নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এস এম ইমদাদুল ইসলাম

গহীনে রক্তক্ষরণ

ধার্মিক, সৎ, যোগ্য এবং মেধাবী তরুনদের আমি ছাত্র

গহীনে রক্তক্ষরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি কবর থেকে শেখ মুজিব বলছি !!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৫১


আমি বড় কষ্টে আছি ।

১৯৭৫ এর ১৫ ই আগষ্ট এর পর থেকে ১৯৮১ সালের জুন মাস পর্যন্ত ভালো ছিলাম । খুব বড় রকম কবর আযাব হচ্ছিল না । কিন্তু ১৯৮১ সালের জুলাই মাস থেকেই আমার উপর কবর আজাব বাড়তে থাকে । ২০০৭-০৮ সালে এই আযাবের মাত্রা এত তীব্র হচ্ছিল । ২০১৪ থেকে একটানা ২০২৫ পর্যন্ত এখনো যে পরিমাণ কবর আযাব বেড়ে চলেছে, তাতে আমি অস্থির হয়ে পড়েছি । আমি আযাবের ফেরেস্তাদের কাছে বার বার জানতে চাচ্ছিলাম , “আমাকেতো তোমরা প্রথম এত আযাব দিতে না, এখন এভাবে আযাব বাড়াচ্ছ কেন ?

ফেরেস্তারা বলল, তুই যে কুলাংগার মেয়েকে জন্ম দিয়েছিলি, সে প্রতিনিয়ত তোর জন্য এই আযাব প্রেরণ করছে । আমরা কি করব বল ?

আমি অবাক হয়ে বললাম, “সে কি করে আমার জন্য আযাব পাঠাচ্ছে ?” কি করছে সে ??

আমরাতো জানি না । আমরা কেবল হুকুম পালন করছি ।

==============================

এবার আমরা জনগন মিলিয়ে দেখি, একটা চুড়ান্ত হিসাবের ব্যালান্সশীট

১৯৮১ সালের জুলাই মাসে বিবিসিতে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় কি বলেছিল হাসিনা ? তৎকালিন বিবিসি সংবাদদাতা সিরাজুর রহমান সাহেব, যিনি তখন বিবিসি বাংলাবিভাগে তার সাক্ষাৎকার রেকর্ড করার সময় উপস্থিত ছিলেন । তার লেখাংশ এরকমঃ

“ একটা বদ্ধমূল আবেশ (অবসেশন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পেয়ে বসেছে। তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবাসতে এবং শ্রদ্ধা দেখাতে তিনি বাংলাদেশের মানুষকে বাধ্য করবেন।

শেখ হাসিনার এই অবসেশনের সাথে আমি পরিচিত। তিনি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার পরপরই লন্ডনে এসেছিলেন। আমি বিশ্ব মিডিয়ার সাথে তার পরিচয় করিয়ে দেবো ভেবেছিলাম, যেমন ১৯৬৯ সালে তার পিতাকে আমি লন্ডনে কর্মরত ব্রিটিশ ও অন্যান্য দেশীয় বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম। প্রথমেই আমি বিবিসির বার্তা কক্ষে তার সম্মানে একটা পার্টির আয়োজন করি। একপর্যায়ে আমার সহকর্মী জন রেনার ও আমি নেত্রীকে স্টুডিওতে নিয়ে যাই। জন ইংরেজিতে আর আমি বাংলায় তার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম সেদিন।

ইংরেজি সাক্ষাৎকারের শুরুতেই জন রেনার শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞেস করেন দলের নেত্রী হয়ে তার কেমন লাগছে। তিনি বললেন, মোটেই ভালো লাগছে না তার, আসলে তিনি রাজনীতিতে আগ্রহী ছিলেন না। বিষ্মিত জন তখন জানতে চাইলেন তাহলে তিনি কেন দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করলেন। শেখ হাসিনা বললেন, তিনি রাজনীতিতে নেমেছেন প্রতিশোধ নিতে। ওরা তার বাবাকে মেরেছে, মাকে মেরেছে, ভাইদের মেরেছে, তিনি তার প্রতিশোধ নেবেন বলেই দলের নেত্রী হয়েছেন। ইশারায় জনের সম্মতি নিলাম, তারপর স্টুডিও ম্যানেজারকে বললাম রেকর্ডিং থামাতে। বাংলায় শেখ হাসিনাকে বললাম, তিনি এ ধরনের কথা বললে বাংলাদেশের মানুষ কি তা গ্রহণ করবে। তারপর ও প্রসঙ্গ বাদ দিয়েই আমরা আওয়ামী লীগের নতুন নেত্রীর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। তারপর থেকে আমার ভালো কথা কিংবা পরামর্শও শেখ হাসিনার ভালো লাগেনি।

এই স্বপ্ন নিয়ে ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত এই দেশের জনগনের সাথে প্রথমে অভিনয় করে এসেছে ।

এর পর ২০০৭-০৮ সালের লগি বৈঠার রাজনীতি !

২০০৯ থেকে একটানা বাংলাদেশকে জংগীবাদী রাষ্ট্র বানানোর নাটক !!

২০১৪ এর ভুয়া নির্বাচন , আগুন জ্বালিয়ে মানুষ পেড়ানোর কালচার !!!

২০১৮ এর রাতের ভোটের নির্বাচন , গুম, খুন, আয়না ঘরে নির্যাতন সহ সকল বিরুদ্ধবাদীদের কন্ঠরোধ । পুরো দেশকে জিম্মি করে মহা ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট নিজে যেমন করেছে, তেমনি তাকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য দেশী , বিদেশী সবাইকে লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে !!!!

২০২৪ এ ডামী নির্বাচন এবং শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আড়াই ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া !!!!!

শুধু তাই নয়, পালিয়ে গিয়েও ভারত সরকারের প্রত্যক্ষ/পরোক্ষ সহযোগীতায় বাংলাদেশকে নানা রকম মিথ্যা গল্প সাজিয়ে সারা বিশ্বে প্রচার দিয়ে অস্থিতিশীল রাখা !!!!!!

এমনকি সে প্রকাশ্যে দেশের ভেতরে নিজের ক্ষমতাকে জানান দেবার জন্য ভিডিও কনফারেন্স করে ভাষন প্রচার ব্যবস্থা করেও বুঝিয়ে দিয়েছে সে কত বড় একটা কুলাংগার !!!!!!!

অবশেষে তার এই বাড়াবাড়ির পরিণতি ৫ই ফেব্রুয়ারী ২০২৫ রাত থেকে শুরু করে ৬ই ফেব্রুয়ারী সকাল পর্যন্ত সকল পাপের আখড়াখানা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি “ বিপ্লবী ছাত্র জনতা কর্তৃক গুড়য়ে দেয়া হয়েছে।”

শেখ মুজিবের গোর আযাব বেড়ে যাওয়ার কারণ বুঝতে কোন অসুবিধা আছে ? হিসাব ক্লিয়ার ??

অপ্রিয়ভাজনেষু ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.