নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা প্রেমী; একটু এলোমেলো; উড়নচণ্ডী; আর বই ভালবাসি। শব্দ নিয়ে খেলা আমার বড্ড প্রিয়। গল্প-কবিতা-মুক্ত গদ্য সব লিখতেই ভালো লাগে। \"কেননা লেখার চেয়ে ভালো ফক্কিকারি কিছু জানা নেই আর।\"

শিখা রহমান

পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....

শিখা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধ্রুবতারা

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৬



“কি দারুণ ভিউ!! তাই না?” বলতে বলতে হাতের আঙ্গুল ধরার চেষ্টা করলো লতিফ।

এবারও হাত সরিয়ে ফেললো স্বাতী। লতিফ আজ বেশ কয়েকবারই হাত ধরার চেষ্টা করেছে। মেয়েদের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বেশ প্রখর হয়; আনমনা ভাব করে প্রত্যেকবারই ঠিক মুহূর্তে সরে গেছে স্বাতী। এমন না যে লতিফ ওর হাত আগে ধরেনি। অবশ্যই ধরেছে আর ভবিষ্যতেও ধরবে। পানচিনি হয়ে গেছে; বিয়ের দিনতারিখ নির্ধারণ চলছে। মাসখানেকের মধ্যেই দলিল দস্তাবেজে সই করে শুধু হাত কেন এই পুরো মানুষটাই লতিফের হয়ে যাবে। লতিফের বোন বিদেশ থেকে আসার অপেক্ষা।

হাত সরিয়ে আঙ্গুলে কানের পেছনে চুল সরালো স্বাতী। বারান্দার গরাদ নেই। অত্যাধুনিক এই ফ্ল্যাটের বারান্দা কাঁচে ঘেরা; কোমর উঁচু রেলিঙয়ের ওপরে ঝকঝকে এলুমিনিয়ামের ফ্রেমে দুপাল্লা কাঁচের দেয়াল। অনেক অনেক নীচে রাস্তায় গাড়িদের লাল আলোর সারি সারি রক্তচক্ষু। উনিশ তলার ওপর থেকে রাতের শহরটাকে খুব ঝলমলে লাস্যময়ী দেখাচ্ছে; বাইজী বাড়ির মতো। রাতের ঘাগরায় আলোর চুমকির ঢেউ তুলে শহর এখন যৌনআবেদনময়ী উমরাওজান “ইন আঁখো কে মস্তি কে...মস্তানও হাজারো হ্যায়...”

- জানো...ছাদের কোনায় মাকড়শার জালে একবার বৃষ্টিশেষে জলের বিন্দু আটকে ছিলো। মেঘ ঝরে সূর্য হাসতেই জালে বন্দী জলকনারা হীরের মতো ঝকমক করছিলো। শহরটাকে এখান থেকে তেমনটাই দেখাচ্ছে...বিন্দু বিন্দু আলো দিয়ে তৈরী মোহময় জাল।
- তুমি সবসময় ছাদের গল্প করো...পাবে ওখান থেকে এমন ভিউ?

স্বাতী হাসিহাসি মুখে মাথা নেড়ে মানা করলো। দোতলা বাড়িটা বড্ড পুরোনো; ওরা ওখানে ভাড়া থাকে অনেক বছর। বাড়িটার সাথে সাথে মা-বাবারও বয়স বেড়েছে। বাসাটা অবশ্য ছেড়ে দিতে হবে; এখানে নতুন ফ্ল্যাটবাড়ি উঠবে। দোতলা ছাদ থেকে শহরটা অন্যরকম দেখায়; কোন আটপৌঢ়ে সাধারণ মেয়ে, রূপটান নেই। খোলা এলো চুল; বুকের ওপর এলিয়ে পড়ে রয়েছে আঁচল, অবিন্যস্ত। অন্যরকম সুন্দরী, যাকে বুঝতে হলে, যার গভীরে ঢুকতে গেলে, অনেক কসরত করতে হবে। তার কোমরের মেদ আঁচলে ঢেকে সুন্দর নরম এক অবয়ব তৈরী করে। যার শরীরের ভাঁজ কোনো বনেদী পুকুরঘাটের শ্যাওলা মাখা সিঁড়ি, পা দিলেই অতলজলের আহ্বান! যার চোখে লেখা আছে আছে আরব্য রজনীর সহস্র গল্প...কিন্তু সে শেহেরজাদী নয়!!

প্রায় রাতেই স্বাতী ছাদে ওঠে। দোতলা ভাঙ্গা চোরা পুরোনো ছাদ থেকে রাতের শহরের কিছুই দেখা যায় না...শুধুই ক্লান্ত অন্ধকার!! বাসার পেছনে খোলা জংলা জায়গা। একটু দূরেই সুতা সাপের মতো হলদে নোংরা দেয়াল। দেয়ালের কাঁটাতারের ওপাশে স্টাফ কলোনী। পুরোনো ছ্যাতাপরা হলদে কলোনীর ল্যাম্পপোস্টের আলোয় সে অন্ধকারে একটু আলো আধারির খেলা; কখনোবা জংলার আগাছার কাঁটাঝোপে জোনাকীদের সিঙ্ক্রোনাইজড হলদে সবুজ আলোর ওঠানামা।

মা খুব রাগারাগি করে; একদমই পছন্দ করে না রাতে ছাদে যাওয়া। অবিবাহিত মেয়েদের নাকি রাতে বিরেতে ছাদে উঠতে নেই; অমঙ্গল হয়। তারপরেও স্বাতী লুকিয়ে চুরিয়ে রাত বাড়লেই ছাদে ওঠে। চুপচাপ জলের ট্যাঙ্কির পাশে জংপড়া পানির পাইপের সারির ওপরে বসে থাকে। অভ্যেস হয়ে গেছে। কিছুদিন আগেও রাতে ছাদে উঠতো ফোনে কথা বলার জন্য, ধ্রুবর সাথে। ঘুমানোর আগে কথা না হলে ধ্রুব মনখারাপ করতো; শুভরাত্রি না জানালে সারারাত জেগে থাকতো। আসলেই কি জেগে থাকতো? কে জানে!! আজকাল ও আর সত্যিমিথ্যের ফারাক বুঝতে পারে না, বুঝতে চায়ও না। ধ্রুব সম্পর্ক শেষ করে দেবার পরে স্বাতী কেমন যেন অসাড় হয়ে গেছে।

আজও স্বাতী ছাদেই ছিল যখন লতিফ এলো। খুব খুশী; ফ্ল্যাট কিনেছে, স্বাতীকে দেখাতে নিয়ে যাবে। লতিফ উঠতি ডাক্তার; রুগির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বৈষয়িক মানুষ; প্রাকটিস, চেম্বার, রুগিরা, হাসপাতাল আর দামী গাড়ি বাড়িকে ঘিরেই তার গল্পরা আবর্তিত হয়। মাঝে মাঝে স্বাতীর দমবন্ধ হয়ে আসে; লতিফের সাথে বেশীক্ষণ থাকলে ও হাসপাতালের গন্ধ পায়, ভেসে আসে ডেটলের গন্ধ!!

বিয়ের ইচ্ছা ছিলো না স্বাতীর। এর আগে আরো তিনটা বিয়ের প্রস্তাব এসেছিলো। একটুও সাজেনি, কথা বলেনি ভালো করে যখন ওরা বাসায় এসেছিলো। তৃতীয়বার ছেলেপক্ষ মানা করে দেবার পরে বাবা মাথায় হাত রেখে বলেছিলেন “আমার বয়স হয়ে যাচ্ছে রে মা!!” মা ফ্যাকাশে মুখে তাকিয়ে ছিলো। মায়ের এনিমিয়া আছে; তার রক্তশূন্য মুখ সেদিন বড় অসহায় দেখাচ্ছিলো।

নিজের বাজারদর জানে স্বাতী। আফটার অল ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতিতে পড়ে। বাবা সামান্য চাকুরে; বাবার বিত্ত না থাকলে মনের বিত্তের খোজ কেউ রাখেনা। তার ওপরে ও রুপবতী নয়, কালো নয় তবে গায়ের রঙ তেমন উজ্জ্বলও নয়। লতিফের বাসার লোকেরা যখন ওকে দেখতে এসেছিলো, স্বাতী চড়া মেকআপ দিয়েছিলো। গাঢ় মেরুন লিপস্টিক; আয়নায় তাকিয়ে নিজেকে ওর রক্তচোষা মনে হচ্ছিল। পুশ আপ ব্রা; আঁচলের পাড় একটু সরিয়ে কাত হয়ে দেখেছিলো বুকের সুডৌল গড়ন। হেসে হেসে আদুরে মুখে কথা বলেছে সেদিন স্বাতী। মন জয়ের ছলাকলা ওর বেশ জানা আছে। নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়েদের মন জয় করার ট্রেনিং শুরু হয় জন্ম থেকেই। কোন কোন মেয়েকে অবশ্য জয় করে নিতে হয়, যেমনটা মনিকাকে জয় করে নিয়েছে ধ্রুব।

লতিফের মা, হবু শাশুড়ি, অবশ্য অনেক বারই কথায় কথায় বলেছেন যে তার ছেলে লম্বায় খাটো না হলে এমন ঘরে এমন সাধারন মেয়ের সাথে বিয়ে দিতেন না। স্বাতী শুনেছে এবং শুনেনি। পাশে দাঁড়ানো মানুষটার দিকে তাকালো স্বাতী। লতিফকে দেখলে হুমায়ূন আহমেদ বলতেন “বল্টু টাইপ ছেলে।“ তার উপন্যাসে এমন ছেলেরা খুব রোমান্টিক; নায়িকারা এদের পছন্দ করে বিয়ে করলে শুধু বেঁটে বলেই বাবারা বিরক্ত হয়। স্বাতীর মতো মেয়েদের জীবনের উপন্যাস যে অন্যভাবে লেখা; লতিফ ওকে পছন্দ করায় বাবা মা হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন।

হিল পরেনি আজ ও; আর হয়তো পরবেও না। ধ্রুব পছন্দ করে বলেই হিলজুতো পরা অভ্যেস করেছিল স্বাতী। “শোন মেয়ে...যখন হেঁটে আসো পায়ের আওয়াজের সাথে আমার হৃৎপিণ্ডটাও যে ধুকপুক করে। তবে...” “তবে?? তবে কি?” “একটু আস্তে, একটু সাবধানে হেঁটো মেয়ে!! তোমার চলার পথে আমার স্বপ্নরা বিছানো...পায়ের আঘাতে স্বপ্ন ভেঙ্গে দিও না!!” মানুষ কি আসলেই এমন বদলে যায়...আসলেই!!

ধ্রুবর সাথেই ওর আকাশের অলিগলি চেনা। রাতের আকাশের বুকে অগনিত হীরের ঝলকানি; প্রতিরাতে ওর দৃষ্টি খুঁজে ফেরে মাত্র একটি 'ধ্রুবতারা'র ঝলমলানি শুভরাত্রি বলার জন্য। “সারাটি রাত্রি তারাটির সাথে তারাটিরই কথা হয়....তুমি পূর্ব আকাশে আর আমি উত্তরে!!“ “ধ্রুবতারা কি আসলেই ধ্রুব? কখনো অবস্থান বদলায় না?” সে হেসেছিলো “ধ্রুবতারাও কখনো কখনো দিকভ্রষ্ট হয় ইদানিং!! তার আজকাল সারাক্ষণ ইচ্ছে করে ওই উজ্জ্বল স্বাতী তারার কোল ঘেঁষে বসে থাকতে...”

হঠাত স্বাতী বলে উঠে “তারা কোথায়? আকাশে কোন তারা নেই যে!!” “ওই যে দূরে দেখছো না আলো ওঠানামা করছে...এয়ার পোর্ট!! আলোগুলো প্লেন! ওই গুলোকেই তারা ভেবে নাও। আধুনিক যুগের ডিজিটাল তারা!! গতিশীল...কখনো একজায়গায় থাকে না। হা হা হা!!” নিজের রসিকতায় নিজেই হাসতে থাকলো লতিফ।

সারা শরীর দুলিয়ে হাসতে থাকা মানুষটার দিকে তাকিয়ে স্বাতীর ভীষণ ইচ্ছে করলো বলে “শুনুন বল্টু!! আপনাকে বিয়ে করা আমার সম্ভব নয়।“ ঝলমলে শহরের ওপরে নিকষ কালো অন্ধকার বাদুড়ের মতো ঝুলে আছে। চাপ চাপ গুমোট অন্ধকারের আবর্তে আষ্টেপৃষ্ঠে আবদ্ধ তারাহীন ওই দূর আকাশে এখন বৃদ্ধ বাবার মমতাময় হাতের আঙ্গুল; মায়ের অসহায় ফ্যাকাশে মুখ।

আকাশে ধ্রুবতারা নেই; নক্ষত্রের পতন হয়, ধ্রুবতারাও কখনো কখনো দিক ভুল দেখায়। নক্ষত্রের রূপালী আগুনভরা কোন রাতে স্বাতীকে কেউ খুঁজবে না আর। হাসপাতালের সাদাটে শূন্যতায়, ডেটলের গন্ধে ডুবে যেতে যেতে স্বাতী বললো “বিয়ের ডেটটা কবে ঠিক করবে?”

© শিখা রহমান
(ছবি ইন্টারনেটে সংগৃহীত)

মন্তব্য ৭১ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৭১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৭

নজসু বলেছেন: উপস্থিত।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

শিখা রহমান বলেছেন: নজসু উপস্থিত হলেই কি হবে? হোমওয়ার্ক করেছেন? গল্পটা কেমন লেগেছে তা তো বললেন না! :(

"প্রেজেন্ট প্লিজ!!" বলার জন্য ধন্যবাদ। :)

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: Time is like a river....
It flows.....
সময়ের টানে জীবনে কত কি যে হয়....
সবই যোগ বিয়োগের খেলা।
বরাবরের মতোই মনোমুগ্ধকর লেখা :)
দৃশ্যকল্প দারুণ লেগেছে।

সবশেষে:
যা পেয়েছি আমি তা চাইনা......
জীবন কেন এমন???

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

শিখা রহমান বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স আপনার নামটা খটোমটো হলেও মন্তব্যগুলো কিন্তু বড্ড মনকাড়া হয়। :) মন্তব্যে মন ভালো করে দিলেন বরাবরের মতোই।

লেখার আগে গল্পটাকে মনের চোখে দেখতে ভালবাসি। শব্দে ছবি আঁকাবুকি করতে ভালো লাগে। আমার কবিতায়, গল্পে চিত্রকল্পের ছড়াছড়ি। আপনি খেয়াল করেছেন দেখে ভালো লাগলো।

জীবন কেন এমন?? -- সেই অনাদিকালের প্রশ্ন!! তারপরেও জীবন আশ্চর্য সুন্দর।

ভালো থাকুন। পাশে থাকার জন্য ভালোলাগা আর শুভকামনা।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

শিখা রহমান বলেছেন: ওহহহ!! বকবক করতে করতে ভুলেই গিয়েছি বলতে যে প্রথম লাইকের জন্য এত্তোগুলো ধন্যবাদ। :)

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আসলে আর্কিওপটেরিক্স নামটা ইউনিক, তাই এ নামের অবতারণা :)

মন্তব্যগুলো কিন্তু বড্ড মনকাড়া হয়
তই নাকি ;) দিল খুশ হুয়া

চিত্রকল্প সাহিত্যকে অন্য মাত্রা দেয়
তাই খেয়ালতো করবোই :)

ভালোবাসা নিরন্তর :)

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

শিখা রহমান বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স আবারো ফিরে এসে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। নাম দিয়ে কি হবে বলুন!! সেক্সপীয়ার বলে গেছেন গোলাপকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন সে গোলাপই। :P

আপনাকেও ভালোবাসা নিরন্তর।

৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: প্রথম লাইকের জন্য এত্তোগুলো ধন্যবাদ
দারুণ লেখার জন্য হাজারটা লাইক দেওয়া যায় :)

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

শিখা রহমান বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স এই লেখাটা আপনার এতো ভালো লেগেছে শুনে অভিভূত হলাম। একটু বিষণ্ণ, আর একটা দৃশ্যে আবর্তিত এই গল্পটা খুব বেশী পাঠক প্রিয়তা পাবে না বলেই আমার ধারনা।

কিছু গল্প ঠিক খুব ভালো বলে নয়, অন্য কোন কারণে প্রিয় থাকে। শুধু এই কারণেই লেখাটা ব্লগে পোষ্ট করলাম।

আন্তরিক কৃতজ্ঞতা পাশে থাকার জন্য।

৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

রাফা বলেছেন: পড়লাম,কিন্তু কিছুই বলবোনা ।

আমি কিন্তু ভুল বুঝিনি ।আপনি যে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করেছেন আমার মন্তব্য সেটা আমি প্রথমেই বুঝতে পেরেছি।বরং পরবর্তি কমেন্টে আমিই আপনাকে বুঝাতে পারিনি যে আমি আসলে খুশি করার জন্য কমেন্ট করতে পারিনা।

ধন্যবাদ,শি.রহমান।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

শিখা রহমান বলেছেন: রাফা কিছু না বললেও পড়ার জন্যেই এত্তো ধন্যবাদ।

আমিও কিন্তু ভুল বুঝিনি। এই যেমন এই গল্পটা ভালো লাগেনি বলে খুশী করার জন্য মন্তব্য করেননি, ঠিক না? :)

আমার বেশ মজা লাগে যে আমার দু'অক্ষরের নামটাকেও আপনি ছেঁটে শি.রহমান ডাকেন। শুধু "শি.রহমান" শোনার জন্যেই ভালো লেখা পোষ্ট করে আপনার মন্তব্য পাওয়ার চেষ্টা করবো। :)

ভালো থাকুন রাফা। শুভকামনা অফুরন্ত!!

৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব সাধারন প্লট কিন্তু কি অসাধারন ভাবেই না লিখে গেলেন শিখাপা!
গল্পে প্লাস।
গল্পের নায়িকার বুকের দীর্ঘশ্বাস প্রতিটি পাঠককে ছুয়ে যাবে।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

শিখা রহমান বলেছেন: সোহেল ওপরের একটা মন্তব্যের উত্তরে বলেছি "কিছু গল্প ঠিক খুব ভালো বলে নয়, অন্য কোন কারণে প্রিয় থাকে। শুধু এই কারণেই লেখাটা ব্লগে পোষ্ট করলাম।" আসলেই কিন্তু খুব সাধারণ প্লট। খুব চেনা আর গতানুগতিক গল্পই একটু অন্যভাবে বলার চেষ্টা করেছিলাম। জানি না কতোটুকু সফল হয়েছি কিন্তু আপনার ভালো লেগেছে জেনে লেখাটা কিছুটা সার্থক মনে হলো।

"গল্পের নায়িকার বুকের দীর্ঘশ্বাস প্রতিটি পাঠককে ছুয়ে যাবে।" -- অন্তত আপনাকে, একজন অসাধারণ পাঠককে ছুঁতে পেরেছে এটাই খুব বড় পাওয়া।

পাশে থাকার জন্য ও মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্য ভালোবাসা নিরন্তর!! শুভকামনা।

৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

ওমেরা বলেছেন: আপু আপনার লিখার ষ্টাইল, ভাষার কারুকার্যতা লিখাটাকে অসাধারন করেছে। ভাল না লেগে কি পারে !!

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭

শিখা রহমান বলেছেন: ওমেরা মনি সকাল সকাল আমার লেখায় তোমাকে পেয়ে ভাল লাগলো।

ইশশ!! কি সুন্দর করে বললে। তোমরা এমন ভালোবেসে পড়ো বলেই লিখতে ইচ্ছা করে।

ভালো থেকো ভালোবাসায়। পড়ার জন্য আর এমন মায়াময় একটা মন্তব্যের জন্যে এত্তোগুলো ভালোবাসা।

৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

নজসু বলেছেন:


সাদাসিধে কাহিনি হলেও আবেগে টুইটুম্বুর।
আধুনিক যুগের ডিজিটাল তারার সাথে প্রথমবারের মতো পরিচিত হলাম।


ভালোবাসার অনুভূতি, অবস্থা, মনোভাব আর পরিণতি সবকটা জিনিসই ধ্রুবতারায় পেলাম।
আপনার শব্দের আঁকিবুকি আমাকেও মুগ্ধ করে।
আমার মতো হয়তো সব পাঠককেও।

( উপস্থিতি জানিয়েছিলাম কারণ আপনার গল্পে আমি ফার্স্ট হতে চেয়েছিলাম।)

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯

শিখা রহমান বলেছেন: নজসু খুব সুন্দর আর সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

"সাদাসিধে কাহিনি হলেও আবেগে টুইটুম্বুর।" --- খুব চেনা একটি গল্পকে একটু অন্যভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।

"ভালোবাসার অনুভূতি, অবস্থা, মনোভাব আর পরিণতি সবকটা জিনিসই ধ্রুবতারায় পেলাম।" --- গল্পের আবেগগুলো আপনাকে ছুঁয়ে গেছে জেনে লেখাটা সার্থক মনে হলো।

"আপনার শব্দের আঁকিবুকি আমাকেও মুগ্ধ করে।
আমার মতো হয়তো সব পাঠককেও।"
--- অনুপ্রাণিত ও অভিভূত হলাম। শব্দের আঁকিবুকি করার অনন্দের জন্যেই লিখি। সেই আনন্দ যে আপনাকে, অন্যদের মুগ্ধ করেছে সেটা আমার জন্য বিরাট পাওয়া।

[ নজসু আপনি শুধু উপস্থিতি জানান দেবার কারণেই নন, দারুণ মন্তব্যটার জন্যেও ফার্স্ট হয়েছেন। :) আপনি বা যে কোন পাঠকই আমার জন্য প্রথম। কারণ আপনাদের জন্যেই লেখা। আপনাদের উপস্থিতি, মন্তব্যেই যে অনুপ্রেরণা।]

শুভকামনা নিরন্তর। পাশে থাকার জন্য ভালোবাসা!!

৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



'স্বাতী'র জীবনের গল্প পড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হল। আসলে মানুষের জীবনটাই এমন। অনেক সময় কল্পনায়, ভালবাসায় একজনকে নিশানা করলেও বাস্তবে কখনো কখনো নিজের চাওয়া পাওয়ার পূর্ণতা আসে না। পরম যত্নে গড়া ভালবাসার আঁধারটি তছনছ হয়ে যায়। ধ্রুবতারার মত হাওয়ায় মিলিয়ে যায়; কিন্তু এর রেশ, স্মৃতি, ঘ্রাণ ঠিকই রয়ে যায়। তবুও জীবন থেমে যায় না। আগমন হয় 'লতিফদের'। এটাই জীবন। এখানে সমাজ, পরিবেশ ও পরিবারের সাথে মানিয়ে নিতে হয়।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

শিখা রহমান বলেছেন: কাওসার আপনার মতো দারুণ গল্পকারের এমন সুন্দর মন্তব্য পেয়ে মন আলো হয়ে গেলো।

ঠিক বলেছেন যে গল্পটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরী করে, বাস্তবতা আসলে যে তেমনটাই!! বাস্তবতা মেনে নিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলার সাথে সাথে বুকের কোথাও স্বপ্ন ভাঙ্গার বেদনা, হাহাকার বেজে ওঠে। মনে হয় যদি মানিয়ে না নিয়ে জীবনটাকে অন্যভাবে সাজানো যেতো। একই সাথে স্বপ্নভঙ্গ ও স্বপ্ন দেখা!!

"তবুও জীবন থেমে যায় না। আগমন হয় 'লতিফদের'। এটাই জীবন। এখানে সমাজ, পরিবেশ ও পরিবারের সাথে মানিয়ে নিতে হয়।"--- এটাই সত্যি!! এটাই বাস্তবতা!!

মন্তব্যে আপ্লুত হয়েছি। পড়ার জন্য ও মন্তব্যে অনুপ্রেরণার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। ভালোলাগা ও শুভকামনা প্রিয় লেখক ও ব্লগার।

১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: দারুণ লেখার জন্য হাজারটা লাইক দেওয়া যায়
এটা আপনার সব লেখার জন্যই বলা
আপনার শব্দ চয়ন,দৃশ্যকল্পের ব্যবহার আমার কাছে দারুণ লাগে
লেখকই লেখাকে অসামান্য করতে পারেন :)
আর জীবনের গল্পগুলো তো এমনই
পাওয়া ও না পাওয়ার মিশ্রণ এ জীবন :)

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

শিখা রহমান বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স আপনাকে কি বলে কৃতজ্ঞতা জানাবো বুঝতে পারছি না। আপনি যে বারংবার আমার লেখায় ফিরে এসেছেন তাই না, প্রতিবারই সুন্দর সব কথামালা আর অনুপ্রেরণা বয়ে নিয়ে এসেছেন।

"দারুণ লেখার জন্য হাজারটা লাইক দেওয়া যায়
এটা আপনার সব লেখার জন্যই বলা
আপনার শব্দ চয়ন,দৃশ্যকল্পের ব্যবহার আমার কাছে দারুণ লাগে
লেখকই লেখাকে অসামান্য করতে পারেন :) "
--- একদম বাঁধাই করে মনের দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখলাম। এরপরে যখনই লিখবো আপনার কথাগুলো মনে পড়বে।

অফুরন্ত ভালোবাসা আর শুভকামনা। পাশে থাকুন, পাশে আছি সুন্দর সব শব্দালাপে!!

১১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২১

নীল আকাশ বলেছেন: বাংলাদেশে সব চেয়ে খারাপ থাকে মধ্যবিত্তরা, না পারে এরা নিন্মবিত্তের মতো হাত পাততে, না পারে উচ্চ বিত্তের মতো করে চলতে । এদের জীবন টাই কাটে শুধু কম্প্রোমাইজ করতে করতে........
পাত্রী দেখার উপরে একটা প্লট দাড় করাচ্ছি, এইসময়ে আমার পোষ্টে আপনার মন্তব্য পেয়ে উত্তর দিয়ে, এসে দেখি এই গল্প দিয়েছেন। অপছন্দের মানুষ কে বিয়ে করার চেয়ে পৃথিবীতে বেদানদায়ক কিছু আর হতে পারে না.........
শুভ কামনা রইল!

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

শিখা রহমান বলেছেন: নীল বরাবরের মতোই সুন্দর ও সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

"বাংলাদেশে সব চেয়ে খারাপ থাকে মধ্যবিত্তরা, না পারে এরা নিন্মবিত্তের মতো হাত পাততে, না পারে উচ্চ বিত্তের মতো করে চলতে । এদের জীবন টাই কাটে শুধু কম্প্রোমাইজ করতে করতে.......". --- এভাবে সামগ্রিক চিত্রটা তুলে ধরার জন্য কৃতজ্ঞতা। সুন্দর বলেছেন।

আপনার সাথে আমার লেখাগুলোর থিম কিভাবে যেন আগু পিছু হলেও মিলে যাচ্ছে তাই না? :) গল্প দিলে জানাবেন কিন্তু।

"অপছন্দের মানুষ কে বিয়ে করার চেয়ে পৃথিবীতে বেদানদায়ক কিছু আর হতে পারে না........." --- সহমত। তবে ভাবতে ভালো লাগে যে লতিফের সাথে স্বাতী সুখী হবে একদিন।

শুভকামনা ও পাশে থাকার জন্য এত্তো ভালোলাগা। ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার।

১২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৬

ইমু সাহেব বলেছেন: শব্দচয়ন গুলো বেশ ভালো , লেখাতে বাস্তবতা যথেষ্ট উপস্থিত ।। আর স্বাতী কে বলে দিবেন লতিফ সাহেব কে যেন সুখী রাখে, ও ব্যাটা গোবেচারা ।।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

শিখা রহমান বলেছেন: ইমু সাহেব লেখায় আপনার প্রথম মন্তব্য!! আমার ব্লগবাড়িতে স্বাগতম।

লেখাটা বাস্তব মনে হয়েছে আর শব্দচয়ন ভালো লেগেছে শুনে মন আলো হয়ে গেলো। "আর স্বাতী কে বলে দিবেন লতিফ সাহেব কে যেন সুখী রাখে, ও ব্যাটা গোবেচারা ।।" --- অবশ্যই!! আমার কেন যেন মনে হয় লতিফ স্বাতীকে খুব ভালোবাসবে। আর ওরা দুজনে খুব সুখী হবে।

সুন্দর মন্তব্যে ভালোলাগা রইলো। মাঝে মাঝে লেখায় আপনাকে পাবো আশা করছি।

শুভকামনা সতত!!

১৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: লতিফ আর স্বাতীর গল্প।
লতিফ নামটা বেশ পুরোনো। স্বাতী নামটা বেশ আধুনিক।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রীর নাম কিন্তু স্বাতী।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

শিখা রহমান বলেছেন: রাজীব লতিফ আর স্বাতী কিন্তু বেশ কমন নাম। এই নামে আমার পরিচিত মানুষ আছে। আপনারও নিশ্চয়ই আছে। :)

"সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রীর নাম কিন্তু স্বাতী।" --- কবিপত্নীদের নামগুলো বেশ সুন্দর হয়।

গল্পটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনি মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকেন সেজন্যে অন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার। শুভকামনা।

১৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

হাবিব বলেছেন: আপনি অসাধারন লিখেন......... পোস্ট প্রিয়তে রাখিলাম

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

শিখা রহমান বলেছেন: হাবিব আপনার মন্তব্যে অভিভূত হলাম। পোস্ট প্রিয়তে রাখার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

পাশে থাকার জন্য অশেষ ভালোলাগা ও শুভকামনা। ভালো থাকবেন প্রিয় ব্লগার।

১৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: নিয়ন বাতির শহরে , কে ই বা মনে রাখে অতসব মন ভাঙার গল্প ! সবার ব্যস্ত ঐ এয়ারপোর্টের আলোকে তারা ভেবে নেয়ার সুখে।
অসাধারণ গল্প বল মেয়ে ! এমন করে শব্দে শব্দে সাঁজাও ; কবিতা বলে ভ্রম হয়।

ভালোবাসা।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫১

শিখা রহমান বলেছেন: নীরা আসলেই গল্পটা এতোই চেনা, এতোই আটপৌরে যে কেউ নজরেই আনে না। সবাই ছুটে চলায় ব্যস্ত। নিয়নবাতির শহরে মন ভাঙ্গা নিত্যদিনের গল্প।

"অসাধারণ গল্প বল মেয়ে ! এমন করে শব্দে শব্দে সাঁজাও ; কবিতা বলে ভ্রম হয়।" --- এ তোমার ভালোবাসার কথা কবি। ভালোবাসো বলেই আমার সব কথাই তোমার কবিতা বলে ভ্রম হয়। এই ভ্রম আজীবন থাকুক।

ভালোবাসা নিরন্তর!! ভালো থেকো ভালোবাসায় আর কবিতায়।

১৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনার লেখার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হল সুন্দর সুন্দর শব্দচয়ন আর পারিপার্শ্বিক পরিবেশের মনকাড়া বর্ণনা। এ গল্পটাও তার ব্যতিক্রম নয়। এজন্যই আপনার ছোট গল্পগুলোও বর্ণনাভঙ্গির মুন্সিয়ানায় একটা আলাদা মাত্রা পায়। খুবই ভালো লাগে। এ গল্পটায় মন বিষণ্ণ করার উপাদান ছিল। তবে গল্পে বাস্তবের সাথে অসামঞ্জস্য না থাকায় পাঠক বিন্দুমাত্রও হোঁচট খাবে না। এমন স্বাতীদের জন্য মন খারাপ হলেও জীবনটা আসলে এমনই। কাউকে কাউকে সব ব্যথা আর কষ্ট বুকের ভেতর চাপা দিয়ে সারাটি জীবন হাসিমুখে অভিনয় করে যেতে হয়।

পুনশ্চঃ হিল 'পড়া'টা সম্ভবত 'পরা' হবে। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল!

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯

শিখা রহমান বলেছেন: সম্রাট লেখায় আপনার মন্তব্য না পেলে মনে হয় কিছু একটা বাকী রয়ে গেলো। আজকাল আপনাকে ব্লগে, আমার লেখায় দেখে খুব ভালো লাগছে।

সবার লেখাই অনবদ্য। কারণ যে লিখছে সে মানুষটাও যে অনন্য। গল্পটা পাঠকপ্রিয়তা পাবে বা এতো জন পড়বে ভাবিনি। গল্পটা খুব সাদামাটা আর পুরো গল্পটাই শব্দের খেলার ওপরে দাঁড়িয়ে আছে। এই ধরনের গল্প খুব বিশেষ কিছু পাঠক পছন্দ করেন, যারা আমার মতো শব্দের খেলা ভালোবাসেন। আপনি যে পছন্দ করেছেন সেটা খুব বড় পাওয়া। অবশ্য প্রথম থেকেই আমার পাশে আপনি আছেন আর অনুপ্রাণিত করেছেন। খুব সৌভাগ্যবান আমি যে আপনার মতো পাঠক আছেন, যারা লেখককে বোঝেন।

ভালোবাসা অফুরন্ত!! আর শুভকামনা।

পুনশ্চঃ ধন্যবাদ এতো মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য। ঠিক করে দিয়েছি।

১৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

নীল আকাশ বলেছেন: আমি একটু ডিফারেন্ট সামাজিক টপিক বা থিম নিয়ে কাজ করি। তবে মেয়েদের নিয়ে কাজ করার আগ্রহ টা হঠাৎ পেয়েছি আপনার খুব ভালো কিছু লেখা পড়ে। আগ্রহ টা যতদিন থাকবে মেয়েদের নিয়ে লিখব, তারপর আবার আগের জায়গায় চলে যাব। ধন্যবাদ আপনাকে.....আর অবশ্যই নতুন গল্প দিলে আপনাকে জানাবো।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০১

শিখা রহমান বলেছেন: নীল আমার লেখা আপনাকে মেয়েদের সামাজিক সমস্যা নিয়ে লেখার আগ্রহ যুগিয়েছে জেনে অনুপ্রাণিত হলাম।

ভালো থাকুন। দেখা হবে গল্পে-কবিতায়। শুভকামনা নিরন্তর!!

১৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম,

পরে পরে জানাবো।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০২

শিখা রহমান বলেছেন: তারেক ফাহিম ধন্যবাদ প্রিয়তে নেয়ার জন্য। আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম।

শুভকামনা। ভালো থাকুন সবসময়।

১৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গল্পটা আমার বেশ ভাল লেগেছে। চলমান জীবন কে কেন্দ্র করে একটি গল্প। আরো কিছু বলার ছিল তবে সময়ের অভাবে সংক্ষিপ্ত কমেন্ট করলাম। শব্দচয়ন অসম্ভব সুন্দর হয়েছে।

শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুকে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

শিখা রহমান বলেছেন: পদাতিক ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে পড়ে মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

আপনি ব্লগে আমার প্রিয় লেখকদের মধ্যে একজন। আপনার ভালো লাগা আমার জন্য বড় পাওয়া।

শুভকামনা আর পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

আখেনাটেন বলেছেন: ধ্রুব'র সাথে স্বাতীর সম্পর্কটা কেন টিকল না তার একটু ব্যাখ্যা থাকলে ভালো হত। যাহোক, আপনার ট্রেডমার্ক মুগ্ধ জাগানিয়া লেখার ধারাবর্ণনা নিয়ে বলার কিছু নেই। শুধু 'ওয়াও' ছাড়া।

লিখতে থাকুন এমন করে আর আমাদেরকেও টিপস দিন কীভাবে সম্ভব এমনতর লেখা... :D

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

শিখা রহমান বলেছেন: আখেনাটেন গল্পটা নিয়ে আপনি বেশ চিন্তা করেছেন দেখে ভালো লাগলো। সবাই কিন্তু এমন সাদামাটা গল্প, কোন ট্যুইষ্ট বা ঘটনার ঘনঘটা নেই, তেমনটা পছন্দ করে না।

"ধ্রুব'র সাথে স্বাতীর সম্পর্কটা কেন টিকল না তার একটু ব্যাখ্যা থাকলে ভালো হত।" --- দিতেই পারতাম। তবে কেন যেন মনে হলো ব্যাপারটা ততোটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। স্বাতী আজ যে বাঁকে দাঁড়িয়ে আছে তাতে সামনে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। তবে শুধু একটা বাক্যে ইঙ্গিত দেয়া আছে যে ধ্রুব মণিকাকে ভালোবাসে এখন, যে স্বাতীর মতো এমন সাধারণ মেয়ে নয়, যাকে ধ্রুবর জয় করে নিতে হয়েছে।

"যাহোক, আপনার ট্রেডমার্ক মুগ্ধ জাগানিয়া লেখার ধারাবর্ণনা নিয়ে বলার কিছু নেই। শুধু 'ওয়াও' ছাড়া।" --- ফারাওয়ের কাছে থেকে এমন মন্তব্য পড়ে আমারও 'ওয়াও' বলা ছাড়া কোন উপায় নেই। আপনি আমার ধারাবর্ণনার প্রশংসা করেছেন এতে আমি অভিভূত।

"লিখতে থাকুন এমন করে আর আমাদেরকেও টিপস দিন কীভাবে সম্ভব এমনতর লেখা... :D " --- লিখে তো যাইই আর আপনাদের পোস্ট দিয়ে জ্বালাতন করি। কিন্তু আমি দেবো টিপস, তাও আবার ব্লগের রম্যলেখার ফারাও কে B:-) টিপস চেয়েছেন এতেই আপ্লুত। তবে তেঁতুলের আচার খাওয়ালে আবার বিবেচনা করে দেখতেও পারি।

ভালো থাকুন আখেনাটেন। পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা!!

২১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩

সনেট কবি বলেছেন: আস্ত একটা পোষ্টে মন্তব্য লিখে দিলাম। সময় করে দেখে নিবেন।

ব্লগার শিখা রহমান

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২০

শিখা রহমান বলেছেন: সনেট কবি বাপরে!! করেছেন কি? আমাকে নিয়ে জীবনে কেউ দু'লাইন কবিতা লিখলো না আর আপনি একটা আস্ত সনেট লিখে ফেলেছেন। 8-|

অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি অভিভূত। এক্ষুনি পড়ে নিচ্ছি।

শুভকামনা ও পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

২২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

জাহিদ অনিক বলেছেন:

ধ্রুবতারা তুমিই বুকে ধরো, তুমিই পথের দিশারী।
তুমি আছো বলেই- আমি আজও অথৈ জলে রাত্রির বুকে দারুণ শিকারী।


স্বাতী এবং ধ্রুব, দুইটি নাম নিয়ে আপনার এই খেলা আমার ভালো লেগেছে। যে গল্পে পাঠকের জন্য কিছু ভাবনার থাকে না,সে গল্প আমার ভালো লাগে না। এই গল্পে আছে, ইনফ্যাক্ট আপনার প্রতিটি গল্পেই থাকে। মনোযোগী পাঠক মাত্রই ভেবে নিবেন এটা কেবল নিছক চিরায়ত প্রেমের গল্প নয়। স্বাতী এবং ধ্রুব, ধ্রুব এবং স্বাতী- এরা এক ও অবিচ্ছেদ্য।

শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা শিখা আপু

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

শিখা রহমান বলেছেন: জাহিদ কবিরা যখন মন্তব্য করেন তখন লেখকের মুগ্ধ হওয়া ছাড়া আর কি বা করার থাকে?

"ধ্রুবতারা তুমিই বুকে ধরো, তুমিই পথের দিশারী।
তুমি আছো বলেই- আমি আজও অথৈ জলে রাত্রির বুকে দারুণ শিকারী। "
--- একরাশ মুগ্ধতা!! আমার সামান্য গল্প পড়ে কেউ এমন আসাধারণ শব্দমালা উপহার দিতে পারে ভাবতেই রোমাঞ্চ হয়।

" যে গল্পে পাঠকের জন্য কিছু ভাবনার থাকে না,সে গল্প আমার ভালো লাগে না।" --- আমারও। আসলে পাঠক হিসেবে আমরা যেমন লেখকু হিসেবে তেমনই।

"মনোযোগী পাঠক মাত্রই ভেবে নিবেন এটা কেবল নিছক চিরায়ত প্রেমের গল্প নয়। স্বাতী এবং ধ্রুব, ধ্রুব এবং স্বাতী- এরা এক ও অবিচ্ছেদ্য।" --- বোঝাই যাচ্ছে যে কবি খুব মনোযোগী পাঠক। তুমি যে আমার গল্প ভালোবাসো, সেই ব্যাপারটাই আমাকে অভিভূত করে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় কবি। ভালো থেকো কবিতায়, ভালোবাসয়!!

২৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ওয়াও...

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৯

শিখা রহমান বলেছেন: কি করি আজ ভেবে না পাই আমার ব্লগে স্বাগতম!! :)

আপনি যে ছন্দমিল ছাড়া, কবিতা ছাড়া মন্তব্য করতে পারেন সেটাই জানতাম না। ধরে নিচ্ছি 'ওয়াও...' টা ভালো লাগার জন্যেই। :)

আশা করছি মাঝে মাঝে লেখায় আপনাকে পাবো।
শুভকামনা। আর দেখা তো হবেই ব্লগের পথে, এখানে ওখানে, গল্পে, কবিতায়!!

২৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সবার জীভনেই কি এমন লুকানো দীর্ঘশ্বাসের ছড়াছড়ি!

তাইতো বুঝি
যা চেয়েছি কেন তা পাইনা
যা পেয়েছি কেন তা চাইনা - গান সবার প্রিয় হয় ;)

স্বাতীর শুন্যতার রূপকল্প ভাল লেগেছে। বর্ণনায় উপমাগুলো যেন জীবন করেছে বর্ণনাকে।
স্বাতীরা কি সবসময় এভাবেই হেরে যায়?

++++

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪২

শিখা রহমান বলেছেন: বিদ্রোহী লেখায় আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। সবার জীবনেই কিছু কিছু গোপন দীর্ঘশ্বাসতো আছেই। তবে একেক জনের গোপন দুঃখের কারণ গুলো হয়তো একেক।

"স্বাতীর শুন্যতার রূপকল্প ভাল লেগেছে। বর্ণনায় উপমাগুলো যেন জীবন করেছে বর্ণনাকে।" --- অনেক ধন্যবাদ। কবিরা যখন বলেন উপমা ভালো লেগেছে তখন আসলেই আনন্দে মন ভরে যায়।

"স্বাতীরা কি সবসময় এভাবেই হেরে যায়?" --- স্বাতী যে হেরেছেই তা কিন্তু নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না। হয়তো সামনের দিনগুলোতে তার জন্য আশ্চর্য সুন্দর কিছু অপেক্ষায় আছে।

শুভকামনা ও প্লাসের জন্য ধন্যবাদ। পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা বিদ্রোহী কবি।

২৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩০

উম্মে সায়মা বলেছেন: সত্যিকারের ধ্রুবতারা হয়তো অবস্থান বদলায় না। কিন্তু যে মানুষকে একসময় ধ্রুব ভাবা হয় সেও একসময় দেখা যায় মন বদলায়, অনেকক্ষেত্রেই৷
বাস্তব জীবনের গল্প কী সুন্দর করে লিখেছেন শিখা আপু। আপনার সবগুলো গল্প একদম মন ছুঁয়ে যায়।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

শিখা রহমান বলেছেন: সায়মা মনি লেখায় তোমার মন্তব্য পেয়ে মন ভালো হয়ে গেলো। আজকাল ব্যস্ততার জন্য জানি যে ব্লগে কম আসছো।

"সত্যিকারের ধ্রুবতারা হয়তো অবস্থান বদলায় না। কিন্তু যে মানুষকে একসময় ধ্রুব ভাবা হয় সেও একসময় দেখা যায় মন বদলায়, অনেকক্ষেত্রেই৷" --- এমন সুন্দর করে গল্পটার সার কথা শুধু তোমার পক্ষেই বলা সম্ভব।

কারো কারো সাথে ইথারে অদৃশ্য তরঙ্গের কম্পনাঙ্ক মিলে যায় জানো তো? তোমার সাথে তেমনটাই। আমার গল্পেরা তোমাকে ছুঁয়ে থাকে, আর তোমার কবিতারা আমায়।

শুভকামনা আর এত্তো ভালোবাসা মিষ্টি কবি। ভালো থেকো ভালোবাসায়, কবিতায়!!

২৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১০

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: আপনার গল্প বরবারই ভাল হয় । লেখার স্টাইল ভাল লাগে ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

শিখা রহমান বলেছেন: ইমন আপনি সবসময় পাশে থেকে মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করেন সে জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

আপনার মন্তব্যটা মন ছুঁয়ে গেলো। আমি সৌভাগ্যবান যে আপনার মতো পাঠক পেয়েছি, যে আমার লেখাকে এমন ভালোবাসে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা। ভালো থাকুন সবসময়।

২৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর শব্ধ বিন্যাসে গল্পটির সেটিং চমৎকার হয়েছে। আপনার গল্প পাঠে পাঠক মুগ্ধ না হয়ে পারেনা।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০১

শিখা রহমান বলেছেন: সুজন "সুন্দর শব্ধ বিন্যাসে গল্পটির সেটিং চমৎকার হয়েছে।" -- সুন্দর মন্তব্যে আপ্লুত হলাম।

"আপনার গল্প পাঠে পাঠক মুগ্ধ না হয়ে পারেনা।" -- আপনি মুগ্ধ হয়েছেন সেটাই বড় পাওয়া।

শুভকামনা ও ভালোবাসা। পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সবসময়।

২৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: স্বাতীর মনের শূন্যতা, না পাওয়া, মন ভাঙার গল্পটা অল্প বলার মধ্যেও কিন্তু জ্বলজ্বল করে ফুটে উঠলো ধ্রুবতারাহীন রাতেও । প্রায় রাতেই স্বাতী ছাদে ওঠে। দোতলা ভাঙ্গা চোরা পুরোনো ছাদ থেকে রাতের শহরের কিছুই দেখা যায় না...শুধুই ক্লান্ত অন্ধকার!! .. একটু দূরেই সুতা সাপের মতো হলদে নোংরা দেয়াল -র মতো কথাশৈল্পিক বর্ণনা গুলো সারা লেখাতেই মুক্তোর মতো জ্বলজ্বল করছে । গল্প ভালো লাগলো খুব পেছনে ফেলে আসা পুরোনো দিনের স্মৃতির মতো ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৬

শিখা রহমান বলেছেন: মলাসইলমুইনা আপনি বড্ড সুন্দর করে বলেন। "স্বাতীর মনের শূন্যতা, না পাওয়া, মন ভাঙার গল্পটা অল্প বলার মধ্যেও কিন্তু জ্বলজ্বল করে ফুটে উঠলো ধ্রুবতারাহীন রাতেও ।" -- কি দুর্দান্ত!! মন্তব্যে বরাবরের মতোই একরাশ মুগ্ধতা।

"গল্প ভালো লাগলো খুব পেছনে ফেলে আসা পুরোনো দিনের স্মৃতির মতো ।" --- কি ভাবে বুঝলেন বলুনতো? আমি যখন গল্পটা লিখেছি আমার মাথায় সারাক্ষণ সেই ভাঙ্গাচোরা দোতলা বাড়িটা, কোন পুরানো এ্যালবামের ঘষামাজা পুরোনো হলদেটে ছবি ঘুরছিলো।

ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার। দেখা হবে কোন এক গল্পে বা কবিতায় আবারো।

২৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪০

কালো_পালকের_কলম বলেছেন: দারুণ লাগলো...

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

শিখা রহমান বলেছেন: কালো_পালকের_কলম আপনার নিকটা সুন্দর!! আমার লেখায় স্বাগতম। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।

আশা করি মাঝে মাঝে লেখায় আপনাকে পাবো। শুভকামনা নিরন্তর!!

৩০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাজীব লতিফ আর স্বাতী কিন্তু বেশ কমন নাম। এই নামে আমার পরিচিত মানুষ আছে। আপনারও নিশ্চয়ই আছে। :)
"সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রীর নাম কিন্তু স্বাতী।" --- কবিপত্নীদের নামগুলো বেশ সুন্দর হয়।
গল্পটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনি মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকেন সেজন্যে অন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার। শুভকামনা।


ধন্যবাদ বোন।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৯

শিখা রহমান বলেছেন: রাজীব আপনি যে মাঝে মাঝে এসে আবারো প্রতি মন্তব্যের উত্তর দিয়ে যান, যে ব্যাপারটা খুব ভালো লাগে।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৩১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

সুমন কর বলেছেন: গল্প থেকে শব্দ বিন্যাসই প্রাধান্য পেয়েছে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১২

শিখা রহমান বলেছেন: সুমন কর একদম ঠিক বলেছেন। গল্পেতো তেমন টানাপোড়েন বা ঘটনার ঘনঘটা নেই। খুব সাদামাটা নিত্যদিনের গল্প শব্দের ওপরেই ভর করে দাঁড়িয়ে আছে।

পড়ার জন্য ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা সতত!!

৩২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: শিখা রহমান, অভিনন্দন!! দারুণ একখানি গল্প লিখেছেন। আমি মুগ্ধ,অভিভূত।বহতা নদীর মতো ছন্দে ছন্দে ছুটে চলা শব্দের সুনিপুণ গাঁথুনি, দারুণ চিত্রকল্পের ব্যবহার গল্পকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। জীবন ঘনিষ্ঠ প্লটে আধুনিক সমাজের চিত্রায়ন বেশ ভালো লেগেছে। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে স্বাতীদেরকেই আজন্ম নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে লতিফের মতো ক্লাসিক ডাক্তার পাত্রের সাথে সমঝোতা করে নিতে হয়। আর এটাই বাস্তবতা। লেখায় অনেক অনেক ++++++++। ভালো থাকুন এবং আরও সুন্দর সুন্দর গল্প লিখতে থাকুন। গরীবের ব্লগে একবার ঘুরে যাবার আমন্ত্রন রইলো।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৪

শিখা রহমান বলেছেন: এস এম ইসমাঈল আপনার মন্তব্যে অভিভূত হলাম। খুব সুন্দর কাব্যিক মন্তব্যে একরাশ মুগ্ধতা।

প্লাসের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন। আপনার ব্লগে অবশ্যই একসময় ঘুরে আসবো। :)

ভালো থাকুন আপনিও। দেখা হবে গল্পে-কবিতায়, ব্লগের পঠে। শুভকামনা নিরন্তর!!

৩৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০১

তারেক ফাহিম বলেছেন: চাওয়া পাওয়া পূর্ণতা না পাওয়ার নামইতো জীবন। না পাওয়ার পূর্ণ ব্যাখ্যা অবগত না হলে যেমন কষ্ট বেড়ে যায়, তেমনি স্বাতীর না পাওয়ার পুরোপুরি ব্যাখ্যা হয়ত বুঝতে পারিনি।


লিখার শব্দচয়ন ও দৃশ্যকল্প অনেক অনেক ভালোলাগছে।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩

শিখা রহমান বলেছেন: তারেক ফাহিম আপনি সময় করে পড়ে মন্তব্য করেছেন সেজন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। স্বাতীর না পাওয়ার ব্যাখ্যা তো গল্পে বলিনি। ধ্রুবর সাথে স্বাতীর সম্পর্কটা কেন ভেঙ্গে গেলো সেটা পাঠকের কল্পনার ওপরে ছেড়ে দিলাম। আমিতো না পাওয়া নিয়েও এগিয়ে যাওয়ার গল্প বলতে চেয়েছি।

সুন্দর ও সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শব্দচয়ন ও দৃশ্যকল্প ভালো লেগেছে শুনে অনুপ্রাণিত হলাম।

পাশে থাকার জন্য শুভকামনা নিরন্তর!!

৩৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪

রাতু০১ বলেছেন: আমি কবিতা লিখবো তাই শূন্যতার নাম আকাশ। অনেক ভালবাসা , শুভকামনা।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

শিখা রহমান বলেছেন: রাতু০১ অনেকদিন পরে লেখায় আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। আশাকরি ভালো আছেন।

সুন্দর মন্তব্যটার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা। ভালো থাকুন ভালোবাসায়।

৩৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

এনসিয়েন্ট মেরিনার বলেছেন: লিখার শব্দচয়ন ও দৃশ্যকল্প অনেক অনেক ভালোলাগছে।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

শিখা রহমান বলেছেন: এনসিয়েন্ট মেরিনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।

আশাকরি মাঝে মাঝে লেখায় আপনাকে পাবো। শুভকামনা নিরন্তর।

ভালো থাকুন সবসময় প্রাচীন নাবিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.