নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এস এম ইমদাদুল ইসলাম

গহীনে রক্তক্ষরণ

ধার্মিক, সৎ, যোগ্য এবং মেধাবী তরুনদের আমি ছাত্র

গহীনে রক্তক্ষরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৭ বছর খাইনাই, এবার আমি খাব ?

১১ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৬:০৪

ফোন কলে কথা হচ্ছিল বি এন পির দুই নেতার মধ্যে । কোন একটা টেন্ডার পওয়া নিয়ে দু'জনের মধ্যে বচসা।
শুনুন নিচের এই লিংকটাকে কপি পেস্ট করে নিয়ে আলাপ [ লিংকটা এখানে ক্লিক করার জন্য এনাব্’ল হবে না ]
https://www.youtube.com/watch?v=LJRKxsDuUiM

আলাপ শুনলেই বুঝবেন, ৫ই আগষ্ট’২৪ পাট পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে ইদুরের গর্ত থেকে বেরিয়ে কিভাবে রয়েল বেংগল টাইগারের ভুমিকায় নেমেছে এইসব ধান্দাবাজ নেতারা । উদ্দেশ্য একটাই , ১৭ বছর খাইনাই, এবার খাওয়ার সুযোগ পেয়েছি । অতএব তাদের নিজেদের দলের মধ্যেই চাঁদাবাজ, গুন্ডাপান্ডা জাতীয় পেশীশক্তিওয়ালা মাস্তানরা দুর্বলদের বলছে, “তুমি টেন্ডার ড্রপ করবে না, ও কাজ আমারই চাই । আমি ১৭ বছর খাইনাই, এখন খাব । দুর্বলও কাকুতি মিনতি করে বলছে, “১৭ বছরতো আমিও খাইনাই ভাই, আমার অপরাধ কি?” হায় ! আফসোস !! কি বুঝলেন ?

বি এন পি নেতারা ৫ই আগষ্ট বিপ্লব বিজয়ের পর প্রথম বলেছিল, ছোট ছোট কচি প্রাণ বলি দিয়ে এইসব তরুণ ছাত্ররা তাদের মত নেতাদেরকে জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে । তাদের উপর থেকে ১৬ বছরের জগদ্দল পাথরকে ছুঁড়ে ফেলে তাদের জন্য মুক্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছে । অথচ সেই তারাই এখন কি ধরনের কথা বলছে ?

তারা এত বড় একটা সুযোগ হাতে পেল । এত বড় একটা বিপ্লবকে ধারণ করতে পারল না ? শুধু কি তাই ? তারা ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে র’ এর খপ্পরে পড়ে একটা বিপ্লবী সরকার গঠণ করতে না দিয়ে ষড়যন্ত্র করে বাতিল সংবিধানের কাছে বন্দী করে ফেলল প্রঃ ইউনুসকে ? সাইকো শেখ হাসিনার পা চাটা সামান্য একটা চাকরের কাছে তাকে শপথ নিয়ে উপদেষ্টা বানানো হলো ? কি জন্য ? তারা চেয়েছিল ক্যান্টনমেন্টের ষড়যন্ত্রের অংশীদার হয়ে এই সরকারকেও তারা তথাকথিত ৩-৬ মাসের কেয়ার টেকার সরকার বানিয়ে ফেলতে পেরেছে, অতএব দ্রুত ক্ষমতায় যাওয়া আর ঠেকায় কে ?

কিন্তু উনারা বুঝেইনাই যে, ৩৬শে জুলাই জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ীও যদি ধরেন, তাহলে ১৪০০ তাজা তরুণ প্রাণের বিনিময়ে এই দেশ শুধু সাইকো হাসিনার ফ্যাসিবাদ থেকেই মুক্ত হয়নাই, ভারতের আধিপাত্যবাদকেও এই দেশের সকল নাগরিক ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরাজিত করে একটা ঐতিহাসিক বিপ্লব করে এই সরকারটি গঠণ করেছে । কিন্তু বাচ্চারা বুঝতে না পারলেও এই বিষয়ে যারা এক্সপার্ট , তারা শুরু থেকেই বলে আসছিলেন, “এটা ভুল করা হয়েছে । দ্রুত সংশোধন করুন । এই সরকার আবু সাঈদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে শপথ নিবে । নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করে দেশের শাসনভার তুলে নিবে এবং সংবিধান বাতিল করে চুপ্পু সহ দেশ দ্রোহী সকল গাদ্দারদের গ্রেফতার করে জেলে পুরে ১০ জন যোগ্য লোক নিয়ে একটা কেবিনেট গঠণ করে শক্ত হাতে দেশ পরিচালনা করবে । সেটাই ছিল সেই সরকারের বৈধ ক্ষমতা । কিন্তু কি সর্বনাশ করা হলো ? যে সরকার গঠিত হয়েছে, তা প্রঃ ইউনুস না হয়ে আর কাউকে দিয়ে সরকার গঠণ হলে এতদিনে যে লাউ সেই কদু বানিয়ে ফেলত সাইকোর গৃহপালিত দেশের সামরিক-বেসামরিক চ্যালারা । অথচ এধরনের সরকারের প্রথম কাজ কি হওয়া উচিৎ ছিল ? সেনাবাহিনীর মধ্যে যে অংশটি সাইকো হাসিনার পাল্লায় পড়ে ধ্বংস হয়েছে, তাদেরকে গ্রেফতার করে জেলে পুরে, যাদেরকে বের করে দেয়া হয়েছিল, তাদের মধ্য থেকে সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে সেনাপ্রধান করে রাষ্ট্রকে একটা শক্ত অবস্থানে নিতে হত । যে বিচারক, সাংবাদিক, সচিবগুলো হাসিনাকে ফেরাউন হতে সহয়তা করেছিল, তাদেরকে জেলে পুরতে হতো । দেশটা নিরাপদ হয়ে যেত ।

কিন্তু সেনাবাহিনীর সেই দুষ্ট চক্র, সরকারের ভেতরে অনুপ্রবেশকারি কয়েকজন গাদ্দার উপদেষ্টা আর বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের কিছু অংশ গাদ্দারী করে সেই সুযোগটি হাত ছাড়া করে দেশটাকে আবারো সেই ভারতের র’ এর খপ্পরে আটকে দিয়েছে ।

কেন ? বিএনপি মনে করেছিল, এভাবে সরকার গঠিত হলে সেই সরকার আজীবন ক্ষমতায় থাকবে । তাদের খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে । অথচ তাদের ধারণা ছিল ভুল । একটা বিপ্লবী সরকার গঠিত হলে দেশটার রাজনৈতিক মাঠ থেকে সম্পূর্ণ আবর্জনামুক্ত করতে সক্ষম হত । রাষ্ট্রকে দ্রুত সংস্কার করে একটা শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে পারত । এই ছোট্ট দেশটিকে জিয়াউর রহমান যে যায়গায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন, সেখান থেকে টেনে ডাষ্টবীনে নিক্ষিপ্ত করেছে তাকে হত্যার পর খাওয়া-খায়ির রাজনীতি করে, সেখান থেকে টেনে তুলে আবার দেশটাকে ঢেলে সাজানো সম্ভব হত । এই দেশ মন্ত্রী পরিষদ শাসিত সরকারের যোগ্য নয় । আবার ফিরে যেতে হত রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারে । জিয়াউর রহমানের ছেলের বিগত কিছু দিনের কথায় জনগনের মধ্যে আস্থা এসেছিল যে, তিনিও তার বাবার মত সৎ, যোগ্য রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন । এমন ব্যবস্থা করা যেত, যাতে এই দেশের জনগনকে নিয়ে আর কোন শাসক এমন তামাশা করার সাহস পেত না । কিন্তু ৫ই আগষ্টের পর প্রথম থেকেই জনগন বিএনপির যে আচরণ দেখে আসছে, তাতে তাদের দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছে যে, এই দলের বর্তমান নেতারা আওয়ামীদের ষ্টাইলে দেশ চালাবে এবং কোনভাবেই তারা জিয়াউর রহমানের দলটাকে আর জিয়াউর রহমানের সেই শক্তিশালী দলে ফিরে নিয়ে যেতে চায়না। তারাও আওয়ামীদের মত লুট পাট করে খেতে চায়, তারাও ফ্যাসিস্ট হতে চায় । এই ভয় জনমনে এমনভাবে গেঁথেছে যে, সেই ভয় দূর করা চলমান বুড়ো নেতারা যারা ইতমধ্যে ভারতের দালাল হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে, তাদেরকে দলে রেখে আদৌ সম্ভব নয় । এই বিশ্বাস ফিরতে পারে, দলকে পুরোপুরি দালালমুক্ত করে একঝাক মেধাবী তরুণ নেতাদের নিয়ে যদি দল গঠণ করতে পারে । দলে অনেক যোগ্য, মেধাবী তরুণ নেতা রয়েছে, কিন্তু তাদেরকে ভিড়তেই দিচ্ছে না বুড়ো বুভুক্ষ হায়নারা ।

এই টেলিফোনালাপ নতুন নয় । বিএনপি সর্বত্রই তাদের চাঁদবাজি আর জবরদস্তিমূলক দখলদারিত্ব ফাইনাল করে ফেলেছে ।

এত বড় অকৃতজ্ঞ হতে পারে সেই বিএনপি ? যাদেরকে মানুষ ভারতের আধিপাত্যবাদী শক্তির বিপক্ষে একটা শক্তিশালী দল হিসেবে চিনত ? সেই বিএনপি মরে গিয়েছে । ওরা আর কোনদিন জীবিত হতে পারবে না ।

অতএব এই রাষ্ট্র দ্রুত সংস্কার করে সংবিধান বাতিল করে যোগ্য নেতাদের নিয়ে একটা জাতীয় সরকার গঠণ করা হোক । এই রাষ্ট্র হবে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার । যোগ্য নেতারা হবে পার্লামেন্ট মেম্বার । ২ কক্ষ বিশিষ্ট রাষ্ট্র হবে । দেশে সুশাসন কায়েম হবে, বিচার ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে । সামিরক বাহিনীকে তার আগের মর্যাদায় পুনঃগঠণ করতে হবে । এই দেশে আর কোন চাঁদবাজ, অযোগ্য, টোকাইরা শাসন ক্ষমতার চেয়ারে বসবে ? এই ব্যবস্থায় ফিরে যেতে দেবে না এদেশের আপামর জনতা । দরকার হলে আবারো যুদ্ধ হবে বাতিলদের বিরুদ্ধে । ইনকিলাব জিন্দাবাদ ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.