নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।

সহীদুল হক মানিক

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।

সহীদুল হক মানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘শ্রীমুখ’ গ্রামটি এশিয়ার সবচেয়ে ছোট গ্রাম।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৪৫


এশিয়ার সবচেয়ে বড় গ্রাম বাংলাদেশেই। হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং। এটি প্রায় সবাই জানেন। কিন্তু এশিয়ার সবচেয়ে ছোট গ্রামও যে বাংলাদেশে অবস্থিত এ কথা সম্ভবত খুব কম লোকই জানেন।
প্রাপ্ত তথ্য মতে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ‘শ্রীমুখ’ গ্রামটিই এশিয়ার সবচেয়ে ছোট গ্রাম! ৬০ শতক জায়গাজুড়ে ‘এক ঘর-এক বাড়ি-এক গ্রাম’ খ্যাত এই শ্রীমুখ গ্রাম।
এর আগে এশিয়ার সবচেয়ে ছোট গ্রাম হিসেবে আলোচিত হওয়া কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার বেলঘর ইউপির ‘তিলইন’ গ্রামের জনসংখ্যা ৪০ জন। তাদের সবাই সনাতন ধর্মের বলে জানা গেছে।
শতাব্দী-প্রাচীন শ্রীমুখ গ্রামের বর্তমান জনসংখ্যা পাঁচজন। তাদের মধ্যে রয়েছেন একজন পুরুষ, তিনজন নারী ও একজন শিশু। এদের সবাই একই পরিবারের সদস্য।
শ্রীমুখ গ্রামটি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নে অবস্থিত। সরকারি গেজেটভুক্ত এই গ্রামটিতে দীর্ঘদিন থেকেই একটি মাত্র পরিবার বসবাস করে আসছে।
উপজেলা সদর থেকে নয় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত খাজাঞ্চি ইউনিয়ন। এর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের অর্ন্তগত তেলিকোনা ও পশ্চিম নোয়াগাঁওয়ের মধ্যবর্তী স্থানে শ্রীমুখ অবস্থিত।
শ্রীমুখ গ্রামে এক সময় ছিল একটি হিন্দু পরিবারের বসবাস। ১৯৬৪ সালে দাঙ্গার সময় পরিবারটি তাদের বাড়ি বর্তমান বাসিন্দা আলতাফ আলীর পূর্ব-পুরুষের কাছে বিক্রি করে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে আলতাফ আলীর পরিবার এ বাড়িতেই বসবাস করে আসছেন। বর্তমানে আলতাফ আলী সৌদি প্রবাসী। বাড়িতে বসবাস করছেন তার দুই বোন ও স্ত্রী-কন্যা।
গ্রামটির চারদিকে ফসলি জমি, বাঁশ ঝাড়, জঙ্গল ও কাদামাটিতে পরিবেষ্টিত। কাদামাটি ও পানি পেরিয়ে কোনো রকমে ঢুকতে হয় রাস্তাবিহীন এ গ্রামে।
সৌদি প্রবাসী আফতাব আলীর স্ত্রী রাহিমা বেগম। তাদের একমাত্র মেয়ে প্রতিদিন কাদামাটি-পানি পেরিয়ে একটি কিন্ডারগার্টেনে যায়। আর্থিক দুরবস্থার কারণে তাদের ব্যবহার করতে হয় কাঁচা শৌচাগার। একমাত্র টিউবওয়েলটি নষ্ট থাকায় পুকুরের পানি পান করতে হচ্ছে।
শ্রীমুখ গ্রামের জনসংখ্যা মাত্র পাঁচজন হওয়ায় তারা পার্শ্ববর্তী পশ্চিম নোয়াগাঁওপঞ্চায়েতের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ছোট একটি আইলই চলাচলের একমাত্র অবলম্বন। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া বাড়ি থেকে কোথাও যাওয়া যায় না। শুকনো মৌসুমেও কাদা মাড়িয়ে চলাচল করতে হয়।
শ্রীমুখের পার্শ্ববর্তী জায়গার মালিকেরা জমি দিয়ে সহযোগিতা করলে রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র।
পর্যবেক্ষক মহল মনে করে, সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করা হলে শ্রীমুখ গ্রামটি বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গ্রাম হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে। এমনকি গিনেজ বুকে নাম লেখাতে পারে ‘শ্রীমুখ’।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: এই ছোট্র গ্রামে যেতে ইচ্ছে করছে।

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৪

অধীতি বলেছেন: কিছু সুন্দর দেখতেই ভালো।

৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়েই ইউটিউবে ভিডিও দেখলাম গ্রামটা। আগে অল্প কিছু মানুষ ছিল এখন চলে গেছে কেবল একটা পরিবার রয়েছে। সরকার চাইলেই রাস্তা তৈরি করতে পারে। এর জন্য দরকার সরকারের ইচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.