![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহানবী [স.] বলেছেন, "১৫ শাবানের রাতে আল্লাহ সর্বনিম্ন আকাশে নেমে আসেন এবং কালব্ উপজাতির ছাগলের গায়ের পশমের থেকে বেশি লোককে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা করেন।".........
মসজিদের হুজুর ওয়াজ করছেন।শাখাওয়াত মনযোগের সহিত তৃতীয় কাতারে বসে শুনছে।মসজিদে মানুষের আনাগোনা ভালই।সর্বডানপাশের একজন চেয়ারে বসে ওয়াজ শুনছেন।খুব সম্ভবত ভদ্রলোকের পায়ে সমস্যা।বাঁ পাশের ভদ্রলোকের সংগে এক পিচ্চি।ও তসবিহ গুনছে,একটু পর পর মেঝে তে শুয়ে পরছে।নামাজের সময় তার আব্বুকে খুব জ্বালাতন করেছে। তার পাশে সানিয়াথ বসে আছে।শাখাওয়াতের মেস ম্যাট।ও সন্ধ্যায় মেসের দুতলার সবাইকে বিভিন্ন পদের হালুয়া খাইয়েছে।কেনা নয়,সব গুলো হালুয়া হোম মেইড।সানিয়াথের ঢাকায় অনেক আত্নীয় রয়েছে।ওরা দিয়েছে।শাখাওয়াতের ও অনেক আত্নীয় আছে।কিন্তু তাদের সাথে ওর তেমন যোগাযোগ নেই।এদের বেশিরভাগের ছেলে মেয়েদের সঙ্গেই শাখাওয়াতের লেখাপড়ার কম্পিটিশন।কিন্তু শাখাওয়াতের এইচ এস সির রেজাল্ট ভালো না হওয়াতে সে কারো সংগে দেখা করে নি লজ্জায়।একজনের সংগে রাস্তায় দেখা হয়েছিল।খালু তো বলেই ফেলেছেন,"তুমি না ভালো ছাত্র ছিলা,এ প্লাস পাও নি কেন??"
এ প্রশ্নের কোন সদুত্তর শাখাওয়াতের জানা ছিল না।হয়তো তার মাকেও এরকম প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়,কারণ তিনি ছেলের মেধা নিয়ে অনেক গর্ব করতেন।
একটু আগে মা ফোন দিয়েছিল,
"হ্যলো,আব্বু কি কর"
"মসজিদে যাব"
"ও রাতে কি খেয়েছ?"
"এইত মেসে মিনি ফিস্ট ছিল"
"আজকে বাসায় তেমন কিচ্ছু রান্না করি নি,তুমি নাই কি করব..."
"কেন আমি বাদে কি আর কেউ নাই?"
"সারা জীবন একসাথে শবে বরাত করেছি,এই প্রথম তুমি নাই...,তোমার জন্য একশ রাকাত নফল নামাজ পড়বো..."
মার গলা শুনে বুঝতে বাকি থাকে নি তিনি কাঁদছিলেন।রেজাল্ট ভালো হলে হয়তো ও বাড়িতে গিয়ে শবে বরাত করতো,কিন্তু মানুষের সংগে দেখা হলে উদ্ভট প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে ভেবে যায় নি।প্রতিবার শবে বরাতে ওদের বাসায় ৫-৭ পদের হালুয়া তৈরি হয়।সন্ধ্যায় মানুষের বাসায় এগুলো দেয়া হয়।বাসায় থাকা কালে শবে বরাতে শাখাওয়াত সারা রাত সজাগ থাকতো।এ অভ্যাসটি হয়েছে মানুষের কাছে শুনে।স্কুল কলেজে ফ্র্যন্ড রা এসে গল্প করতো,"সারারাত সজাগ ছিলাম" "শবেবরাতে ১১৭ রাকাত নামাজ পড়েছি,১০০ রাকাত নফল আর ১৭ রাকাত এশার নামাজ।"সেই থেকে শাখাওয়াত ও এরকম চেষ্টা করতো।মসজিদে হুজুর তওবা পড়াতেন।হুজুরের মতে,এ রাতে সরল মনে চোখের পানি ফেলে আল্লাহ্র নিকট কোন কিছু চাইলে তা পাওয়া যায়।শাখাওয়াত সে চেষ্টাই করতো।ক্লাস এইটে আল্লাহ্র কাছে শবে বরাতে বৃত্তি পাওয়ার আশায় দুআ করেছিল।বৃত্তি পরীক্ষায় অঙ্ক পরীক্ষা দেয়ার পর সবার মুখ ঘোমরা অঙ্কতে ১০০ আনসার করতে পারে নি কেউই।৯০-৯৫ এর মত সবাই আনসার করেছে।শাখাওয়াত শুনে আতঙ্কিত হয়ে গেল!!সে মাত্র ৬৭ আনসার করেছে।কিন্তু পরে রেজাল্ট বেরোলে দেখা গেল শাখাওয়াত ট্যলেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে যা ছিল প্রত্যাশাতীত।এস এস সি তে অবশ্য এতোটা ভাল হয় নি,তবে আল্লাহ্ এ প্লাস পাইয়ে দিয়েছিলেন।এইচ এস সির আগের শবে বরাতে শাখাওয়াত বড় একটি ভুল করে ফেলে।সে কনফিডেন্ট ছিল এ প্লাস পাবে তাই সে শুধু ভাল ভার্সিটি তে চান্স পাওয়ার প্রার্থনা করে।এভুল ই তার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ালো।তার মাথায় আসে নি এডমিশন টেস্টের আগে আরেকটি শব ই বরাত আসবে...
তবে শাখাওয়াত আজকে সারা রাত ভর প্রার্থনা করে যাবে।একটাই আশা ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ লাভ।তার মনে প্রাণে বিশ্বাস আছে আল্লাহ্ তাকে দিবেনই............
______১৫ ই শা'বান,১৪৩১ হিজরি
২| ২৪ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০
ৈতয়ব খান বলেছেন: "হুদাই লিখি কোন লাভ নাই"
জানি তো। তার জন্যই তো পড়ি না।
২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
খারাপ কপাল বলেছেন:
৩| ২৪ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬
শিব্বির আহমেদ বলেছেন: শাখাওয়াতদের সব স্বপ্ন পূরণ হোক ।
২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
খারাপ কপাল বলেছেন: হোপ সো
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
ৈতয়ব খান বলেছেন: বিশ্বাসে বস্তু মেলে তর্কে বহুদূর
দু'টুতেই মিষ্টি থাকে; চিনি কিবা গুড়