নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এস এম ইমদাদুল ইসলাম

গহীনে রক্তক্ষরণ

ধার্মিক, সৎ, যোগ্য এবং মেধাবী তরুনদের আমি ছাত্র

গহীনে রক্তক্ষরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিশপ্ত ইসরাইলী বাহিনী কর্তৃক গাজার গণহত্যার দায় আমেরিকার পাশাপাশি প্রত্যেক আরব রাষ্ট্রের সরকারের উপর বর্তাবে ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০১

অভিশপ্ত ইহুদীরা খুব ভালো করেই জানে, তাদেরকে আল্লাহ চিরস্থায়ী অভিশপ্ত বলে ঘোষণা দিয়েছেন । তারা সব সত্য জেনেও কেবলমাত্র দুনিয়াতে তাদের সকল শয়তানী বাস্তবায়ন করে চলেছে । তারা বিশ্বকে দেখাতে চায় তাদের শক্তিমত্তা । তারা মনে করে মুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করে দিলেই তারা একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হয়ে বিশ্ব শাসন করবে ? তারা এভাবে গণহত্যা করে পৃথিবীর ইতিহাসে ঘৃণিত মানুষ হিসেবেই কেবল পরিচিতি লাভ করবে । এটাই তাদের জন্য দুনিয়ার শাস্তি ।

এই গণহত্যার জন্য কেউই রেহাই পাবে না । আমেরিকাও তাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতার দায়ে একই পাপের ফল ভোগ করবে । কিভাবে জানেন ? অলরেডি তারা পরোক্ষভাবে ভোগ করা শুরু করেছে । এখন বিশ্বের এক নম্বর পরাশক্তির দাবীদার এই আমেরিকার অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য ইসরাইলের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে । তাদের যুদ্ধনীতি সহ সব কিছুরই পেছনে কলকাঠি নাড়ছে এই অভিশপ্ত ইসরাইলের ইহুদীরা । তারা দুনিয়াতে ইসরাইলের পায়ের কাছে নতযানু হয়ে পরাশক্তিগিরির মেকি শোডাউন করছে । এখন খুব বেশী প্রকাশ্যে না আসলেও তাদের এই অবস্থা অচিরেই প্রকাশ্যরূপ লাভ করবে । আমেরিকা ইসরাইলের কথামত উঠবে আর বসবে । এটাই তাদের দুনিয়ার নগদ শাস্তি । এভাবে ইসরাইল আর আমেরিকার পা চাটা আরব রাষ্ট্রগুলোর সরকার এবং তাদের জনগন যারা এভাবে পা চাটা চাটি সহ্য করে চলেছে , কোন প্রতিবাদ করছে না , তারাও এই পাপের পরিণতি ভোগ করবে । আরবের রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবি, সাধারণ জনগণ, যারা আমেরিকা-ইসরাইলের কাছে নতযানু মোনাফেক সরকারের বিপক্ষে প্রকৃত ঈমানী শক্তির সরকার গঠণে ভুমিকা রাখছে না, তারা মুসলিম হয়েও এইসব মুশরিকদের সাথী হয়ে দুনিয়াতে লাঞ্চিত হবে, আখেরাতেতো মুগুর আছেই ।

আমাদের মত দুর্বল ঈমানের জনগণ এবং দুর্বল রাষ্ট্রগুলোর মুসলমানদের করনীয় কি ?

আমাদের রাষ্ট্রকে বলতে হবে, কুটনৈতিকভাবে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে । যদি তা করার ক্ষমতা না থাকে, তাহলে অন্ততঃ আমাদের মুসলিম ভাই , বোন, শিশুদের যারা হত্যা করছে তাদের জন্য আল্লাহর কাছে লান্নত বর্ষণের দাবী জানিয়ে প্রতি ওয়াক্ত সলাতের মাধ্যমে দোয়া করতে হবে । আমরা যে অপারগ, কিছুই করার ক্ষমতা রাখি না, এই অপারগতার কথা কায়মনোবাক্যে আল্লাহর সামনে নতযানু হয়ে এর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে । দোয়া করতে হবে, যেন তিল পরিমাণ সামর্থ হাতে আসলে সেই তিল পরিমাণ সামর্থ নিয়ে মজলুম ভাইদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করতে রাজি আছি, এই সংকল্প অন্তরে থাকতে হবে, যা আল্লাহ রেকর্ড করবেন । কেননা আল্লাহ প্রতিটি ইনডিভিজুয়ালের মনের জগতের প্রকৃত অবস্থা কি, সেটা খুব ভালো করে জানেন । অতএব ঐ অন্তকরণ তৈরী করে এগিয়ে যেতে হবে তাদের সাহায্যের জন্য । নয়তো কোন মুসলিম , মুসলিম হয়েও ঈমানহীন অবস্থায় মরবেন ।

এর কোন কিছুই যদি করতে না পারি, অন্ততঃ আমেরিকা -ইসরাইলের অপকর্মকে ঘৃণা করতে হবে । তাদের জন্য লান্নত করতে হবে । প্রতি ওয়াক্ত সলাতের মাধ্যমে একান্ত গোপনে তাদের জন্য চোখের পানি ফেলে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে ।

এর কিছুই না করে মরব ? অকারণে আমার মুসলিম নিরিহ মা, বোন, শিশুদের হত্যা করে যাচ্ছে এটা জেনে , বুঝেও যদি আমাদের অন্তর না কাঁদে তাহলে বুঝতে হবে আমাদের ঈমান প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে ।

আল্লাহ ফিলিস্তিনের মুসলিমদের হেফযাত করুন । আমাদেরকে তাদের সহযাত্রী হওয়ার তৌফিক দিন ।

আল্লাহ হাফেজ !!!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৪৪

রাসেল বলেছেন: নিরাপরাধীদের উপর যত অত্যাচার অবিচার হইতেছে, যা উন্নত বিশ্ব সচেতনভাবে সমর্থন দিয়ে যাইতেছে। এই অন্যায়ের প্রতি চরম ঘৃণা প্রকাশ করিতেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.