘড়িটা দারুন। আমিও একটা বানাবো ভাবছি।
লেখা বরাবরের মত+++
২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮
শিখা রহমান বলেছেন: মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল আপনি আমার ব্লগে এসেছেন। শ্লোগানতো আমারই দেওয়ার কথা "নিজাম ভাইয়ের আগমন,
শুভেচ্ছা স্বাগতম।"
আশ্চর্য কি জানেন? আমি পোষ্টটা দেবার সময়ে আপনার কথা ভেবেছি। আপনি আমেরিকার গল্প শুনতে চেয়েছিলেন। এই লেখাগুলোকে গল্প না বলে হয়তো ডায়েরী বলা উচিত। এই গল্পগুলো দিনলিপির মতো মাঝে মাঝে লিখে রাখি।
ঘড়ি বানাতে হবে কেন? আমিতো বাংলাদেশ থেকেই কিনে এনেছি। আপনিও খুঁজলেই পেয়ে যাবেন।
পড়ার জন্য আর মজার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।
৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪২
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার মতো অনুভূতিটা আমারো হয় দু/চারদিনের জন্য বিদেশ গেলেই। বাংলাদেশকে চিনতে পারলে খুশি লাগে।
এ মাসের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা গেছি। তারা বাংলাদেশকে চেনে। প্রথম কারণ ক্রিকেট। অনেকেই সাকিব, মাশরাফি, তামিমকে চেনে। আরেকটা কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রায় সব বড় শহরের/ শহরতলীর বিরাটসংখ্যক মুদি দোকানের মালিক কর্মচারি বাংলাদেশের। বাংলাদেশের দোকান মালিকরা আফ্রিকানদের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে ভাইবেরাদরদের কর্মচারি হিসাবে নিয়ে যান।
২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯
শিখা রহমান বলেছেন: এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল আমার ব্লগে স্বাগতম। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনি অনুভূতিটা ঠিক ধরতে পেরেছেন। বিদেশে না গেলে বা না থাকলে ঠিক দেশকে ভালোবাসার এই অনুভূতিটা বোঝা যায় না।
আমেরিকায় ক্রিকেট একদমই জনপ্রিয় না (আগের একটা লেখায় 'ক্র্যাশ কোর্স অন ক্রিকেট'এ এ বিষয়ে লিখেছিলাম। এখানে বড় শহরে প্রচুর বাংলাদেশী বিভিন্ন কাজ করেন। তবে আমার বসবাস বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক ছোট্ট শহরে। এই শহরে আমিই একমাত্র বাংলাদেশী।
ভালো থাকবেন। দেশে আছেন শুনে ভালো লাগলো। শুভকামনা আর পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৪০
নির্বাক সাঈম বলেছেন: নাড়ির বাঁধন তো ছিন্ন হয় না।
সাবলীল লেখায় ভালো লাগা।
৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৪১
নির্বাক সাঈম বলেছেন: নাড়ির বাঁধন তো ছিন্ন হয় না।
সাবলীল লেখায় ভালো লাগা।
২৫ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৪৬
শিখা রহমান বলেছেন: নির্বাক সাঈম আমার ব্লগে স্বাগতম। ধন্যবাদ পড়ার জন্য ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা।
৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: বোন সুন্দর পোষ্ট দিয়েছেন।
এই রকম একটা ঘড়ি আমার আছে। সিলেট অথবা কক্সবাজার অথবা রাঙ্গামাটি থেকে এনেছিলাম।
ভালো থাকুন।
২৫ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৫০
শিখা রহমান বলেছেন: রাজীব নুর ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য পেতে সবসময়েই ভালো লাগে। এতো আন্তরিক ভাবে বলেন যে মন ছুঁয়ে যায়। এই ঘড়ি বাংলাদেশের অনেক জায়গাতেই পাওয়া যায়। আমার নিজেরই এমন দুটো ঘড়ি আছে, একটা অফিসে আর একটা বাসায়।
আপনিও ভালো থাকবেন। আনন্দে থাকবেন। শুভকামনা।
৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আফা আমি ভারতে থাকি।বাংলায় গান(কথা)গাই।আজ আমাদের মাতৃভাষা এক হলেও, মাঝে আছে একটা দেওয়াল।যেখানে আমি আপনি বড় অসহায়! এই ভাষাই আমাদের এক সূত্রে বেঁধে রেখেছে।তাই আপনার ভালো লাগাটা অনাহুত হলেও নিজের বলে মনে হল।তবে বয়স বাড়লে এই শিকড়ের টানটা ক্রমশ বাড়বে বলে আমার ধারনা।আমরা তখন আরো সুন্দর পোস্ট পাবো আশা রাখি।
শুভেচ্ছা নেবেন।
২৫ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৫৭
শিখা রহমান বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি আপনার 'পদাতিক' নামটা ভালো লেগেছে। ভালোলাগাটা অনাহূত হবে কেন? আপনি নিশ্চয়ই নিজের দেশের প্রতি এমনই ভালোবাসা পোষণ করেন। ঠিক বলেছেন যে বয়স বাড়লে শিকড়ের টান বাড়বে। বয়সতো বাড়ছেই আর দেশের জন্য কষ্টটাও বাড়ছে। আমার এই ধরনের আরেকটা লেখা আছে। একজন দ্বিচারিণীর গল্প না পড়ে থাকলে সময় পেলে পড়ে জানাবেন কেমন লাগলো।
আপনিও শুভেচ্ছা নেবেন। ধন্যবাদ সুন্দর সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা।
৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:২৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশকে ভালোবাসি জোর দিয়ে বলা হয় না। স্বার্থপরের মতো যাকে ফেলে এসেছি তাকে ভালোবাসার দাবী করতে পারি কিনা তাও জানি না। কথাটা মানতে পারলাম না। যে কোন দেশের মানুষই বিভিন্ন কারনে দেশ ছেড়ে বিদেশে সেটল হয়। এর কারন ভালবাসাহীনতা কোনমতেই না। আপনি দেশকে ভালোবাসেন বলেই এ লেখা লিখতে পেরেছেন!
আসলে দেশের বাইরে না আসলে দেশের প্রতি ভালোবাসার গভীরতা ঠিক মতো বোঝা যায় না।
আমাদের সবার অন্তরেই দেশের প্রতি প্রকৃত ভালোবাসা চির-জাগ্রত থাকুক, এটাই কাম্য।
২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:০৭
শিখা রহমান বলেছেন: ভুয়া মফিজ "দেশকে ভালোবাসি জোর দিয়ে বলা হয় না। স্বার্থপরের মতো যাকে ফেলে এসেছি তাকে ভালোবাসার দাবী করতে পারি কিনা তাও জানি না।" কথাটা অপরাধবোধ থেকে!! ভালোবাসলেও দেশকে ফেলে আসার জন্য মাঝে মাঝেই নিজেকে খুব স্বার্থপর আর অপরাধী মনে হয়।
"আমাদের সবার অন্তরেই দেশের প্রতি প্রকৃত ভালোবাসা চির-জাগ্রত থাকুক, এটাই কাম্য।" আপনার কথার সাথে সুর মেলাচ্ছি।
ভালো থাকবেন। আপনি যে শব্দের পেছনে দেশের জন্য আমার ভালোবাসা বুঝতে পেরেছেন সে জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা আর আমার ব্লগে স্বাগতম।
৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬
এম কে বলেছেন: দেশ তো সয়ং মা।
আমরাই বলি দেশমাতা।
সরে গেলে মায়ের আঁচল ছায়া,
তবেই জন্মে হারানোর মায়া।
মাতৃক্রোড়ে থাকবার ক্ষণে,
খুব বেশি তা আসে না গো মনে।
শিখা রহমান
আপনার লেখাটা হৃদয় ছুয়ে গেল। তারাই মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান যারা
কাছে দূরে যেখানেই থাকুক পূর্ণ ভক্তিতে দেশমাতাকে ভালবাসে।
ভাল থাকবেন। এধরনের আরও লেখার প্রতিক্ষায় রইলাম দেশ থেকে।
২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:২৯
শিখা রহমান বলেছেন: এম কে আমার ব্লগে আপনার প্রথম মন্তব্য ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
খুব সুন্দর করে বলেছেন "সরে গেলে মায়ের আঁচল ছায়া,
তবেই জন্মে হারানোর মায়া।
মাতৃক্রোড়ে থাকবার ক্ষণে,
খুব বেশি তা আসে না গো মনে।" একদম মনের কথা।
এই সামান্য লেখা আপনার মন ছুঁয়ে গেছে শুনে লেখালেখি সার্থক মনে হলো। আপনিও ভালো থাকবেন। আমার প্রিয় দেশে থাকা আপনিও যে দেশেরই অংশ!! ভালোবাসা ও শুভকামনা নেবেন।
১০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮
ব্লগ মাস্টার বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন ।
২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৩০
শিখা রহমান বলেছেন: ব্লগ মাস্টার আমার ব্লগে স্বাগতম। পড়ার জন্য ও মন্তব্যের জন্য শুভকামনা ও ধন্যবাদ।
১১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: শিখা আপা! প্রোপিক চেন্জ করলেন কেন???
আগামিকাল হরতাল, হরতাল।
২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৩৩
শিখা রহমান বলেছেন: মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল প্রোপিক চেন্জ করা মানা নাকি প্রোপিকটা বাজে?
যাই হোক হরতালতো স্থগিত ভাগ্যিস আপনার লেখা প্রথম পাতায় আসলো। আবারো অভিনন্দন আর শুভকামনা।
১২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১২
বনসাই বলেছেন: আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।
বিদেশে থেকেও তো আপনি বাংলাদেশের পরিচয় তুলে ধরছেন, বাংলাদেশকে ধারণ করছেন। আপনাকে অভিনন্দন জানাই।
২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৪৬
শিখা রহমান বলেছেন: বনসাই আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ ও স্বাগতম। "আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।" শুনলে বুকের মাঝে কেমন ওম ওম ভালোলাগা ছড়িয়ে যায়।
জানি না কতোটুকু পেরেছি বাংলাদেশের পরিচয় তুলে ধরতে তবে বাংলাদেশকে ধারণ করছি সেটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি। অশেষ কৃতজ্ঞতা আপনার সুন্দর অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা।
১৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: প্রবাসীরা অনেক বেশী দেশ প্রেমিক। তারা বিষয়টা যেভাবে উপলব্ধি করতে পারে আমরা তস পারিনা।
২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৫১
শিখা রহমান বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
"প্রবাসীরা অনেক বেশী দেশ প্রেমিক।" কথাটা খুব বেশী সাধারণীকরণ হয়ে গেলো। দেশে যারা আছেন তারা অবশ্যই দেশকে অনেক অনেক ভালোবাসেন। তবে হয়তো বা প্রবাসীরা "বিষয়টা যেভাবে উপলব্ধি করতে পারে আমরা তা পারিনা।" আপনার দ্বিতীয় বাক্যটির সাথে আমি একমত। কাছে থাকলে অনেক সময়েই ভালোবাসা টের পাওয়া যায় না। কিন্তু ভালোবাসা যে থাকেই, ফল্গুধারার মতো বুকের গহীনে।
ভালো থাকবেন। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
১৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩
জাহিদ অনিক বলেছেন:
বাহ ! বেশ লিখেছেন। দেশপ্রেম জিনিসটা একটু আলাদা।
অন্য প্রেমে কিছুটা লজ্জা লজ্জা থাকলেও, দেশপ্রেমে থাকে গর্ব
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯
শিখা রহমান বলেছেন: জাহিদ অনিক ধন্যবাদ পড়ার জন্য ও বরাবরের মতোই সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা ও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
১৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩
সৈয়দ তাজুল বলেছেন:
চাইছিলাম কিছু বলবো, কিন্তু আমার কথাগুলোই কবি জাহিদ অনিক সুন্দর করে সাজিয়ে বলে দিলেন! এই অবস্থায় আমার কী করার বলুন
জাহিদ অনিক বলেছেন: বাহ ! বেশ লিখেছেন। দেশপ্রেম জিনিসটা একটু আলাদা।
অন্য প্রেমে কিছুটা লজ্জা লজ্জা থাকলেও, দেশপ্রেমে থাকে গর্ব
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০২
শিখা রহমান বলেছেন: সৈয়দ তাজুল কবিরা শুধু আপনার কেন, আমাদের সবার মনের কথাই সুন্দর শব্দে প্রকাশ করেন। ধন্যবাদ আর আমার ব্লগে স্বাগতম। ভালো থাকবেন। শুভকামনা ও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
১৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮
মলাসইলমুইনা বলেছেন: প্রিয় গল্পকার, চমৎকার হয়েছে ডাইরিতে টুকে রাখা দেশ সম্পর্কে কোনো এক দিনের কথোপকথন নিয়ে এই লেখা |
হ্যা, আরবান প্ল্যানিংয়ের প্রথম ক্লাসে আমাদের জাদরেল প্রফেসর ডক্টর জোয়েল সবার পরিচয় জানতে চাইলেন |আমি বললাম, আই এম ফ্রম বাংলাদেশ | উনি আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে ক্লাসের সবাইকে বললেন, শোনো পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পার্লামেন্ট বিল্ডিংটা ওদের দেশে আছে | ক্লাস ভর্তি আমেরিকান, কানাডিয়ান, জর্ডানিয়ান,জার্মান ছেলে-মেয়েদের দিকে তাকিয়ে আমি একটু গর্বের হাসি হাসলাম |মনে মনে বললাম সোনার বাংলায় ছড়ানো এতো একটি মাত্র মণিমুক্তো ! এরকম কত অজস্র মণিমুক্তোয় ভরা আমার দেশের সবুজ আঙিনা ! হ্যা, ঠিক বলেছেন, কত যে ভালো লাগে দেশের ভালো নিউজগুলো যখন এখানে শুনি ! আমাদের রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরা যদি সেটা বুঝতেন একটু !
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৭
শিখা রহমান বলেছেন: মলাসইলমুইনা " ঠিক বলেছেন, কত যে ভালো লাগে দেশের ভালো নিউজগুলো যখন এখানে শুনি ! আমাদের রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরা যদি সেটা বুঝতেন একটু!" একদম মনের কথাটা বলেছেন। এই অনুভূতি প্রবাসে না থাকলে বোঝানো সম্ভব নয়। আপনার দিনলিপিতেও অনেক গল্প আছে মনে হচ্ছে। আমাদের জন্য লিখে ফেলুন প্লিজ।
ভালো থাকবেন প্রিয় লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, ও গল্পকার, এবং খুব প্রিয় পাঠক (আমি ভাগ্যবান)। শুভকামনা ও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
১৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৩৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এতো সরল, এত ভাল, এত অতিথি পরায়ন!
আহ! মনে রিনরিন করে ওঠা কোন অচেনা ভাটিয়ালীর চেনা সুর যেন!
বাংলাদেশ! শুনলেই বুকের মাঝে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে - - আহা অল্পতে কি দারুন আবেগ ফুটিয়েছেন। মুগ্ধতা!
কখেনা দেশের বাইরে যাইনি। আপনাদের মতো করে হয়তো অনুভব করা হবে না!
তবে আত্মার অনুভবে অনুভব করতে পারি- অস্তিত্বের প্রতিটি কণাই হল দেশ।
ভাললাগা রইল অন্তহীন।
+++++++++
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৯
শিখা রহমান বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু "এতো সরল, এত ভাল, এত অতিথি পরায়ন!
আহ! মনে রিনরিন করে ওঠা কোন অচেনা ভাটিয়ালীর চেনা সুর যেন!" এমন সুন্দর করে বললেন কবি!! ধন্যবাদ।
আপনাকেও অফুরন্ত শুভকামনা ও ও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন প্রিয় কবি।
১৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৩৮
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: একদম মনে কথাগুলো টেনে বের করে লিখেছেন। বিদেশে যারা থাকে তারা সত্যি অনুভব করতে পারে দেশের প্রীতি। গল্পের ছলে অনেক মূল্যবান কথা বলে গিয়েছেন সহজ করে। ভাল থাকুন সবসময়।
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১৪
শিখা রহমান বলেছেন: মাহমুদুর রহমান সুজন বিদেশে যারা থাকে তারা দেশের প্রীতি অনুভব করতে পারে সত্যি। তবে আমি বিশ্বাস করি অজান্তেই বিনা চেষ্টাতেই দেশের জন্য টান, দেশের জন্য ভালোবাসা সব মানুষের মাঝেই থাকে। দেশ যে অস্তিত্বের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে।
ভালো থাকবেন। সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা ও ও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
১৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: শিখা রহমান ,
সন্ধ্যার প্রথম তারা চিনিয়াছে তারে
পশ্চিম সমুদ্রের পারে
সেই এক দেশ আছে ;
সূর্যের অস্তের রঙে ঘেরা,
আকাশের সবচেয়ে দূর নক্ষত্রেরা
দেখিয়াছে তারে ............................( জীবনানন্দ দাশ )
ইনহাস্ত ওয়াতানম - এই তো আমার দেশ । দেশ যে আমার আপনার একটাই ভুবন, একটাই জননী ! আমি আপনি প্রথম চোখ মেলে দেখি যে সেই মায়েরই আদল, তার গায়েরই রঙ। যেখানে সাদা কালো বায়স্কোপের মতো ঝমঝম করে বৃষ্টি নামে । খুব ছোট , দারিদ্রে ভরা তবুও মনের মেঠোপথ বেয়ে অনির্বচনীয় এক দুঃখ তাড়ানিয়া ভালোবাসা অবিরাম গান গেয়ে যায় ।
এবারে আপনার লেখায় আসি ।
পড়ানোর ষ্টাইলে শুনিয়ে গেলেন নিজ রক্তস্রোতে বয়ে চলা একটি দেশের কথা । হয়তো অনন্তকাল সে দেশটি রয়েই যাবে রক্তে ।
একই সাথে বেকায়দায় পড়া আপনার ভেতরে জমে থাকা ভালোবাসার কথা বলে গেলেন বেশ ঝরঝরে কায়দায়, অঝোর ধারায় ।
[ লেখা পড়ে মনে হলো একটা টিপস দেয়া দরকার -
বাংলাদেশ কোথায় এমনটা কেউ জানতে চাইলে বেশ ভারীক্কি চালে বলবেন, “ হোয়ার দ্য নিউক্যালী সিটি ইজ ।” যদি অবাক হয়ে বলে, হোয়ার ইজ নিউক্যালী ? অম্লান বদলে বলবেন , “ ইট’স নিয়ার ফেনহাই ” ]
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:২৩
শিখা রহমান বলেছেন: আহমেদ জী এস আপনার মন্তব্য মনের ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখলাম। আপনি মন্তব্যের যাদুকর। একেতো অদ্ভুত সুন্দর সব শব্দমালা তার ওপরে সাথে আমার প্রিয়তম কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতা।
"ইনহাস্ত ওয়াতানম - এই তো আমার দেশ । দেশ যে আমার আপনার একটাই ভুবন, একটাই জননী ! আমি আপনি প্রথম চোখ মেলে দেখি যে সেই মায়েরই আদল, তার গায়েরই রঙ। যেখানে সাদা কালো বায়স্কোপের মতো ঝমঝম করে বৃষ্টি নামে । খুব ছোট , দারিদ্রে ভরা তবুও মনের মেঠোপথ বেয়ে অনির্বচনীয় এক দুঃখ তাড়ানিয়া ভালোবাসা অবিরাম গান গেয়ে যায় । " কিভাবে এমন করে লেখেন বলুনতো? অবশ্য আপনি কবি। কবিরা সব পারে। কথার জালে হৃদয় বেঁধে রাখাই যে কবিদের কাজ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। ব্লগে লেখালেখি শুরুর খুব বড় প্রাপ্তি আপনার সাথে পরিচয়, আপনার অদ্ভুত সুন্দর সব মন্তব্যের সাথে পথ চলা।
অনেক ভালো থাকবেন কবিবর। কাব্যদেবী ভর করে থাকুক আপনার লেখনীতে সতত। শুভকামনা ও ও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
২০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪
শিখা রহমান বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ধন্যবাদ কবি। শুভকামনা ও ও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
২১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৪১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: এক যুগ দেশের বাইরে থাকলে খুব কম মানুষই নিজের ভাষাকে নিজের মাঝে ধরে রাখতে পারে। বিশেষ করে বেশির ভাগ মানুষই নিজের লেখনী শক্তিকে হারিয়ে ফেলে।
আপনি কিভাবে তা ধরে রেখেছেন জানতে পারলে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ।
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩
শিখা রহমান বলেছেন: সত্যপথিক শাইয়্যান আমি একযুগ ক্যালিফোর্নিয়াতে শিক্ষকতা করছি। আর দেশের বাইরে আছি দুই দশকেরও বেশী।
"এক যুগ দেশের বাইরে থাকলে খুব কম মানুষই নিজের ভাষাকে নিজের মাঝে ধরে রাখতে পারে।" তাই কি? চেনা শোনা অনেক প্রবাসী বন্ধুদেরতোই দেশের ভাষা বা সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে দেখি। মাতৃভাষাও যে অস্তিত্বের অংশ। লেখালেখির অভ্যাস অবশ্য সবার থাকে না। যাদের থাকে তাদের এই প্রবাসেও লেখালেখি চালিয়ে যেতে দেখি। আমি নিজের আনন্দের জন্যেই লিখি। লেখালেখি মূলত আমার অন্তর্যাত্রা, নিজেকে খুঁজে ফেরা। আমার অবশ্য বই পড়ার অভ্যেস আছে। দেশে গেলেই সুটকেশ ভর্তি করে বাংলা বই নিয়ে আসি। হতে পারে যে সেজন্য হয়তো বা বাংলা ভাষায় লেখালেখি করাটা তেমন কষ্টকর মনে হয় না।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য। আশাকরি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছি। শুভকামনা ও ও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
২২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এত মিস্টি করে লিখেছেন !!!
অনেক ভালোলাগা।
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬
শিখা রহমান বলেছেন: মনিরা সুলতানা নীরা মিষ্টতা বোঝার মতো সুন্দর একটা মন আপনার আছে যে!!
ভালো থাকবেন আপনিও অনেক। শুভকামনা ও ও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
২৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৫০
সুমন কর বলেছেন: লেখা পড়ে মুগ্ধ হলাম। দারুণ লিখেছেন।
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৮
শিখা রহমান বলেছেন: সুমন কর অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি। আপনার মুগ্ধতা অনেক বড় পাওয়া।
ভালো থাকবেন সুন্দর সব স্বপ্ন নিয়ে। শুভকামনা ও ও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
২৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৩১
ওমেরা বলেছেন: ছোট বেলায় আমার বড় ভাইয়ার সাথে কোন একটা মেলায় গিয়েছিলাম সেখান থেকে ভাইয়া এই রকম ২ টা ঘড়ি কিনেছিল । আমি এত দুষ্ট ছিলাম বাসায় আসার পরই একটার নাট-বুল্ট খুলেফেলেছিলাম, আরেকটা মনে হয় কয়েক বছর ছিল।
দেশের প্রতি মায়া ভালবাসা সবারই আছে তবে আমরা যারা বাহিরে আছি তারা যে ভাবে অনুভব করি , কাছে থাকলে সেটা আসে না ।
হৃদয় দিয়ে অনুভব করা ভালবাসা ,সেই ভালবাসা যেই লিখা তাকি সুন্দর না হয়ে পারে ।
লিখাটা সত্যি অপূর্ব সুন্দর হয়েছে আপু।
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯
শিখা রহমান বলেছেন: ওমেরা মনি আমারও এই রকম দুটো ঘড়ি আছে। একটা অফিসে আর একটা বাসায়। ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দিলে। ছোট্টবেলায় কে জানে কেন আমিও বেশ কয়েকবার ঘড়ির নাট বল্টু খুলে ফেলেছিলাম।
"দেশের প্রতি মায়া ভালবাসা সবারই আছে তবে আমরা যারা বাহিরে আছি তারা যে ভাবে অনুভব করি, কাছে থাকলে সেটা আসে না।" একদম ঠিক কথা!! কাছে থাকলে ভালোবাসা টের পাওয়া যায় না। প্রবাসে বিরহে দেশ অনেক বেশীই অনুভূত হয়।
"হৃদয় দিয়ে অনুভব করা ভালবাসা ,সেই ভালবাসা যেই লিখা তাকি সুন্দর না হয়ে পারে।" তোমার এই সুন্দর কথাটা আমার অনেক অনেকদিন মনে থাকবে। শব্দের মাঝে আমার ভালোবাসা যে তোমাকে ছুঁয়ে গেছে সেজন্য লেখাটা সার্থক মনে হলো।
অনেক ভালো থেকো ওমেরা মনি। ভালোবাস ও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
২৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২২
তারেক ফাহিম বলেছেন: ঘড়িটি দেখে পোষ্টটি পড়লাম।
অনেক সুন্দর +
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫২
শিখা রহমান বলেছেন: তারেক ফাহিম ধন্যবাদ পড়ার জন্য আর মন্তব্যের জন্যেও। শুভকামনা ও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
২৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভালোবাসলেও দেশকে ফেলে আসার জন্য মাঝে মাঝেই নিজেকে খুব স্বার্থপর আর অপরাধী মনে হয়।[/sb
স্যরি, আপনার কথার সূত্র ধরেই আবার দ্বি-মত পোষন করছি!
দেশকে ভালোবাসলে দেশেই থাকতে হবে, এমন কোন কথা নেই। দেশে যারা আছে, তারা সবাই কি দেশকে ভালোবেসে দেশের উন্নতি করছে? তাহলে দেশের এই অবস্থা কেন? বিদেশে বসেও দেশের জন্য অনেক কাজ করা যায়।
তবে হ্যা, আপনাকে স্বার্থপর আর অপরাধী তখনই বলা যাবে, যখন আপনার সুযোগ এবং সামর্থ্য থাকার পরেও আপনি দেশের জন্য যদি কিছু না করেন!
দেশে কিংবা বিদেশে, আমরা সবাই যদি আন্তরিক হতাম তাহলে দেশ কি আজকের অবস্থানে থাকতো? আপনার কি মনে হয় আমরা আক্ষরিক অর্থেই দেশপ্রেমিক?
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০০
শিখা রহমান বলেছেন: ভুয়া মফিজ আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
দেশপ্রেমের হিসেব নিকেশ জানি না। তবে দেশকে ছেড়ে দূর পরবাসে থাকার কষ্টতো আছেই। "দেশে কিংবা বিদেশে, আমরা সবাই যদি আন্তরিক হতাম তাহলে দেশ কি আজকের অবস্থানে থাকতো? আপনার কি মনে হয় আমরা আক্ষরিক অর্থেই দেশপ্রেমিক?" হয়তো বা নয়।
আপনার মন্তব্য পড়ে কিন্তু একটু হলেও কষ্ট কম হয়েছে। প্রাবাসীদের মনের অবস্থা আপনি বুঝতে পেরেছেন।
আন্তরিক ধন্যবাদ সময় নিয়ে সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন অনেক। আশা করি মাঝে মাঝে আমার ব্লগে বেড়াতে আসবেন। শুভকামনা ও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
২৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: প্রবাসে যারা থাকেন তারা যতবার বাংলাদেশ উচ্চারণ করবেন ততবার শিহরিত হবেন।
লেখায়+++
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০২
শিখা রহমান বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার "প্রবাসে যারা থাকেন তারা যতবার বাংলাদেশ উচ্চারণ করবেন ততবার শিহরিত হবেন।" আসলেই!!
আমার ব্লগে স্বাগতম। আশা করি মাঝে মাঝে আমার ব্লগে বেড়াতে আসবেন।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন। শুভকামনা ও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
২৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪
কালীদাস বলেছেন: ভাল লাগল পোস্টটা। সবাই সুন্দর সুন্দর কথা বলে গেছে, আমি খানিকটা কদর্য আলাপ করে যাই কয়েকটা কমেন্টের পার্সপেক্টে।
যতক্ষণ পেটে ভাত আছে, দেশের জন্য ফিলিংস ভালই চলে সবারই। এর বাইরে গেলেই বাংলাদেশের দোষ প্রচার করতে করতে কাহিল হয়ে যায় একেকজন। কথাটা অনেক বাংলাদেশির জন্য প্রযোজ্য (অবশ্যই সবাই না)। এর বাইরে আরেকটা গ্রুপ আবিষ্কার করেছি চুপচাপ অনেককে অবজার্ভ করে। এদের সব ভাল আছে কিন্তু নিজেদের সবজান্তার মত কিছু একটা ভাবে এবং সেখান থেকে দেশের নামে কুৎসা গাইতে গাইতে দিন পার করে। একটা জঘণ্য ঘটনা জানাতে পারি। ইউকের এক ভার্সিটিতে জনৈক বাংলাদেশি প্রফেসর দেশে গুম, বাসে আগুন, .... মোদ্দা কথা আমাদের যত অসভ্যতা আছে সব খবরের লিংক নিজের ফ্যাকাল্টির সবাইকে গণ মেইলে জানান। একদিন সেই ভদ্রলোককে গিয়াস উদ্দিন লিটনের উল্লেখ করা বিদেশে থাকা বাংলাদেশি প্রফেসরদেরই একজন সরাসরি ধরে বসেছিলেন যে তার সমস্যাটা কি? সারা দুনিয়ার লোক এমনেই আমাদের সব সমস্যা জানে, নিজের ঘরের খবর এরকম নেগেটিভভাবে সারা দুনিয়ায় ঢোল পিটিয়ে জানানোর মানেটা কি?!
পলিটিকাল এসাইলামের কিছু ঘটনা চোখে এসেছে যাযাবর জীবনে। এগুলো পুরাই মিথ্যা, কেবলই উন্নত দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য নিজের দেশের নামে কুৎসা/মিথ্যা গল্প রটানো।
যখন প্রথম প্রথম দেশের বাইরে ছিলাম, বাংলাদেশি চেহারার কাউকে দেখলে যেচে জিজ্ঞেস করতাম, কথা বলতাম। এখন চুপচাপ শুনি কি বলে/কি করে। গায়ের রং দেখে মনে করে সাউথ এশিয়ান কেউ একজন, তাই আমাকে ঘাটায় না কেউ সাধারণত। বাংলা না বোঝার ভান করে যখন চুপচাপ শুনি; অন্তত ৭০ভাগ প্রবাসীর ব্যাপারে উপরের জিনিষগুলো দেখেছি।
যাকগে!! আমার দেশ নিজের পায়ে দাঁড়াবে আমার জীবদ্দশাতে: এটাই আমার চাওয়া।
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১৩
শিখা রহমান বলেছেন: কালীদাস আপনার মন্তব্যে উল্লেখ করা প্রবাসীদের সাথে পরিচয় নেই তা নয়, যদিও তারা ৭০ভাগ কিনা জানি না। তবে আপনি যে ইউকের এক ভার্সিটির জনৈক বাংলাদেশি প্রফেসরের গল্প করলেন, এমন সাংঘাতিক কোন প্রবাসীর কথা আগে শুনিনি। নিজের শিকড়কে অস্বীকার করে এই মানুষগুলো কিভাবে দিনযাপন করে কে জানে? দেশকে ছোট করা যে নিজেকেই ছোট করা সেটা কি ওনার বুঝতে পারেন না?
পলিটিকাল এসাইলামের বিষয়ে আমি আপনার সাথে সহমত। নিজের দেশের নামে কুৎসা/মিথ্যা গল্প রটিয়ে কিছু মানুষ উন্নত দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করে।
হুমায়ূন আহমেদ ওনার কোন এক লেখায় বলেছিলেন যে প্রবাসীরা দু'রকম হয়। একদল ছেড়ে আসা দেশের কুৎসা রটায় সারাক্ষণ। এরা দেশের ভালো কোন কিছু খুঁজে পায় না। আর আরেক দলের প্রবাসীদের দেশের সবকিছুই ভালো লাগে। তবে "আমার দেশ নিজের পায়ে দাঁড়াবে আমার জীবদ্দশাতে: এটাই আমার চাওয়া।" ঠিক বলেছেন।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন। শুভকামনা ও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
২৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: শিখা রহমান ,
আজকে ছুটির দিন । অনেক কাজ করার সুযোগ মিলেছে । তবুও ব্যস্ততার মাঝে ব্লগে ঢুকেছিলুম সকালে । কিন্তু কিছু কিছু লেখা পড়ে কেন যেন মনে হলো , আমারও কিছু বলার ছিলো যা বলতে চাইনি । তাই তড়িঘড়ি করে একটা পোস্ট দিলুম এইমাত্র । তখনই দেখি আপনার এই প্রতিমন্তব্যখানি । ধন্যবাদ ।
আপনি আমাকে যেভাবে চিত্রায়িত করেন সব সময় , তা আপনার মহানুভবতা । এতে আমাকে আরও বেশি করে কবি হয়ে উঠতে হয় যে ! তা কি সব সময় সম্ভব আমার মতো ছা-পোষা এক মানুষের ? কি যে এক গুরু দায়িত্ব দিয়ে গেলেন আমাকে !
স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা আপনাকেও ।
শুভরাত্রি ।
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:২১
শিখা রহমান বলেছেন: আহমেদ জী এস "আপনি আমাকে যেভাবে চিত্রায়িত করেন সব সময় , তা আপনার মহানুভবতা । এতে আমাকে আরও বেশি করে কবি হয়ে উঠতে হয় যে ! তা কি সব সময় সম্ভব আমার মতো ছা-পোষা এক মানুষের ? কি যে এক গুরু দায়িত্ব দিয়ে গেলেন আমাকে ! " দায়িত্বটা আপনার জন্য খুব গুরু নয় মোটেও। আপনি কবি, কবিতাকে ধারণ করেছেন। শুধু আমার লেখায় নয়, আপনি অন্য অনেকেরই লেখায়, কবিতায় অনন্য সুন্দর সব মন্তব্য করে ব্লগ আলো করে রাখেন।
আপনি এখন যেমন " ছা-পোষা" কবি আছেন, তেমনটা থাকলেই চলবে। শুভরাত্রি প্রিয় কবি। ভালো থাকবেন সুন্দর সব স্বপ্ন নিয়ে।
৩০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আশা করি মাঝে মাঝে আমার ব্লগে বেড়াতে আসবেন। অবশ্যই। তবে কোন কিছুই তো একতরফা হয় না!
এই গরীবের ব্লগ-বাড়ীতে চা খেয়ে যাবেন, নিমন্ত্রন রইলো।
আপনাকেও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:১৮
শিখা রহমান বলেছেন: ভুয়া মফিজ আমি কাজের চাপে মাঝে মাঝেই ব্লগ থেকে গায়েব হয়ে যাই। খুব নিয়মিত নই। তবে চেষ্টা করবো আপনার ব্লগ বাড়িতে ঘুরে আসতে। নিমন্ত্রনের জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন ও শুভকামনা।
৩১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩৯
মাহের ইসলাম বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
ভালো লাগলো।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪২
শিখা রহমান বলেছেন: মাহের ইসলাম আমার ব্লগে স্বাগতম। আপনার এই লেখাটা ভালো লাগলে হয়তো একজন দ্বিচারিণীর গল্প লেখাটাও ভালো লাগবে। সময় পেলে পড়ে দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন। শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: এ বন্ধন কখনও ছিন্ন হবার নয়। নাড়ীপোঁতা যে।