নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এস এম ইমদাদুল ইসলাম

গহীনে রক্তক্ষরণ

ধার্মিক, সৎ, যোগ্য এবং মেধাবী তরুনদের আমি ছাত্র

গহীনে রক্তক্ষরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোন ঘাটতি না থাকার পরও পিঁয়াজ এবং ডিম নিয়ে আবার কেন এই শয়তানী চলছে ?

১৮ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:২৭

কারণ নির্ণয় করা খুব সোজা ।

পরিসংখ্যান দেখে নিতে পারেন, গুগলে সার্চ করে । এই দেশে পিঁয়াজের উৎপাদন মোট চাহিদার তুলনায় প্রায় ৬ লাখ টন বেশী উৎপাদন হয়েছিল । আর ডিমের উৎপাদনেরও যে কোন রকম ঘাটতি নেই, তা সরেজমিনে প্রতিদিন বাজারে গেলেই চোখের সামনে দেখতে পাওয়া যায় । তার পরও কেন এই শয়তানী করা হচ্ছে ?

কারণ এই দেশের সাধারণ নাগরিককে পলিটিশিয়ানরা এবং তথাকথিত সুশীলরা নাগরিক হিসেবে মর্যাদা দিতে নারায । শুধু এই একটা কারণে বার বার সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে এই শয়তানগুলো।

আমাদের দেশে ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের অন্যতম জনগনের সবচেয়ে প্রিয়ভাজন নেতা মূলতঃ একজন ভন্ড অভিনেতা ফেরআউনের পতনের পর যে সফল বিপ্লব হয়েছিল, সেই বিপ্লবের ফসল ১৯৮১ সালেই ছিনতাই করেছিল বাংলাদেশের রাজনীতির নিয়ন্ত্রক এই সম্মিলিত মহা শয়তানরা । তখন তথ্য প্রবাহের অবাধ ব্যবহার না থাকায় সাধারণ মানুষ তা বুঝতে পারেনি ।

কিন্তু শয়তানগুলো এতটাই বেপরোয়া যে, এরা জানে এই তথ্য প্রবাহের যুগে কোন রকম শয়তানী করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই । তার পরও তারা কেন এভাবে সরাসরি ফিরআউনি শক্তির ব্যবহার করে প্রকাশ্যে জেনে-বুঝে এইসব শয়তানী করে মাল কামাচ্ছে ?

কারণ এরা এটাও জানে যে, এই দেশের শাসন ক্ষমতায় তাদেরই অনুসারী শয়তানের দল বসে আছে ( কদাচ দুর্বল ব্যতিক্রম ব্যতিত) । অতএব তাদের এসব অপরাধের কোন বিচার হবে না । তাদেরকে ধরাই হবে না । শাস্তি দেয়াতো অনেক দূরের কথা।

রাষ্ট্র ক্ষমতায় যতকাল তৃণমূলের জনগণের ক্ষমতায়ন না হবে এবং ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততকাল এই দেশের সাধারণ নাগরিকদের মুক্তি মিলবে না ।

অতএব আপামর জনতা, প্রস্তত থাকুন । রাজপথ কেউ ছাড়বেন না । যে বিপ্লব আবারো ছিনতাই করা হেয়েছে, তা ফিরিয়ে আনতে হবে ।

বিপ্লব আবারো হবে । বিপ্লব আসলে ততদিন পর্যন্ত চলতে থাকবে, যতদিন এই রাষ্ট্রের প্রকৃত মালিক জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরে না আসবে।

১৯৮১ পরবর্তী সকল রাজনৈতিক দলই কম বেশী জনগণের সাথে গাদ্দারী করেছে । আর কোন গাদ্দারীর সুযোগ কাউকে দেয়া যাবে না ।

ডিম-পিয়াজ নিয়ে মাল কামিয়ে শয়তানগুলো কয়দিন ফুর্তি করবে ?

করুক । পাই পাই করে দিন শেষে এর হিসেব বুঝে নেবে জনতা । যে আজ হোক বা শত বছর পর হোক । ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। এই মুর্খগুলোর চোখের সামনে ১৯৭৫ এবং ২০২৪ এর শিক্ষা জ্যান্ত প্রমাণিত দলিল হিসেবে উপস্থিত থাকার পরও এরা যখন তা আমলে নিল না, তখন বুঝতে হবে শয়তান কিয়ামতের দিন পর্যন্ত তার শয়তানী করতেই থাকবে । তেমনি এই মানুষরূপী শয়তানগুলোও থামবে না । আর এর পরিণতি হিসেবে দুনিয়াতে ফিরআউন, নমরুদ, হিটলার, মুসোলিনি, মুজিব, হাসিনার মতই ফল ভোগ করবে ।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ তবে বিপ্লব সফল করতে হলে এই জরুরী বিষয়টা মাথায় রাখা অতিব জরুরীঃ- এ দেশের অধিকাংশ মুসলমানকে তওবা করে প্রকৃত “মুসলমান” হতে হবে। মুসলমান মানে সলিমুদ্দিনের খৎনা করা পোলা কলিমুদ্দিন নয় । “মুসলমান” মানে শ্রষ্টার কাছে ১০০% আত্মসমর্পিত মানুষ। এ দেশের অধিকাংশ মুসলমান মোনাফেক বলেই তারা বার বার বিপ্লবের সফলতা হাতে পেয়েও সফল হয় নাই । কারণ মোনাফেকদের আল্লাহ সফল হতে দেন না ।

ইনকিলাব জিন্দাবাদ !!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.