![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখনো যারা শেখ মুজিব বন্দনা এবং তার অসুস্থ্য কণ্যা হাসিনার প্রেমে অন্ধ হয়ে আগ্নেয়গিরির মত অগ্নুৎপাৎ ঘটানোর বাসনা লালন করে একধরনের মনোপীড়ায় ভুগছেন, আর আশা করছেন, যারা তাদের নিয়ে এত কথা বলছে, সুযোগ পেলে আবার সাইজ করবেন ? তারা যে কত বড় বোকা তা তারা নিজেরাও বোঝেন না ।
এমনটি হওয়ারই কথা । কেননা ফখরুদ্দিন-মইন এর মত গাদ্দার এবং বিচারপতি খাইরুল হকের মত দেশ ধ্বংসকারী বিচারকরা মিলে গত সাড়ে সতের বছর দেশটাকে যেখানে ঠেলে দিয়েছিল, সেই অসুস্থ্য অবস্থা থেকে মুক্ত হওয়া কঠিণ । ২০০৯ সাল থেকে শিক্ষা বিহিন (ভুয়া জিপিএ বন্টন করে কাগুজে শিক্ষিত প্রজন্ম গঠণ প্রকল্প) , মেরুদন্ড ভাংগা বিশাল তরুন প্রজন্ম সহসাই মুক্তি পাবেন না , এটা খুব সরল অংকের হিসেব ।
সাইকোপ্যাথী শেখ হাসিনার ঘাড়ের উপর পা রেখে দিল্লী যা যা করেছে, সেই ট্রমা থেকে মুক্তি পেতে বহু বছর সময় লাগবে ।
আমার সবচেয়ে অবাক লাগে, যারা মেধাবী, সু-শিক্ষিত, যোগ্য ব্যক্তি সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বে বসে ছিলেন, তারা কি এখনো ট্রমা থেকে মুক্তি পান নি ? না কি আপনারাও সুবিধা খেয়ে মুজিব এবং হাসিনার পাদপৃষ্ঠে পূজার ফুল দিতে বাধ্য থাকবার নীতিতে নিবিষ্ট হয়েছেন ?
আমি আমার এলাকার ছোট ভাই বেরাদর, ভাতিজা, ভাতিজিরা যারা মুজিবকে হাসিনা যতটুকু চিনিয়েছে এবং হাসিনার তথা কথিত উন্নয়নের জোয়ারে তাদেরকে যেভাবে ভাসিয়ে সর্বনাশ করে রেখে গিয়েছে, তাদেরকে সেই ট্রমা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু ছবক দিয়েছিলাম । সেইটা কপি পেষ্ট করে দিলাম ।
যারা শেখ মুজিবকে হাসিনার চোখে চিনেছেন, তারা দেখতে পারেন । তরুনদের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, দয়া করে আপনারা একটু লেখা পড়া করবেন । আর প্রশ্ন করবেন নিজেকে - “শেখ মুজিব যদি এতই মহান নেতা হবেন, তাহলে তাকে বন্দনা করতে বাধ্য করার জন্য হাসিনাকে এত কঠোর আইন বানাতে হয়েছিল কেন ? কেন তার পরিবারের সুরক্ষা আইন ( মানে ঐ পরিবারের কাউকে স্পর্শ করে কথা বলা যাবে না ) এমন কথা সংবিধানে লিপিবদ্ধ করেছিল ? পৃথিবীতে আর একটা উদাহরণ দিতে পারবেন কোন রাষ্ট্রে এমনটি কেউ করেছে ? আর কেনই বা ওদের পতন হলে প্রধান নেতারা তাদের বিশাল কর্মীবাহিনী সবাইকে ফেলে চোরের মত পালিয়ে যায় ?
প্লীজ মনোযোগ দিয়ে আমার নিচের লেখাটা পড়ার অনুরোধ রইল ।
আমি অন্য এক যায়গায় বলেছি, এই রাষ্ট্রের এমন কোন ইনস্টিটিউশন নাই, যাকে ধ্বংস করা না হয়েছে । যেমন জনস্বার্থে পুকুর খনন এবং ঐ একই স্থানে জনস্বার্থে পুকুর ভরাট । মানে কি ? বুঝতে কষ্ট হচ্ছে ? ভাইরে, আওয়ামীলীগ যারা করে , তাদের মধ্যে খুলনার এডভোকেট মঞ্জরুল ইমামের মত যারা সৎ মানুষ ছিলেন, বা এখনো যারা উনাদের মত বোকা আওয়ামীলীগার (সৎ লোক) আছেন, তাদের মাথার উপর দিয়ে যাবে এই প্রশ্ন ।
আমি সরকারি চেয়ারে থেকে এই রকম অনেক তথাকথিত উন্নয়নের বিল করতে দেখেছি । কোনদিন পুকুর কাটাও হয়নাই, ভরাটও হয়নাই । কিন্তু বিল পাশ হয়েছে । পাশ না করে পার পাওয়া যাবে ? আওয়ামীলীগ বলে কথা । একেবারে কলিজা কেটে বাইর করে কুত্তা দিয়ে খাওয়াবে । এমনই এই দলের বৈশিষ্ট । যার কিছু ছিটাফেটা কালচার বি এন পির শেষ দিকে ফালুদের জামানায় চর্চা শুরু করতে চেয়েছিল, সুযোগ পায়নাই ।
আচ্ছা ভাবুন তো, যে ছাত্র জনতা বুকের রক্ত দিয়ে ৩য়বার বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, তাদের কি শেখ মুজিবর রহমানের মুর্তি ভাংগার টাইম আছে ?? তাদের কি হিন্দুদের উপর অত্যাচার করার দরকার আছে ? হিন্দুদের নিয়ে এই দেশে রাজনীতি কারা করে ? গোবিন্দ প্রামাণিকের মত একজন রাষ্ট্রদ্রোহীও কিন্তু বার বার তথ্য প্রমাণ দিয়ে প্রমাণ করেছেন । গোবিন্দ বাংলাদেশকে অখন্ড ভারতের অংশ করতে বলে রাষ্ট্রদ্রোহীতা করেছেন, তার বিচার পরে হবে । কিন্তু সে আর যাই করুক,এই মিথ্যা বয়ানকে বার বার ধরিয়ে দিয়েছে । এ জন্য তাকে ধন্যবাদ ।
এখন বলুন, আওয়ামী নেতারা যারা আবার হসিনার ১৫ বছরের অভিনয়কালের মত ফুস-ফাঁস করতে চাচ্ছেন, নানা ইস্যুকে সামনে এনে, সেটা কি আর চলবে ? খোদ মোদিকে আজ সংসদে ধরেছে জানেন না বুঝি ?? ভাইরে, ঐ সব খেলার দিন শেষ হয়েছে ৬ই আগষ্ট ২০২৪ । ভদ্রলোক হয়ে থাকলে চুপ থাকেন ।
শেখ মুজিবের মুর্তি তারাই ভাংছে, যারা এটা গড়ার জন্য একবার বিল পেয়েছিল । তারা এটি ভাংগার জন্য বিল পাচ্ছে এবং স্বপ্ন দেখছে, তাদের দলের প্রভু মোদি সরকার আবারো ইসরাইলের সামরিক প্রধানকে দিয়ে আমেরেকাকে ম্যানেজ করে বাংলাদেশের আর্মীরা দেশ রক্ষায় ব্যর্থ বলে প্রমাণ করবে এবং ভারত ইসলামী টেরোরিস্টদের উত্থানের হুমকির গল্প খাইয়ে জাতি সংঘের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে এখানে মিত্র বাহিনী দিয়ে আমাদের দেশকে কব্জা করবে ? আবার আগের মত ১% ভোট পাওয়া হাসিনাকে যাদুর গল্পের মত ক্ষমতায় এনে মুর্তিগুলো গড়ার ঠিকাদারী দিবে এবং ডবল বিল পাবে ? ঐ দিন মোদির হাতেও আর নাই ।
এবার বোঝা গেল ? জনস্বার্থে পুকুর খনন, একই স্থানে আবার জনস্বার্থে পুকুর ভরাট এর বিল খাওয়া জাতি কতটা স্মার্ট ??
তাই বলছি, প্রিয় ছোট ভাই বোনেরা, যতটা পাপ আপনাদের নেত্রী করে গেছেন, তার রিঅ্যাকশন এরকম হওয়াটা স্বাভাবিক । আমি ১৯৯৬ সালে বলেছিলাম, যখন তারা ক্ষমতায় ছিল, শেখ হাসিনা উনার পিতাকে প্রতিদিন হত্যা করছেন, প্রতিদিন উনি উনার পিতার ছবিতে মানুষকে থুথু ছিটাতে দিচ্ছেন । তখন থেকে যদি উনার পরামর্শদাতারা উনাকে এই কথা বোঝাতে সক্ষম হত, তাহলে আজ উনার এই পরিণতি হত না । অনুরোধ করছি, আপনারা আপাতত চুপ থাকেন । কেননা বুঝতে হবে, হিটলারের মুর্তিগুলোকে কি করেছিল জার্মানীরা ? সাদ্দামের সকল মুর্তি ভাংগা হয়েছিল কি না ? তাতে কিন্তু সেই দেশের জনগনের কোন রিঅ্যাকশন ছিল না ।
ইন্দিরা গান্ধীর মত অমন একজন জনপ্রিয় নেতাকে খুন করার পর আজ পর্যন্ত শুনছেন, উনার পরিবার থেকে কেউ বলেছে, তারা তাদের মায়ের হত্যার প্রতিশোধ নেবে ? আমরা সবাই দায়িত্বশীল থাকি । এই রাষ্ট্রে যত নেতাদের মুর্তি আছে , সবই ভাংগা দরকার, রাষ্ট্রেরই স্বার্থে । মরহুম সম্মানিত নেতাদেরই স্বার্থে , তাদের দলের স্বার্থে । এটা বুঝতে হবে । স্থিতিশীল হোক, আমরা সরকারের কাছে দাবী করব , দেশের সকল নেতাদের মুর্তি ভাংগতে হবে । আর কোনদিন কোন শাসকের মুর্তি বানানো চলবে না । আর কোনদিন ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটতে দেয়া হবে না । শেখ হাসিনার সকল পাপের রেকর্ড মজুদ রয়েছে । এমন রেকর্ড যা আদালতে কোনভাবেই মিথ্যা প্রমাণের সুযোগ থাকবে না । ফাইল প্রস্ততি চলছে । উনাকে দেশে বিদেশে যেখানেই হোক, গ্রেফতার করে সব পাপের ডকুমেন্টস সহ আদালতে তোলা হবে । উনাকে অন্য কোন হাসিনাতন্ত্র দিয়ে বিচার করা হবে না । এটা মাথায় রাখবেন ।
অতএব আপাতত চুপ থাকেন । যারা মুুসলমান আছেন, তারা সম্ভব হলে নামায পড়ুন । আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান । নিজেদেরকে শুধরান । যদি কখনো আল্লাহ আবার সুযোগ দেয় ।
এই দলকে যারা আমরা ৭২ সাল থেকেই চিনি, তারাতো চিনিই । আমি বার বার অনুরোধ করতাম আমার ছোট ভাইদের, তোমরা একটু লেখা পড়া কর । আওয়মীলীগ আমার বাপ চাচাদের , আমাদের ঐ সময়ের সবার প্রিয় নেতার দল ছিল ১৯৭১ সাল পর্যন্ত । এই দলটাকে শেখ মুজিব নিজেই ১৯৭৩ সালে হত্যা করেন । তিনি নিজের মৃত্যু নিজেই ডেকে নিয়ে এসেছিলেন, তার সতীর্থজনের লেখা বই পড়ুন, জানতে পারবেন । সুতরাং পতিত মুজবকে বাংলাদেশের সম্পদ হিসেবে ১৯৭১ পর্যন্ত ইতিহাসের পাতায় রাখুন । এটাই সমীচীন । কেননা তার মর্যাদা ১৯৭১ পর্যন্তই পজিটিভ(যতটুকু ইতিহাস সাক্ষী ততটুকু এর বেশী নয়) । তাকে আর কখনো আপনারা শেখ পরিবারের বা আওয়ামী দলের সম্পত্তি বানিয়ে ফায়দা খাবার ব্যবস্থা করার মত ভুল করবেন না । যাহোক, ২য় বার তাদের জন্ম দিয়েছিল জিয়াউর রহমান । তাদের জন্ম দেয়ার কারণেই নাকি তিনিও কোন মীর জাফরের বাচ্চা মিরণের হাতে খুন হয়েছিলেন বলে কথা চালু আছে । সেই ২য় বার জন্ম নেয়া দলকে শেখ হাসিনা হত্যা করবেন, এটা তিনি ১৯৮১ সালে বিবিসি সাংবাদিককেই বলেছিলেন । শুধু তার দলকেই হত্যা করবেন না, তিনি গোটা জাতিকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন । আর জাতি-রাষ্ট্র হত্যার প্রায় ৭০% তিনি সম্পন্ন করে গিয়েছেন । মানুষ হত্যা যে কত করেছেন, তাতো এখন সারা বিশ্ব জানে । মনে হয় না ৩০% জীবিত জাতিস্বত্তা কতটুকু শক্তি নিয়ে আবার মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারবে । ভবিষ্যৎ বলে দেবে ।
অতএব অবুঝ মাঠকর্মীরা আপনাদের বড় লীডাররা মূলতঃ নেতা নয়, ফটকা কারবারী লুটেরা, সন্ত্রাসী , তাই তারা আপনাদের ফেলে পালিয়ে যায় বার বার (এটাই ইতিহাস সত্য) । অতএব নিজেদের ধ্বংস করবেন না । আপাতত চুপ থাকেন ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শেখ পরিবার থেকে এই জাতি মুক্তি চায়।