নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।
অসীম সাহসী এক কিশোর মুক্তিযোদ্ধা - ছোট্ট কাঁধে বিশাল
দায়িত্ব
রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উচ্চ বিদ্যালয়। এই স্কুলের ষষ্ঠ
শ্রেণীতে পড়ে আবু সালেক। এমন সময় শুরু হয়ে গেলো মুক্তিযুদ্ধ।
কে ঠেকায় আবু সালেককে! সীমানা পেরিয়ে চলে গেলো ভারতের
আগরতলায়। সেখানে তখন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য লোক বাছাই চলছিলো। কিন্তু ও তো একদম ছোটো, বাচ্চা! ওকে কেউ-ই
নিতে চাইলো না। আর তাই শুনে ও তো একেবারে কান্নায়
ভেঙে পড়লো। ওর কান্না দেখে ওকে আর বাদ দিতে পারলেন
না দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম
লেখালো ছোট্ট আবু সালেক।
আগরতলা থেকে ওকে নিয়ে যাওয়া হলো মেলাগড় ক্যাম্পে। তারপর
বড়ো যোদ্ধাদের সঙ্গে শুরু করলো যুদ্ধ। পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ,
দেশকে স্বাধীন করার যুদ্ধ। এমনি একদিন ওরা যুদ্ধ
করছিলো চন্দ্রপুর গ্রামে। আবু সালেক সেই যুদ্ধে ছিলো বাংকারে।
সে এক ভীষণ যুদ্ধ। প্রচণ্ড গোলাগুলি চলছে। আর পাকবাহিনীও সেদিন
ছিলো সুবিধাজনক জায়গায়। আবু সালেকের দল তেমন একটা ভালো অবস্থানে নেই। এক পর্যায়ে ওদের পক্ষ টিকে থাকাই
মুশকিল হয়ে দাঁড়ালো। এখন ওদের সামনে একটাই রাস্তা, পিছু
হটতে হবে। কিন্তু চাইলেই কি আর পিছু হটা যায়,
একজনকে তো ব্যাকআপ দিতে হবে। নইলে যে সবাই মারা পড়বে।
কে এই মরণফাঁদে পড়ে থেকে অনবরত গুলি করে শত্রুদের
চোখে ধুলো দেবে, যাতে সেই ফাঁকে অন্যরা সরে যায় নিরাপদ জায়গায়?
এগিয়ে এলো সক্কলের ছোট আবু সালেক। ছোট্ট
কাঁধে তুলে নিলো বিশাল এক দায়িত্ব। ক্রমাগত
গুলি করতে লাগলো পাকবাহিনীর ক্যাম্প লক্ষ্য করে। আর সেই
অবসরে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেলো অন্যরা। ও কিন্তু
গুলি করা থামালো না। এক সময় পাকআর্মিরা মনে করলো,
মুক্তিযোদ্ধারা মনে হয় খুব সংগঠিতভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে। ফলে ওরাও পিছু হটে গেলো। বাংকারে থেকে গেলো শুধু আবু সালেক।
একসময় রাত শেষ হয়ে সকাল হয়ে গেলো।
মুক্তিযোদ্ধারা ভেবেছিলো, গোলাগুলি যখন থেমেছে, আবু সালেক
নিশ্চয়ই শহীদ হয়েছে। কিন্তু বাংকারে গিয়ে তো ওরা অবাক!
কিশোর আবু সালেক একা সেখানে বসে আছে।
দেখে ওরা যে কী খুশি হলো! এমন সাহসী এক কিশোর যদি যুদ্ধে মারা যায়, সে কী কারো ভালো লাগবে বলো?
মন্তব্য : এইতো আমার লাল সবুজ পতাকা , আমার জন্ম পরিচয় ।
আমরা কি এতই অমানুষ এদেরকে কেউ মনে রাখিনি। আজ যারা স্বাধীন
দেশে গাড়ী বাড়ীর হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন
তারা কি একবারও ভেবে দেখেছেন সবই এই সব মুক্তিযোদ্ধাদের
কারণে। আমাদের কারে তাদের দিকে ফিরে তাকাবার সময় নেই। কারণ
আমরা অমানুষ। —
২| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪৮
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: কিশোর আবু সালেক নির্ভীক ছিলেন বলেই আজ আমরা স্বাধীন বাংলায় বুক ভরে শ্বাস নিতে পারি। তাঁদের প্রতি অনেক শ্রদ্ধা। ধন্যবাদ এই মহান ব্যাক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য।
৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৬
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: আবু সালেক এখন কোথায়? তার পা ছুয়ে সালাম করব।
৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১২
মঈনউদ্দিন বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট আপনাকে ধন্যবাদ
রাহ্মণবাড়িয়া
রা না বা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া হবে
৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২২
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেক !
লাল সালাম তোমায় ।
+++++++++++++++++++++++
৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১১
রাসেল ভাই বলেছেন: অসীম সাহসিরাই সপ্ন রচনা করতে পারে । সাহসি যোদ্ধা কে লাল সালাম ।
৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩০
সাগর হাসি বলেছেন: মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেক !
লাল সালাম তোমায় ।
৫ম +++++
৮| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫১
রক্তভীতু ভ্যাম্পায়ার বলেছেন: আমাদের কারে তাদের দিকে ফিরে তাকাবার সময় নেই। কারণ
আমরা অমানুষ।
৯| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০২
পেন্সিল স্কেচ বলেছেন: স্যালুট আবু সালেক
১০| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:০৮
একজন নিশাচর বলেছেন: সালাম তোমায় আবু সালেক।
১১| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: পেন্সিল স্কেচ বলেছেন: স্যালুট আবু সালেক
১২| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭
শের শায়রী বলেছেন: একদিন যদি জীবনে আবু সালেক হতে পারতাম জীবন ধন্য হত।
ধন্যবাদ চমৎকার পোষ্টের জন্য
১৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০০
বোকামন বলেছেন: কিশোর আবু সালেক নির্ভীক ছিলেন বলেই আজ আমরা স্বাধীন বাংলায় বুক ভরে শ্বাস নিতে পারি ...
১৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪
বুনো বলেছেন: কি সাহস!! একা একটি বালক পুরো একটি সেনাবাহিনী ঠেকিয়ে দিল। পাশ্চাত্যে হলে উনার এমন বীরত্ব গাঁথা নিয়ে একাধিক মুভি তৈরি হয়ে যেত। আর আমরা তাদেরকে স্মরণ না করে ক্রেডিট কার ঝুলিতে যাবে, সেটা নিয়েই কাড়াকাড়ি করি।
আপনারা জানেন কি না জানি না, তালিকাভুক্ত ১৪৬ জন কিশোর মুক্তিযোদ্ধার মাঝে আমাদের একজন প্রিয় সহব্লগারও আছেন। "স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস" ইতিহাস এই বইটিতে শ্রদ্ধেয় জুলভার্ন ভাই এর নাম ৩৮ নাম্বারে আছে।
উনাদের প্রতি লাখো শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
১৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪
সহীদুল হক মানিক বলেছেন: ধন্যবাদ.......।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩১
ইনকগনিটো বলেছেন: দারুন পোস্ট। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।