![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চাঁদ দেখে রোজা থাক, চাঁদ দেখে রোজা ভাংগ । এই নির্দেশ কি পৃথিবীর মানচিত্র ভিত্তিক ?
তোমরা চাঁদ দেখে রোযা রাখ এবং চাঁদ দেখেই তা ভঙ্গ কর (অর্থাৎ ঈদ কর)। বুখারী : ১৯০৯ ।
এই হাদীস কি তাই প্রমাণ করে ?
আসলে রাসুল(সঃ) এর নামে এই কথা নিয়ে আরো অনেক জাল হাদিস রয়েছে , যেগুলোর উপর বেশী জোর দিয়ে এক শ্রেণীর আলেমগন রাসুল(সঃ) সেই আকুতির কথা বেমালুম চেপে গিয়ে জিদ ধরে বসে আছেন , মানচিত্র ভেদে পৃথিবীর মানুষ যেখান থেকে চাঁদ দেখতে পাবে না, তারা রোজা রাখবে না ? ফুল স্টপ করে দিয়ে কথা বলছেন অনেকে আলেম । বিনয়ের সাথে বলছি, আপনারা কি তাহলে হিলাল (নব চাঁদ) দেখা গিয়েছে, এই সংবাদ অধুনা যুগে মুহুর্তের মধ্যে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ার পরও গোঁ ধরে বসে থাকবেন ?
হ্যা, যুক্তির সামনে হেরে গিয়ে শেষ পর্যন্ত কি বলছেন ?
সরকার ঘোষণা না দিলে এটা মানা যাবে না ।
কোন একটা দেশের সরকার কি গোটা জাহানের মুসলিম উম্মাহ্’র ঠিকাদারী নিয়েছে না কি ?
সরকার যদি ইসলাম না বোঝে, কুরআনের আয়াত না বোঝে, মুসলিম উম্মাহ্ কনসেপ্ট না বোঝে, তাহলে সেই সরকারের ঘোষণা মানতে গিয়ে মুসলিম উম্মাহ্ তার বৈধ আকিদা থেকে বিমুখ থাকতে কেন বাধ্য থাকবে ? আমাকে দয়া করে যুক্তি দিয়ে বোঝাবেন ।
রাসুল(সঃ) এর যামানায় পৃথিবীতে মানব জাতির আবাস কতদূর বিস্তৃত ছিল ? তিনি কি সূরা বাক্ক’রহ্ এর ১৮৯ নম্বর আয়াত মোতাবেক নবচাঁদ পৃথিবীতে কোথায় উদয় হয়েছে সেটা অনুভব করতেন না ? করতেন কিন্তু । তার প্রমাণ তিনি ২৯ দিন অতিক্রম হলেই হিলাল( নবচাঁদ) দেখার জন্য যতদূর পশিচমে দূত পাঠানো সম্ভব ততদূর পাঠিয়ে হিলাল(নবচাঁদ) উদয়ের খবর নিয়ে তবে সিদ্ধান্ত দিতেন । এর মানে কি ? সেই যামানায় যদি কা’বা থেকে সর্বশেষ পশ্চিমে দূত পাঠিয়ে চাঁদ দেখার সহজ ব্যবস্থা আজকের যুগের মত থাকত, তাহলে রাসুল(সঃ) এর সিদ্ধান্ত কি সেটাই হত না ? তখন কি মানতেন না ?
মানতেন । তার কারণ আপনারা এটাও মানেন, একবার রাসুল(সঃ) ২৯ রোজা শেষে চাঁদ দেখতে না পেয়ে ৩০ তম রোজা রাখতে বললেন সবাইকে । কিন্তু এক বেদুঈন এসে খবর দিয়েছিল যে গতকাল সে চাঁদ দেখেছে । তিনি সাথে সাথে সকলকে নিয়ে রোজা ভেংগে ঈদ উদযাপন করলেন । বলেন ? এইটাতো আপনারা মানেন । তাহলে কি প্রমাণ হয় ?
রাসুুল (সঃ) এর নবচাঁদ দেখে রোজা রাখার এবং নবচাঁদ দেখে রোজা ভাংগার হাদীস কুরআনের ২ নম্বর সূরার ১৮৯ নম্বর আয়াতের সংগে পরিপূর্ণ সামঞ্জস্য রয়েছে । তাহলে বর্তমান যুগে শুধু কা’বার লোকেদের দেখা নবচাঁদও যে গ্রহণযোগ্য হয় না, তা গত বছর তাদের ভুল স্বীকারের মাধ্যমে সকলেই অবগত হয়েছেন ।
আসুন, বিভ্রান্তির জাল ছিন্ন করে ফেলি আমরা সকল মুসলিম ঐক্যবদ্ধভাবে । কুরআন হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান । যে বিজ্ঞানের কাছে সকল রথি-মহারথিরা নতযানু হতে বাধ্য হয়েছে কি না ? তাহলে সেই বিজ্ঞান বলছে, পৃথিবীতে নবচাঁদ উদয়ের সাথে সাথে তোমাদের হজ্জ্ এর মাস গননা এবং দিন , মাস , বছর গননা শুরু করতে হবে । আর সেই বিজ্ঞানের কাছে মাথানত করা সকল বিজ্ঞানীরা নবচাঁদ উদয়ের খবর মুহুর্তের মধ্যে সারা পৃথিবীকে জানিয়ে দিচ্ছে । আর এই জানানোর ঘোষণা শুনে ও আই সি এর ৫৭টা সদস্য দেশের মধ্যে ৫৪টা দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে একই চান্দ্র ক্যালেন্ডার ফলো করছে । অথচ আমাদের পাক-ভারত-বাংলাদেশের সরকারগুলো সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন না কিসের ভিত্তিতে ? তারা নিজেরা এত বোঝেন ? ও আইসির সিদ্ধান্ত তারা মানবেন না কেন ? কারণ আপনাদের যুক্তি হচ্ছে-
অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামের মতবিরোধ রয়েছে, সেই কারণে সরকার সিদ্ধান্ত পারছে না । এটা কোন যুক্তির কথা হলো না ।
জাহিলিয়াতের যুগে জাহেল বা অশিক্ষিতরা চিরকালই হক্ব এর পথে বাঁধা সৃষ্টি করেছে । আজও করবে । বাতিল পক্ষের জনগন চিরকাল বেশী ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে । কিন্তু তাই বলে কি হক্ব প্রতিষ্ঠিত হবে না ? হ্যা, হবে । যিনি হক্ব আর বাতিল এর পার্থক্য বুঝবেন, তিনিই সেটা করবেন ।
রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারা বসেন, তাদের যদি সেটা বোঝার ক্ষমতা না থাকে, তাহলে হক্ব যারা বুঝেছেন, তারা কি সরকারের ঘোষণায় ভুল পথে হাটবে ? এটা আকিদার বিষয় । সরকার কোন নাগরিকের হক্ব আকিদায় বাঁধা প্রধান করতে পারে না ।
আমাকে যুক্তি দিয়ে বোঝাতে হবে । আবেগ দিয়ে আর জাল হাদীস দিয়ে নয় ।
সহীহ হাদিসতো অবশ্যই সবচেয়ে সহীহ । ” তোমরা চাঁদ দেখে রোযা রাখ এবং চাঁদ দেখেই তা ভঙ্গ কর (অর্থাৎ ঈদ কর) “। বুখারী : ১৯০৯ ।
আর এই হাদীস কুরআনের উল্লেখিত আয়াতের আদেশ সমর্থন করে । সুতরাং মুসলিম উম্মাহ পৃথিবীর যে প্রান্ত থেকে খবর দিবে ”নবচাঁদ” উদিত হয়েছে, এই খবর শোনার পর ঐ হাদীসকেই যারা অমান্য করছেন, তারা মুসলিম উম্মাহকে মানচিত্র দিয়ে পৃথক করে ফেলছেন । তারা জুলুম করছেন । উম্মাহ কনসেপ্ট এর ধারনাকে ধুলিস্যাৎ করতে চাইছেন । ৩ দেশের সরকার বিবেচনা করে দেখুন, তারা কি চান ?
পাক-ভারত-বাংলাদেশের সরকার যদি বিভাজন চান, তাহলে সে ব্যর্থতার দায় সরকারগুলোর । কোন হক্কপন্থী মানুষকে আপনারা আন্তর্জাাতিক চান্দ্র ক্যালেন্ডার মানার বিরোধীতা করতে পারেন না । সে অধিকার আপনাদের নেই ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪২
গহীনে রক্তক্ষরণ বলেছেন: বাংলাদেশের আলেমরা যখন মানুষের এমন ছটফটানী শুনবেন, তখন বুঝবেন আপনারা কি ভুল করছেন ? ঐক্যবদ্ধ হতে না পারায় সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বলে অযুহাত তুলছেন ? শুনুন, সাধারণ মানুষ কি বলে ? গত ৩রা মার্চ আমার পুত্রবধুকে আপনাদের নিয়মের ২য় রোজায় রাত পৌনে আটটায় রওয়ানা দিলাম এয়াপোর্টের উদ্দেশ্যে । পশ্চিম গেইট দিয়ে বের হবার সময় বড় একখানা চাঁদ ( তথাকথিত ২য় রামাদানের চাঁদ) দেখে আমাদের ড্রাইভার বলল, স্যার, এত্ত বড় চাঁন এত্ত উপরে আকাশে এহোনো ? এইডা ক্যামনে ২ রোজার চাঁন অইলে স্যার ? আমনে তো ঠিকই কইছেন স্যার, মোরাতো ভুল হরতাছি । এই চাঁন ২ রোজার অইতেই পারে না । এইডা মানোন যায় না । আমাগো হুজুররা সরকাররে এইডা বুজাইতে পারে না ? এইডা এট্টা কতা অইল ? আমি আর কী বলব ! বেচারাকে বললাম , তোমরা পারলে নিজেদের আমল ঠিক কর চুপচাপ । না পারলে য্যামনে চলছে, তা মাইনে চলো । বেচারা চুপ হয়ে গেল ।
আমাদের সম্মানিত হানাফী মাযহাবের আলেম সমাজ, আর কতকাল মানুষকে চুপ করাইয়া রাখবেন ? এই বেকুবী ছাড়েন । সরকারকে বলেন, ও আইসির সদস্য অন্যান্য ৫৪ দেশের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন, দেখবেন, ভারত পাকিস্তানও সাইজ হয়ে যাবে ।