নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এস এম ইমদাদুল ইসলাম

গহীনে রক্তক্ষরণ

ধার্মিক, সৎ, যোগ্য এবং মেধাবী তরুনদের আমি ছাত্র

গহীনে রক্তক্ষরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোকুলে বাড়িছে সে ( জানিনা এটি আমি জীবদ্দশায় শেষ করতে পারব কি না )

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬

Click This Link

এই লেখাটা যখন শুরু করেছিলাম, তখন ছিলাম আমি যুবক । লেখার ধৈর্য ছিল । কিন্তু সময় ছিল না । সময় পেয়েছি অবসরে এসে । কিন্তু এখন শরীরটা ভালো যাচ্ছে না । মনের জোর নেই । লিখতে বসলেই ঘুম চেপে বসে । মাথায় কাজ করে না । কি যেন ছিল পরের পয়েন্ট ? মনে করতে পারি না । তবে এই উপন্যাসের শেষ পরিণতি কি হবে সেটা আমি তরুণ প্রজন্মকে বলে যাই । কেননা আমার মনে হচ্ছে, আমি এই লেখাটা শেষ করতে পারব না ।

আসলে বাবরী মসজিদ ভাংগার একজন সহযোগীর ঘরে জন্ম নেয়া এই গল্পের নায়ক রাহুল বর্মণের কাছে মসজিদ ভেংগে উল্লাস করার বিষয়টা কৈশোর বেলায়ই তার ভালো লাগেনি । যৌবনে সে ইতিহাসের ছাত্র হয়ে এ বিষয়ে প্রচুর লেখা পড়া করতে গিয়ে সে তার জীবনে সত্যের সন্ধান পেয়ে যায় । কুরআনের একটা আয়াত এবং একজন মুসলিম মেয়ের ফেসবুক স্টাটাস থেকে তার জীবনের গতিপথ পাল্টে যায় ।

এই কাহিনীর শেষ অধ্যায় হবে এরকমঃ

রাহুল শেষ পর্যন্ত ইসলামের ইতিহাসের উপর পি এইচ ডি করে । সে যখন সত্য জেনে গেছে যে, প্রতিটি শিশুই “ইসলামের” উপর জন্ম নেয় এবং শিশুর বাবা মায়েরা তাদেরকে অন্য কিছু বানিয়ে ফেলে । তখন সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে । তার প্রেমিকা প্রমিলা এতে খুব শক্ পেয়ে যায় । তার দীর্ঘদিনের ভালোবাসার এভাবে মৃত্যু হবে, ভাবতে পারেনি ।

রাহুল তার প্রেমিকাকে বলেছে, “দেখ, তুমিতো জানই , আমি কোন মুসলমানকে দেখে মুসলিম হইনি । আমি লেখাপড়া করেছি, সত্য জেনেছি, সত্য বুঝেছি । তুমি শিক্ষিত, সচেতন, মেধাবী । তুমি যদি সত্যিই আমাকে ভালোবেসে থাক, তাহলে তুমি নিজে এগুলো পড়ে দেখ। যদি তুমি প্রমাণ করতে পার, আমি ভুল করেছি, তাহলে আমি তোমার কথা মেনে নিব । কিন্তু যদি প্রমাণ করতে না পার, তাহলে বলব, তোমার ভালোবাসাকে তুমি সবটুকু পাবে, যদি তুমি সত্যকে বরণ করে নাও ”।

প্রমিলা অনেক সময় নিয়েছে । চিন্তা করেছে । পরিবারের বাঁধার সম্মুখীন হয়েছে । এমনকি অত্যচার নির্যাতন সহ্য করেছে । সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি । দ্বিধা-দ্বন্দে কাটছিল তার জীবন ।

অবশ্য তারও আগে রাহুল যখন ইসলাম গ্রহণের জন্য অফিসিয়ালী স্বীকৃতি দেয়নি, কিন্তু সামাজিক মাধ্যম সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারনার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রচার করে দুনিয়া কাঁপিয়ে দিয়েছে এই বলে যে, ভারতের হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি ভারতকে ছিন্ন-ভিন্ন করে দিবে। এখানকার অধিকাংশ সাধারণ জনবলকে উচ্চবর্ণের হিন্দুরা মূলতঃ মিথ্যার মাধ্যমে এক অন্ধকার জগতের মধ্যে নিপতিত করে ভুয়া ধর্মীয় বিশ্বাসের মধ্যে আবদ্ধ করে মনুষ্যত্বহীন নিকৃষ্ট মানবজাতিতে রূপান্তর করেছে । যদিও তারা শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে চলেছে, কিন্তু প্রকৃত মানবিক মানুষ হয়ে উঠতে পারছে না । তারা হচ্ছে প্রচন্ড স্বার্থপর , আত্ম কেন্দ্রিক অমানবিক মানুষ । এই মানুষগুলোর শিক্ষা, মেধা , দক্ষতা মূলতঃ তাদের নিজেদেরকেই সমৃদ্ধ করে কিন্তু সমাজের ব্যাপক কল্যাণে তাদের কোন অবদান নেই । এ জন্য এরা নিজের ধর্মের মানুষ ছাড়া অন্য ধর্মের মানুষকে মানুষের মর্যাদা দিতে জানে না । এমনকি নিজ ধর্মের নিম্নবর্ণের হিন্দুদেরও এরা অচ্ছুত মনে করে। এ জন্য এরা হয়ে ওঠে হিংস্র । এরা খুনী হয়ে ওঠে, বর্বরতার মাধ্যমে এদের চেয়ে নিচু জাতের মানুষকে এরা পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে নিজেদের বড়ত্বকে জাহির করতে চায় ।

এসব কারণে রাহুলকে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে । বেশ কয়েকবার কারবরণ করতে হয়েছে । কিন্তু তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার কোন অভিযোগ আদালত প্রমাণ করতে পারেনি । কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে রাহুল বলেছে, “ভারত যতকাল আবারো ইসলামী শাসনের অধীন না হবে, ততকাল এই ভু খন্ডের মানুষের কোন মানবিক মর্যাদা বলে কিছু থাকবে না । সারা বিশ্বের কাছে তারা একটা ধিকৃত , নিকৃষ্ট জাতি হিসেবে পরিচিতি পাবে ।


কাহিনীর শেষ হবে রাহুল বর্মণ ইসলামে দাখিল হয়ে তার নাম করণ করবে আব্দুল্লাহ । আর প্রমিলা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে রাহুলের কাছে আসতে গিয়ে পথিমধ্যে তার পরিবারের লোকদের হাতে বোমার আঘাতে নিহত হবে । মৃত্যুর সময় সে শাহাদাতের বাণি উচ্চারণ করবে । তার ডায়রী থেকে জানা যায়, সে তার নাম রেখেছিল ফাতিমা ।

রাহুল ওরফে আব্দুল্লাহ ভারতের মানুষকে তওবা করে ইসলাম ধর্মে ফিরে আসার আহবান জানাতে জানাতে সন্ত্রাসীদের আক্রমণে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে ।

এভাবে আমার উপন্যাসটি শেষ হবার কথা । এর মধ্যে কলেবর বৃদ্ধি হবে নানা রকম হিন্দুত্ববাদীদের অত্যাচার , নির্যাতনের কাহিনী থাকবে । এই উপন্যাস যদি কোন তরুণ লেখক শেষ করতে চান, তাহলে মাঝ পথে ভারতের রাজনীতির উত্থান-পতন নিয়ে নিজের মত করে রচনা করতে পারেন ।

দেখাতে পারেন এমন একটা পটভুমি যে, ভবিষ্যৎ ভারত এর অস্তিত্ব টিকে থাকার জন্য ইসলামের ছায়াতলই হবে একমাত্র ভরসা ।

এই অসম্পূর্ণ অবস্থায় যদি আমার মৃত্যু হয়ে যায় । আমার জন্য আপনারা দোয়া করবেন । আরো দোয়া করবেন যেন আমাদের উত্তরসূরীরা ইমাম মাহাদীর অনুসারী হয়ে সাবিকুনদের দলভুক্ত হয়ে আল্লাহর করুণা লাভ করতে পারে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.