নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এস এম ইমদাদুল ইসলাম

গহীনে রক্তক্ষরণ

ধার্মিক, সৎ, যোগ্য এবং মেধাবী তরুনদের আমি ছাত্র

গহীনে রক্তক্ষরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

৩৬ জুলাইয়ের সফল গণ অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ হিসেবে প্রতিষ্ঠত করার জন্য তথাকথিত গণতান্ত্রিক রাজনীতির আড়ালে মূলতঃ পচন ধরা পতিত ফ্যাসিবাদী রাজনীতির নামে অধিকাংশ নাগরিককে অমর্যাদাকরণ প্রসংগ

০১ লা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৪৭

বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা যে আমাদের দেশের ম্যাক্সিমাম সাধারণ মানুষকে কোন নাগরিক মর্যাদা দিতে চায় না, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ২০২৪ এর সফল গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট ফ্যাসিস্ট মানসিক বিকার গ্রস্থ্ এক অত্যাচারি শাসকের পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশকে মুক্ত করার ইতিহাসকে তারা অস্বীকার করছেন । কেন ?

কারণ সেই ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের মোড়কে ছদ্মবেশী রাজনীতিবিদরা ভয় পাচ্ছেন ।

ব্যাখ্যাঃ ব্যাপক সাধারণ জনগণই মূলতঃ এই রাষ্ট্রের মালিক । তাদের কাছেই প্রতি ৫ বছর পর পর যেতে হবে ভোট ভিক্ষার জন্য । এ জন্যই তারা মনে করেন, কিসের আবার গণঅভ্যুত্থান ? জনগন কোথায় ? আমরাইতো সব । সাধারণ ছাত্র-জনতা ? ওরাতো উঁইপোকা (অমিতশাহ’র ভাষায়) । ওদেরকে খুব অল্প মূল্যে ক্রয় করা যায় । তাই ওরা আপাতত জোড়া-তালি মার্কা সংস্কারের নাটক করে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে আসলে আগের মতই গণতন্ত্রের লেবাসে একইভাবে আমলানির্ভর ভোটিং সিষ্টেমটাও বহাল রেখে যেনতেনভাবে ক্ষমতায় যেতে । কেননা ইতমধ্যে মাঠ পর্যায়ে মুজিবকোট খুলে যারা তাদের কর্মীদের সাথে মিলে-মিশে গিয়েছে, তাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে । মূলতঃ ১৯৯৬ সাল থেকেই এই কালচার চলে আসছে । এরকম রমরমা বিনাপুঁজির ব্যবসা-বাণিজ্য থেকেতো তাদের বের হবার পথ নেই, বের হতেও তারা চাইছে না । উনারা বলেন না ? এত বড় দল ! সামাল দেয়াওতো মুশকিল । এতবড় দল মানে কি ? এত বড় বিনাপুঁজির বাণিজ্য নির্ভর দল ? এদের রাজনীতি হচ্ছে মূল প্রফেশন । অন্য সময় বেকার হয়ে যায় বলে কম্প্রোমাইজ করে পার্সেন্টেজ ভাগাভাগি করে বেঁচে থাকে । প্রায় ৫০ বছর এভাবে তথাকথিত গণতন্ত্রের নামে যে পার্সেন্টেজ ভাগাভাগি করে খাওয়ার কালচার চালু রয়েছে, তা থেকে সরে গিয়ে কিসের আবার নাগরিক মর্যাদা ???


এই ১৬ বছর তাদের বোঝা উচিৎ ছিল, এটা ২০০১ সাল নয়, ২০২৪ । ২৩ বছরের ব্যবধানে একটা বিরাট প্রজন্ম, যারা এখনকার ভোটার হয়েও আরো মেচিওর্ড হয়ে গিয়েছে , আরো ফরোয়ার্ড হয়ে গিয়েছে। যাদের ভোটের অধিকারের জন্য এই সব নেতারা আজীবন গালভরা বুড়ি আউড়িয়েছে,বিশেষ করে গত ১৬টা বছর তাদের প্রধান প্রধান নেতারা সহ তাদের মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীদের জেল, জুলুম, নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে সেই তারাই এখন চোখ উল্টে কথা বলছেন । অথচ তাদের উচিৎ ছিল এই প্রজন্ম থেকে মেধাবী, শিক্ষিত, ধার্মিক, দক্ষ মানুষদের নিয়ে শক্তিশালী আদর্শ গনমুখী দল তৈরী করা, যাদেরকে তৃণমূলের মানুষরা ১৬ বছরে আপন করে ভাববে এবং তাদেরকে বিশ্বাস করবে । কিন্তু তারা সেটা না করে বরং কি করেছে ? শুরুতেই যেটা হতে পারত, সেটা না করে তার বিরোধীতা করেছে । যে শেখ পরিবারের সংবিধানের জন্য ফখরুল সাহেব কান্নকাটি করেন, যে প্রশত আলোর জন্য তার এত দরদ, সেই সংবিধান, সেই আলুরাই তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছে । অথচ তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ না করে উল্টে তারাই ৫ই আগষ্ট এর বিপ্লবকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে শেখ পরিবারের পারিবারিক সংবিধান এর দোহাই দিয়ে গণবিপ্লবকে সম্মান না করে , গণমানুষের এত বড় গণরায়কে উপেক্ষা করে সেই ফ্যাসিবাদের হাতেই বিপ্লবের মাধ্যমে গঠিত সরকারকে ডাইভার্ট করে একটা দুর্বল পুতুল সরকারে পরিণত করতে সহায়তা করেছে এবং এখনো সেই জোড়া-তালি দিয়ে যেনতেনভাবে ক্ষমতায় যাবার জন্য উন্মাদ হয়ে গিয়েছে ।

কি জন্য তারা এই সরকারকে একটা ভংগুর , দুর্বল সরকার গঠণে সহায়তা করেছে ?

কারণ তারা ব্যাপক গণমানুষের এই রায়কে প্রতিষ্ঠিত হতে দেয়নাই এই ভয়ে যে, এই সরকার এত ব্যাপক জনগোষ্ঠীর এই রায় এর ভিত্তিতে যে সরকার গঠণ করবে, তার আলোকে সংবিধান বাতিল করে গণভোট নিয়ে সংবিধান পরিবর্তন করে ফেলবে এবং রাজনীতি সহ রাজনীতির নামে রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে যেভাবে জনগনের সম্পদ লুটপাট করে নিজেদের আখের গোছানোর ৫৪ বছরের কালচার চলে আসছে, সেই সকল ছিদ্র পথ বন্ধ করে দিবে ।

হিসেবটা ক্লিয়ার কি না ??

অতএব ৩১ শে ডিসেম্বর ছাত্র-জনতার আবার মিলিত শক্তি প্রমাণ করে দিয়েছে, এই দেশের ম্যাক্সিমাম গণমানুষের চাওয়া আসলে কি ?
এই রাষ্ট্রের মালিক ১০ লাখ চরিত্রহীর আমলা নয়, যে চাকরগুলোকে এই জনগন বেতন দিয়ে পুষছে । এই রাষ্ট্রের মলিক ঐ সব সামরিক জেনারেলরা নয়, যাদেরকে এই দেশের জনগন তাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্জিত টকা দিয়ে বেতন, রেশন, সুযোগ-সুবিধা খাওয়ায়ে দেশ রক্ষার দায়িত্ব দিয়েছে ।

এই উভয় শ্রেণীর চাকরগুলোকে বলছি, সাবধান হয়ে যান । এভাবে জনগনকে অপমান করার জন্য এই দেশের মালিক পক্ষ আপনাদের বেতন দেয় না ।

আর বুড়ো , বাতিল, অসুস্থ্য নেতাদের বলছি, দয়া করে অবসরে যান । দেশের নেতৃত্ব দেশ প্রেমিক, ধার্মিক ( তিনি যে ধর্মেরই হোন ) মেধাবী, শিক্ষিত, যোগ্য, তরুদের হাতে ছেড়ে দিয়ে চুপ হয়ে যান । ৫৪ বছরে ভন্ডামী করে বহু ক্ষতি করে ফেলেছেন । আপনাদের মোনাফেকীর ফল ভোগ করেছে এই জাতি গত একটানা ১৬টি বছর । নতুন করে আর কোন মোনাফেকী না করে জনগনকে সম্মান করতে শিখুন । এ প্রজন্মের জনগনকে নিয়ে এভাবে তামাশা করার দিন শেষ হয়ে গিয়েছে । দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিবেন না ।

১০ লাখের মধ্যে কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ লাখ দুর্নীতিবাজ, সুবিধাখোর, ফ্যাসিবাদের দোষর আমলাদের ছেটে দিতে হবে । জেনারেল সাহেবরা যদি সত্যিকার অর্থে কোন নাটক করে হিরো না হয়ে থাকেন, সম্মান করুন সেই জনগনকে । তাহলে আপনারা হবেন রিয়েল হিরো ।

বড় দলগুলোই থাকুন রাজনীতিতে । তবে বুঝতেই পারছেন, তওবা করে মোনাফেকী ছেড়ে অযোগ্য , বাতিল , ভারতের দালালদের বের করে দিয়ে একঝাক মেধাবী তরুণদের নিয়ে দলের সংস্কার করে আসুন । কোন অভিনয় না করে সত্যিকারভাবে জনগনকে সম্মান করুন । পতিত সংবিধানকে কবর দিন । ফ্যাসিবাদের দোষরদের উৎখাৎ করুন । জনগনকে সঠিকভাবে ভোট দেবার পথ করে টেকসই গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরী করে রাষ্ট্র নির্মাণ করুন । চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে । না হলে মরে কবরে গেলে ওপারে গিয়ে জবাব দিবেন কি ? না কি ওপারে আল্লাহর বিচারকে বিশ্বাস করেন না ??

আল্লাহ আমাদের সবার জন্য শান্তি দান করুন ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.