![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৬ বছরের আওয়ামী দু:শ্বাসনের কবলে পড়ে আদালতের রায় থাকার পরও জোর করে দখল করে রেখেছে। ওদের পতন হওয়ার পরও গত মাসে একই নাটক মানবিকতার ঢাল হিসেবে নিরিহ মানুষের মিছিল বের করে সিন ক্রিয়েট করে উচ্ছেদ কাজ স্থগিত করে এই আদেশ প্রায় ১ মাস পরে আগামী ২৬-২৭ জানুয়ারী স্থির করা হয়েছে।
কিন্তু আবারও নাটকের সুর বাজানো হচ্ছে। আমি সংশ্লিষ্টদের সাবধান করছি। এই প্লট মালিকদের সংখ্যা কম এবং অর্থনৈতকভাবে দুর্বল মনে করে আবারও যদি উচ্ছেদ কাজ বন্ধ করে মালিকদের সাথে প্রতারণা করা হয়, তার পরিণতি কিন্তু কারো জন্যই ভালো হবে না।
কেন বলছি পরিণতি কারো জন্যই ভালো হবে না ?
ইতমধ্যে আমাদের কানে এসেছে, এই জমি উচ্ছেদ নিয়ে আবার নাটক শুরুর পায়তারা শুরু হয়েছে । খুলনার সবাই জানেন, এই নাটকের জন্ম দিতে সহায়তা করেছে স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসী নেতা সহ অন্য দলের নেতারাও । সেই সাথে সহযোগীতা করেছে খুলনা হাউজিং অফিসেরও কিছু লোক ( এটা সাবেক একজন এক্স-এন সাহেব বলেছিলেন ) । তিনি তাদের সাথে ফাইট করে পারেন নি । তিনি একজন সৎ লোক ছিলেন । আর তাদের সাথে সহযোগীতা করত খুলনা জেলা প্রশাসন । গত মাসেও অভিযোগ শোনা গেছে ছাত্র সমন্বয়ক এবং জেলা প্রশাসক চাঁদাবাজদের কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা ঘুষ খেয়ে উচ্ছেদ আদেশ স্থগিত করিয়েছে । আমরা এটা বিশ্বাস করতে চাই না । তবে যাই ঘটুক, এবার যেন সেটা না হয়, তাই সংশ্লিষ্ট দাািয়ত্বশীলগন, আপনারা বিষয়টা একটু সিরিয়সলী নিন । খুলনার এক্স এন এবং ডিসি সাহেবকে একটু কঠোর হতে হবে । আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পতনের পরও প্রতিবার উচ্ছেদের সময় এই একই নাটক করা হয় শুধুমাত্র ঘুষ খেয়ে । কারণ আমাদের জনবল প্রায় সবাই নিরিহ, সংখ্যায় কম এবং অর্থনৈতকভাবেও তারা দুর্বল । তারা ঘুষ দিতে অপারগ বলেই সুবিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে বার বার । দয়া করে এবার সেটা হতে দিবেন না ।
আমি কেন বলছি, এবার পরিণতি কারো জন্য ভালো নাও হতে পারে ? আবারো মন দিন এই কথাগুলোর দিকেঃ
গত মাসে মালিকদের পক্ষ থেকে ডিসি অফিসে মানব বন্ধনের সময় আমাদের প্লট মালিকদের গ্যাদারিং এর ভেতরে কোন এক যুবক বলছিল, “এরপর কিন্তু আগুন জ্বলবে !” কথাটা শুনে আমরা সিনিয়ররা বলেছিলাম, “ কথাটা কে বললে ?” কোন যুবক স্বীকার করেনাই । ভাবুনতো, আমরা ৪২ জন মালিক । এত বছর সহ্য করেছি । কারো মথায় ঐ বস্তিতে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিশোধ নেবার চিন্তা ছিল ? না কিন্তু । অথচ দেখেন, আজ তাদের ঘরে ঘরে নাতি-পুতাদের প্রজন্ম বড় হয়েছে । ভাবুনতো, কত বড় জুলুমের যন্ত্রনা তাদের মাথায় কাজ করছে ? আল্লাহ না করুন, এবার যদি ডিপ্রাইভ হয়ে কোন যুবক এমন কাজ করে বসে, তাহলে তার দায় কে নেবে ?? এ জন্য বলছি, কুচক্রিরা ঘুষ বহু খেয়েছে এ যাবৎ । এই নাটক আর যেন কেউ না করে । উচ্ছেদটা ভালোয় ভালোয় করে দিতে বলুন । না হলে আল্লাহই বোধকরি এবার বিচারের ভার তুলে নিবেন ।
হাসিনার সাথে সাথে ভারতেরও ভরাডুবির কথা ভাবুন । ট্রাম্প তাদের ডুবায়নাই । আল্লাহই ডুবিয়েছেন । অতএব সবাই আল্লাহকে ভয় করুন ।
আল্লাহ হাফেজ ।
©somewhere in net ltd.