নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এস এম ইমদাদুল ইসলাম

গহীনে রক্তক্ষরণ

ধার্মিক, সৎ, যোগ্য এবং মেধাবী তরুনদের আমি ছাত্র

গহীনে রক্তক্ষরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমরা চিরকাল সহজ, সরলভাবে যার যার ধার্মিকতা অটুট রেখে একে অন্যের সংগে মিলেমিশে বড় হয়েছি । তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ দিয়ে বরাবরের মত এবছর আবারও আমাদের দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল ধার্মিকজনকে দূর্গপূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমাদের দেশের অধিকাংশ ধার্মিক মানুষ চিরকাল এমনই সুন্দর ছিলাম , এখনো আছি, ভবিষ্যতেও থাকব (ব্যতিক্রম ব্যতিত) ।

মাঝখানে সার্বজনীন ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে বহু চেষ্টা করেছে এই দেশটাতে বিশ্বস্বীকৃত গুজরাটের কষাইদের ফর্মুলায় ঘৃণার রাজনীতি, ঘৃণার সংস্কৃৃতি চর্চাকে রোপন করে তার শেকড় স্থায়ীভাবে শক্ত করে দেবার জন্য । তাদের চেষ্টা আজও মারাত্মকভাবে অব্যাহত আছে, যা আমরা আল্লাহর রহমতে উপড়ে ফেলবই চিরতরে ।

কিভাবে ? সে কথাই বলছি ।

উপরওয়ালার বড়ই রহমত রয়েছে আমাদের দেশের জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে শান্তিপ্রিয় সকল ধর্মপ্রাণ মানুষের প্রতি । সে জন্য শ্রষ্টার কাছে শুকরিয়া জানিয়ে এবং আমাদের দেশের প্রকৃত ধর্মপ্রাণ হিন্দু সমাজের প্রতি আমার শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি চোখে আংগুল দিয়ে প্রমাণ করে দিব, গুজরাটের কষাই এবং তাদের এদেশীয় সকল দালালদের, যারা সেই আশি’র দশক থেকে কিভাবে আমাদের জাতি স্বত্তাকে নষ্ট করে ফেলেছে অনেকখানি । আর এ দেশের কিছু সচেতন মানুষকে আল্লাহ কিছু প্রজ্ঞা দিয়েছেন বলে সেই ঘৃণ্য চেষ্টাকে আমরা বার বার নস্যাৎ করে দিয়েছি । যদি লজ্জা থাকে, এই ঘৃণ্য রাজনীতি বাংলাদেশে আর কখনোই চর্চার চেষ্টা করবেন না । করলে আল্লাহর তরফ থেকেই বার বার উলংগ হয়ে যাবেন । যেমন করে ১৯৭২ সালে আমাদের ঐহিত্যবাহী সভ্যতাকে ছিনতাই করে ২য় বার আরো পরিস্কারভাবে ২০২৪ সালের ৩৬শে জুলাই উলংগ হয়েছেন ।

তরুণ প্রজন্মকে নষ্ট করে দিয়ে গুজরাটের কষাইরা মনে করেছিল, তারা গত ১৮ বছরে সফল হয়েছে ? না । আমরা বেঁচে থাকতে তা হবার নয় । তরুণ প্রজন্মকে বলছি, আমাদের দেশের ধর্ম ব্যবসায়ীদে আমরা চিনব কিভাবে ?

রাজউক উত্তরা এপার্টমেন্ট প্রঃ, সেক্টর-১৮ এর সনাতন মন্দির কমিটি আয়োজিত আসছে দূর্গাপূজা উপলক্ষে নির্মিত একটা তোরণের লিখিত মূল্যবান কয়েকটা কথা সেই পরিচয় করে দিবে ।

এই তোরণে লেখা আছে “শ্রী শ্রী শারদীয় দূর্গাপূজা-২০২৪” । এখানে “সার্বজননী” কথাটি তারা লেখেন না । এটাই তাদের উত্তম ধার্মিকতার বৈশিষ্ট । যা তারা প্রতিবছর তুলে ধরেন । উনারাই প্রকৃত ধার্মিক । কেননা তারা অন্যান্য ধর্ম ব্যবসায়ীদের মত ”সার্বজনীন” শ্লোগান লেখেন না । আমি গত কয়েক বছর এরকমই দেখে আসছি । তাদের জন্য আমার আশির্বাদ রইল বরাবরের মতই ।

একটু সচেতনভাবে খেয়াল করলে বুঝবেন, যে কোন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কিছু লোকজন তাদের ধর্মীয় শ্লোগানে “সার্বজনীন” কথাটা ব্যবহার করে। চোখ বন্ধ করে বুঝে নিবেন, তারাই প্রকৃত পক্ষে ধর্ম ব্যবসায়ী । যে ব্যবসা করে হাসিনা ১৯৯১ সালে নির্বাচনে হেরে গিয়ে একদিকে মাথায় হিজাব, হাতে তসবীহ নিয়ে ইসলাম ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করেছে পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে গিয়ে কপালে তিলক পরে তাদের ধর্ম নিয়েও ব্যবসা করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করার সূচনা করেছিল । সে এবং তার প্রভু ভারত যখন কনফার্ম হয়েছে যে, এই দেশের কৃষ্টি, কালচারের একটা বড় অংশ ( ৯২% মুসলমান ) ধর্মীয়ভাবে সমৃদ্ধ (কদাচ ব্যতিক্রম ব্যতিত), সেই দেশে গণতান্ত্রিক উপায়ে যতবার এরা স্বাধীনভাবে ভোট দিবে, ততবার ভারতের খায়েশ বাস্তবায়ন করা কঠিণ হবে ।

তাই ভন্ড ধর্ম ব্যবসায়ী এবং সাইকোপ্যাথ মহিলা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা পেয়ে তার মিশন সফল করার প্রাথমিক কাজ করে এবং ফাইনালী চেষ্টাও করেছিল, কিন্তু গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন ব্যবস্থা চালু থাকায় সফল হয়নাই । তার পরে ২০০৭ সাল থেকে যা ঘটেছিল, সেটা প্রত্যেকটা জ্ঞানপাপীরই জানা আছে । সেই থেকে গুজরাটের কষাই আর তাদের এদেশীয় দালালদের প্রতক্ষ্য সহযোগীতায় টানা ২০২৪ সালের ৩৫ জুলাই পর্যন্ত যা হয়েছে, তা এই দেশের ভুক্তভোগী জনগন সহ সারা বিশ্বের মানুষ ভালোভাবে বুঝতে পারলেও আমাদের তরুণপ্রজন্মের কাছে ৩৫ জুলাইয়ের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটার পূর্ব পর্যন্তও যেমন কোন ধারনা ছিল না, তেমনি তারা এখনো অনেক কিছুই বুঝে উঠতে পারেনাই । তাদের বুঝে উঠতে না পারার জন্য রাজনীতির ময়দানে এখনো তথাকথিত ধর্ম ব্যবসায়ী ”সার্বজনীন” রাজনীতির মোনাফেকী মোড়কে আবৃত কতগুলো বুড়ো খাটাস এবং গুজরাটের কষাইদের পক্ষ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত এদেশীয় স্থায়ী দালাল সুশীলদের কারণে বুঝতে পারছেন না ।

তরুণ প্রজন্মকে বুঝতে হবে, ধর্ম ব্যবসায়ী শেখ হাসিনার পূর্বপুরুষরা এবং তার গুন্ডারা “সার্বজনীন” ধর্ম ব্যবসা করে এই দেশের বহু হিন্দুদের সম্পত্তি জোর করে দখল করে তথাকথিত রাজাকারদের কপালে ট্যাগ লাগাতো । সেই একই কালচার শেখ হাসিনা ২০০৭ সাল থেকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে আসছিল তার প্রভু ভারতের সহায়তায় । প্রতিটি অংক আপনারা হিসেব করে মিলিয়ে দেখুন । তার এই ধর্ম ব্যবসার প্রমাণ বাংলাদেশের আর একজন দেশদ্রোহী গোবিন্দ প্রমাণিকও যেমন প্রমাণ করেছেন, তেমনি তার প্রভু গুজরাটের কষাইয়ের ব্যবসার গোমর ফাঁস করে দিয়েছেন তাদের দেশের জনপ্রিয় ইউটিউবার ধ্রুবরাথী সহ সুস্থ্য ধারার আরো অনেকেই ।
অতএব আমি আমাদের দেশের সকল জাতি, ধর্মের, বর্ণের মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা, শ্রদ্ধা জানিয়ে চুড়ান্তভাবে গুজরাটের কষাই এবং তাদের দাসী হাসিনা আর তার সাংগপাংরা এখনো যারা কচ্ছপের মত মুখ লুকিয়ে ভন্ডামী করার সুযোগ খূঁজছেন, তাদের হুশিয়ার করে দিতে চাই, বাংলাদেশের সকল ধর্মের প্রকৃত ধার্মিক মানুষদের নিয়ে আর কোন নোংরামী করার চেষ্টা করবেন না । যেভাবে বিশ্বব্যাপী গুজরাটের কষাইদের থিংক ট্যাংকাররা বড় বড় কর্পোরেট অফিসের মাথা হয়ে বসে ইউরোপ আমেরিকার থিংকট্যাংকারদের বা রাষ্ট্রনায়কদের মাথার উপর কাঠাল রেখে কোষ খাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, আপনাদের যদি লজ্জা থাকে আমার নিচের কোটকৃত এই উদাহরণ দেখে সোজা হয়ে যান, নইলে আপনারাই আপনাদের কৃতকর্মের ফল হিসেবে ন্যাচারালী অপমানিত, লাঞ্চিত হতে থাকবেন ।
” আমরা পথচারি হিসেবে অচেনা কোন তরুনকে দেখে যখন হাসি মুখে বলি, “আস সালামু আ’লাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহী ওয়া বারাকাতুহ্ !” তখন সেই সচেতন শিক্ষিত তরুণও অত্যন্ত বিনয়ের সাথে হাসি মুখে জবাব দেন “নমষ্কার” ! বলে । এর নাম বাংলাদেশ ! বাংলাদেশ !! এবং বাংলাদেশ !!! ”

এই সোনার বাংলা তোমাদের দাসীকে দিয়ে চিরস্থায়ীভাবে নষ্ট করতে চেষ্টা করেছ একটানা ১৮ বছর । বেকুব মইন ইউ আহমেদকে ভুুয়া ভয় দেখিয়ে আমাদের সেনাবাহিনীর মেরুদন্ড ভেংগে দিয়েছ । বহু নাটক করেছ । কিন্তু ৩৬শে জুলাই’ ২০২৪ দুপুর ১২টার মধ্যেই তোমরা চুড়ান্তভাবে তোমাদের দাসী সহ পরাজিত হয়েছ । তারপরও নির্লজ্জের মত এখনো কিছু বেক্কল লোকজনের ঘাড়ে বসে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছ ? নিজেদের এতই চালাক মনে করছ তোমরা ???

সাবধান হও ! আগুন নিয়ে খেলছ । অপমানের জ্বালা মিটাতে তোমরা হায়দ্রাবাদ দখলের মত নাটক সাজিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করবে আমাদের? সেই একই আগুনে তোমাদেরও পুড়ে মরতে হতে হবে , একা আমরা পুড়ে মরব না সেই খেলায় । জাতি এখনো এতটা বেকুব হয়নাই ।

অতএব সাধু ! সাবধান !!!!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.