![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণতঃ ফজরের নামাযের পরই হাটতে বের হই ( শুক্র-শনিবার ব্যতিত) । চেষ্টা করি একাই হাটতে । এমন স্থান বেঁছে নেই, যেখানে মানুষ ও যানবাহনের সমাগম খুবই কম । কদাচ কারো সাথে মুখোমুখি হলে যথারীতি ”আস-সালামু আ’লাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্” বলে শান্তির দোয়া পৌঁছে দিতে চেষ্টা করি । কেউ জবাব দেন, কেউ দেন না ।
গত বছর ৮ই অক্টোবর সকালে একজন রিটায়ার আমলা এর সাথে সালাম বিনিময় হয় । সম্ভবতঃ তিনিও একা হাটার জন্য এই নির্জন পথ বেঁছে নিয়েছেন । তিনি চুপচাপ চলেন । আমিও তাই । কিন্তু মাঝে মাঝে যখন আবার দেখা হয়, আবার সালাম বিনিময় হয়, তখন কিছুটা আলাপ সংগত কারণে সামাজিক প্রাণী হিসেবেই চলে আসে । সে কারণে আজ তিনি কিছুটা নিজেই আমার সাথে গতি বাড়িয়ে হাটলেন এবং আরো একটু সামাজিক নৈকট্যে আসলেন । অনেক কথা-কুশল বিনিময় হলো ।
নানা রকম নীতি, নৈতিকতার আলাপচারিতাও উঠে আসল । এড়াতে পারিনি । কেউ যদি আমাদের সামাজিক ব্যবস্থায় আজ নীতি নৈতিকতার অনুপস্থিতি নিয়ে কথা তোলেন, সংগত কারণে আমার প্যাচাল আমার মত করেই শুরু হয়ে যায় । আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি ।
এক পর্যায়ে তিনি মূল যায়গায় আটকে যাবার পর আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন, “ আমি চেয়ারে থাকতে অনেক চেষ্টা করেছি, নৈতিকতার স্থানটি ধরে রাখতে । তবে---- । আর কিছু বলতে চান নি । শেষ কথা হিসেবে তিনি রাজনীতির নেতৃত্বে “বিকল্প না পাওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করে আমাকে প্রশ্ন ছুঁড়লেনঃ
বিকল্প নেতৃত্ব কি ছিল কখনও ? নাকি আছে ?
আমিও একমত হয়ে বললাম, “ অবশ্যই ছিল না এবং এখনও নেই বলেই মানুষ মনে করে । যদিও আমি রাজনীতি নিয়ে আগে কোনদিন কথা বলতাম না, এড়িয়ে চলতাম । কিন্তু ইদানিং মনে হয়, এ বিষয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমাদের সংগ দেয়া উচিৎ ।
তবে দিয়ে আরো কিছু কথা বলার পরে তিনি আর এগুতে চান নি । ওখানে শেষ করে দু’জনার ২টি পথে চলে এলাম । তিনিও মনে হয় হাফ ছেড়ে বাঁচলেন, হয়তো এর পরে রাস্তা বদল করবেন ।
শেষে আমার যে প্রশ্নের পর আর তিনি এগুতে চাইলেন নাঃ
১. বিকল্প নেই ভাবছি কেন আমরা ১৮ কোটি মানুষের এই দেশে ? এটা আপনার কাছে আমার একটা প্রশ্ন রইল । আরো ৪ খানা প্রশ্ন-
২. বিকল্প হিসেবে কি কেবলই মনে হয়েছে আমাদের দেশের দুইটা দলের একটার বিকল্প আর একটা ?
৩. পৃথিবীতে মানুষ কি কেবলই এরকম সীমাবদ্ধ বিকল্প নিয়ে এতদূর এগিয়েছে ?
৪. আমরা কি চিরকাল এই মাত্র ২ টা বিকল্প নিয়েই পড়ে থাকব ?
৫. কোন দায়িত্ব ছিল না গত ৫০ বছরে আমাদের পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রের কোন সুস্থ্য , স্বাভাবিক মানুষদের ?
অতঃপর পাদটিকাঃ আমাদের দেশের এখনও সব মানুষ একসাথে পঁচে যায়নাই । যদিও ভুয়া জিপিএ-৫ এবং অনৈতিক সংস্কৃতির আদোলে গোটা যুব সমাজকে পঁচে যাওয়ার সকল ক্ষেত্র প্রস্তত করে রাখা হয়েছে । তারপওর পৃথিবীতে মানুষের আগমণ রোধ করে রাখা যাবে না । আল্লাহর উপর আস্থা হারানোর মানুষ সবাই হতে পারে না । শুধুমাত্র জনশক্তিই সব কিছু নয় ।
যদি তাই হত, তাহলে আবরাহার হস্তী বাহিনীকে চর্বিত ঘাসে পরিণত হতে দেখত না তখনকার জনপদের মানুষেরা ।
©somewhere in net ltd.