নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেশা সাহিত্য, পেশা শিক্ষকতা।

সুব্রত দত্ত

পরিশ্রমকে সঙ্গী করে কত মানুষ উর্ধ্বে গেলো, আকাশের ঐ তারার দলে/ চিরদিনই অলস আমি, আছি পড়ে অনন্তকাল এই ধরনীর গাছের তলে।

সুব্রত দত্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীবাদী সাহিত্য সমালোচনা

০৯ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩

নারীবাদী সাহিত্য সমালোচনা হলো সাহিত্য সমালোচনার একটি বিশেষ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে সাহিত্যকে পাঠ, পুনঃপাঠ, মূল্যায়নসহ বিশ্লেষণ করা হয় নারীবাদের আলোকে। তাই এ নিয়ে বিস্তারিত জানার আগে নারীবাদ কী? এর উদ্ভব কেন হয়েছিল? এর মূল কথাও বা কী? ইত্যাদি বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত অথচ স্বচ্ছ ধারণা নিয়ে নেয়া প্রয়োজন।
নারীবাদ কী? সে প্রশ্নের শুরুতেই আসে ‘নারী’। মানুষ্যজীবের একটি বিশেষ শ্রেণি হিসেবে তার প্রধান এবং প্রথম পরিচয়। তাই নারীবাদ মানুষকে নিয়েই কাজ করে। সৃষ্টি প্রক্রিয়ায় দেখা যায় একজন পুরুষ এবং একজন নারীর দৈহিক মিলনের ফলে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু মিলে নতুন প্রাণের সৃষ্টি হয়। সেক্ষেত্রে নতুন প্রাণ জন্মদানে পুরুষ ও নারীর এক রকম ভূমিকা না হলেও, সমান ভূমিকা পালন করে। কিন্তু মানব সভ্যতার ইতিহাসে আদ্যাবধি দেখা যায় নানাবিধ কারণে নারীদের অবস্থান নিচে, মর্যাদায় তারা হেয়। আর শিল্প বাণিজ্যের সূচনালগ্নে বিশেষত বুর্জোয়া শ্রেণি ব্যবস্থায় নারী পুরুষের কার্যক্ষেত্র থেকে শুরু করে সকল ধরনের কাজগুলো আলাদা হয়ে যায়। নারীর গৃহে অবস্থান, সংসার পরিচালনা, সন্তান উৎপাদন আর পুরুষের বাহিরে জীবিকা অর্জন, চাষাবাদ, ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা একটি স্বাভাবিক নিয়মে পরিণতি হয় এবং মুনাফা অর্জনের বিবেচনায় তখন নারীর কাজ মূল্যহীন বিবেচিত হয়, নারী অবমূল্যায়িত হয়। এক পর্যায়ে ব্যক্তি বলতে পুরুষকে নির্দেশ করা শুরু হয় এবং সম্পত্তির বিবেচনায় তখন নারীও সম্পত্তির অংশবিশেষে পরিণত হয়। এভাবে ধীরে ধীরে নারী বঞ্চিত হতে থাকে, হতে থাকে নিপীড়িত। আর তাদের এই নিপীড়িত জীবনের বিপরীতে পুরুষের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা পায়। ঠিক এখান থেকে, এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ থেকেই জন্ম হয় নারীবাদের। আর নারীবাদের এই জন্মও আজকের কথা নয়। বহুদিন আগেই এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয় পাশ্চাত্যে, যা এখন ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। তবু তাত্ত্বিক দিক থেকে নারীবাদ একটি শক্তিশালী আন্দোলন বা চ্যালেঞ্জ হলেও সমাজে, বিশ্বে, দেশে-বিদেশে নারীর অবস্থান কতটুকু বদলেছে সে প্রশ্ন এখনো বর্তমান।
নারীবাদ তিনটি তরঙ্গে হয় (বলা চলে তিনটি পর্যায়ে)
১. নারীবাদের প্রথম তরঙ্গ ( ১৭০০খ্রি: - ১৯০০খ্রি)
২. নারীবাদের দ্বিতীয় তরঙ্গ (১৯৬০খ্রি: - ১৯৭০খ্রি)
৩. নারীবাদের তৃতীয় তরঙ্গ (১৯৯০খ্রি: - বর্তমান)
নারীবাদের প্রথম তরঙ্গটি ছিল মূলত নারীর নিপীড়িত হওয়া কথা উচ্চারণ করার কাল। এ সময়েই নারীদের দীর্ঘ সময়ের ব্যথিত জীবনের দুদর্শার প্রথম চিত্রায়ন হয়। Mary Wolstonecraft তাঁর রচনায় লিঙ্গ বৈষম্যের নানা দিকগুলো তুলে ধরেন। যেমনটা তাঁর ১৭৯২ সালে রচিত গ্রন্থ A Vindication of the rights of Woman –এ দেখা যায়। এছাড়া Susan B. Anthony এবং Victoria Woodfull এর মতো বেশ কিছু সচেতন নারী তাঁদের নানারকম কাজকর্ম, লেখালেখির ভেতর দিয়ে নারী আন্দোলনের প্রথম ভিত্তি তৈরি করেন। এ সময় নারীর অধিকার, নারীর স্বাধীনতা নিয়ে অনেক কথা উঠলেও তা ব্যাপক কোনো আন্দোলনের রূপ লাভ করেনি। বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই ভয়াবহ বিশ্বযুদ্ধ এবং তার ফলে জাত তীব্র সঙ্কটগুলোর মধ্যে দেখা যায় নারীর পণ্যসদৃশ্য ব্যবহার চলছে, তাদের মূল্যায়ন তো দূরের কথা দিনে দিনে তারা আরো বেশি অবমূল্যায়িত হচ্ছে। তারই ভেতর দিয়ে আসে নারীবাদের দ্বিতীয় তরঙ্গ। নারীবাদ একটি তাত্ত্বিক ভিত্তি পেয়ে একটি আন্দোলনের রূপ লাভ করে। এসময় বিভিন্ন নারীবাদী সংগঠন সৃষ্টি হয়। নানা ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ে। যেমন দেখা যায় নারীবাদী রাজনৈতিক কর্মী কিংবা National Organization of Woman (1966) -এর মতো সংগঠনকে। এসময় নারীবাদকে একটি বিশেষ অবস্থানে নিয়ে যান যাঁরা তাঁদের মধ্যে Simone de Beauvior, Elaine Showalter প্রমুখ বিখ্যাত হয়ে আছেন। আর নারীবাদের তৃতীয় তরঙ্গটির সূচনাটা হয় বিংশ শতাব্দীর প্রায় শেষ দিকে ১৯৯০খ্রি:-এর দিকে। যার রেশ আজ পর্যন্ত বলবৎ। মূলত উত্তর কাঠামোবাদ ও উত্তর আধুনিকতাবাদের কাছ থেকে এ সময়ের নারীবাদ তাদের চৈতন্যকে হালনাগাদ করেছে। বর্ণবাদ বা অর্থনৈতিক শ্রেণি বৈষম্যবাদের মতো বিষয়গুলোর এক্ষেত্রে নারীবাদের সাথে সংশ্লিষ্ট হয়ে গেছে। এ সময়ের নারীবাদীদের মধ্যে Alice Walker অন্যতম।
নারীবাদের এগিয়ে চলার এই বিভিন্ন তরঙ্গের ভেতর নানা মতভেদের কারণে অনেকগুলো বিভক্তি আসলেও নারীবাদের মূলকথা ঐ একই দিকে। নারী মর্যাদা ও মূল্যায়ন প্রধান দাবি। নারীবাদের বেশ কয়েকটি রকম লক্ষ করা যায়। যেমন-
১. উদারনৈতিক নারীবাদ
২. চরমপন্থী (র‌্যাডিকাল) নারীবাদ
৩. মাক্সবাদী নারীবাদ
৪. সমাজবাদী নারীবাদ
নারীবাদের এই শ্রেণিগুলোর মধ্যে স্পষ্ট কিছু পার্থক্য পাওয়া যায়। যেমন উদারনৈতিক নারীবাদ নারীর পিছিয়ে থাকা বা নিপীড়নের কারণ হিসেবে যে সব দিকগুলো চিহ্নিত করে যথা- নারীর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অভাব, কেবল গৃহে অবস্থান, বর্হিবিশ্বের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতা, অর্থনৈতিক ভাবে পরাধীনতা ইত্যাদি বিষয়গুলোকে এবং এগুলো সমাধানের ভেতর দিয়ে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা সম্ভব বলে মনে করে তাই এ ব্যাপারে নাগরিক অধিকার, আইনী সহায়তা ইত্যাদি তাঁরা রাষ্ট্রের কাছে দাবি করে কিন্তু র‌্যাডিকাল নারীবাদীরা অনেকাংশে পুরুষবিরোধী এবং তাঁদের মতে পরিবার তথা রাষ্ট্র ব্যবস্থাই একটি পুরুষতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যেখানে নারী স্বভাবতই দমিত হয়, নিপীড়িত হয়। তাই তাঁরা পুরুষের সাথে স্বাভাবিক সর্ম্পকচ্ছেদের মতো বিষয়গুলো নিয়েও ভেবেছেন, যার ফলে লিসবিয়ানের মতো বিষয়গুলোর আবির্ভাব হয়। এঁরা সামাজিক পরিবারপ্রথা, সন্তান-উৎপাদনের মতো বিষয়গুলোতে অনীহা দেখায়। অন্যদিকে মাক্সবাদী নারীবাদ সম্পূর্ণ বিষয়টিকে মূল্যায়ন করে ভিন্নভাবে যেখানে অর্থনৈতিক দিকটি, ক্ষমতায়নের দিকটি প্রাধান্য পায়। সমাজবাদী নারীবাদও আবার অনেকাংশে উদারনৈতিক মনোভাব পোষণ করে। বর্তমান সময়ে অবশ্য নারীবাদ বিশেষ কিছু বিষয় নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। নারীবাদীরা এটি শনাক্ত করেছে যে একমাত্র নারীর দেহ এবং যৌনতা ও সন্তান ধারণ ক্ষমতা তার প্রধান অস্ত্র। যে দিকটি দীর্ঘ দিন যাবৎ নারী দুর্বলতা হিসেবে ভাবা হয়েছে সেদিকটিই এখন তার অস্ত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এবং সমকামিতার মতো বিষয়কে তার নিদর্শন হিসেবে দেখাতে অনেক নারীবাদী আগ্রহ বোধ করে। অবশ্য এমন ধরনের আচরণ সমালোচনার উর্দ্ধে যেতে পারে না। সমাজ এবং প্রকৃতি প্রদত্ত ভারসাম্য এতে বিঘিœত হয়। সেক্ষেত্রে অবশ্য ইকো ফেমিনিস্টদের বক্তব্যকে বিবেচনা না আনলে চলে না। প্রকৃতপক্ষে নারী পুরুষের সর্ম্পকের ভেতর একটি সমতা আনাই সকল রকমের সমস্যা দূর করতে পারে। সেক্ষেত্রে নারী পুরুষের যৌথ ভূমিকা রাখতে হবে।

তবে সাহিত্য সমালোচনায় নারীবাদ মূলত একটি দৃষ্টিকোণ/ দৃষ্টিভঙ্গি। সাহিত্যের সহস্রাধিক জীবনকালে নারী কিভাবে উপস্থাপিত হয়ে এসেছে তা দেখার একটা সহজপ্রবণতা এখানে দেখা যায়। Rebecca West এর নারীর সামাজিক অবস্থান নিয়ে ১৯১০ সালের দিকে করা কাজকে নারীবাদী সাহিত্য সমালোচনার উৎস বলা চলে। তবে Virginia Woolf এর ১৯২৯ সালে প্রকাশিত A Room of One's Own গ্রন্থটি নারীবাদী সাহিত্য সমালোচনার একটি মূল্যবান দলিল হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ষাটের দশকের নারীবাদীরা আরো ভালো ভাবে লক্ষ করেন যে সাহিত্যে নারী ঠিকভাবে উপস্থাপিত হয় নি। নারী অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অবজেক্টিফাই হয়েছে। এমন কি লেখিকাদের সাহিত্যকর্মও বরাবর অবহেলিত হয়েছে। মূলত সেখান থেকেই নারীবাদের একটি রাজনৈতিক কর্ম হিসেবে নারীবাদী সাহিত্য সমালোচনার যাত্রা পুরোদমে শুরু হয়। সমালোচনা তত্ত্বে এটি কাজ করে মূল দুটি পদ্ধতিতে। যথা-
১. নারীর চরিত্রকে চিহ্নিতকরণ : যা থেকে লেখকের পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করা যায় এবং পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি যে ঐতিহাসিকভাবে নারীকে গৌণ হিসেবে উপস্থাপন করে আসছে তা দেখানো।
২. সাহিত্য যেভাবে সাহিত্য ও পৃথিবীকে পাঠ করে তার পুুনঃপাঠ : যার মাধ্যমে দেখা যায় সমাজ স্বাভাবিক ভাবেই লেখক ও পুরুষকে মূল্যায়ন করে কিন্তু নারী গৌন থাকে।
সুতরাং স্পষ্টভাবেই বোঝা যায় এখানে পৃথিবী, সমাজ তথা সাহিত্যে নারীর অবস্থান, মূল্যাযন ইত্যাদি বিষযগুলোকে বিচার বিশ্লেষণ করাটাই মূখ্য উদ্দেশ্য। Lisa Tuttle অবশ্য আরেকটু বিস্তারিত ভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। তাঁর মতে এটি হচ্ছে "new questions of old texts." যার মানে দাঁড়ায় পুরাতন গ্রন্থগুলোর প্রতি কিছু নতুন প্রশ্ন করা। তিনি আরো এই সমালোচনা পদ্ধতির লক্ষ্যকে স্পষ্ট করেন। তিনি দেখান এর লক্ষ্য হচ্ছে-
১. নারীর লেখালেখির ঐতিহ্যবাহী ধারাকে আবিষ্কার ও উন্নয়ন।
২. নারীর লেখার প্রতীকী দিকগুলো চিহ্নিত করা যাতে তা পুরুষের দৃষ্টি এড়াতে না পারে এবং টিকে থাকে।
৩. পূর্বের সাহিত্যকর্মকে পুনরায় মূল্যায়ন।
৪. নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লেখিকা ও তার সাহিত্যকর্মকে বিশ্লেষণ।
৫. সাহিত্যে যৌনতার ব্যবহারের বিরোধিতা করা।
৬. সাহিত্যের ভাষা ও রীতিতে লৈঙ্গিক রাজনীতি সর্ম্পকে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
এসব দিকগুলো ছাড়াও বর্তমান সময়ের নারীবাদী সাহিত্য সমালোচনা আরো বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কাজ করে যার মধ্যে সমাজের বিভিন্ন দিক- শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, রাজনীতিতে নারীর ভূমিকা, নারীর কর্মসংস্থান ইত্যাদি বিষয়গুলো শীর্ষে রয়েছে।
সুতরাং নারীবাদী সাহিত্য সমালোচনা কী? তা সর্ম্পকে একটা সংক্ষিপ্ত ধারণা এখান থেকে পাওয়া যাচ্ছে। বাংলা সাহিত্যের প্রেক্ষিতে নারীবাদী সাহিত্য সমালোচনা কীভাবে কাজ করে তার উদাহরণ দেয়া যেতে পারে।
নারীবাদী সাহিত্য সমালোচক প্রথমত একটি সাহিত্যকর্মকে নির্ধারণ করবেন তার মূল টেকস্ট হিসেবে। সেটা রামায়ণ, মহাভারত কিংবা শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যও হতে পারে অথবা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের চন্দ্রশেখর বা কৃষ্ণকান্তের উইলও হতে পারে। গ্রন্থটির ভেতরকার নারী চরিত্রগুলো চিহ্নিত করা হবে তার প্রথম কাজ। তখন সীতা, দ্রোপদী, রাধার মতো অথবা রোহিণী বা শৈবালিনীর মতো নারী চরিত্রগুলো বের হবে। তারপর সেই চরিত্রগুলোকে অঙ্কনে লেখকের প্রক্রিয়া, চরিত্রগুলোর ভেতর দিয়ে ফুটে ওঠা দিকগুলো চিহ্নিত করা ও তার কারণ বিশ্লেষণ করা হবে তার সবচেয়ে মূল্যবান কাজ। এবং সার্বিক ভাবে একটা সিদ্ধান্ত উপস্থাপনের ভেতর দিকে সমালোচক একটি বক্তব্য পেশ করবেন পাঠকের কাছে।
আরেক ধরণের কাজ হবে নারী কর্তৃক লিখিত সাহিত্যকে পুনঃপাঠ। সেক্ষেত্রে স্বর্ণকুমারী দেবী থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ে তসলিমা নাসরীনের মতো লেখিকাদের সামগ্রিক সাহিত্যকর্ম পাঠ করা হবে। সেখানের নারীর দৃষ্টিতে পৃথিবী কেমন? নারী-পুরুষের সর্ম্পকের রূপটা কেমন? নারী অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধির রকমটা কেন? ইত্যাদি বহুবিধ দিকগুলো বিশ্লেষণ করা হবে।
নারীবাদকে সামনে রেখে লেখা সাহিত্যকর্মকে মূল্যায়ন করা হবে আরেকটু ভিন্নভাবে। যেমন আনুশয়া সেনগুপ্তার ‘Silence’ বা মল্লিকা সেনগুপ্তের ‘রেখেছ রমণী করে’ জাতীয় রচনা গুলো একটু ভিন্ন দৃষ্টিতে আলোচিত। এগুলো মূলত নারীবাদের গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে মর্যাদাপ্রাপ্ত।


সুব্রত দত্ত
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৪






মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০৩

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: এতো সুন্দর লেখা অথচ কোনো মন্তব্য নেই। আমি বেশ অবাকই হলাম। অসাধারণ পোষ্ট হয়েছে। চালিয়ে যান।

১০ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:২৯

সুব্রত দত্ত বলেছেন: আপনি তো মন্তব্য করলেন ভাই, তা-ই যথেষ্ট। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। জানেন তো আপনি একটা ব্যাপারে আমাকে খুব প্রভাবিত করেছেন। চমকপ্রদ কোন পোস্ট লেখার চিন্তা এখনও চলছে। পাচ্ছি না। তবে আপনার কাছ থেকেও নতুন নতুন ধারনাসমৃদ্ধ পোস্ট আশা করি। ভালো থাকবেন। শুভ রজনী।

২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৫৮

নীলপরি বলেছেন: পরিশ্রমী পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ।

১০ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৩৫

সুব্রত দত্ত বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে লেখাটা অনেক আগের পাঠ্যসূচিতে ছিল বলেই পরিশ্রমটা করা হয়েছিল। যা হোক আপনাদের সকলের অনুপ্রেরণায় ভালো কিছু পোস্ট দিতে পারব সেই আশা করি। ভালো থাকবেন নীলপরি। শুভ রাত্রি।

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: নারীর জীবনকে চরিত্র দিয়ে মূল্যায়ন করেছে সমাজ । সেটাকে ইচ্ছায় অনইচ্ছায় নারী তা গ্রহন করেছে । এখন কথা হচ্ছে যে লক্ষ্মণ গণ্ডিতে নারীকে ঢুকান হয়েছে তা বেরবার রাস্তা কি ? আমার তো মনে হয় এর সমাধান নারীকেই করতে তা না হলে শুধু রাজনীতিই হবে কাজের কাজ হবে না ।

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:২৪

সুব্রত দত্ত বলেছেন: দুঃখজনক হলেও সত্য নারী কি এত বড় কাজটা সম্পন্ন করতে পারবে#?

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:১০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম, আবার আসব পোস্ট এ..
চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:১৫

সুব্রত দত্ত বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার প্রিয়তে জায়গা দেয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.