![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের মধ্যে এখনো যারা মোনাফেকীতে লিপ্ত রয়েছি, আসুন তওবা করে সঠিক পথে পরিচালিত করি নিজেকে, নিজ পরিবারকে । তাহলে আপনার, আমার চারপাশের সবাইকে নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকতে পারব ।
অন্য সকল ধর্মের মানুষকে দেখেন ? তারা তাদের ধর্মকে কখনোই অবজ্ঞা করেন না । তাদের মধ্যে যারা ধার্মিক, তারা অতন্ত ভালো মানুষ। তারা তাদের ব্যবসায় ভেজাল করেন না । দুর্ণীতি করেন না , মানুষকে ফাঁকি দেন না , কারো অধিকার হরণ করেন না ( ব্যতিক্রম ব্যতিত) । অথচ এই দেশের মোনাফেক টাইপের অধিকাংশ মুসলমানরা হেন কোন অপরাধ নেই, যা তারা করছে না । এ কারণে তাদের অন্য কোন জাতি, ধর্মের মানুষ বিশ্বাস করে না, বিশেষ করে মুসলিম ব্যবসায়ীদের( ব্যতিক্রম ব্যতিত) ।
আমি নিজেও অধিকাংশ মুসলমান ব্যবসায়ীকে বিশ্বাস করি না । তাদের অনেকের মধ্যে আমি সততার বালাই দেখি না ( কদাচ ব্যতিক্রম ছাড়া ) । অথচ আজ পর্যন্ত কোন হিন্দুর দোকান থেকে কেনাকাটা করে আমি ঠকিনাই, যতবার ঠকেছি আমার জাতভাইদের বিশ্বাস করে ।
আল্লাহ জালিম সরকারকে ক্ষমতায় এনে আমাদের মত ভেজাল মুসলমানদের গত ১৬ বছর সাইজ করেছেন কি না ? এটা যারা বিশ্বাস করেন না, তারা দয়া করে আমাকে এড়িয়ে চলুন । আর ২০২৪ এ সেই জালিম সরকারকে উৎখাৎ করে আল্লাহ আমাদের আরো একটা কঠিণ পরীক্ষায় ফেলেছেন কি না ?
এতটা স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়ার পর আবারও যদি আমরা এই পরীক্ষায় ফেল করি, মোনাফেকমুক্ত যদি হতে না পারি, সবাই যদি জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হতে না পারি, তাহলে এই পরীক্ষায় এবার শুধু ফেইল নয়, ধ্বংস অনিবার্য !
আমাদের দেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে আমরা ম্যক্মিমাম উচ্চশিক্ষিত মুসলমানরা নষ্ট হয়েছি বলে । একজন সাধারণ হিন্দু নাগরিক নির্যাতিত হলে মসজিদের ঈমাম সাহেব বা মাদ্রাসার ছাত্রকে বিশ্বাস করে, কিন্তু আধুনিক শিক্ষিত কোন মুসলমানকেই তারা বিশ্বাস করে না । অথচ রানাদাশরা নাটক করে তাদেরকেই জংগী বলে । কেন ? কারণ এই উচ্চশিক্ষিতরা প্রায় সবাই কমে বেশী নষ্ট বলে ।
মুসলিম জাতির অধঃপতনের অন্যতম কারণ এবং সেখান থেকে সঠিক পথে ফিরে আসার সহজ পথঃ-
কারণঃ- মুসলিম জাতি তাদের সালাম, নামায, মানবকল্যাণ এবং আল্লাহ্ এর নির্দেশিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থপনা নষ্ট করে নিজেদের ধ্বংস নিজেরাই করেছে । এই ধ্বংস যদি নিজেরা না হত, তাহলে পুরো পৃথিবীর সভ্যতা অন্যরকম হত । যে সভ্যতার আলোয় জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ১০০% মানুষের কল্যাণ হত । শুধু মুসলিম জাতি তাদের এই মৌলিক চরিত্র থেকে সরে গিয়েছে বলে গোটা বিশ্বে মানব সভ্যতার ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে । মানুষ এখন যতই সভ্যতার দাবী করুক না কেন, এই সভ্যতা মূলতঃ ব্যাপক জনকল্যামুখী মানব সভ্যতা নয় । এটাকে বলা চলে তথাকথিত উদার গণতান্ত্রিকতার ছদ্মাবরণে পৃথিবীর ম্যক্মিমাম মানুষের সম্পদ লুন্ঠন করে নেয়া মুষ্টিমেয় কিছু শক্তিধর ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর হাতে নিয়ন্ত্রিত সভ্যতা । তারা যতটুকু সভ্যতার আলো পৃথিবীর ম্যাক্সিমাম মানুষকে প্রদর্শণ করে, মানুষ ততটুকুই দেখতে পায় ।
ফেরার সঠিক পথঃ- মুসলিম জাতিকে আল্লাহর হুকুম এবং রসুল(সঃ) এর সহীহ সুন্নাহ্ মানতে হবে ১০০% । অহংকারমুক্ত হয়ে চেনা, অচেনা, ছোট, বড়, উঁচু-নিচু বাছ বিচার না করে হাসি মুখে পরিপূর্ণরূপে আরবী ভাষায় সালাম দিতে হবে (সালামের অর্থ বুঝতে হবে ) । তথাকথিত "স্লামালিকুম" নয় । সালাম এর সারকথা হচ্ছে "আমি কোন মানুষকে এই গ্যারান্টি দিচ্ছি যে, আমি তার কাছে একজন নিরাপদ মানুষ, আমার দ্বারা তার কোন অকল্যাণ হবে না । কিন্তু "স্লামালিকুম" বলে কারো বুকে ছুরি মারছি, কাউকে মালে ভেজাল দিয়ে ঠকাচ্ছি, নানা রকম অকাম কুকাম করছি কি না আমরা ? বের হতে হবে এই অসভ্যতা থেকে । ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে সকল আলেমদের । মুসলিমরা যতকাল তথাকথিত পশ্চিমা সভ্যতা নামক মেকী, পুঁজিবাদী, ধনতন্ত্র কুক্ষীগত করার কৌশুলী সভ্যতার দাসত্ব থেকে মুক্ত হয়ে নিজেরা তাদের জীবনকে কুরআন এবং সুন্নাহ এর আলোকে মূল সভ্যতায় সভ্য হিসেবে গড়ে তুলতে না পারবে, করজে হাসানাহ্ এর মাধ্যমে সুদমুক্ত অর্থনীতি গড়ে তুলতে না পারবে এবং শক্তিশালী মুসলিম জাতি সংঘ গড়ে তুলতে না পারবে, ততকাল তারা এই তথাকথিত সভ্য কিন্তু প্রকৃতপক্ষে জালিমদের হাতে নিশ্চিহ্ন হতে থাকবে ।
আসুন, সঠিক পথে চলি, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে মিলে মিশে সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলি । তাহলে আল্লাহ আমাদের সহায় হবেন ।
©somewhere in net ltd.