নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এস এম ইমদাদুল ইসলাম

গহীনে রক্তক্ষরণ

ধার্মিক, সৎ, যোগ্য এবং মেধাবী তরুনদের আমি ছাত্র

গহীনে রক্তক্ষরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন করে কিছু পুরণ ঘটনার স্মৃতীচারণ !

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৪৫


আমি তখন কোন এক মন্ত্রণালয়ে ডিপুটেশনে কর্মরত । অডিট বিভাগের লোকজন সাধারণতঃ মন্ত্রণালয়ে এডমিন ক্যাডারদের অধীনে তেমন একটা সম্মান জনক অবস্থান পান না ( ব্যতিক্রম ব্যতিত ) ।

এডমিন ক্যাডাররা অন্যান্য ক্যাডারদেরও খুব একটা সমীহ করেন না । তারা নিজেদেরকে মনে করেন রাজা । আর অন্য সবাইকে মনে করেন তাদের প্রজা ।

কিন্তু কেন জানিনা, জীবনে যে কয়টা ডেপুটেশন আমার ভাগ্যে জুটেছে, সবগুলোতেই আমি না চাইতেই যেন সাজানো গোছানো পেয়েছি আমার সম্মান এবং মর্যাদা । হয়তো আল্লাহ চেয়েছেন, আমাকে সম্মানিত করতে, তাই কোথাও অসম্মানিত হইনি ।

আমাকে একটা স্বাধীন এয়ার একন্ডিশন্ড কক্ষ, ৪ জন উপসচিবের ব্যবহৃত পৃথক একটা বাথরুমের চাবি সহ আরো অনেক ডেকোরেটেড ব্যবস্থা দেয়া হয়েছিল । সম্ভবতঃ আমার উর্ধতন উপসচিব যিনি ছিলেন, তিনি আমার এতটা সম্মানজনক অবস্থান সহ্য করতে পারছিলেন না । বিশেষ করে উনাদের ৪জনের জন্য নির্ধারিত ভিআইপি টয়লেট এর পৃথক একটা চাবি আমার কাছে থাকুক, এটা তিনি মানতে পারছিলেন না । আবার কিছু বলতেও পারছিলেন না। তার আরো গাত্র দাহ হত, যখন তিনি প্রায়শঃই সচিব স্যারের রুমে ঢুকে দেখতেন আমার সাথে সচিব স্যার হাসিমুখে অনেক কথা বলছেন । তিনি আসলে ঐ এডমিন ক্যাডারের অহমিকা রোগে ভুগছিলেন । তাই তিনি প্রায়শঃই আমাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট মিটিং এর জন্য তৈরীকৃত সকল তথ্যগুলো বুঝে নেয়ার সময় চেষ্টা করেছেন, কি করে আমাকে আমার ভুল ধরিয়ে দিয়ে একটু শায়েস্তা করবেন । কিন্তু তিনি আসলে নিজে কোন ষ্টাডি না করে আমাকে দিয়ে সবগুলো ইনফরমেশন পড়িয়ে নিতেন , ক্যালকুলেশন করে সঠিকতা যাচাই করিয়ে নিতেন এবং এসব কাজ করানোর সময় তিনি অনেকটা প্রভুর মত আচরণ করতেন এবং মাঝে মাঝে নিজে কিছু না বুঝেই একটা না একটা বাজে মন্তব্য করতেন এবং বোঝাতেন, আমি আসলে খুব একটা বাজেট বিষয়ে তথ্যভিত্তিক সঠিক উপস্থাপনা না দিয়ে তাকে ভুল তথ্য দিচ্ছি । ধমক দিয়ে ছাড়া কথাই বলতেন না । আমি বলতাম, আপনি আমার লিখিত তথ্য আই বাস এ পূর্ববর্তী তথ্যের আলোকে রিকনসিলিয়েশন করে যাচাই করে নিতে পারেন । তিনি জোরে ধমক দিয়ে বলতেন, এটা যাচাই করার কাজ কি আমার ? নাকি আপনার ? আসলে তার এই অবস্থা থেকে আমি কেবল এটকুই বুঝেছিলাম, বেচারা নিজে আসলে পুরোই একজন অদক্ষ লোক ।

আমার এই ধারনা পরিস্কার হয়েছিল তার সাথে আমার প্রথম বাজেট মিটিং এ অংশগ্রহণ থেকে । অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ডাটা উপস্থাপন করেন স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ের উপসচিব । তার পাশে সহকারি হিসেবে থাকেন আমারই মত একজন ডেপুটেশনে নিয়োজিত একাউন্টস অফিসার । আমিও তেমন বসে আছি উনার পাশে । যখন উনার উপস্থাপনের পালা, তখন তিনি নিজে উপস্থাপন করতে গিয়ে আমতা আমতা করছেন, আমাকে খোঁচাচ্ছেন, আস্তে করে বলছেন, এটা কি এইটা ? আমি ইশারা করে বললাম, হ্যা । তিনি তথ্য উপস্থাপন করতে বার বার আমার সহযোগীতা চাওয়ার বিষয়টা অর্থ্ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট জয়েন্ট সেক্রেটারীর নজর পড়লে, তিনি তাকে তার নাম ধরে ধমক দিয়ে বললেন, “তুমি বার বার তোমার একাউন্টস অফিসারকে ধমকাচ্ছ কেন ? এটাকি উনার কাজ ? এটাতো তোমার কাজ । তুমি ষ্টাডি না করেই এখানে এসেছ ? যাহোক, মিটিং শেষে তুমি আমার কক্ষে এসে বুঝিয়ে দিও । তোমার পেছনে সময় নষ্ট করার সময় আমার নেই । আমি চুপচাপ মাথা নিচু করে বসে রইলাম । একবার আমি দাঁড়িয়ে বললাম, “ স্যার, আমি বলতে পারি ? “ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্ষ্টি স্যার আমাকে সম্মান জানিয়ে বললেন, “ আমি জানি, আপনি আমাকে চমৎকারভাবে বুঝিয়ে দিতে পারবেন । কিন্তু এই কক্ষে এটা আপনার দায়িত্ব নয় । যার দায়িত্ব তাকেই আসতে হবে প্রস্ততি নিয়ে । প্রতিটি কর্মপদ্ধতি একটা শৃংখলার মধ্যে নির্ধারিত হয় । আমাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বসতে বললেন ।

এর পর থেকে তিনি আমার উপর আরো রেগে ফায়ার থাকতেন সব সময় । নিজে কিছু বুঝতেন না । অথচ তিনি সুপিরিয়রিটি কমপ্লেক্সে ভুগতেন । বিষয়টা একান্তভাবে আমি সচিব স্যারকে জানালাম । স্যারকে পুরো বিষয়টা উপস্থাপন করে বুঝিয়ে দিলাম । এটাও বললাম যে, “আমাকে যদি আমার বস পরিবর্তন করে কাজ বোঝেন, এমন কাউকে না দেন, আমি উনার আন্ডারে কাজ করতে পারছি না । যদি তা না দেন, তাহলে আমি উনার আচরণে এতটাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত যে, উনি যে আমার বস, হয়তো এটা ভুলে যেতে পারি । উনাকে আমার হাতে অপমান হওয়ার পর্যায়েও চলে যেতে পারে । আমি সেটা চােই না । তাই আমি একটা আবেদন করেছি, ফরোয়ার্ড করে দিয়েন । আমি আমার ডিপার্টমেন্ট এ ব্যাক করব । সচিব স্যার বললেন, কি বলেন ? আপনি আমার মেরুদন্ড । আপনাকে ছাড়ছি না । দরকার হলে ওকে সরিয়ে দিচ্ছি । আমি দেখছি কি করা যায় ।


এর পরের ইতিহাস অনেক লম্বা । তাকে সরিয়ে একজন জয়েন্ট সেক্রেটারীকে দায়িত্ব দিলেন । যোগ্য উপসচিব কাউকে তিনি পাননি । প্রথম দিনেই জয়েন্ট সেক্রেটারী স্যার আমার কাছ থেকে সকল ডাটা নিয়ে তিনি নিজে সব কিছু মিলিয়ে আমার একটা পিন ড্রপ ভুল তিনি পান নি এবং আমাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন, “ দারুন করেছেন ।” এর পরে মিটিংগুলোতে তার সাথে যেতাম । কোনদিনও অর্থ মন্ত্রণালয়ে বকুনী খানটি আমাদের জয়েন্ট সেক্রেটারী স্যার । মিটিং শেষে তিনি শুকরিয়া আদায় করে বলতেন, এই সফলতার কৃতিত্ব একমাত্র আপনার । আমিও বিনয়ের সাথে বলাতম, স্যার, আপনি যেমন ছাত্রের মত লেখা পড়া করেছেন, এটা দেখে আমিও খুব আপ্লুত হয়েছি এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে, ভালো মানের একজন বস এর অধীনে কাজ করার জন্য আমাকে আল্লাহ মনোনীত করেছেন ।

সবচেয়ে মজার স্মৃতী মনে পড়ছে , পৃথক ব্যবহৃত বাথরুম এর ব্যবহার নিয়ে । আমরা ৫ জন ব্যতিত এই বাথরুম আর কেউ ব্যবহার করে না । আমি একদিন ভেতরে প্রবেশ করে দেখি, পুরো কমোট ভর্তি মল এবং টিস্যু পেপার । ভাবলাম, মনে হয় ফ্ল্যাশ নষ্ট । চোখ- নাক বন্ধ করে চাপ মারতেই দেখলাম ফ্ল্যাশ ঠিকই আছে । ময়লা পরিস্কার হয়ে গেল । বাইরে এসে দেখি, সুইপার কাজ করছে । তাকে বললাম, “আমি ঢোকার আগে আপনি এই বাথরুম থেকে কাকে বের হতে দেখলেন ?” তিনি বললেন, অমুক স্যার ।

আমি লজ্জায় মরে যাই । আহারে ! এই হলো যার শিক্ষার দৌড়, এই হলো যার রুচিবোধ আর কান্ডজ্ঞান, সেই কি না আমাকে এতটা আন্ডার-এস্টিমেট করে ? করুণা হয়েছিল বেচারার জন্য । পাট ক্ষেতে হাগু করা অভ্যাস যাদের, পারিবারিক শিক্ষা নেই যাদের, তাদেরকে বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ দেয়া হলেও যে সেই শিক্ষা কোন কাজে আসে না , তার জ্যান্ত প্রমাণ এই ভি আইপি টয়লেট ব্যবহারেও তার অযোগ্যতা । এই লোককে বিসিএস যারা পাশ করিয়েছে, তারা কি কোন কোটায় বাঁধিয়ে তাকে এমন একটা পদে বসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে ? আমার রাগ হচ্ছিল তাদের প্রতি । সে যেমন প্রোফেশনালি অদক্ষ, তেমনি তার ব্যক্তিগত কাজ-কর্মেও একজন পুরোদস্তর অযোগ্য ব্যক্তি, যাকে কোন অবস্থাতেই ক্যাডার সার্ভিসের যোগ্যতো নয়ই , সরকারি কোন পদেরই যোগ্য বলে মেনে নেয়া যায় না ।

শুধু কি তাই ? বিদেশ ট্যুর নিয়ে কি হয় ? দেখে এসেছি, বুঝে এসেছি । সরকারি দপ্তরে বিভিন্ন প্রোফেশনালদের দক্ষ করে গড়ে তোলা সহ নানা রকম প্রয়োজনে বিদেশ ট্যুর করার প্রয়োজন হয় । আমাদের এই মন্ত্রণালয়ে এ দায়িত্ব যার হাতে ছিল, তিনি একজন সিনিয়র এডিশনাল সেক্রেটারী । তিনি নিজেও বিদেশ ট্যুর পাওয়ার জন্য মনে হয় যেন ভিক্ষুকের মত আচরণ করতেন । অধিকাংশ ক্যাডাররা বিদেশ ট্যুর পাওয়ার জন্য এমন ভাব করতেন যেন এরকম ট্যুর না পেলে তিনি না খেয়ে মারা যাবেন । চিড়ে গুড়, ইত্যাদি পোটলা বেঁধে বিমানে সিট না থাকলেও যেন পারলে মাদুর বিছিয়ে হলেও তাকে যেন একটা ট্যুর ভিক্ষা দেয়া হয়, এমন ভাব দেখেছি বড় বড় হ্যাডমওয়ালা ক্যাডারদের ( ব্যতিক্রম ব্যতিত) । আমি খুবই তুচ্ছ , বহিরাগত ডেপুটেশনে ভাড়া খাটা আসা মানুষ , এসব দেখে শুনে কেবল অলখে একটু হাসতাম । আর দোয়া করতাম, আল্লাহ এই মানুষগুলোকে আপনি হেদায়াৎ নসীব করেন । তাওয়াক্কুল করে একটা বিদেশ ট্যুর প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের উপর ? আল্লাহ ! আপনা উপর ভরসা করে না ? কুরণা হত তাদের জন্য । একদিন সচিব স্যারের রুমে কয়েকজন সিনিয়র স্যারদের নিয়ে মিটিং হচ্ছিল সেখানে আমাকে ডাকলেন । আমিতো খাতা কলম নিয়ে প্রবেশ করেছি বরাবরের মতই । কিন্তু দেখলাম, মিটিংটা খতা কলম বিষয়ক নয় । আমি একটু অপ্রস্তত হয়ে গেলে সচিব স্যার আমাকে বললেন, বসুন । আমি আসার আগে নানা কথাই চলছিল, তাই এক পর্যায়ে এডিশনালকে বললেন, তাহলে আপনি শিউর, আমাদের ১০০% অফিসাররাই ফরেন ট্যুর পেয়েছেন ? কারো কোন চাহিদা নেই তো ? এডিশনাল খুশী হয়ে বললেন, “স্যার, আপনি যাচাই করে দেখতে পারেন । আমি কনফার্ম, আমাদের কোন অফিসার এ বছর মিস করেননাই । আমি অন্যমনস্ক হয়ে টেবিলের নিচের দিকে মাথা গুঁজে উনাদের বিদেশ ট্যুরের পেচাল শুনছিলাম আর তাদেরকে কেমন ভিক্ষুকের মত মনে হচ্ছিল আমার কাছে বরাবরের মত । তাই এ বিষয়টা যেহেতু আমার চ্যাপ্টার না, তাই আমার ডাক কখন পড়ে এই অপেক্ষা করছিলাম, খাতা কলম খুলে । এক পর্যায়ে সচিব স্যার বললেন, আমার কাছে তথ্য আছে, আপনাদের একজন অফিসার এখানে ৩ বছর যাবৎ কাজ করছেন, তাকে আপনারা কোন ট্যুর দেননাই । এডিশনাল জোর দিয়ে বললেন, এটা হতেই পারে না । স্যার, বলেন, কে অভিযোগ দিয়েছেন আপনার কাছে ? স্যার বললেন, কেউ আমার কাছে অভিযোগ দেয়নাই । এই দেখুন, আমার কাছে তালিকা আছে, বলে তিনি ল্যাপটপের স্ক্রীন ঘুরিয়ে সকল অফিসারের তালিকা দেখালেন যাদের সামনে ট্যুরের ডাটা রয়েছে । সেখানে দেখলেন, একজন অফিসারের নামের সামনে প্রতি বছরের ঘরে - - - চিহ্ন । এখন আপনারাই বলেন, যে নামটি স্ক্রীনে দেখলেন, তিনি কি আমাদের অফিসার নন ? এডিশনাল তখন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন, স্যার, উনিতো কোনদিন বলেন নাই আমাকে ? কিন্তু আমাকে না বলে আপনার কাছে অভিযোগ দিলেন ? সচিব একটা ধমক দিয়ে বললেন, “বলছি তো তিনি আমাকে অভিযোগ দেননাই । অভিযোগ দিলেতো তিনি ৩ বছর আগেই দিতেন, তাই না ? যাহোক, আমি দেখলাম এবং বুঝলাম, আপনারা ভালো অভিভাবক নন । এডিশনাল আবার বললেন, “স্যার ডেপুটেশনে যারা আসেন, তাদেরকে --- তিনি তাকে আর কথা বলতে দিলেন না । আর ডেপুটেশন কথাটা কানে আসায় আমি ততক্ষণে আমার নজর টেবিলের উপরে আনলাম । সচিব স্যার আমাকে বললেন, “ আরে ভাই, খালি কাজ করলে হবে ? নিজের জন্য কিছু যে চাইতে হয়, এটা বুঝতে পারেন না ? “ আমি অবাক হয়ে বললাম, কি যে বলেন স্যার ! আমিতো মনে করি, এটা আপনাদের প্রোফেশনালদের ব্যপার । এখানে আমি আপনাদের কি কাজে আসতে পারি ? তা ছাড়া আমার এসব চাওয়া-চায়ি অভ্যাস নেই । আমি মনে করি, রাষ্ট্র যদি মনে করে প্রোফেশালিজমের স্বার্থে আমার মত ক্ষুদ্র মানুষকেও বাইরে থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া দরকার, তাহলে সেটাতো রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব । আমি হুকুম পেলে তা পালন করতে চেষ্টা করব । জানিনা কি মনে করে আমাকে দিয়ে সেইদিনই একটা পাসপোর্ট করিয়ে থাইল্যান্ডে একটা প্রশিক্ষণ দলে পাঠানোর আদেশ করেছিলেন । এটা আসলে আমার কাছে মনে হয়েছিল ওদের বিদেশ ট্যুর ভিক্ষা করার মতই একটা বিষয় । আর তাই সেদিন আমার এই ট্যুর পাওয়ার বিষয়টা আমাকে কোন রকম রোমাঞ্চিত করেনাই । এটাকে প্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব মনে করেই করেছিলাম, এর বেশী কিছু নয় ।


এ ঘটনা বলছি প্রায় ১৩ বছর আগের ঘটনা । তাই এটা স্পষ্ট সত্য বলেই প্রমাণ হয়েছে যে, ২০০৯ সাল থেকে রাষ্ট্রের প্রশাসন যন্ত্রকে অদক্ষ আর লোভ লালসায় লালায়িত মানুষ দিয়ে ভরিয়ে দেয়ার বীজ বপন হয়েছিল । বিশেষ করে বিগত ১৭ বছর বাংলাদেশের সচিবালয়ে এরকম বহু অযোগ্য লোকজনকে প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে আনা হয়েছিল শুধুমাত্র ভারতের গৃহপালিত কৃতদাসী সোহরাওয়র্দী সাহেবের বডিগার্ডখ্যাত ভুয়া নেতা মুজিবের সাইকোপ্যাথিস্ট কণ্যার দ্বারা সাজানো প্রশাসন, যেখানে ছিল অসংখ্য অগনিত অযোগ্য বিসিএস ক্যাডার অফিসার , যাদেরকে এডমিন ক্যাডারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে বসিয়ে বাংলাদেশেকে একটা অযোগ্য, অদক্ষ, ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার সকল ব্যবস্থা পাকাপাকি করে গিয়েছিল ।


ক্যাডারসার্ভিস থেকে এসব অযোগ্য অবার্জনা এখনো পরিস্কার করা হয়নি । কেন করা হচ্ছে না ? কেন ছাকনী দিয়ে ছেঁকে আবর্জনা মুক্ত করে পরিস্কার করা হচ্ছে না রাষ্ট্রের চালিকাশক্তি সমূহকে ?

এটা এই প্রজন্মের তরুনদের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম ।

এসব জংগল পরিস্কার করা না হলে কিন্তু এই দেশের কোন অগ্রগতিতো হবেই না , বরং দেশের সূর্য অস্ত যেতে পারে স্থায়ীভাবে । তাই গল্পটি অনেকের কাছে তুচ্ছ হলেও এর তাৎপর্য বুঝে রাষ্ট্র মেরামতে মনোযোগী হবেন , এই আশা রইল । আর গরীব রাষ্ট্রের জনগনের টাকায় বিদেশ ট্যুর যারা করেন, তাদের সেই ট্যুর কতটা রাষ্ট্রের কল্যাণে, কতটা ব্যক্তিগত লাভের জন্য -সেটাও ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র নায়করা যদি দেশ প্রেমিক হয়ে থাকেন, তাদেরকেও ভেবে দেখা উচিৎ ।

আল্লাহ হাফেজ !

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.