![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক সময় বিশ্বে প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র ছিল ইউরোপ পরে তা যুক্তরাষ্ট্রতে পরিবর্তন হয় আর এখন এই প্রবৃদ্ধি এশিয়াতে মোটামুটি তা দক্ষিন এশিয়ার দিক ধাবিত হচ্ছে অর্থ্যাৎ বর্তমানে চীনে যে প্রবৃদ্ধি তার মত প্রবৃদ্ধি ভারতে এবং বাংলাদেশে হওয়ার সম্ভাবনা ব্যাপক কারন এই অঞ্চলে মানব ও প্রাকৃতিক সম্পদ পশ্চিমা দেশগুলোর থেকে বেশি। আর এই অঞ্চলে চীন পরাশক্তি আর ভারত হওয়ার দাবিদার। ভুরাজনৈতিক দিকথেকে এই অঞ্চলের তথা বাংলাদেশের গুরুত্বও অনেক খানি যা আমরা জন কেরির সফর, চীনের প্রেসিডেন্ট এর আসার খবর মোদীর সফর, জি-৮ সম্মেলনে শেখ হাসিনার অংশগ্রহন ইত্যাদির মাধ্যমে বুঝতে পারি। মোটামুটি বাংলাদেশ নিয়ে একরকম শীতল যুদ্ধ চলছে।
যুক্তরাষ্ট্র এখানে স্থায়ীভাবে তার প্রভাব বিস্তার করতে চায়। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি মাত্র ৯ ঘণ্টার ঝটিকা সফর করে গেল বাংলাদেশে। জন কেরির বাংলাদেশে আসার মূল কারণগুলোর মধ্যে একটি কারণ ছিল, আগামী ১০ অক্টোবর-২০১৬ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঢাকায় আসছে। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী সরকারের সাথে চীনের সম্পর্ক দৃঢ় হতে চলেছে। আর সেই সম্পর্ক যাতে বেশি শক্তিশালী না হয় এবং চীন যাতে বাংলাদেশের উপর তাদের পূর্ণ প্রভাব বিস্তার না করতে পারে। তাই জন কেরির ঢাকা সফর ছিল
চীন আক্রমণের জন্য বা চীনকে প্রভাব দেখানোর জন্য বাংলাদেশ হলো যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তেমনি চীনের কাছেও বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ আত্মরক্ষার জন্য, ভারত মহাসাগরে ও ভারতের উপর প্রভাব বিস্তার করার জন্য।
আর ভারতের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব অপরিসীম। এমনিতেই চীন পাকিস্থান একবলয় আর বাংলাদেশ যদি তাতে যোগ দেয় তাহলে ভারতের জন্য বিশাল হুমকি
বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে চীনের প্রভাব নিয়ে অনেকটা দুশ্চিন্তায় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে ২০১১ সালে জাপান, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একযোগে চীনা বিরোধী ত্রিদেশীয় জোট গঠন করে। এই জোট এখনো সক্রিয় রয়েছে। সে কারণে চীনের বিষয়ে ভারতের মনোভাব নিয়ে আপাতত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। কেননা চীনের সাথে ভারতের চাপা লড়াই বহুদিনের। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে চীনের প্রভাব ধীরে ধীরে বাড়ছে। এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে একাধিক প্রকল্পে সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ করে আসছে চীন। ভূ-রাজনৈতিক কৌশলগত কারণে এই অঞ্চলে প্রভাব বাড়িয়ে চলেছে চীন। এখানে চীনের প্রভাবকে ভালোভাবে নিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। ওমাবা প্রশাসনের শেষ সময়ে এসে চীন প্রশ্নে বাংলাদেশের মনোভাবও যাচাই করতেই হয়ত তার সফর ছিল আবার গতকাল মার্কিন ও বংলাদেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকে হয়ত চীনের বিষয়ে সাবধান বার্তা প্রদান করতে চাইছে। এছাড়া চীনকে দমাতে ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র যাতে পরস্পরের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে রসদ ভরার ও মেরামতির জন্য প্রবেশাধিকার পায়, তা নিশ্চিত করতে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির ফলে দুই দেশের সামরিক বাহিনী একে অন্যের নৌ, বিমান বা সেনা-শিবিরগুলোতে গিয়ে নতুন শক্তিতে বলীয়ান হতে পারবে। সামরিক পরিভাষায় একে বলে ‘রিপ্লেনিশমেন্ট’। সমর বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক পরাক্রমের মোকাবিলা করার জন্যই ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র এই নজিরবিহীন প্রতিরক্ষা সহযোগিতার পথ বেছে নিয়েছে। এর ফলে রাশিয়াও বিরল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করল পাকিস্থানের সাথে মহড়া চালিয়ে।
জন কেরি মাত্র ৯ ঘণ্টার মধ্যে কয়েকবার দেশে আইএসের কথা বলেছে। আর আমরা জানি যে, আইএস হলো যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। বর্তমানে যেসব দেশ আমেরিকার স্বার্থরক্ষা করে চলে না সেই দেশের উপর এই আইএস দিয়ে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। আর সেই আইএস দমনের অজুহাতে সেই দেশে আক্রমণের বৈধতা করে নিয়ে সেই দেশে ব্যাপক প্রাণহানি, সম্পদহানি করে সেই দেশের অর্থনীতিকে পিষে ধ্বংস করে ফেলে তারা। সিরিয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাস বিস্তারের নতুন ক্ষেত্র হতে যাচ্ছে তুরস্ক। এতোদিন তুরস্ক মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটোর সদস্য হিসেবে তাদের সহায়ক বন্ধু ছিল। তুরস্কে এরদোয়ান সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থ সামরিক ক্যু’র পরে তুরস্কের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ক্রমাগত খারাপ হতে চলেছে। ১৯৭৪ সালে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার সে জন কেরির মতো বাংলাদেশ সফর করেছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে সে দেশে ফেরার পর বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে অপমান করেছিলো। কিন্তু কি কারণে এবারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের পথ অবলম্বন না করে উল্টো বাংলাদেশের তোষামোদে ব্যস্ত আছে? তাই বাংলাদেশকে খুব হিসাব কষেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। হিসাবে চুল পরিমাণ ভুলের জন্য কিন্তু বিশাল অঙ্কের মাসুল দেয়া লাগতে পারে বাংলাদেশকে তথা বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় মুসলিম জনতাকে। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীন এই ত্রিভুজীয় আগ্রাসী শক্তিই চাচ্ছে যার যার প্রভাব বাংলাদেশের মতো শান্তিপ্রিয় দেশের উপর প্রভাব বিস্তার করা যার কারণে তারা নিজেদের মতো করে বাংলাদেশকে সাজানোর পরিকল্পনা করছে।
ভারত ও চীনকে বাগে আনতে বঙ্গোপসাগরে একটা স্থায়ী মার্কিন নৌঘাঁটি গড়ে তোলার স্বপ্ন তাদের দীর্ঘদিনের। যেকোনো ধরনের টোপ বা কৌশলের বিনিময়ে ওরা এগুলো বাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালাতে পারে। তাই মার্কিন সম্পর্কে অতিরিক্ত উৎসাহ বুমেরাং ফল দিতে পারে, এটা আমাদের যেন ঠিক সময়ে মনে থাকে। উল্লেখ্য, আগামী ১০ অক্টোবর-২০১৬ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং বাংলাদেশে আসছে। এ সময় বাংলাদেশের সাথে তার ৬.০৭ বিলিয়ন ডলারের ৬টি মেগা প্রজেক্ট নিয়ে চুক্তি সাক্ষর হবে। এই প্রজেক্টগুলো হলো- (১+২) সমুদ্র উপকূলে রাস্তা নির্মাণ এবং উপকূল নিরাপত্তা কাঠামো তৈরি (সীতাকু- থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার)। খরচ ২৮৫৬ মিলিয়ন ডলার। (৩) আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত রেলপথ উন্নয়ন। খরচ ১৭৫৬ মিলিয়ন ডলার। (৪) পিডিবি’র (বিদ্যুৎ) সাথে চুক্তি ৫২১ মিলিয়ন ডলার। (৫) মংলা বন্দর বর্ধিতকরণ ও আধুনিকায়ন। খরচ ২৪৯ মিলিয়ন ডলার। (৬) বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা উত্তোলন বৃদ্ধি করতে কার্যক্রম। খরচ ২৪৯ মিলিয়ন ডলার। সম্ভবতঃ আওয়ামী সরকারের সাথে চীনের সম্পর্ক দৃঢ় হচ্ছে, এই আশঙ্কা থেকেই আমেরিকার ‘আইএস’ নিয়ে হুমকি। তবে সরকারের বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে, বঙ্গোপসাগরের কারণে ভারত মহাসাগরের পানিসীমায় হওয়ায় বাংলাদেশ নিরাপত্তার কৌশলগত দিক দিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। আর বঙ্গোপাসাগরের কারণে ভারত মহাসাগরে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অধিকার রয়েছে। এ অবস্থানের কারণে ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তা নির্ভর করবে আমরা এর সুযোগ কতোটা নিতে পারবো কোনো বলয়ে থাকব নাকি থাকবনা তার উপরে।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫
জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন:
ভীনদেশীরা নিজেদের সুবিধা খুঁজবে, কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
আপনাকেও ধন্যবাদ এমন মন্তব্য করার জন্য
২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:০২
নির্ঝরের_স্বপ্ন বলেছেন: ভারতের প্রভাবাধীন থাকায় বাংলাদেশ এমনিতেই মার্কিন সার্কেলে পড়ে আছে। বাংলাদেশে চীনের স্বার্থ কেবল বাণিজ্যিক - ভারতকে টপকে বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তার করা চীনের পক্ষে সম্ভব হবেনা।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২০
জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন:
সঠিক। তবে বাংলাদেশ চীনের বিপক্ষেও যাবেনা কারন ভারতের প্রভাব খর্ব করার মত দেশ একমাত্র চীন। আর বর্তমান সরকার মার্কিন বিরোধী কারন মুজিব হত্যায় আমেরিকা জরিত
৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫
বাবাজান বলেছেন: লিখেছেন ভালো. তবে আপনার পরিচয় জেনে বেশী ভালো লাগলোনা. কারন আপনি সত্য সন্ধানি, এখনো সত্য পাননি তাই....!!
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩
জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন:
আমি মনেকরি যে, আমি সত্যয় প্রতিষ্ঠীত কিন্তু সত্য সন্ধান করা সবার ইমানী দায়িত্ব করন সত্যর শেষ নেই।
আমার জন্য দোয়া করবেন..........
৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৫৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল এনালাইসিস করেছেন । যে কোন মূল্যেই হোক আমাদের ভালটা আমাদেরই দেখতে হবে । অন্যের স্বার্থের কাছে নীজের স্বার্থ বিকিয়ে দিলে পরে পস্তাতে হবে দারুনভাবে । তুরস্ক কিছুটা টের পাওয়া শুরু করছে ।
৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০৫
জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন:
একদম সঠিক কথা বলেছেন ভাই আমাদের এখন নিজেদের সামর্থ্য বৃদ্ধি পাইছে আমাদের নিজেদের নিয়ে ভাবতে হবে। ভারত পাকিস্থান চীন কেউ আমাদের নিস্বার্থ ভালবাসা দেয়নি দেবেনা।
অনেক ধন্যবাদ আলী ভাই
৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভারত এখন শক্তি; বাংলাদেশ আপাতত কেহ নয়, ছোট ভিক্ষুক। মানুষ ভিক্ষা চাহে না, সরকার ভিক্ষার জন্য পাগল। ভিক্ষা করে সমাজে উঠা যায় না।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪
জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন:
স
ঠি
ক
ধন্যবাদ চাদগাঁজী
৭| ১৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭
বিজন রয় বলেছেন: ব্লগে ফিরে আসুন, নতুন পোস্ট দিন।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬
জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন: ব্লগ এক বিশার জ্ঞানের ভান্ডার..... ফিরে আসতেই হবে....
৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশের গুরুত্ব হলো, জাতি সংঘে আমেরিকাকে সাপোর্ট করা, ও এই দেশের ধনীরা টাকা নিয়ে গেলে, সেগুলোকে মানি লন্ডারিং'এ না ফেলা।
৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২৭
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: অামার একটি পোষ্ট
১০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২৮
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: প্রিয়তে রেখেদিলাম। পরে পড়ে নিবো। ইনশাল্লাহ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আপনার বিশ্লেষণ খুব ভাল হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে সকলের সাথে সম্প্রীতি কারো সাথে বিদ্বেষ নয় এই কথাটি বলা হয়। সংবিধানের ১৪৫ (ক) ধারায় বৈদেশিক চুক্তি করার ক্ষেত্রে এই বিষয়ে স্পষ্ট বলা আছে। আমাদের উচিত হবে সংবিধানকে সমুন্নত রাখা। ভীনদেশীরা নিজেদের সুবিধা খুঁজবে, কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
অনেক সচেতনতামূলক সময় উপযোগী লেখা। ধন্যবাদ!