নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এস এম ইমদাদুল ইসলাম

গহীনে রক্তক্ষরণ

ধার্মিক, সৎ, যোগ্য এবং মেধাবী তরুনদের আমি ছাত্র

গহীনে রক্তক্ষরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এস এস সি পরীক্ষা’২০২৫ এর ফলাফল প্রকাশ এবং কিছু অপ্রিয় সত্য কথন

০৯ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৯

Click This Link

লিংকের প্রেসবিজ্ঞপ্তি মোতাবেক, আগামীকাল ১০ই জুলাই এবার এস এস স ‘২৫ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হতে যাচ্ছে ।

এ নিয়ে অধমের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি ।

বিগত ১৬ বছর এই পাবলিক পরীক্ষাগুলো নিয়ে কি হয়েছে ? তা সচেতন সবাই জানেন । শেখ হাসিনা শুধু যে তার ফ্যাসিবাদী শাসন টিকিয়ে রাখার জন্য রাষ্ট্রের সব ইনষ্টিটিউশন ধ্বংস করেছে তাই নয়, সে সবচেয়ে বড় সর্বনাশ করেছে এই জাতির মেরুদন্ড চিরতরে ভেংগে চুরমার করে দিয়ে গেছে ।

বিগত সময়ে এমনও ঘটনা ঘটেছে, আমার পরিচিতা একজন পরীক্ষার্থীর ৮ সাবজেক্টে ফেল করার কথা, সে নিজেই স্বীকার করেছে । তার স্কুলের বরাবরের পরীক্ষার ফলাফল তেমনই ছিল । সেও জিপিএ-৫ পেয়ে তার বাবা মা সহ নেচেছে ।

এটাই গত ১৬ বছরের হাসিনার শিক্ষা ব্যবস্থার সবচেয়ে নিষ্ঠুর বাস্তবতা । এর ফলে যারা প্রকৃত মেধাবী, তাদের সর্বনাশ হয়েছে আরো অনেক বেশী ।

যারা একটু চতুর ছেলে মেয়ে, তারা এই চাতুরতা বুঝতে পারত । তারা নিজেরা এক্সট্রা পরিশ্রম করে নিজেদেরকে তৈরী করতে পেরেছে । কিন্তু অধিকাংশ বাচ্চারাই অবুঝ । অভিবাকরাও অনেকেই অসচেতন থাকায় খেয়ালই করেন নাই যে তাদের সন্তানদের কিভাবে শেখ হাসিনার সরকার জ্যান্ত লাশ বানিয়েছে গিয়েছে ১৬ বছরে । লাখ লাখ তরুণ তরুণীদের জীবন ধ্বংস করে গেছে ।

তথাকথিত জিপিএ-৫ নামক ভুয়া কাগজ পাওয়ার নেশায় পুরো জাতি ছিল মাদকাশক্ত । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ভর্তির সিষ্টেমে জিপিএ-৫ এর প্রাধান্য দিয়ে এই অসুস্থ্যতাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে । এ জন্য সেই সময় আপনারা শুনতেন, অমুক ছেলে বা মেয়ে জিপিএ-৫ না পাওয়ায় আত্মহত্যা করেছে । বিশেষ করে মেয়েরাই এটা করত ।

আশা করি, নতুন বাংলাদেশে আর ভুয়া রেজাল্ট দেয়া হবে না । এতে অনেক ছেলে মেয়ে হতাশ হতে পারে । এ জন্য আমার বিনীত অনুুরোধ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি । প্রথমতঃ সন্তানদের বাবা মায়েরা তাদের সন্তানদের রেজাল্ট যাই পাবেন, তাই নিয়ে খুশী থাকবেন । বাচ্চাদের বলবেন, তারা যেন হতাশ না হয় । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলছি, আপনারা সুস্থ্য হয়ে উঠুন । ভর্তির জন্য সকলের দরজা উন্মুক্ত রাখুন । কাউকে হতাশ করবেন না । কোন জিপিএ সীমানা বেধে দিবেন না । ভর্তি পরীক্ষা নিন । যারা আপনার প্রতিষ্ঠানে টিকবে, তারা ভর্তি হবে, যারা টিকবে না , তারা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে চেষ্টা করবে ব্যাস ! তাহলেই এই জাতি আবার সুস্থ্য হয়ে উঠবে । নয়তো আগের মতই যদি ভুয়া সিষ্টেমে আঁকড়ে ধরে থাকেন, তাহলে এই জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে । অনেক সন্তানদের হতাশার কারণে অকাল মৃত্যুর জন্য আপনারা দায়ি থাকবেন ।

৩৩ পেলে পাশ হয় । মানে কি ? তারও সম্মান আছে । যোগ্যতা আছে । তার যোগ্যতা ৩ ভাগের ১ ভাগ । তাহলে সেই ৩ ভাগের এক ভাগ স্থান তার পরবর্তী শিক্ষা জীবনে কেন থাকবে না ? অযৌক্তিক কিছু বললাম কি ?

আসুন ,আমাদের সন্তানদের সুস্থ্য ধারায় টিকিয়ে রেখে বড় করে তুলি । আল্লাহ আমাদের সহায় হোন ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.