![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
https://www.youtube.com/watch?v=lYEyE1MyjTY
পিনাকী এখন বলেন ?
এখন জাতিকে সতর্ক করেন ? অথচ ১৯৯১ সাল থেকে জাতিকে লাগাতারভাবে সতর্ক করে আসছিলেন কিছুু মুচি । কিন্তু জাতি তা গ্রহণ না করে গোবুচন্দ্রদের বিশ্বাস করেছিল । সেই সময়ের ইত্তেফাক সহ সকল বড় বড় পত্রিকায় লেখা কলামিষ্টদের লেখাগুলো খুঁজে দেখুন, এ যামানার লেডি ফিরআউন হাসিনার মত একটা সাইকোর উদ্দেশ্য কি ছিল ? ভারত তার মত একটা সাইকোপ্যাথিস্টকে দিয়ে কিভাবে সেই উদ্দেশ্য ষোলা আনা হাসিল করে নিয়েছে ?
এই জাতি ১৯৭১ সালের বিপ্লব সফল করেছিল । বিজয় অর্জন করেছিল । কিন্তু তা রাতারাতি ছিনতাই করেছিল ভারত । এটা বুঝতে সময় লেগেছিল অল্প দিনই । এটা এই জাতি বুঝেছিল বলেই ১৯৭৫ ঘটেছিল প্রতি বিপ্লব । যার পরিণামে দেশ সঠিক পথে এগিয়ে চলার সুযোগ হাতে পেয়েছিল । কিন্তু তখনকার রাজা মিয়া মুচিদের কথা না শুনে গোবু চন্দ্রের পরামর্শ নিয়েছিল । ১৯৭২-১৯৭৫ এর মধ্যেই প্রমাণ হয়েছিল “আওয়ামী মুসলিম লীগ” যেদিন থেকে “আওয়ামীলীগ” নাম করণ করেছিল, তখন থেকেই তারা আর কোন রাজনৈতিক দল ছিল না । সেটা ছিল ভারতের পেইং এজেন্ট চিরশত্রু, দেশদ্রোহী একটা ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী । তাই ১৯৭৫ এর বিপ্লব বিজয়ের সাথে সাথেই তাদের নিষিদ্ধ না করে যে পাপ করেছিল, সেই পাপের পরিণতি ভোগ করেছে এই জাতি ২০২৪ সালের ৪ঠা আগষ্ট পর্যন্ত । এটা তরুণ প্রজন্ম এবং পোড় খাওয়া আমজনতা ১০০% বুঝতে পারলেও এই দেশের চিরশত্রু কিছু ভারতের দালাল “১০০% মোনাফেক” ক্ষমতাধর পলিটিশিয়ান, বুদ্ধির ফেরিওয়ালা, প্রতিষ্ঠিত দেশদ্রোহী শক্তিশালী দালাল কয়েককটা গণমাধ্যম জাতিকে এখনো ঘোল খাওয়ানোর কাজ করে চলেছে । আফসোস !!
আমাদের শত্রুরা খুব ভালো করেই জানে, এই দেশের জনগন তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করে নেয়া নাগরিক অধিকার, আত্ম সম্মান, মর্যাদা সুরক্ষার জন্য কোন ধরনের নেতাকে শাসন ক্ষমতায় দেখতে চায় ? তাই তাদের যত রকম শয়তানী করার দরকার , তা প্রতিটি বিপ্লব ঘটার সাথে সাথেই করতে শুরু করে । কিন্তু এক সময় তথ্য প্রবাহের এতটা অবাধ প্রবাহ না থাকায় মানুষ আসলে বুঝতে পারত না শয়তানরা কিভাবে, কোন ফাঁক দিয়ে তাদের শয়তানী সফলভাবে জাতির ঘাড়ে চাঁপিয়ে দিয়ে বেকুব বানিয়ে রাখতে সক্ষম হয় ? কিন্তু এই যুগে যে সেভাবে বেকুব বানানো সম্ভব নয়, এটা তারা বোঝে । শয়তানরা এটা বোঝে বলেই কিন্তু এই যুগে এসেও তারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে একজোট হয়েছে। একটার পর একটা শয়তানী সফল করার মিশনে নেমে প্রায় সফলতার কিনারে যেতে সাহস করেছে কি না? কারণ কি পরিস্কার নয় ? তাহলে আমরা যারা সচেতনতার দাবী করি, ঈমানের দাবী করি, আমরা কি কিছু বুঝি ? অবশ্যই কিছু মানুষকে এখনো আল্লাহ চেতন রেখেছেন । তাই অল্প হলেও তারা বোঝে ।
কিন্তু এতসব কিছু জানা বা বোঝার পরেও কেন শয়তানরাই বার বার সফল হয় ? দেশ প্রেমিক আম-জনতার হাত থেকে কেন বিজয়ের সফলতা বার বার বেহাত হয়ে যায় ?
ঈমানদার, দেশ-প্রেমিক জনশক্তি সংখ্যায় খুবই কম বলে ? না । এক কথায় এই দেশের মানুষ অধিকাংশ মুসলমান দাবী করি বটে, কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই বুঝে হোক বা না বুঝে হোক “মোনাফেকীতে জড়িয়ে রয়েছে” । শুধুমাত্র এই একটা কারণে আল্লাহ তাদেরকে বার বার মোনাফেকী ছেড়ে তওবা করার সুযোগ নেয়ার সুযোগ করে দিলেও কপালপোড়া জাতি সেই সুযোগ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়ে আসছে । এই কারণে রাষ্ট্র দেশ প্রেমিক নেতা পাওয়ার পরও সফল হতে পারছে না রাষ্ট্রটি । কেন ? কারণ এই কাফেলার মধ্যে অর্থাৎ রাষ্ট্র ক্ষমতার মধ্যে জাতির ভেতর থেকে “মোনাফেক” ক্ষমতাবানদের হাতে রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্যবহারের সুযোগ করা হচ্ছে নানা রকম নাটক করে । মানুষ তার পছন্দের মানুষকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করবে ? সেই পথ রূদ্ধ করা হয়েছে । পাশের দেশের শয়তানদের সহয়তায় সুযোগ সন্ধানী “মোনাফেক”দের ছদ্মবেশে রাষ্ট্র ক্ষমতার ভেতরে অনুপ্রবেশ ঘটানো হয় । এদের সংখ্যা অনেক বেশী । অর্থ-সম্পদ প্রতিপত্তি, ক্ষমতার লোভ, গণতন্ত্রের লেবাস পরে অভিনয় করে ভালো মানুষ সেজে জনগনের বিশ্বাস অর্জন করে রাষ্ট্র ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার ক্ষমতা এসব “মোনাফেকদের” খুব বেশী । তাই সব শয়তানরা ক্ষমতাধর এসব মোনাফেকদের ঘাড়ে পা রেখে তাদের শয়তানী কার্যক্রম রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয় বার বার । এভাবেই মোনাফেকদের সহায়তায় দেশ প্রেমিকরা বিজয় হাতে পেলেও রাষ্ট্র ক্ষমতার সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে । কেননা তাদের ঘাড়ের উপর ক্ষমতাধর এ দেশীয় মোনাফেকদের শক্তিশালী অবস্থানে বসিয়ে দিয়ে তাদের মিশন সফল করে ফেলছে বার বার । ১৯৭১ এ সফল হয়েছিল, ৭৫ এর প্রতি বিপ্লবে অর্জিত সফলতাকে একইভাবে ৮১তে ছিনিয়ে নিয়েছিল । ২০২৪ এর সফলতাও কেড়ে নেয়ার সকল বন্দোবস্ত পাকাপোক্ত করার মিশনে একই ফর্মুলায় শয়তানরা শক্তিশালী হয়ে উঠতে সকল রকম চেষ্টা করে যাচ্ছে । শয়তানরা ঠান্ডা মাথায় ঐক্যবদ্ধ থেকে সফলতার পথে অনেকখানি এগিয়ে রয়েছে ।
এই বিষয়ে সচতেন রয়েছে দেশের কিছু ঈমানদার, দেশ প্রেমিক মানুষ । কিন্ত তারা সচেতন থাকলেও অধিকাংশ বিপ্লব বিজয়ীরা “মোনাফেকদের” জালে আটকা পড়েছে । যেহেতু অনেকেই জালে ফেঁসে গেছে, তাই শয়তানগুলো সফল হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে। কিন্তু আল্লাহ অলৌকিকভাবে শয়তানদের জালে কিছু ছিদ্রপথ করে দিয়ে কিছু কিছু মানুষকে এখনো তাদের জাল থেকে বের হয়ে যাবার পথ সুগম রেখেছেন । এ জন্য তাদের একটা শয়তানী বিফল হলে নতুন নতুন শয়তানী শুরু করে এবং শক্তিশালী মোনাফেকদের ফাঁসিয়ে দিয়ে সেই সুযোগ কাজে লাগায় । নানারকম লোভ-লালসা- ক্ষমতার মোহ এর জালে আটকে “মোনাফেক”দের দল ভারী করতে থাকে । মোনাফেকদের দল যে ভারী হচ্ছে, তার প্রমাণ কি গেল প্রায় ৯ মাসে মানুষ বুঝতে পারছে না ? অবশ্যই পারছে । তাই আশার কথা এই যে, মোনাফেকদের দল ভারী হলেও তাদের আসল উদ্দেশ্য যে কি, সেটা তৃণমূলের জনগণ প্রতিটি মুহুর্তেই বুঝে ফেলছে । শয়তানদের অন্তরের ভয় সেখানেই । তাই তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে । এভাবে জনগনকে বুঝতে দেবার জন্য আর সময় ক্ষ্যাপন দরকার নেই । দ্রুত নির্বাচন নির্বাচন নামক ভেলকী নাচের আসর বসাতে হবে । এটাই শয়তানদের সফলতার একমাত্র চুড়ান্ত লক্ষ্য ।
অতএব যে কথা ৮ই আগষ্ট বলেছিলাম, সে কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি । সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সচেতন থাকুন । কাপুরুষ ভারত এবং তাদের গৃহপালিত হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন চরিত্রহীন মানুষকে বাঁচানোর জন্য অন্য কোন বড় মোনাফেক বা নতুন কোন ফের-আউনদের হাতে এই দেশকে আমরা তুলে দিতে রাজি নই ।
সম্ভবতঃ ৪০% মানুষ মোনাফেকীর এই জাল থেকে দূরে আছে । এখনো এই মানুষগুলো শয়তানদের সকল চক্রান্তের ফাঁদ থেকে দূরে থাকায় ঐক্যবদ্ধ শক্তি নিয়েও শয়তানরা সফল হতে পারছে না ।
আমার সবিনয়ে নিবেদন এই ৪০% সচেতন মানুষদের প্রতি । দয়া করে নিজেরা তাওয়াক্কুল করুন আল্লাহর উপর । প্রতি ওয়াক্তে স’লাতে দাঁড়িয়ে যা বলেন, অর্থাৎ “ ইয়্যাকা না’বুদু- ওয়া ইয়্যাকা নাস্তাঈন” ? তা সত্যিকারভাবে ব্যক্তি জীবন, পরিবার জীবন এবং সমাজ জীবনে বাস্তবে জারী রাখুন । তাহলেই কেবল আল্লাহর সাহায্য পাবেন । নয়তো মুখে বলবেন এক কথা কাজে করবেন অন্য কিছু ? আর এভাবেই ভাবছেন সফল হবেন ? কষ্মিণকালেও নয় । আল্লাহকে এতটা বোকা ভাবছেন কি করে ?
মোনাফেকরা কি এখনো বোঝেন নি ? এই সাহায্য আল্লাহ ১৯৭১ সালের বিপর্যয়ের পরেও করেছিলেন ১৯৭৫ সালে । আর সবশেষ ২০২৪ এর জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমেতো আরো অলৌকিকভাবে চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন আল্লাহ ! অস্বীকার করতে পারবেন কোন মানুষ ? বিশেষ করে যারা মু’মিন বলে দাবী করেন, সেই মুসলমানরা ? যদি সত্যিকার অর্থে শিরক-বিদআত-মোনাফেকমুক্ত মুসলমান হয়ে থাকেন, তাহলে ভাবুন তো এটা কি ছিল ?। আমরা মোনাফকী করি বলে বিজয়কে বার বার হাতের মুঠোয় পেয়েও ধরে রাখতে পারিনাই । কেন ? কারণ আমরা মুসলমানরা “ ইয়্যাকা না’বুদু- ওয়া ইয়্যাকা নাস্তঈন” মুখে বলি, কিন্তু ব্যক্তি, পরিবার এবং সমাজ জীবনে বাস্তবে জারী রাখতে ব্যর্থ হয়েছি বার বার । এ কারণে শক্তিশালী একটা সমাজ, রাষ্ট্র গড়ে ওঠেনি । হিসেব ক্লিয়ার ?
তাই আসুন, এবার আবারো যদি ব্যর্থ হই, তাহলে মনে রাখি, জাতির অনৈক্যের ফাটল দিয়ে অনুপ্রবেশ করবে শক্তিধর শয়তান । সামান্য কয়েজন দুর্বল ঈমানের মানুষ হিসেবে বিচ্ছিন্নভাবে যে ৪০% মানুষ ঈমানের উপর অটল আছেন, দেশ প্রেমে অংগীকারাবদ্ধ , কিন্তু ঐক্যবদ্ধ নন, তাদেরকে কিন্তু ডাকাতি করা লুটের টাকায় ক্ষমতাধর চরিত্রহীন হাতে গোনা কয়েকজন মানুষকে বাঁচানো এবং পাশের দেশের হিন্দুত্ববাদী চেতনার ইলাস্ট্রেশন করার স্বার্থে সবাইকে একযোগে জবাই করে ফেলবে । এভাবে তারা হয়তো আপাততঃ সফলতা অর্জন করে ফেলতেও পারে। কিন্তু আল্লাহ কখনোই ঐ সব ফিরআউন -নমরুদদের সফল হতে দিবেন না । তার প্রমাণ টাটকা জ্যান্ত সাক্ষ্য হয়ে রয়েছে বিশ্ব দরবারে- “লেডি ফিরআউনের পতন” ।
আমাদের মত মোনাফেকদের বিলুপ্তি হওয়ার পর আল্লাহর পছন্দের একদল কাফেলা সাময়িক বিজয়ে উল্লসিত শয়তানদের পরাজিত করবেই এবং আল্লাহ তাদেরকে বিজয়ী করে দুনিয়ায় ঈমাম মাহাদীর নেতৃত্বে শেষ পতনের রাজনীতির দিকে নিয়ে যাবেনই । এটা হবেই হবে । ইনকিলাব জিন্দাবাদ !!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:০৫
গহীনে রক্তক্ষরণ বলেছেন: Click This Link
বি এন পি ইতমধ্যে তাদের যে পরিচয় গোটা জাতির কাছে তুলে ধরেছে, তাতে প্রমাণ হয়েছে, দলটি আর জিয়াউর রহমানের দল নেই । এটা আওয়ামীলীগেরই প্রেতাত্মায় পরিণত হয়েছে । সুতরাং যতদিন এই জাতি হযরত ওমরের মত নেতা অথবা কমপক্ষে জিয়াউর রহমানের মত দেশপ্রেমিক সৎ, যোগ্য নেতা খুঁজে না পাবেন, ততদিন প্রঃ ইউনুস আজীবন এই দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন । ভুয়া সংবিধানের দোহাই ? ওটা ৫ই আগষ্ট’২৪-এ সর্বকালের সবচেয়ে বড় গণরায়ের মাধ্যমে বাতিল হয়েছে । কিন্তু হাতে গোনা কয়েকজন চরিত্রহীন, রাষ্ট্রদ্রোহী গাদ্দারদের সহায়তায় ভুল পথে সরকার গঠিত হয়েছে ।