নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিশ্রমকে সঙ্গী করে কত মানুষ উর্ধ্বে গেলো, আকাশের ঐ তারার দলে/ চিরদিনই অলস আমি, আছি পড়ে অনন্তকাল এই ধরনীর গাছের তলে।
শিক্ষাবোর্ড থেকে সম্প্রতি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মানবন্টন পরিবর্তনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে ৬টি সৃজনশীলের পরিবর্তে ৭টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়েছে এবং ৪০টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নের পরিবর্তে ৩০টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন থাকবে বলে জানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীরা মোট সময় পাবে ৩ ঘন্টা। সৃজনশীল প্রশ্নের জন্য ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট এবং বহুনির্বাচনির জন্য ৩০ মিনিট।
প্রকৃতপক্ষে এই সময়ে এতগুলো সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দেয়া শিক্ষার্থীদের জন্য কঠিন ও কষ্টসাধ্য। ‘৭টি নয় ৬টি সৃজনশীল চাই’ টাইপের শ্লোগান নিয়ে আন্দোলনও চলছে। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এই আন্দোলন হওয়া উচিত ‘সৃজনশীল পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন চাই’ টাইপের।
আমি বাংলার শিক্ষক। গত প্রায় ২ বছর ধরে শিক্ষকতায় আছি। তাই সৃজনশীল পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকটাই ধারণা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। তবে যেহেতু বাংলা নিয়েই আমার থাকা, সেহেতু বাংলা ১ম পত্র-এর সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করাটাই আমার জন্য উপযুক্ত হবে মনে করছি।
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ থেকে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে দীর্ঘদিন হলো। এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার খুঁটিনাটি পরিবর্তনও আনা হয়েছে। এই পদ্ধতির পক্ষে বিপক্ষে তাত্ত্বিক আলোচনা করতে আগ্রহ বোধ করছি না। কারণ, সৃজনশীল পদ্ধতির পূর্বের পদ্ধতি ছিল আরো বেশি ত্রুটিযুক্ত। সৃজনশীল পদ্ধতিতে আংশিক হলেও মুখস্ত প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে। বাজারে গাইড বই এবং কোচিং সেন্টারের রমরমা ব্যবসাই কেবল সৃজনশীল পদ্ধতির প্রধান সমস্যা বলে বিবেচনা করছি। এছাড়া কতিপয় দুর্নীতিগ্রস্ত, অসাধু ব্যবসায়ীর প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অভিভাবকের অসচেতনতার মত বিষয়গুলোর জন্যও যথাযথভাবে সৃজনশীল পদ্ধতিকে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষার উপকরণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত নিয়ম-কানুনের প্রতি উদাসীনতা ও শিক্ষকদের মান উন্নয়নে যথাযথ উদ্যোগের অভাবও সামগ্রিকভাবে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতিকে বাধাগ্রস্ত করছে।
আমি মনে করি এগুলো নিয়ে একেবারে রুটলেভেল থেকে কাজ করা প্রয়োজন। শিক্ষা মন্ত্রণায়লের উচিত এ ব্যাপারে আগ্রহী হওয়া।
আমি আমার ধারণা এবং স্বল্প অভিজ্ঞতার আলোকে নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ১ম পত্রের একটি নমুনা প্রশ্ন এখানে দেখাচ্ছি। আমি মনে করি ঠিক এইভাবে বাংলা ১ম পত্র পড়ানো হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতার বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলা সাহিত্যের প্রতি একটি আগ্রহের জায়গাও সৃষ্টি হবে।
নবম-দশম শ্রেণি
বিষয়: বাংলা ১ম পত্র
সময়: ৩ ঘন্টা পূর্ণমান : ১০০
[বি.দ্র.: প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। একই প্রশ্নের উত্তরে সাধু চলিতের মিশ্রণ দূষণীয়।]
১। তোমার পাঠ্যবইয়ে মোতাহের হোসেন চৌধুরীর একটি প্রবন্ধ রয়েছে। যার মূল বিষয় শিক্ষা। শিক্ষা বলতে বাস্তবিক অর্থে কী বোঝায় এবং এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের মত বিষয়গুলো নিয়ে তিনি তাঁর যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেছেন। ঐ প্রবন্ধটির আলোকে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
ক. এক কথায় উত্তর দাও: ৫
i. তোমার পাঠ্যবইয়ে মোতাহের হোসেন চৌধুরীর যে প্রবন্ধটি দেয়া আছে, তার নাম কী?
ii. ঐ প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত?
iii. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ২টি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের নাম লেখ।
iv. মোতাহের হোসেন চৌধুরী মানব জীবনকে কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
v. মোতাহের হোসেন চৌধুরী কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
খ. নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
হাবিব সাহেব তার ছেলেকে বরাবরই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াতে চাইতেন। তিনি মনে করতেন এই বিষয়ে পড়াশুনা করে বিদেশে গেলে তার ছেলে অনেক টাকা আয় করতে পারবে, সমাজে অনেক সুনাম অর্জনও করতে পারবে কিন্তু তার ছেলে কাউসার ডাক্তারি পড়ে গ্রামাঞ্চলে গিয়ে মানুষের সেবায় ব্রতী হতে চায়।
i. বর্তমান যুগের সাপেক্ষে হাবিব সাহেবের ভাবনা কতটুকু যৌক্তিক বলে তুমি মনে কর? তোমার মতামত দাও। ৫
ii. কাউসারের চাওয়াকে তুমি কীভাবে মূল্যায়ন করবে? মোতাহের হোসেন চৌধুরীর প্রবন্ধের সাপেক্ষে বিষয়টি বর্ণনা কর। ৫
গ. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর প্রবন্ধটির সঙ্গে তোমার পাঠ্যবইয়ের আর কোন প্রবন্ধের সাদৃশ্য রয়েছে কি? থাকলে, সেই প্রবন্ধটির কোন দিকগুলো এই প্রবন্ধে লক্ষ করা যায়? ব্যাখ্যা কর। ৫
ঠিক এমনি করে মোট ৫টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটির মান হবে ২০। মোট ১০০। এতে করে শিক্ষার্থীকে প্রতিটি অধ্যায় থেকে খুব বেশি পড়া লাগবে না। আবার গাইড বই বা কোচিং-এ পড়ার দরকারও হবে না।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ অধ্যায়টি পড়ানোর সময় শিক্ষককেও খুব বেশি পরিশ্রমও করতে হবে না। তবে অবশ্যই ক্লাসে চুপ করে বসে থাকার মতো সুযোগ তিনি পাবেন না। অনেক সময়ই দেখা যায় অনেক শিক্ষক শিক্ষার্থীকে গাইড থেকে প্রশ্ন মুখস্ত করতে দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে তা করা যাবে না। বরং ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ অধ্যায়টি নিয়ে কমপক্ষে তিনটি লেকচার তাকে দিতে হবে। লেকচারগুলো হবে নিম্নরূপ:
লেকচার ১: মোতাহের হোসেন চৌধুরীর পরিচয় এবং ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ অধ্যায় পাঠ।
লেকচার ২: ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ অধ্যায়ের মূলভাব আলোচনা ।
লেকচার ৩: বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে এই প্রবন্ধের গ্রহণযোগ্যতা ও অন্যান্য আলোচনা।
লেকচার ১ সমাপ্ত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজ দেয়া হবে- এক কথায় প্রকাশ তৈরি। শিক্ষার্থীরা নিজ দায়িত্বে বই থেকে ২০/২৫ (অধ্যায়ের জ্ঞানমূলক প্রশ্নের প্রাপ্তি সাপেক্ষে) টি এক কথায় প্রকাশ তৈরি করবে এবং এগুলো থাকবে একেবারেই মুখস্তনির্ভর প্রশ্ন। এই পড়া সমাপ্ত হওয়ার পর লেকচার ২-এ প্রবন্ধটির মূলভাব নিয়ে আলোচনা করা হবে। প্রয়োজন সাপেক্ষে শিক্ষক বোর্ডে সংক্ষেপে মূলভাব লিখে দিবেন। সেটা বুঝিয়ে দেয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিজ ভাষায় মূলভাব লিখতে আগ্রহী করতে হবে। লেকচার ২ সমাপ্ত হলে পড়া থাকবে- প্রবন্ধটির মূলভাব পড়া ও লেখা। এটা ফিডব্যাক নেয়ার পর লেকচার ৩-এ বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে প্রবন্ধটির গ্রহণযোগ্যতা, প্রভাব বা প্রয়োজনীয়তার মত বিষয়গুলো নিয়ে সার্বিক একটা আলোচনা হবে যা থাকবে ছাত্র-শিক্ষক মতবিনিময় ধর্মী।
এই ধরনের প্রশ্নের মাধ্যমে-
প্রতিটি প্রশ্নের মান ২০ করে মোট ৫টি প্রশ্ন থাকবে।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন থাকবে ৫×৫=২৫
অনুধাবনমূলক ও প্রয়োগমূলক প্রশ্ন থাকবে ১০×৫=৫০
উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্ন ৫×৫=২৫
অন্যদিকে বাংলা ২য় পত্রের ক্ষেত্রে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন বিলুপ্ত করে পরীক্ষা নম্বর করা হবে ৫০। সেক্ষেত্রে ব্যাকরণ অংশকেই প্রাধান্য দেয়া হবে।
ব্যাকরণের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো যেমন- সন্ধি, সমাস, প্রকৃতি ও প্রত্যয়, ক্রিয়াপদ, উক্তি পরিবর্তন ইত্যাদি থেকে মোট ৭টি প্রশ্ন থাকবে যে কোন ৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। সেগুলোর নম্বর হবে ৫×৫=২৫।
এছাড়া থাকবে-
চিঠি/দরখাস্ত, যার মান থাকবে ৫।
সারাংশ/সারমর্ম, যার মান থাকবে ৫।
ভাব-সম্প্রসারণ, যার মান থাকবে ৫।
প্রবন্ধ রচনা, যার মান থাকবে ১০।
এই বিষয়ের জন্য শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার সময় দেয়া হবে ২ ঘন্টা। নিচে একটি নমুনা প্রশ্ন দেয়া হলো-
নবম-দশম শ্রেণি
বিষয়: বাংলা ২য় পত্র
সময়: ২ ঘন্টা পূর্ণমান : ৫০
[বি.দ্র.: প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। একই প্রশ্নের উত্তরে সাধু চলিতের মিশ্রণ দূষণীয়।]
১। যে কোন ৫টি প্রশ্নের উত্তর দাও: ৫×৫=২৫
ক. ভাষা কাকে বলে? ভাষার মৌলিক অংশ কয়টি ও কী কী? সেগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
খ. উৎস অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দগুলোকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়? উদাহরণসহ ভাগগুলো বর্ণনা কর।
গ. ণত্ব ও ষত্ব বিধান কাকে বলে? এর প্রয়োজনীয়তা বর্ণনাসহ মৌলিক নিয়মগুলো লেখ।
ঘ. সন্ধিবিচ্ছেদ কর:
হিমালয়, সতীন্দ্র, তন্বী, গবেষণা, পরিচ্ছদ।
ঙ. ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় কর:
মহাকীর্তি, নীলবসনা, গায়েপড়া, চৌরাস্তা, নির্ভাবনা।
চ. কারক ও বিভক্তি নির্ণয় কর:
i. নাসিমা ফুল তুলছে।
ii. ছেলেরা ফুটবল খেলছে।
iii. প্রভাতে সূর্য ওঠে।
iv. বাঘকে ভয় পায় না কে?
v. আকাশে পাখি ওড়ে।
ছ. নিচের বাগধারাগুলোর অর্থ লিখে বাক্যে প্রয়োগ কর:
অরণ্যে রোদন, কাঁচা পয়সা, খয়ের খাঁ, বালির বাঁধ, শাঁখের করাত।
২। তিনদিনের ছুটি চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট একটি দরখাস্ত লেখ। ৫
৩। সারাংশ/সারমর্ম লেখ: [বই থেকে নির্বাচন করে দেয়া হবে।] ৫
৪। ভাব-সম্প্রসারণ লেখ: (১টি) ৫
(ক) পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না।
(খ) দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।
৫। রচনা লেখ: (১টি) ১০
(ক) দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান
(খ) একটি বর্ষণমুখর সন্ধ্যা
(গ) শ্রমের মর্যাদা।
বাংলা ১ম পত্র ও ২য় পত্রের মোট নম্বর থাকবে ১৫০। দুটিকে সমন্বিত করে মোট ১০০ নম্বরে সাপেক্ষে গ্রেডিং করা হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এমন মানবন্টনই পারে বাংলা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তুলতে এবং মূল্যায়নের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বিধান করতে।
সুব্রত দত্ত
স্নাতক, স্নাতকোত্তর (বাংলা), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
সহকারী শিক্ষক
হায়দরাবাদ আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
শুকুন্দিরবাগ, হায়দরাবাদ, গাজীপুর।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:০০
সুব্রত দত্ত বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপাতত আমি সেটাই করছি। আমার ছাত্র-ছাত্রীদের অল্প কথায় মূল উত্তর লিখতে উৎসাহিত করছি। তবে সত্যি বলতে এতগুলো প্রশ্নের উত্তর লিখতে ওদের কষ্ট হয়। আর বর্তমান সৃজনশীল পদ্ধতিকে আমিও একেবারে নাকোচ করে দেইনি বরং আমার প্রস্তাবিত পদ্ধতিতেও বর্তমান পদ্ধতির প্রভাব আছে। তবে বর্তমান পদ্ধতিতে অনেক শিক্ষার্থীই উদ্দীপক তুলে দেয় এবং তাতে করে কিছু নম্বর পেয়ে যায়। ঐ কিছু নম্বর আর বহুনির্বাচনির নম্বর মিলে মোট ৬০% এর কাছাকাছি চলে যায় অনায়াসে। কিন্তু আমার প্রশ্নপত্রে না জেনে ৫০% নম্বর পাওয়াও কঠিন হবে। আমি মনে করি না শিখে নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থী মেধা ধ্বংস হওয়ার প্রধান কারণ।
২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯
ক্লে ডল বলেছেন: আপনার পোষ্টের বিষয় অতি গুরুত্বপূর্ণ!
বর্তমান পদ্ধতিতে অনেক শিক্ষার্থীই উদ্দীপক তুলে দেয় এবং তাতে করে কিছু নম্বর পেয়ে যায়। ঐ কিছু নম্বর আর বহুনির্বাচনির নম্বর মিলে মোট ৬০% এর কাছাকাছি চলে যায় অনায়াসে।
এই সমস্যা সমাধান জটিল। তবে আমি মনে করি এখানে শিক্ষকদের ভূমিকা নেওয়া ছাড়াও পরিবারকে ভূমিকা নিতে হবে। আমাদের ছোটবেলা থেকেই একটা বিষয় মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যে ভাল রেজাল্ট মানে তুমি ভাল ছাত্র, মেধাবী। যার ফলে বিষয় বোঝার চেয়ে আমরা মুখস্তের দিকে ঝুঁকি এবং পরীক্ষায় গিয়ে তা উগরে আসি।
আমি মনে করি, না বুঝে মুখস্ত নকলের সমান এবং এতে প্রতিভা হ্রাস হয়।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪১
সুব্রত দত্ত বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার কথার সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত। শিক্ষকতা পেশায় থেকে এই ধরনের সমস্যাগুলো একেবারে সামনাসামনি দেখছি। আর আমাদের আরেকটি বড় সমস্যা, এখনও মনে করা হয় বেশি লিখলে বেশি নম্বর। এই প্রবণতাও সঙ্কটের। পুরো বিষয়টা নিয়ে আসলে কাজ করা দরকার কিন্তু প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরির অনেক ঝামেলা। সম্ভবত সরকারি প্রতিষ্ঠানেও ঝামেলা থাকতে পারে। কিন্তু আমি মনে করি এগুলো নিয়ে ব্যাপক লেখালেখি প্রয়োজন, প্রচার প্রয়োজন। তাহলে সরকার বিষয়টাকে সিরিয়াসলি নিবে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১০
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আপনার সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির ধরণটা বেশ ভাল। এইভাবে করলে শিক্ষার্থীদের উন্নতি হবে। মেধা বাড়বে।
তবে, প্রচলিত যেই ধারা যে সেটাও ভালভাবে প্রয়োগ করতে পারলেও চলবে।
সৃজনশীল প্রশ্ন ছয়টা-সাতটা ব্যাপার না। সৃজনশীলে পাতা নির্ভর মার্কস দেওয়ার প্রবণতা কমাতে হবে। শিক্ষার্থীদের ঐভাবেই শিখাতে হবে যাতে তারা অল্প কথায়ই মূল বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারে। তাহলে ছয়, সাত, আট - প্রশ্ন যতগুলোই থাকুক - তাতে সমস্যা হবে না।
নাহলে ছয়টা প্রশ্নও অতিরিক্ত হয়ে যায়।