নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিশ্রমকে সঙ্গী করে কত মানুষ উর্ধ্বে গেলো, আকাশের ঐ তারার দলে/ চিরদিনই অলস আমি, আছি পড়ে অনন্তকাল এই ধরনীর গাছের তলে।
সম্ভবত আগামি কাল থেকে রোজা শুরু হবে। তা নিয়ে ব্যাপক একটা উৎসাহ ও তোড়জোড় চলছে সর্বত্র। মুসলিম প্রধান দেশ বলে এই রোজা নিঃসন্দেহে রাষ্ট্রীয় জীবনে নানাভাবে প্রভাব ফেলবে। একজন অমুসলিম হিসেবে আমি বরাবরই এই রীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেছি এবং থাকছি। কিন্তু শৈশব আর কৈশোরের সময়গুলোর কথা খুব মনে পড়ে। সে সময় আর এ সময়, কত বিচিত্র! মাত্র ১০/১২টি বছরে এতটা বদলে যাওয়াটাকে ইতিবাচক মনে হয় না আমার। ছোটবেলায় মুরব্বিদের কাছে শুনতাম, 'রমযান মাস সংযমের মাস, এ মাসে কেবল না খেয়ে থাকাটাই রোজা না, সংযত রাখতে হয় সকল ইন্দ্রিয়।' কথাগুলো ভালো লাগত এবং পারতপক্ষে বন্ধুরা ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হতাম না। রাস্তাঘাটে, দোকানে, বাসে দেখতাম অনেকেই যতটা সম্ভব কথা কাটাকাটি এড়িয়ে মিটমাট করে নিত। আমি অমুসলিম হওয়া সত্ত্বেও স্কুলে টিফিন নিতাম না এবং বাইরে কিছু খেতাম না। বাসায় দেখতাম বাবা মা টেলিভিশনের সাউন্ড কমিয়ে রাখত। প্রতিবেশিরা মাঝেমধ্যে ইফতারি দিত এমনকি কোন কোন বন্ধুর বাসায় ইফতারির দাওয়াত তো পেতাম। বাবা বোনাস পেতেন, আমি জামা প্যান্টও কিনতাম। সেগুলো খুব বেশি দিন আগের কথা না। তথ্য প্রযুক্তিতে দেশ উন্নত হতে শুরু করল। মানুষের হাতে হাতে ইন্টারনেট। জ্ঞান বৈশ্বিক মাত্রায় গিয়ে সবকিছুকে গুলিয়ে দিল। বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে দেখলাম রোজার মাসে প্রাকাশ্যে খাওয়া কিছু মানুষের কাছে ফ্যাশনের মতো (দুঃখজনক হলো তাদের অনেকেই মুসলিম), এমনকি কিছু শিক্ষককেও দেখেছি সিগেরেট ফুকতে ফুকতে ডিপার্টমেন্টে আসছে। একটি দলের কাছে জানলাম মাহে রমযানের গূঢ়ার্থ। তারা বেশ আয়েশ করে খেতে খেতে রোজার গভীরতম অর্থ বোঝালো। বুঝলাম এবং অবাক হলাম। আরেকটি দল কঠোরভাবে কেবল না খেয়ে থাকাকেই রোজা দাবি করে অসংযত বক্তব্য দিল। অবশ্য এ নিয়ে তর্ক বা আলোচনা আমার এখতিয়ারভুক্ত নয় বিবেচনা করে কোন দলেই মিশে যাইনি। ছোটবেলা থেকে লালিত শ্রদ্ধাবোধটুকু বাঁচয়ে রেখেছি। খারাপ লাগে এই ভেবে এখন রোজা হলেও রাস্তাঘাটে, দোকানে, বাসে গ্যাঞ্জাম কমে না। বখশিশের নামে চলে চাঁদাবাজি। অমসুলিম হয়েও রোজার প্রতি শ্রদ্ধাশীলতার সম্মান দেখি না। পূর্বে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম লেখা ছিল সংবিধানে তাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি খুব কম ছিল মনে হয়নি (আমার ব্যক্তিজীবনে ঢাকায় নিম্ন মধ্যবিত্ত সমাজ জীবন) কিন্তু এখন অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ঘোষণা করতে গিয়ে সরকার আমাদের অস্তিস্ত্বকে বিপন্ন করেছে। যা হোক সেটা আমার ব্যক্তিগত ধারণা মাত্র। তবে আমি এই পবিত্র মাহে রমযানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। হযরত মোহাম্মদ (সা.) বলেছিলেন অন্য ধর্মের মানুষের সঙ্গেও ভালো আচরণ করা উচিত। আর সম্মান পেতে হলে আগে অন্যকে সম্মান করতে হয়। সেহেতু সকল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সবার প্রতি সংযত ও বিনয়ী হোক সেই কামনা রইল। (উল্লেখ্য, নাস্তিক্যবাদের অনুসারিত মানুষের সংখ্যা বর্তমানে ১০০ কোটি ছাড়িয়েছে এবং এটি মোটামুটি তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সুতরাং এই মতবাদ বিশ্বাসী হলেই তাকে অশ্রদ্ধা করা ঠিক না।)
সবাই ভালো থাকবেন।
০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৬
সুব্রত দত্ত বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০৬ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১
শেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুন্দর কথার জন্য
০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৭
সুব্রত দত্ত বলেছেন: ধন্যবাদ।
০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৭
সুব্রত দত্ত বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৩| ০৬ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯
আহলান বলেছেন: এখন পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ অনেক কমে গেছে .... সত্যিই কমে গেছে ..... !
০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪০
সুব্রত দত্ত বলেছেন: তার প্রমাণ এই পোস্টের মন্তব্যেই পাওয়া যাবে। বিষয়টা দুঃখজনক। যা হোক আল্লাহ বলি আর ঈশ্বরই বলি, তিনি একজনাই। তিনি তার বান্দাদের চেনেন। সুতরাং প্রকৃত বান্দারা অবশ্যই জয়ী হবে। শুধু তাদের পরীক্ষাটা কঠিন।
৪| ০৬ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩
আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: আপনার কথা গুলা খুব ভালো লাগল দাদা!
এবং আপনি ঠিকি বলেছেন, এখন এমন কিছু মুসলিম নামধারী মানুষ আছে যারা ইসলামের ক্ষতি করছে এসব করে!
ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।। +++
০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪২
সুব্রত দত্ত বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৫| ০৬ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬
পাউডার বলেছেন: প্রকাশ্যে খাওয়া দেখলে কি রোজা হালকা হয়া যায়? নাকি রোজা ভাইংগা যায়?
হিন্দু নিক সাইজা বাটপারি করছ মাদারচোদ। জামাতের ছাগ্লা গুলা মানুশ হৈল না।
০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫৩
সুব্রত দত্ত বলেছেন: জনাব, আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। জানেন তো কথায় আছে 'যে যেমন সে সবাইকে তেমনই ভাবে।' এই ধরনের আপনার নাম তো আর পাউডার না নিশ্চয়। তেমনি আপনার মনে হয় আমার নামটাও ফেইক। সেটা মনে হওয়াটা স্বাভাবিক। আর প্রকাশ্যে খেলে রোজা হাল্কা হল নাকি ভেঙে গেল সে নিয়ে আমি কিছু বলিনি। সেটা আমার এখতিয়ারে পড়ে না। সে নিয়ে বাহাস করবেন মুসলিমরা। আমি শুধু সংস্কৃতি পরিবর্তনের কথাটি বলেছি। আগে প্রকাশ্যে খেত না, এখন খায়। যা-ই হোক, অনধিকার চর্চার জন্য দুঃখিত। আর একটা জিনিস গালি দিলে কষ্ট লাগে। শুধু শুধু অচেনা একজন মানুষকে গালি না দিয়ে, তার ভুলটা যুক্তি দিয়ে বোঝালে কি খুব খারাপ হয়?
৬| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৭
অসভ্য রাইটার বলেছেন: হুম, আমি জীবনে যত হিন্দু দেখসি তারা সবাই ভাল ছিল কিন্তু এই শালা মূসলমানরা কোনো ধর্মেরই না | আপনাকে ধন্যবাদ |
০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৫
সুব্রত দত্ত বলেছেন: এভাবে না ভাবলেও পারেন। কোন ধর্মের মানুষ ভালো, কোন ধর্মের মানুষ খারাপ- বিষয়টা তেমন না। প্রত্যেকর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধটা দরকার।
৭| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৫
দরবেশমুসাফির বলেছেন: যা হোক আল্লাহ বলি আর ঈশ্বরই বলি, তিনি একজনাই। তিনি তার বান্দাদের চেনেন। সুতরাং প্রকৃত বান্দারা অবশ্যই জয়ী হবে। শুধু তাদের পরীক্ষাটা কঠিন।
বাহ, খুব সুন্দর বলেছেন। আপনাকে রমজানের শুভেছ্ছা।
৮| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:১৩
নীলপরি বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন । ++
০৯ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৭
সুব্রত দত্ত বলেছেন: আপনার কথাগুলো সুন্দর লেগেছে জেনে ভালো লাগল। অনেকে তো আবার নেগিটিভলি নেয়। যা হোক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০
আলোর পাখি বলেছেন: ভালো লাগলো। আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন।